আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন টেকনোলজি রিলেটেড বিষয় গুলো শেয়ার করে থাকি। নিত্য নতুন কি প্রযুক্তি বাজারে আসছে আমাদের তা অবশ্যই জানা প্রয়োজন। গ্রামীণফোনের হাত ধরে মোবাইলের সিম কার্ডে যুক্ত হলো নতুন একটি প্রযুক্তি। একমাত্র গ্রামীণফোনের হাত ধরে চালু হয়ে গেল বাংলাদেশে এই প্রথম eSIM.
e-sim কি? এবং e-sim কিভাবে কাজ করে?
e-sim হল এমন একটি প্রযুক্তিগত সিম যেটা ব্যবহার করতে কোন প্রকার সাধারণ ফিজিক্যাল সিম কার্ড প্রয়োজন হয় না। আমাদের সচরাচর প্রচলিত যে সিম গুলো হাত দিয়ে ধরা যায় কিংবা ছোঁয়া যায় কিন্তু এই e-sim কোন প্রকার দেখা কিংবা ছোঁয়া যায় না। কারণ এটা হচ্ছে একটি ভার্চুয়াল সিম যেটা কিনা এ স্মার্টফোনের একটি প্রোফাইল মাত্র। আমরা সকলেই জানি সিম তৈরি করা হয় প্লাস্টিক দিয়ে কিন্তু এই সিমগুলো আপনার ধরাছোঁয়ার বাইরে।
অন্যদিকে অদৃশ্য e-sim পরিবেশ বান্ধব, কারণ এটা প্লাস্টিকের তৈরি বা ফিজিক্যাল না হওয়ায় পরিবেশের কোন প্রকার ক্ষতি করে না। e-sim ব্যবহার করার জন্য স্মার্টফোনের কোন সিম কার্ড স্লট প্রয়োজন হয় না। এখন আপডেট যে নতুন স্মার্টফোন গুলো, সেগুলোতে e-sim build in অবস্থায় দেওয়া থাকে। এজন্যই এই সিস্টেমটিকে বলা হয় এমবেডেড সিম সিস্টেম। এখনকার নতুন যে স্মার্টফোনগুলো তৈরি করা হয়, সেই স্মার্টফোন গুলোতে e-sim অটোমেটিকলি ইনপুট করে দেওয়া হয়।
e-sim ইনস্টলেশন করে সিম ডাটা ও রিচার্জ করলেই হয়ে যায়, আর কিছুই করতে হয় না। সাধারণ সিম কার্ড গুলোর মত A, O ইউনিক আইডেন্টিটি নাম্বারও থাকে। যা খুব সহজেই সংযুক্ত হয়ে যায় মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক এর সাথে। e-sim এর মধ্যে আধুনিক সব ধরনের মোবাইল সার্ভিস পাওয়া যায়। আপনার ফোনের মধ্যে কেবলমাত্র ই-সিম সাপোর্ট থাকলেই আপনার ফোন থেকে ফোন কল সহ ইন্টারনেট ব্যবহার সবই করা যাবে অনায়াসে।
e-sim এর সুবিধা কি কি?
iPhone Xs এবং iPhone Xs Max দুটি ফোন অ্যাপেলের প্রথম দুটি Dual স্মার্টফোন তৈরি করেছে। তাদের এই দুটি ফোনের মধ্যে একই সাথে দুই কোম্পানির দুটি ভিন্ন রকমের নম্বরের সিম ব্যবহার করা যাবে। এ স্মার্টফোনটিকে স্ট্যান্ডবাই মোডে দুটি সিম থাকবে ফলস্বরূপ একই সময় দুটি ফোন কল আসলে অনায়াসে রিসিভ এবং ডায়াল করা যাবে।
iPhone Xs এবং iPhone Xs Max এ ফোন দুটিতে থাকবে দুটি সিমের সুবিধা। সিম ব্যবহার করতে হলে ফোনের মধ্যে একটি সিমকার্ড ফাঁকা রাখতে হবে এবং অন্যটিতে সিম কার্ড ব্যবহার করতে পারবে। এর কারণ হচ্ছে ফোনের মধ্যে আগে থেকেই একটি সিম কার্ড ইনস্টলেশন করা থাকবে। যার কারণে গ্রাহককে একটি সিম কার্ড স্লট ব্যবহার করতে হবে। e-sim এর বিভিন্ন সুবিধাগুলোর মধ্যে থেকে প্রথম সুবিধা হচ্ছে e-sim খুবই ছোট, আমরা জানি যে nano-sim দেখতে খুব ছোট হয় কিন্তু এই e-sim ন্যানো সিমের থেকেও প্রায় তিনগুণ ছোট হয়ে থাকে। এর ফলে এ স্মার্টফোনের মধ্যে অনেক জায়গা বেঁচে যায়। ওই জায়গায় মোবাইলের অন্য কোন ফিচার যুক্ত করা যায় অথবা মোবাইলের ব্যাটারি আরেকটু বড় করা সম্ভব হয়।
e-sim কার্ডের অসুবিধা গুলো কি কি?
e-sim কার্ডের একটি অন্যতম বড় সমস্যা হচ্ছে আপনার ফোন পরিবর্তন করার সময় অথবা আপনার ফোন যদি কারো কাছে বিক্রি করেন ওই সময়ে একটি ফিজিক্যাল সিমের মত আপনি একটি ফোন থেকে অন্য একটি ফোনে সিম পরিবর্তন করতে পারবেন না। আবার আপনার ফোনটি যদি হারিয়ে যায় কিংবা আপনার ফোনটি যদি নষ্ট হয়ে যায় সেক্ষেত্রে আপনার সিমটি আপনি খুলে অন্য কোন ফোনে লাগানোর কোন অপশন পাবেন না।
আমাদের কথাঃ
আজকে আমাদের পোস্টটি এই পর্যন্ত আমাদের এই পোস্টটি আপনার কাছে কেমন লাগলো এবং আজকে আপনি কি কি নতুন জানতে পারলেন অথবা শিখতে পারেন আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন এরকম আরো নতুন নতুন টেকনোলজি রিলেটেড পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলো দিয়ে রাখতে পারেন। আমাদের পোস্টগুলি আপনার যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। সুস্থ নেক হায়াত কামনা করছি, ভালো এবং সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ!
টেলিটক হচ্ছে বাংলাদেশের নিজস্ব সিম কোম্পানি। এই সিম টি প্রথম দিকে মানে ২০১৩ -১৪ সালে শুধু মাত্র যারা এ প্লাস ( A+) পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বরাদ্দ ছিলো। তার পরবর্তি কালে সকল স্টূডেন্টদের জন্য রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সবাই কে দেওয়া হয়।
২০২০ সালের পর থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয় বাংলদেশ সরকার। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ২০২২ সালে কিভাবে টেলিটকের নাম্বার চেক ব্যালেস চেক এমন কি কিভাবে ইন্টারনেট মেগাবাইট আছে কি না তা চেক করবেন।
টেলিটক সিমে ব্যাবহারের সুবিধাঃ
টেলিটক সিমের সুবিধা হলো এটি সরকারি সিম হবার কারনে এই সিম দিয়ে কথা বলার রেট সব চেয়ে কম। প্রতি মিনিটে এই সিমের কল চার্জ মাত্র ৪০ পয়সা। যে কোনো সময়ে যে কোনো মুহুর্তে।
আর রিচার্জের সময় তো পাচ্ছেন বোনাস হিসাবে মিনিট এমবি সাথে ব্যালেস এ টাকাও । টেলিটক সিম যে সব সুবিধা পাবেন তা অন্য কোন সিম কোম্পানির সিমে পাবেন না । তাই টেলিটক সিম ব্যাবহার করে আপনি লাভবান হতে পারবেন।
টেলিটক সিম ব্যাবহারে অসুবিধাঃ
টেলিটক সিম ব্যাবহারের যেমন আপনি সুবিধা পাবেন তেমনি এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। এমনও অঞ্চল বা এলাকা আছে যেখানে আপনি টেলিটক সিমের রিচার্জ পাবেন না ।
আর যদি পেয়ে যান সব এলাকায় বা গ্রামঞ্চলে আপনি এর ৩জি নেটওয়ার্কও পাবেন না। তবে হ্যা কথা বলার দিক দিয়ে টেলিটক খুব ভালো একটা সিম বলা চলে।
টেলিটক নাম্বার চেক করবেন কিভাবেঃ
টেলিটক নাম্বার চেক করার জন্য আপনাকে ডায়াল করতে হবে।নাম্বার চেক কোডঃ ডায়াল *৫৫১# অথবা *551# অনেকেরই এই কোড ডায়াল করে চেক করতে পারেন না বা কাজ করেনা তাদের জন্য শুধু মাত্র P লিখে মেসেজ সেন্ড করুন ১৫৪ নাম্বারে ফিরতি মেসেজে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার নাম্বার এবং আপনি কোন প্যাকেজ ব্যাবহার করছেন।
ব্যালেস চেক করার কোডঃ
টেলিটক সিমের এমবি চেক করতে ডায়াল করতে হবে *152# অথবা *111# এবং মিনিট চেক করতে ডায়াল করতে হবে *১৫২ #
টেলিটক সিমের সকল ধরনের অফার চেক করতে ডায়াল করতে হবে *111# ।
টেলিটক সিমের কাস্টোমার কেয়ার নাম্বার হচ্ছে ১২১ এবং যেকোন অপেরেটোর থেকে কল ০১৫৫-০১৫৭৭৫০ থেকে ৬০ ।
এখন থেকে আপনিও চাইলে বিকাশ এর মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন কোনো প্রকার জামানত ছাড়াই।
বাংলাদেশে এই প্রথম চালু হলো ডিজিটাল ক্ষুদ্র লোন সেবা। লোন নেওয়ার জন্য গ্রাহক ঘরে বসেই একটি নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে এই লোন নিতে পারবেন। গ্রাহক প্রতি সর্বোনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবে।
গত বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি ব্যাংক সিটি ব্যাংক এবং বিকাশ এর যৌথ উদ্যোগে "ডিজিটাল ন্যানো লোন" নামে এই সেবার উদ্বোধন করেন "তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী 'জুনায়েদ আহমেদ পলক'"।
এই অনুষ্ঠানে বিকাশ এবং সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, এতোদিন বিভিন্ন গ্রামের মানুষ এবং শহরের মানুষ চড়া সুদে ঋণ নিতে ছুটে যেতেন বিভিন্ন মহাজনের কাছে কিংবা বিভিন্ন এনজিওর কাছে। এই ধরনের ডিজিটাল লোন এর লেনদেনটি চালু হলে পাল্টে যাবে সেই চিত্র।
গ্রাহকদের এখন আর এনজিও থেকে ২৫ শতাংশ সুদে বা বিভিন্ন মহাজনের কাছ থেকে আরও চড়া সুদে ঋণ নিতে হবে না। নতুন এই পদ্ধতিতে ঋণের জন্য আবেদন করার সময় কোন প্রকার নতিপত্র কিংবা সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে না, আর কোনো জামানতও লাগবে না।
লোন নেওয়ার জন্য গ্রাহকের অবশ্যই একটি বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে এবং সেই অ্যাকাউন্ট নাম্বার থেকে বিকাশ অ্যাপে লগইন করে বিকাশ অ্যাপের মধ্যে লোন আইকনে ক্লিক করতে হবে। তারপর গ্রাহককে KYC তথ্য সিটি ব্যাংকের সাথে শেয়ার করার অনুমতি দিতে হবে।
এরপর গ্রাহক কত টাকা ঋণ নিতে চান এবং ঋণের মেয়াদ কতদিন হবে সেটা নির্বাচন করতে হবে। তারপর ঋণ নেওয়ার শর্তাবলীতে সম্মতি দিতে হবে। বিকাশের লেনদেন প্রতিবেদন ও ব্যবহারের ধরন দেখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বলে দেবে গ্রাহক ঋণ পাওয়ার যোগ্য কিনা। ঋণ নেওয়ার জন্য ঋণের আবেদনটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় পর্যালোচনায় উত্তীর্ণ হলে মুহুর্তের মধ্যে টাকা পৌঁছে যাবে গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে।
এখানে মাত্র ৯ শতাংশ সুদে ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে এবং ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন মাস। এই ঋণের বার্ষিক সুদহার হল ৯ শতাংশ এবং ঋণের মাশুল হবে ঋণের দশমিক ৫ শতাংশ। 2012 সালে প্রথম ডিজিটাল লোন সেবা চালু হয় কেনিয়ায়।
এরপর তা বরাবরের মতো ছড়িয়ে পড়ে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে। এখন বর্তমানে ছোট অংকের টাকার জন্য এই ডিজিটাল লোন সেবাটি বিভিন্ন দেশে খুব জনপ্রিয়। এখন আপনিও চাইলে লোন পাওয়ার জন্য বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। সবাইকে ধন্যবাদ সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আপনার মোবাইলে যেকোনো অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসলে তার ছবি এবং নাম বের করুন।
অপরিচিত নাম্বার থেকে কোন কল বা মেসেজ আসলে সেই ব্যবহারকারীর নাম এবং ছবি বের করা যায়। এজন্য আপনাকে কয়েকটি স্টেপ ফলো করতে হবে।
এটি করার জন্য "TrueCaller" নামে একটি অ্যাপস লাগবে। এটি আপনি গুগল প্লে-স্টোরে পেয়ে যাবেন। আপনাকে প্লে-স্টোরে গিয়ে প্রথমে এই অ্যাপসটি আপনার ফোনে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিতে হবে।
এরপর অ্যাপটি ওপেন করে আপনার যে কোন একটি নাম্বার দিয়ে এটি লগইন করুন অথবা আপনার গুগোল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করতে পারেন। এরপর সব ধরনের এক্সেস আপনি এলাও করে দিন।
এবার যে কোনো অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসলে, সেই কলদাতার নাম এবং ছবি সহ আপনার ফোনে ভেসে উঠবে। তবে এখানে একটি শর্ত রয়েছে, আপনাকে যে নম্বর থেকে কল করা হবে ওই নাম্বারটি যার নামে রেজিস্ট্রেশন করা শুধু তার নামই ভেসে উঠবে।
যে নাম্বার থেকে আপনার ফোনে কল আসবে ওই নম্বরে যদি কোন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলেও তার ছবি এবং ফেসবুকে যে নাম দেওয়া থাকবে ওই নামটি শো করবে। এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই বের করে ফেলতে পারবেন, আপনাকে আপনার পরিচিত কেউ অযথা ফোন দিয়ে বিরক্ত করছে কিনা?
আপনাকে যদি কেউ অতিরিক্ত কল করে বিরক্ত করে তাহলে তাকে আপনি এই অ্যাপসটির মাধ্যমে ফ্রিতে ব্লক করে রাখতে পারবেন। সে হাজারো চেষ্টা করলে আর ওই নম্বর থেকে আপনাকে কল করতে পারবে না।
আপনি আবার এই অ্যাপসটি ছাড়াও আপনাকে যদি কেউ অপরিচিত নম্বর থেকে বিরক্ত করে তাহলে তাকে কিভাবে বের করবেন?
এটিও আপনি করতে পারবেন এজন্য আপনাকে যে নম্বর থেকে বারবার কল দিয়ে বিরক্ত করা হচ্ছে প্রথমে ওই নাম্বারটি কপি করবেন, এরপর সেই নম্বরটি আপনি ফেসবুকে গিয়ে সার্চ করবেন। এই নম্বরে যদি তার কোনো ফেসবুক একাউন্ট থাকে তাহলে সে একাউন্ট চলে আসবে এবং সেই একাউন্টের মাধ্যমে আপনি তার ডিটেলস পেয়ে যাবেন।
আপনি যদি ফেসবুকে সার্চ করার পরে তার নাম্বারটি সাথে কোন অ্যাকাউন্ট না পান তাহলে কি করবেন?
তাহলে আপনি সেম ভাবে নাম্বারটি কপি করে ইমুতে গিয়ে সার্চ করবেন, তার নাম্বরে হয়তোবা ফেসবুক খোলা না থাকলেও ইমু খোলা থাকতে পারে। এভাবে আপনার সোশ্যাল যে কয়টি সাইট আছে এগুলোতে ট্রাই করতে পারেন। এভাবেও আপনি সেই ব্যক্তির সকল ইনফরমেশন বের করতে পারেন।
আমাদের কাছে "TrueCaller" এর মত Alternative অন্য আরেকটি অ্যাপস আছে যার নাম হচ্ছে "LineWhosCall" এই অ্যাপসটিও প্রায় "TrueCaller" অ্যাপস এর মতই। যে কোন অচেনা ফোন দাতা রেজিস্ট্যান্ট নাম ও অন্যান্য যেকোন তথ্য তার মোবাইলে লোকেশন যদি অন করা থাকে তাহলে তার ঠিকানা সহ বের করে দিবে। এই অ্যাপটিও আপনি গুগল প্লে-স্টোরে পেয়ে যাবেন।
আপনার মোবাইল ফোনের জন্য এই গোপন কোড গুলোর ব্যবহার জেনে নিন
আমরা এক সময় মোবাইল ফোনকে কথা বলার পাশাপাশি নিছক প্রযুক্তি হিসেবে ধরে নিতাম। আর এখন মোবাইল ফোন আর আগের মত শুধু কথা বলার জন্য না এখন মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ হিসেবে কাজ করছে।
"নিউইয়র্ক টাইমস" নামে এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে মোবাইল ফোন ধনী ব্যক্তিদের কাছে যতটা না প্রয়োজনীয় তার চেয়েও বেশি প্রয়োজনীয় একটি উন্নয়নশীল দেশের মানুষের কাছে।
কিন্তু সত্যি কথা বলতে গেলে, আমাদের মধ্যে খুব কম মানুষই আছে যে মোবাইল ফোনের খুঁটিনাটি বিষয়বস্তু গুলো জানে। আমরা যে মোবাইল ফোন দিয়ে কথা বলি, আমাদের এই বেতার আলাপনীতিতে রয়েছে কিছু গোপন কোড যা নিয়ে আমরা কখনোই চিন্তা করিনা।
চলুন তাহলে আমরা জেনে নিই মোবাইল ফোনের কিছু গুরুত্বপূর্ন কোড সম্পর্কে। যেসব কোড গুলো আমাদের দৈনন্দিন সময়ে কাজে আসবে।
১। ফ্যাক্টরি রিসেটঃ
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা মোবাইল ফোনের সেটিং এ ঢুকে ফ্যাক্টরি রিসেট করতে পারেন না। "তাদের জন্য *#*#7780#*#* এই কোডটি ডায়াল করে খুব সহজে আপনার মোবাইলের ফ্যাক্টরি রিসেট করতে পারবেন। আপনি মোবাইল যখন নতুন কিনেছিলেন যে রকম সেটিং পেয়েছিলেন, সেম একই সেটিং পুনরায় পাবেন। এই কোডটি শুধু এন্ড্রয়েড ফোনের জন্য কাজ করবে।
২। আইএমইআই কোড জানতেঃ
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে এই কোডটি জানেন, আমি এই কোডটি এখানে দেওয়ার কারণ হচ্ছে যারা জানেনা তারা নতুন করে জানতে পারবে। আপনার ফোনের ডায়াল অপশনে গিয়ে *#06# এই কোডটি ডায়াল করার পরে আপনার মোবাইলের আইএমইআই কোড এর তথ্য পেয়ে যাবেন। পরবর্তীতে আইএমইআই কোডটি আপনার মোবাইল থেকে মেসেজ পাঠিয়ে জানতে পারবেন আপনার ফোনটি অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল। এটিও শুধু এন্ড্রয়েড ফোনের জন্য প্রযোজ্য।
৩। মোবাইলের বিস্তারিত তথ্য জানতেঃ
আমাদের মোবাইলে থাকা ওয়াইফাই সিগন্যাল ও ব্যাটারির তথ্য এবং বিভিন্ন মোবাইল ইনফরমেশন পেতে ডায়াল অপশনে গিয়ে *#*#4636#*#* এই কোডটি ডায়াল করুন। এটা শুধু অ্যান্ড্রয়েড গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য।
৪। আউটগোয়িং কল গোপন করুন
#31# আপনি এই কোডটি ডায়াল করলে আপনার যেকোন আউটগোয়িং কল গোপন থাকবে। আপনি যাকে ফোন করুন না কেন সে আপনার নাম্বার দেখতে পাবে না এই কোডটি ডায়াল করার পরে। এক কথায় বলতে গেলে আপনার নাম্বারটি হাইড করা থাকবে। এই কোডটি শুধুমাত্র আইফোন ইউজাররাই করতে পারবে। যারা অ্যান্ড্রয়েড ইউজার আছেন তাদের জন্য হল " #31# Phone Numbers "
৫। আউটগোয়িং কল ব্লক করুন
*33*# এই কোডটি আপনার মোবাইলের ডায়াল প্যাডে গিয়ে টাইপ করলে আপনার মোবাইলের সকল আউটগোয়িং কল ব্লক হয়ে যাবে। ভালোভাবে বলতে গেলে আপনার মোবাইলে অন্য কেউ কল দিলে আসবে কেয়ার আপনি কল দিলে যাবে না। এটা পুনরায় চালু করতে #33*Pin# এটি ডায়াল করুন। এই কোডটি শুধু আইফোন এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
৬। কমিউনিকেশন ঠিক করুন
আপনার মোবাইলের কমিউনিকেশন যদি খুব খারাপ হয় তাহলে এখনি *3370# এই কোডটি ডায়াল করলে আপনার কমিউনিকেশনে সাহায্য করবে। আপনার মোবাইলের ডায়াল প্যাড থেকে যখন এই কোডটি ডায়াল করবেন তখন আপনার মোবাইলে কোডিং ব্যবস্থা সক্রিয় করে দেয়। যার ফলে আপনার ফোনের কমিউনিকেশন ক্ষমতা বেড়ে যায়। এই কোডটি শুধুমাত্র আইফোন ইউজারদের জন্য প্রযোজ্য।
মোবাইলের ডার্ক মোড অন করে রাখার সুবিধা কি?
বর্তমান সময়ে বলতে গেলে, ডার্ক মোড বেশ ট্রেন্ডে আছে। সময়ের সাথে সাথে ডার্ক মোড এর জনপ্রিয়তা ক্রমাগত বেড়েই চলছে। এখন প্রায় অনেক অ্যাপ্লিকেশন গুলোই ডার্ক মোড এর সুবিধা দিয়ে থাকে এবং অনেক ওয়েবসাইট আছে যেই ওয়েবসাইট গুলো ডার্ক মোড এর সুবিধা রাখে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ডার্ক মোড কি?
ডার্ক মোড হল একটি সেটিং এর নাম। আপনার মোবাইল কিনবা অ্যাপ্লিকেশনের ব্যাকগ্রাউন্ড এর মধ্যে যেসব স্থানে হোয়াইট কিংবা সাদা অংশ থাকে ওই সব স্থানে ব্লাক বা কালো করার নামই হচ্ছে ডার্ক মোড। এই ডার্ক মোড টি করা হয় মূলত আপনার মোবাইলের ব্যাটারির এনার্জি সেভিং এবং স্কিনের চমক কমানোর জন্য ডার্ক মোড টি ব্যবহার করা হয়।
আপনার মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে ডার্ক মোড ব্যবহার করার নানা রকমের সুবিধা রয়েছে। আবার এটা ব্যবহারের কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। আজকে আমরা ডার্ক মোড এর সব গুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করে আপনাদের কি ক্লিয়ার করে দিব।
ডার্ক মোড ব্যবহারের সুবিধা কি?
যদি আপনার ডিভাইসের মধ্যে OLED যার মিনিং হচ্ছ ( Organic Light Emitting Diode ) এবং AMOLED ডিসপ্লে থাকে তাহলে, এই ডার্ক মোড আপনার ব্যাটারি পাওয়ার সেভিং করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
কেননা যখন আপনি ডার্ক মোড ব্যবহার করেন তখন আপনার মোবাইলের ডিসপ্লের অধিকাংশ স্থান কালো হয়ে থাকে। এতে ডিসপ্লে যে আগত নীল আলোর রশ্মির পরিমাণ কমে যায়। তাছাড়া ডিসপ্লে এবং রিফ্লেকশন ও কম হয়।
এছাড়াও ডার্ক মোড ব্যবহারের সময় বেশিরভাগ স্থান কালো থাকায় তা আপনাদের চোখের পক্ষে অনেক আরামদায়ক এবং অন্ধকারের মধ্যেও যদি আপনি ফোন ব্যবহার করেন তারপরও আপনার চোখের কোন ক্ষতি হবে না।
ডার্ক মোড ব্যবহারের অসুবিধা কি?
এখনো অনেক অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যা ডার্ক মোড এর সাথে ঠিকমত অপটিমাইজ নয়। এর জন্য আপনাকে পরিষ্কার ভিজুয়াল পেতে অনেক সমস্যা হতে পারে।
আবার যেসব স্থানে অধিক আলো যুক্ত থাকে সেসব স্থানে ডার্ক মোড ব্যবহার করলে ডিসপ্লে এর লেখা গুলো যেন আবছা দেখা যায়। এর জন্য আপনার কাছে বিরক্ত মনে হতে পারে।
সেই ভাবে বলতে গেলে ডার্ক মোড এর সুবিধার থেকে অসুবিধার পরিমাণ খুবই ক্ষুদ্র। কেননা সব থেকে বড় কথা হচ্ছে এই ডার্ক মোড টি আপনার চোখের জন্য খুবই উপযোগী। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারের ফলে বা অতিরিক্ত কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে তাদের চোখ নষ্ট হয়ে যায়, এই ডার্ক মোড চোখের কোনো রকম সমস্যা করে না।
আজকে আপনি ডার্ক মোড সম্পর্কে নতুন কিছু জেনে থাকলে, আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে একদমই ভুলবেন না। ধন্যবাদ সবাইকে ভাল এবং সুস্থ থাকবেন।
আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন টেকনোলজি রিলেটেড বিষয় গুলো শেয়ার করে থাকি। নিত্য নতুন কি প্রযুক্তি বাজারে আসছে আমাদের তা অবশ্যই জানা প্রয়োজন। গ্রামীণফোনের হাত ধরে মোবাইলের সিম কার্ডে যুক্ত হলো নতুন একটি প্রযুক্তি। একমাত্র গ্রামীণফোনের হাত ধরে চালু হয়ে গেল বাংলাদেশে এই প্রথম eSIM.
e-sim কি? এবং e-sim কিভাবে কাজ করে?
e-sim হল এমন একটি প্রযুক্তিগত সিম যেটা ব্যবহার করতে কোন প্রকার সাধারণ ফিজিক্যাল সিম কার্ড প্রয়োজন হয় না। আমাদের সচরাচর প্রচলিত যে সিম গুলো হাত দিয়ে ধরা যায় কিংবা ছোঁয়া যায় কিন্তু এই e-sim কোন প্রকার দেখা কিংবা ছোঁয়া যায় না। কারণ এটা হচ্ছে একটি ভার্চুয়াল সিম যেটা কিনা এ স্মার্টফোনের একটি প্রোফাইল মাত্র। আমরা সকলেই জানি সিম তৈরি করা হয় প্লাস্টিক দিয়ে কিন্তু এই সিমগুলো আপনার ধরাছোঁয়ার বাইরে।
অন্যদিকে অদৃশ্য e-sim পরিবেশ বান্ধব, কারণ এটা প্লাস্টিকের তৈরি বা ফিজিক্যাল না হওয়ায় পরিবেশের কোন প্রকার ক্ষতি করে না। e-sim ব্যবহার করার জন্য স্মার্টফোনের কোন সিম কার্ড স্লট প্রয়োজন হয় না। এখন আপডেট যে নতুন স্মার্টফোন গুলো, সেগুলোতে e-sim build in অবস্থায় দেওয়া থাকে। এজন্যই এই সিস্টেমটিকে বলা হয় এমবেডেড সিম সিস্টেম। এখনকার নতুন যে স্মার্টফোনগুলো তৈরি করা হয়, সেই স্মার্টফোন গুলোতে e-sim অটোমেটিকলি ইনপুট করে দেওয়া হয়।
e-sim ইনস্টলেশন করে সিম ডাটা ও রিচার্জ করলেই হয়ে যায়, আর কিছুই করতে হয় না। সাধারণ সিম কার্ড গুলোর মত A, O ইউনিক আইডেন্টিটি নাম্বারও থাকে। যা খুব সহজেই সংযুক্ত হয়ে যায় মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক এর সাথে। e-sim এর মধ্যে আধুনিক সব ধরনের মোবাইল সার্ভিস পাওয়া যায়। আপনার ফোনের মধ্যে কেবলমাত্র ই-সিম সাপোর্ট থাকলেই আপনার ফোন থেকে ফোন কল সহ ইন্টারনেট ব্যবহার সবই করা যাবে অনায়াসে।
e-sim এর সুবিধা কি কি?
iPhone Xs এবং iPhone Xs Max দুটি ফোন অ্যাপেলের প্রথম দুটি Dual স্মার্টফোন তৈরি করেছে। তাদের এই দুটি ফোনের মধ্যে একই সাথে দুই কোম্পানির দুটি ভিন্ন রকমের নম্বরের সিম ব্যবহার করা যাবে। এ স্মার্টফোনটিকে স্ট্যান্ডবাই মোডে দুটি সিম থাকবে ফলস্বরূপ একই সময় দুটি ফোন কল আসলে অনায়াসে রিসিভ এবং ডায়াল করা যাবে।
iPhone Xs এবং iPhone Xs Max এ ফোন দুটিতে থাকবে দুটি সিমের সুবিধা। সিম ব্যবহার করতে হলে ফোনের মধ্যে একটি সিমকার্ড ফাঁকা রাখতে হবে এবং অন্যটিতে সিম কার্ড ব্যবহার করতে পারবে। এর কারণ হচ্ছে ফোনের মধ্যে আগে থেকেই একটি সিম কার্ড ইনস্টলেশন করা থাকবে। যার কারণে গ্রাহককে একটি সিম কার্ড স্লট ব্যবহার করতে হবে। e-sim এর বিভিন্ন সুবিধাগুলোর মধ্যে থেকে প্রথম সুবিধা হচ্ছে e-sim খুবই ছোট, আমরা জানি যে nano-sim দেখতে খুব ছোট হয় কিন্তু এই e-sim ন্যানো সিমের থেকেও প্রায় তিনগুণ ছোট হয়ে থাকে। এর ফলে এ স্মার্টফোনের মধ্যে অনেক জায়গা বেঁচে যায়। ওই জায়গায় মোবাইলের অন্য কোন ফিচার যুক্ত করা যায় অথবা মোবাইলের ব্যাটারি আরেকটু বড় করা সম্ভব হয়।
e-sim কার্ডের অসুবিধা গুলো কি কি?
e-sim কার্ডের একটি অন্যতম বড় সমস্যা হচ্ছে আপনার ফোন পরিবর্তন করার সময় অথবা আপনার ফোন যদি কারো কাছে বিক্রি করেন ওই সময়ে একটি ফিজিক্যাল সিমের মত আপনি একটি ফোন থেকে অন্য একটি ফোনে সিম পরিবর্তন করতে পারবেন না। আবার আপনার ফোনটি যদি হারিয়ে যায় কিংবা আপনার ফোনটি যদি নষ্ট হয়ে যায় সেক্ষেত্রে আপনার সিমটি আপনি খুলে অন্য কোন ফোনে লাগানোর কোন অপশন পাবেন না।
আমাদের কথাঃ
আজকে আমাদের পোস্টটি এই পর্যন্ত আমাদের এই পোস্টটি আপনার কাছে কেমন লাগলো এবং আজকে আপনি কি কি নতুন জানতে পারলেন অথবা শিখতে পারেন আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন এরকম আরো নতুন নতুন টেকনোলজি রিলেটেড পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলো দিয়ে রাখতে পারেন। আমাদের পোস্টগুলি আপনার যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। সুস্থ নেক হায়াত কামনা করছি, ভালো এবং সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ!
টেলিটক হচ্ছে বাংলাদেশের নিজস্ব সিম কোম্পানি। এই সিম টি প্রথম দিকে মানে ২০১৩ -১৪ সালে শুধু মাত্র যারা এ প্লাস ( A+) পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বরাদ্দ ছিলো। তার পরবর্তি কালে সকল স্টূডেন্টদের জন্য রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সবাই কে দেওয়া হয়।
২০২০ সালের পর থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয় বাংলদেশ সরকার। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ২০২২ সালে কিভাবে টেলিটকের নাম্বার চেক ব্যালেস চেক এমন কি কিভাবে ইন্টারনেট মেগাবাইট আছে কি না তা চেক করবেন।
টেলিটক সিমে ব্যাবহারের সুবিধাঃ
টেলিটক সিমের সুবিধা হলো এটি সরকারি সিম হবার কারনে এই সিম দিয়ে কথা বলার রেট সব চেয়ে কম। প্রতি মিনিটে এই সিমের কল চার্জ মাত্র ৪০ পয়সা। যে কোনো সময়ে যে কোনো মুহুর্তে।
আর রিচার্জের সময় তো পাচ্ছেন বোনাস হিসাবে মিনিট এমবি সাথে ব্যালেস এ টাকাও । টেলিটক সিম যে সব সুবিধা পাবেন তা অন্য কোন সিম কোম্পানির সিমে পাবেন না । তাই টেলিটক সিম ব্যাবহার করে আপনি লাভবান হতে পারবেন।
টেলিটক সিম ব্যাবহারে অসুবিধাঃ
টেলিটক সিম ব্যাবহারের যেমন আপনি সুবিধা পাবেন তেমনি এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। এমনও অঞ্চল বা এলাকা আছে যেখানে আপনি টেলিটক সিমের রিচার্জ পাবেন না ।
আর যদি পেয়ে যান সব এলাকায় বা গ্রামঞ্চলে আপনি এর ৩জি নেটওয়ার্কও পাবেন না। তবে হ্যা কথা বলার দিক দিয়ে টেলিটক খুব ভালো একটা সিম বলা চলে।
টেলিটক নাম্বার চেক করবেন কিভাবেঃ
টেলিটক নাম্বার চেক করার জন্য আপনাকে ডায়াল করতে হবে।নাম্বার চেক কোডঃ ডায়াল *৫৫১# অথবা *551# অনেকেরই এই কোড ডায়াল করে চেক করতে পারেন না বা কাজ করেনা তাদের জন্য শুধু মাত্র P লিখে মেসেজ সেন্ড করুন ১৫৪ নাম্বারে ফিরতি মেসেজে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার নাম্বার এবং আপনি কোন প্যাকেজ ব্যাবহার করছেন।
ব্যালেস চেক করার কোডঃ
টেলিটক সিমের এমবি চেক করতে ডায়াল করতে হবে *152# অথবা *111# এবং মিনিট চেক করতে ডায়াল করতে হবে *১৫২ #
টেলিটক সিমের সকল ধরনের অফার চেক করতে ডায়াল করতে হবে *111# ।
টেলিটক সিমের কাস্টোমার কেয়ার নাম্বার হচ্ছে ১২১ এবং যেকোন অপেরেটোর থেকে কল ০১৫৫-০১৫৭৭৫০ থেকে ৬০ ।
এখন থেকে আপনিও চাইলে বিকাশ এর মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন কোনো প্রকার জামানত ছাড়াই।
বাংলাদেশে এই প্রথম চালু হলো ডিজিটাল ক্ষুদ্র লোন সেবা। লোন নেওয়ার জন্য গ্রাহক ঘরে বসেই একটি নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে এই লোন নিতে পারবেন। গ্রাহক প্রতি সর্বোনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবে।
গত বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি ব্যাংক সিটি ব্যাংক এবং বিকাশ এর যৌথ উদ্যোগে "ডিজিটাল ন্যানো লোন" নামে এই সেবার উদ্বোধন করেন "তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী 'জুনায়েদ আহমেদ পলক'"।
এই অনুষ্ঠানে বিকাশ এবং সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, এতোদিন বিভিন্ন গ্রামের মানুষ এবং শহরের মানুষ চড়া সুদে ঋণ নিতে ছুটে যেতেন বিভিন্ন মহাজনের কাছে কিংবা বিভিন্ন এনজিওর কাছে। এই ধরনের ডিজিটাল লোন এর লেনদেনটি চালু হলে পাল্টে যাবে সেই চিত্র।
গ্রাহকদের এখন আর এনজিও থেকে ২৫ শতাংশ সুদে বা বিভিন্ন মহাজনের কাছ থেকে আরও চড়া সুদে ঋণ নিতে হবে না। নতুন এই পদ্ধতিতে ঋণের জন্য আবেদন করার সময় কোন প্রকার নতিপত্র কিংবা সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে না, আর কোনো জামানতও লাগবে না।
লোন নেওয়ার জন্য গ্রাহকের অবশ্যই একটি বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে এবং সেই অ্যাকাউন্ট নাম্বার থেকে বিকাশ অ্যাপে লগইন করে বিকাশ অ্যাপের মধ্যে লোন আইকনে ক্লিক করতে হবে। তারপর গ্রাহককে KYC তথ্য সিটি ব্যাংকের সাথে শেয়ার করার অনুমতি দিতে হবে।
এরপর গ্রাহক কত টাকা ঋণ নিতে চান এবং ঋণের মেয়াদ কতদিন হবে সেটা নির্বাচন করতে হবে। তারপর ঋণ নেওয়ার শর্তাবলীতে সম্মতি দিতে হবে। বিকাশের লেনদেন প্রতিবেদন ও ব্যবহারের ধরন দেখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বলে দেবে গ্রাহক ঋণ পাওয়ার যোগ্য কিনা। ঋণ নেওয়ার জন্য ঋণের আবেদনটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় পর্যালোচনায় উত্তীর্ণ হলে মুহুর্তের মধ্যে টাকা পৌঁছে যাবে গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে।
এখানে মাত্র ৯ শতাংশ সুদে ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে এবং ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন মাস। এই ঋণের বার্ষিক সুদহার হল ৯ শতাংশ এবং ঋণের মাশুল হবে ঋণের দশমিক ৫ শতাংশ। 2012 সালে প্রথম ডিজিটাল লোন সেবা চালু হয় কেনিয়ায়।
এরপর তা বরাবরের মতো ছড়িয়ে পড়ে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে। এখন বর্তমানে ছোট অংকের টাকার জন্য এই ডিজিটাল লোন সেবাটি বিভিন্ন দেশে খুব জনপ্রিয়। এখন আপনিও চাইলে লোন পাওয়ার জন্য বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। সবাইকে ধন্যবাদ সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আপনার মোবাইলে যেকোনো অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসলে তার ছবি এবং নাম বের করুন।
অপরিচিত নাম্বার থেকে কোন কল বা মেসেজ আসলে সেই ব্যবহারকারীর নাম এবং ছবি বের করা যায়। এজন্য আপনাকে কয়েকটি স্টেপ ফলো করতে হবে।
এটি করার জন্য "TrueCaller" নামে একটি অ্যাপস লাগবে। এটি আপনি গুগল প্লে-স্টোরে পেয়ে যাবেন। আপনাকে প্লে-স্টোরে গিয়ে প্রথমে এই অ্যাপসটি আপনার ফোনে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিতে হবে।
এরপর অ্যাপটি ওপেন করে আপনার যে কোন একটি নাম্বার দিয়ে এটি লগইন করুন অথবা আপনার গুগোল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করতে পারেন। এরপর সব ধরনের এক্সেস আপনি এলাও করে দিন।
এবার যে কোনো অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসলে, সেই কলদাতার নাম এবং ছবি সহ আপনার ফোনে ভেসে উঠবে। তবে এখানে একটি শর্ত রয়েছে, আপনাকে যে নম্বর থেকে কল করা হবে ওই নাম্বারটি যার নামে রেজিস্ট্রেশন করা শুধু তার নামই ভেসে উঠবে।
যে নাম্বার থেকে আপনার ফোনে কল আসবে ওই নম্বরে যদি কোন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলেও তার ছবি এবং ফেসবুকে যে নাম দেওয়া থাকবে ওই নামটি শো করবে। এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই বের করে ফেলতে পারবেন, আপনাকে আপনার পরিচিত কেউ অযথা ফোন দিয়ে বিরক্ত করছে কিনা?
আপনাকে যদি কেউ অতিরিক্ত কল করে বিরক্ত করে তাহলে তাকে আপনি এই অ্যাপসটির মাধ্যমে ফ্রিতে ব্লক করে রাখতে পারবেন। সে হাজারো চেষ্টা করলে আর ওই নম্বর থেকে আপনাকে কল করতে পারবে না।
আপনি আবার এই অ্যাপসটি ছাড়াও আপনাকে যদি কেউ অপরিচিত নম্বর থেকে বিরক্ত করে তাহলে তাকে কিভাবে বের করবেন?
এটিও আপনি করতে পারবেন এজন্য আপনাকে যে নম্বর থেকে বারবার কল দিয়ে বিরক্ত করা হচ্ছে প্রথমে ওই নাম্বারটি কপি করবেন, এরপর সেই নম্বরটি আপনি ফেসবুকে গিয়ে সার্চ করবেন। এই নম্বরে যদি তার কোনো ফেসবুক একাউন্ট থাকে তাহলে সে একাউন্ট চলে আসবে এবং সেই একাউন্টের মাধ্যমে আপনি তার ডিটেলস পেয়ে যাবেন।
আপনি যদি ফেসবুকে সার্চ করার পরে তার নাম্বারটি সাথে কোন অ্যাকাউন্ট না পান তাহলে কি করবেন?
তাহলে আপনি সেম ভাবে নাম্বারটি কপি করে ইমুতে গিয়ে সার্চ করবেন, তার নাম্বরে হয়তোবা ফেসবুক খোলা না থাকলেও ইমু খোলা থাকতে পারে। এভাবে আপনার সোশ্যাল যে কয়টি সাইট আছে এগুলোতে ট্রাই করতে পারেন। এভাবেও আপনি সেই ব্যক্তির সকল ইনফরমেশন বের করতে পারেন।
আমাদের কাছে "TrueCaller" এর মত Alternative অন্য আরেকটি অ্যাপস আছে যার নাম হচ্ছে "LineWhosCall" এই অ্যাপসটিও প্রায় "TrueCaller" অ্যাপস এর মতই। যে কোন অচেনা ফোন দাতা রেজিস্ট্যান্ট নাম ও অন্যান্য যেকোন তথ্য তার মোবাইলে লোকেশন যদি অন করা থাকে তাহলে তার ঠিকানা সহ বের করে দিবে। এই অ্যাপটিও আপনি গুগল প্লে-স্টোরে পেয়ে যাবেন।
আপনার মোবাইল ফোনের জন্য এই গোপন কোড গুলোর ব্যবহার জেনে নিন
আমরা এক সময় মোবাইল ফোনকে কথা বলার পাশাপাশি নিছক প্রযুক্তি হিসেবে ধরে নিতাম। আর এখন মোবাইল ফোন আর আগের মত শুধু কথা বলার জন্য না এখন মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ হিসেবে কাজ করছে।
"নিউইয়র্ক টাইমস" নামে এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে মোবাইল ফোন ধনী ব্যক্তিদের কাছে যতটা না প্রয়োজনীয় তার চেয়েও বেশি প্রয়োজনীয় একটি উন্নয়নশীল দেশের মানুষের কাছে।
কিন্তু সত্যি কথা বলতে গেলে, আমাদের মধ্যে খুব কম মানুষই আছে যে মোবাইল ফোনের খুঁটিনাটি বিষয়বস্তু গুলো জানে। আমরা যে মোবাইল ফোন দিয়ে কথা বলি, আমাদের এই বেতার আলাপনীতিতে রয়েছে কিছু গোপন কোড যা নিয়ে আমরা কখনোই চিন্তা করিনা।
চলুন তাহলে আমরা জেনে নিই মোবাইল ফোনের কিছু গুরুত্বপূর্ন কোড সম্পর্কে। যেসব কোড গুলো আমাদের দৈনন্দিন সময়ে কাজে আসবে।
১। ফ্যাক্টরি রিসেটঃ
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা মোবাইল ফোনের সেটিং এ ঢুকে ফ্যাক্টরি রিসেট করতে পারেন না। "তাদের জন্য *#*#7780#*#* এই কোডটি ডায়াল করে খুব সহজে আপনার মোবাইলের ফ্যাক্টরি রিসেট করতে পারবেন। আপনি মোবাইল যখন নতুন কিনেছিলেন যে রকম সেটিং পেয়েছিলেন, সেম একই সেটিং পুনরায় পাবেন। এই কোডটি শুধু এন্ড্রয়েড ফোনের জন্য কাজ করবে।
২। আইএমইআই কোড জানতেঃ
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে এই কোডটি জানেন, আমি এই কোডটি এখানে দেওয়ার কারণ হচ্ছে যারা জানেনা তারা নতুন করে জানতে পারবে। আপনার ফোনের ডায়াল অপশনে গিয়ে *#06# এই কোডটি ডায়াল করার পরে আপনার মোবাইলের আইএমইআই কোড এর তথ্য পেয়ে যাবেন। পরবর্তীতে আইএমইআই কোডটি আপনার মোবাইল থেকে মেসেজ পাঠিয়ে জানতে পারবেন আপনার ফোনটি অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল। এটিও শুধু এন্ড্রয়েড ফোনের জন্য প্রযোজ্য।
৩। মোবাইলের বিস্তারিত তথ্য জানতেঃ
আমাদের মোবাইলে থাকা ওয়াইফাই সিগন্যাল ও ব্যাটারির তথ্য এবং বিভিন্ন মোবাইল ইনফরমেশন পেতে ডায়াল অপশনে গিয়ে *#*#4636#*#* এই কোডটি ডায়াল করুন। এটা শুধু অ্যান্ড্রয়েড গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য।
৪। আউটগোয়িং কল গোপন করুন
#31# আপনি এই কোডটি ডায়াল করলে আপনার যেকোন আউটগোয়িং কল গোপন থাকবে। আপনি যাকে ফোন করুন না কেন সে আপনার নাম্বার দেখতে পাবে না এই কোডটি ডায়াল করার পরে। এক কথায় বলতে গেলে আপনার নাম্বারটি হাইড করা থাকবে। এই কোডটি শুধুমাত্র আইফোন ইউজাররাই করতে পারবে। যারা অ্যান্ড্রয়েড ইউজার আছেন তাদের জন্য হল " #31# Phone Numbers "
৫। আউটগোয়িং কল ব্লক করুন
*33*# এই কোডটি আপনার মোবাইলের ডায়াল প্যাডে গিয়ে টাইপ করলে আপনার মোবাইলের সকল আউটগোয়িং কল ব্লক হয়ে যাবে। ভালোভাবে বলতে গেলে আপনার মোবাইলে অন্য কেউ কল দিলে আসবে কেয়ার আপনি কল দিলে যাবে না। এটা পুনরায় চালু করতে #33*Pin# এটি ডায়াল করুন। এই কোডটি শুধু আইফোন এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
৬। কমিউনিকেশন ঠিক করুন
আপনার মোবাইলের কমিউনিকেশন যদি খুব খারাপ হয় তাহলে এখনি *3370# এই কোডটি ডায়াল করলে আপনার কমিউনিকেশনে সাহায্য করবে। আপনার মোবাইলের ডায়াল প্যাড থেকে যখন এই কোডটি ডায়াল করবেন তখন আপনার মোবাইলে কোডিং ব্যবস্থা সক্রিয় করে দেয়। যার ফলে আপনার ফোনের কমিউনিকেশন ক্ষমতা বেড়ে যায়। এই কোডটি শুধুমাত্র আইফোন ইউজারদের জন্য প্রযোজ্য।
মোবাইলের ডার্ক মোড অন করে রাখার সুবিধা কি?
বর্তমান সময়ে বলতে গেলে, ডার্ক মোড বেশ ট্রেন্ডে আছে। সময়ের সাথে সাথে ডার্ক মোড এর জনপ্রিয়তা ক্রমাগত বেড়েই চলছে। এখন প্রায় অনেক অ্যাপ্লিকেশন গুলোই ডার্ক মোড এর সুবিধা দিয়ে থাকে এবং অনেক ওয়েবসাইট আছে যেই ওয়েবসাইট গুলো ডার্ক মোড এর সুবিধা রাখে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ডার্ক মোড কি?
ডার্ক মোড হল একটি সেটিং এর নাম। আপনার মোবাইল কিনবা অ্যাপ্লিকেশনের ব্যাকগ্রাউন্ড এর মধ্যে যেসব স্থানে হোয়াইট কিংবা সাদা অংশ থাকে ওই সব স্থানে ব্লাক বা কালো করার নামই হচ্ছে ডার্ক মোড। এই ডার্ক মোড টি করা হয় মূলত আপনার মোবাইলের ব্যাটারির এনার্জি সেভিং এবং স্কিনের চমক কমানোর জন্য ডার্ক মোড টি ব্যবহার করা হয়।
আপনার মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে ডার্ক মোড ব্যবহার করার নানা রকমের সুবিধা রয়েছে। আবার এটা ব্যবহারের কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। আজকে আমরা ডার্ক মোড এর সব গুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করে আপনাদের কি ক্লিয়ার করে দিব।
ডার্ক মোড ব্যবহারের সুবিধা কি?
যদি আপনার ডিভাইসের মধ্যে OLED যার মিনিং হচ্ছ ( Organic Light Emitting Diode ) এবং AMOLED ডিসপ্লে থাকে তাহলে, এই ডার্ক মোড আপনার ব্যাটারি পাওয়ার সেভিং করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
কেননা যখন আপনি ডার্ক মোড ব্যবহার করেন তখন আপনার মোবাইলের ডিসপ্লের অধিকাংশ স্থান কালো হয়ে থাকে। এতে ডিসপ্লে যে আগত নীল আলোর রশ্মির পরিমাণ কমে যায়। তাছাড়া ডিসপ্লে এবং রিফ্লেকশন ও কম হয়।
এছাড়াও ডার্ক মোড ব্যবহারের সময় বেশিরভাগ স্থান কালো থাকায় তা আপনাদের চোখের পক্ষে অনেক আরামদায়ক এবং অন্ধকারের মধ্যেও যদি আপনি ফোন ব্যবহার করেন তারপরও আপনার চোখের কোন ক্ষতি হবে না।
ডার্ক মোড ব্যবহারের অসুবিধা কি?
এখনো অনেক অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যা ডার্ক মোড এর সাথে ঠিকমত অপটিমাইজ নয়। এর জন্য আপনাকে পরিষ্কার ভিজুয়াল পেতে অনেক সমস্যা হতে পারে।
আবার যেসব স্থানে অধিক আলো যুক্ত থাকে সেসব স্থানে ডার্ক মোড ব্যবহার করলে ডিসপ্লে এর লেখা গুলো যেন আবছা দেখা যায়। এর জন্য আপনার কাছে বিরক্ত মনে হতে পারে।
সেই ভাবে বলতে গেলে ডার্ক মোড এর সুবিধার থেকে অসুবিধার পরিমাণ খুবই ক্ষুদ্র। কেননা সব থেকে বড় কথা হচ্ছে এই ডার্ক মোড টি আপনার চোখের জন্য খুবই উপযোগী। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারের ফলে বা অতিরিক্ত কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে তাদের চোখ নষ্ট হয়ে যায়, এই ডার্ক মোড চোখের কোনো রকম সমস্যা করে না।
আজকে আপনি ডার্ক মোড সম্পর্কে নতুন কিছু জেনে থাকলে, আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে একদমই ভুলবেন না। ধন্যবাদ সবাইকে ভাল এবং সুস্থ থাকবেন।
আমরা আমাদের এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন টেকনোলজি রিলেটেড বিষয় গুলো শেয়ার করে থাকি। নিত্য নতুন কি প্রযুক্তি বাজারে আসছে আমাদের তা অবশ্যই জানা প্রয়োজন। গ্রামীণফোনের হাত ধরে মোবাইলের সিম কার্ডে যুক্ত হলো নতুন একটি প্রযুক্তি। একমাত্র গ্রামীণফোনের হাত ধরে চালু হয়ে গেল বাংলাদেশে এই প্রথম eSIM.
e-sim কি? এবং e-sim কিভাবে কাজ করে?
e-sim হল এমন একটি প্রযুক্তিগত সিম যেটা ব্যবহার করতে কোন প্রকার সাধারণ ফিজিক্যাল সিম কার্ড প্রয়োজন হয় না। আমাদের সচরাচর প্রচলিত যে সিম গুলো হাত দিয়ে ধরা যায় কিংবা ছোঁয়া যায় কিন্তু এই e-sim কোন প্রকার দেখা কিংবা ছোঁয়া যায় না। কারণ এটা হচ্ছে একটি ভার্চুয়াল সিম যেটা কিনা এ স্মার্টফোনের একটি প্রোফাইল মাত্র। আমরা সকলেই জানি সিম তৈরি করা হয় প্লাস্টিক দিয়ে কিন্তু এই সিমগুলো আপনার ধরাছোঁয়ার বাইরে।
অন্যদিকে অদৃশ্য e-sim পরিবেশ বান্ধব, কারণ এটা প্লাস্টিকের তৈরি বা ফিজিক্যাল না হওয়ায় পরিবেশের কোন প্রকার ক্ষতি করে না। e-sim ব্যবহার করার জন্য স্মার্টফোনের কোন সিম কার্ড স্লট প্রয়োজন হয় না। এখন আপডেট যে নতুন স্মার্টফোন গুলো, সেগুলোতে e-sim build in অবস্থায় দেওয়া থাকে। এজন্যই এই সিস্টেমটিকে বলা হয় এমবেডেড সিম সিস্টেম। এখনকার নতুন যে স্মার্টফোনগুলো তৈরি করা হয়, সেই স্মার্টফোন গুলোতে e-sim অটোমেটিকলি ইনপুট করে দেওয়া হয়।
e-sim ইনস্টলেশন করে সিম ডাটা ও রিচার্জ করলেই হয়ে যায়, আর কিছুই করতে হয় না। সাধারণ সিম কার্ড গুলোর মত A, O ইউনিক আইডেন্টিটি নাম্বারও থাকে। যা খুব সহজেই সংযুক্ত হয়ে যায় মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক এর সাথে। e-sim এর মধ্যে আধুনিক সব ধরনের মোবাইল সার্ভিস পাওয়া যায়। আপনার ফোনের মধ্যে কেবলমাত্র ই-সিম সাপোর্ট থাকলেই আপনার ফোন থেকে ফোন কল সহ ইন্টারনেট ব্যবহার সবই করা যাবে অনায়াসে।
e-sim এর সুবিধা কি কি?
iPhone Xs এবং iPhone Xs Max দুটি ফোন অ্যাপেলের প্রথম দুটি Dual স্মার্টফোন তৈরি করেছে। তাদের এই দুটি ফোনের মধ্যে একই সাথে দুই কোম্পানির দুটি ভিন্ন রকমের নম্বরের সিম ব্যবহার করা যাবে। এ স্মার্টফোনটিকে স্ট্যান্ডবাই মোডে দুটি সিম থাকবে ফলস্বরূপ একই সময় দুটি ফোন কল আসলে অনায়াসে রিসিভ এবং ডায়াল করা যাবে।
iPhone Xs এবং iPhone Xs Max এ ফোন দুটিতে থাকবে দুটি সিমের সুবিধা। সিম ব্যবহার করতে হলে ফোনের মধ্যে একটি সিমকার্ড ফাঁকা রাখতে হবে এবং অন্যটিতে সিম কার্ড ব্যবহার করতে পারবে। এর কারণ হচ্ছে ফোনের মধ্যে আগে থেকেই একটি সিম কার্ড ইনস্টলেশন করা থাকবে। যার কারণে গ্রাহককে একটি সিম কার্ড স্লট ব্যবহার করতে হবে। e-sim এর বিভিন্ন সুবিধাগুলোর মধ্যে থেকে প্রথম সুবিধা হচ্ছে e-sim খুবই ছোট, আমরা জানি যে nano-sim দেখতে খুব ছোট হয় কিন্তু এই e-sim ন্যানো সিমের থেকেও প্রায় তিনগুণ ছোট হয়ে থাকে। এর ফলে এ স্মার্টফোনের মধ্যে অনেক জায়গা বেঁচে যায়। ওই জায়গায় মোবাইলের অন্য কোন ফিচার যুক্ত করা যায় অথবা মোবাইলের ব্যাটারি আরেকটু বড় করা সম্ভব হয়।
e-sim কার্ডের অসুবিধা গুলো কি কি?
e-sim কার্ডের একটি অন্যতম বড় সমস্যা হচ্ছে আপনার ফোন পরিবর্তন করার সময় অথবা আপনার ফোন যদি কারো কাছে বিক্রি করেন ওই সময়ে একটি ফিজিক্যাল সিমের মত আপনি একটি ফোন থেকে অন্য একটি ফোনে সিম পরিবর্তন করতে পারবেন না। আবার আপনার ফোনটি যদি হারিয়ে যায় কিংবা আপনার ফোনটি যদি নষ্ট হয়ে যায় সেক্ষেত্রে আপনার সিমটি আপনি খুলে অন্য কোন ফোনে লাগানোর কোন অপশন পাবেন না।
আমাদের কথাঃ
আজকে আমাদের পোস্টটি এই পর্যন্ত আমাদের এই পোস্টটি আপনার কাছে কেমন লাগলো এবং আজকে আপনি কি কি নতুন জানতে পারলেন অথবা শিখতে পারেন আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন এরকম আরো নতুন নতুন টেকনোলজি রিলেটেড পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলো দিয়ে রাখতে পারেন। আমাদের পোস্টগুলি আপনার যদি ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। সুস্থ নেক হায়াত কামনা করছি, ভালো এবং সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ!
টেলিটক হচ্ছে বাংলাদেশের নিজস্ব সিম কোম্পানি। এই সিম টি প্রথম দিকে মানে ২০১৩ -১৪ সালে শুধু মাত্র যারা এ প্লাস ( A+) পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বরাদ্দ ছিলো। তার পরবর্তি কালে সকল স্টূডেন্টদের জন্য রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে সবাই কে দেওয়া হয়।
২০২০ সালের পর থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয় বাংলদেশ সরকার। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ২০২২ সালে কিভাবে টেলিটকের নাম্বার চেক ব্যালেস চেক এমন কি কিভাবে ইন্টারনেট মেগাবাইট আছে কি না তা চেক করবেন।
টেলিটক সিমে ব্যাবহারের সুবিধাঃ
টেলিটক সিমের সুবিধা হলো এটি সরকারি সিম হবার কারনে এই সিম দিয়ে কথা বলার রেট সব চেয়ে কম। প্রতি মিনিটে এই সিমের কল চার্জ মাত্র ৪০ পয়সা। যে কোনো সময়ে যে কোনো মুহুর্তে।
আর রিচার্জের সময় তো পাচ্ছেন বোনাস হিসাবে মিনিট এমবি সাথে ব্যালেস এ টাকাও । টেলিটক সিম যে সব সুবিধা পাবেন তা অন্য কোন সিম কোম্পানির সিমে পাবেন না । তাই টেলিটক সিম ব্যাবহার করে আপনি লাভবান হতে পারবেন।
টেলিটক সিম ব্যাবহারে অসুবিধাঃ
টেলিটক সিম ব্যাবহারের যেমন আপনি সুবিধা পাবেন তেমনি এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। এমনও অঞ্চল বা এলাকা আছে যেখানে আপনি টেলিটক সিমের রিচার্জ পাবেন না ।
আর যদি পেয়ে যান সব এলাকায় বা গ্রামঞ্চলে আপনি এর ৩জি নেটওয়ার্কও পাবেন না। তবে হ্যা কথা বলার দিক দিয়ে টেলিটক খুব ভালো একটা সিম বলা চলে।
টেলিটক নাম্বার চেক করবেন কিভাবেঃ
টেলিটক নাম্বার চেক করার জন্য আপনাকে ডায়াল করতে হবে।নাম্বার চেক কোডঃ ডায়াল *৫৫১# অথবা *551# অনেকেরই এই কোড ডায়াল করে চেক করতে পারেন না বা কাজ করেনা তাদের জন্য শুধু মাত্র P লিখে মেসেজ সেন্ড করুন ১৫৪ নাম্বারে ফিরতি মেসেজে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার নাম্বার এবং আপনি কোন প্যাকেজ ব্যাবহার করছেন।
ব্যালেস চেক করার কোডঃ
টেলিটক সিমের এমবি চেক করতে ডায়াল করতে হবে *152# অথবা *111# এবং মিনিট চেক করতে ডায়াল করতে হবে *১৫২ #
টেলিটক সিমের সকল ধরনের অফার চেক করতে ডায়াল করতে হবে *111# ।
টেলিটক সিমের কাস্টোমার কেয়ার নাম্বার হচ্ছে ১২১ এবং যেকোন অপেরেটোর থেকে কল ০১৫৫-০১৫৭৭৫০ থেকে ৬০ ।
এখন থেকে আপনিও চাইলে বিকাশ এর মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন কোনো প্রকার জামানত ছাড়াই।
বাংলাদেশে এই প্রথম চালু হলো ডিজিটাল ক্ষুদ্র লোন সেবা। লোন নেওয়ার জন্য গ্রাহক ঘরে বসেই একটি নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে এই লোন নিতে পারবেন। গ্রাহক প্রতি সর্বোনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবে।
গত বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি ব্যাংক সিটি ব্যাংক এবং বিকাশ এর যৌথ উদ্যোগে "ডিজিটাল ন্যানো লোন" নামে এই সেবার উদ্বোধন করেন "তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী 'জুনায়েদ আহমেদ পলক'"।
এই অনুষ্ঠানে বিকাশ এবং সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, এতোদিন বিভিন্ন গ্রামের মানুষ এবং শহরের মানুষ চড়া সুদে ঋণ নিতে ছুটে যেতেন বিভিন্ন মহাজনের কাছে কিংবা বিভিন্ন এনজিওর কাছে। এই ধরনের ডিজিটাল লোন এর লেনদেনটি চালু হলে পাল্টে যাবে সেই চিত্র।
গ্রাহকদের এখন আর এনজিও থেকে ২৫ শতাংশ সুদে বা বিভিন্ন মহাজনের কাছ থেকে আরও চড়া সুদে ঋণ নিতে হবে না। নতুন এই পদ্ধতিতে ঋণের জন্য আবেদন করার সময় কোন প্রকার নতিপত্র কিংবা সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন হবে না, আর কোনো জামানতও লাগবে না।
লোন নেওয়ার জন্য গ্রাহকের অবশ্যই একটি বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে এবং সেই অ্যাকাউন্ট নাম্বার থেকে বিকাশ অ্যাপে লগইন করে বিকাশ অ্যাপের মধ্যে লোন আইকনে ক্লিক করতে হবে। তারপর গ্রাহককে KYC তথ্য সিটি ব্যাংকের সাথে শেয়ার করার অনুমতি দিতে হবে।
এরপর গ্রাহক কত টাকা ঋণ নিতে চান এবং ঋণের মেয়াদ কতদিন হবে সেটা নির্বাচন করতে হবে। তারপর ঋণ নেওয়ার শর্তাবলীতে সম্মতি দিতে হবে। বিকাশের লেনদেন প্রতিবেদন ও ব্যবহারের ধরন দেখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বলে দেবে গ্রাহক ঋণ পাওয়ার যোগ্য কিনা। ঋণ নেওয়ার জন্য ঋণের আবেদনটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় পর্যালোচনায় উত্তীর্ণ হলে মুহুর্তের মধ্যে টাকা পৌঁছে যাবে গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে।
এখানে মাত্র ৯ শতাংশ সুদে ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে এবং ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন মাস। এই ঋণের বার্ষিক সুদহার হল ৯ শতাংশ এবং ঋণের মাশুল হবে ঋণের দশমিক ৫ শতাংশ। 2012 সালে প্রথম ডিজিটাল লোন সেবা চালু হয় কেনিয়ায়।
এরপর তা বরাবরের মতো ছড়িয়ে পড়ে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে। এখন বর্তমানে ছোট অংকের টাকার জন্য এই ডিজিটাল লোন সেবাটি বিভিন্ন দেশে খুব জনপ্রিয়। এখন আপনিও চাইলে লোন পাওয়ার জন্য বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। সবাইকে ধন্যবাদ সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
আপনার মোবাইলে যেকোনো অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসলে তার ছবি এবং নাম বের করুন।
অপরিচিত নাম্বার থেকে কোন কল বা মেসেজ আসলে সেই ব্যবহারকারীর নাম এবং ছবি বের করা যায়। এজন্য আপনাকে কয়েকটি স্টেপ ফলো করতে হবে।
এটি করার জন্য "TrueCaller" নামে একটি অ্যাপস লাগবে। এটি আপনি গুগল প্লে-স্টোরে পেয়ে যাবেন। আপনাকে প্লে-স্টোরে গিয়ে প্রথমে এই অ্যাপসটি আপনার ফোনে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিতে হবে।
এরপর অ্যাপটি ওপেন করে আপনার যে কোন একটি নাম্বার দিয়ে এটি লগইন করুন অথবা আপনার গুগোল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করতে পারেন। এরপর সব ধরনের এক্সেস আপনি এলাও করে দিন।
এবার যে কোনো অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসলে, সেই কলদাতার নাম এবং ছবি সহ আপনার ফোনে ভেসে উঠবে। তবে এখানে একটি শর্ত রয়েছে, আপনাকে যে নম্বর থেকে কল করা হবে ওই নাম্বারটি যার নামে রেজিস্ট্রেশন করা শুধু তার নামই ভেসে উঠবে।
যে নাম্বার থেকে আপনার ফোনে কল আসবে ওই নম্বরে যদি কোন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলেও তার ছবি এবং ফেসবুকে যে নাম দেওয়া থাকবে ওই নামটি শো করবে। এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই বের করে ফেলতে পারবেন, আপনাকে আপনার পরিচিত কেউ অযথা ফোন দিয়ে বিরক্ত করছে কিনা?
আপনাকে যদি কেউ অতিরিক্ত কল করে বিরক্ত করে তাহলে তাকে আপনি এই অ্যাপসটির মাধ্যমে ফ্রিতে ব্লক করে রাখতে পারবেন। সে হাজারো চেষ্টা করলে আর ওই নম্বর থেকে আপনাকে কল করতে পারবে না।
আপনি আবার এই অ্যাপসটি ছাড়াও আপনাকে যদি কেউ অপরিচিত নম্বর থেকে বিরক্ত করে তাহলে তাকে কিভাবে বের করবেন?
এটিও আপনি করতে পারবেন এজন্য আপনাকে যে নম্বর থেকে বারবার কল দিয়ে বিরক্ত করা হচ্ছে প্রথমে ওই নাম্বারটি কপি করবেন, এরপর সেই নম্বরটি আপনি ফেসবুকে গিয়ে সার্চ করবেন। এই নম্বরে যদি তার কোনো ফেসবুক একাউন্ট থাকে তাহলে সে একাউন্ট চলে আসবে এবং সেই একাউন্টের মাধ্যমে আপনি তার ডিটেলস পেয়ে যাবেন।
আপনি যদি ফেসবুকে সার্চ করার পরে তার নাম্বারটি সাথে কোন অ্যাকাউন্ট না পান তাহলে কি করবেন?
তাহলে আপনি সেম ভাবে নাম্বারটি কপি করে ইমুতে গিয়ে সার্চ করবেন, তার নাম্বরে হয়তোবা ফেসবুক খোলা না থাকলেও ইমু খোলা থাকতে পারে। এভাবে আপনার সোশ্যাল যে কয়টি সাইট আছে এগুলোতে ট্রাই করতে পারেন। এভাবেও আপনি সেই ব্যক্তির সকল ইনফরমেশন বের করতে পারেন।
আমাদের কাছে "TrueCaller" এর মত Alternative অন্য আরেকটি অ্যাপস আছে যার নাম হচ্ছে "LineWhosCall" এই অ্যাপসটিও প্রায় "TrueCaller" অ্যাপস এর মতই। যে কোন অচেনা ফোন দাতা রেজিস্ট্যান্ট নাম ও অন্যান্য যেকোন তথ্য তার মোবাইলে লোকেশন যদি অন করা থাকে তাহলে তার ঠিকানা সহ বের করে দিবে। এই অ্যাপটিও আপনি গুগল প্লে-স্টোরে পেয়ে যাবেন।
আপনার মোবাইল ফোনের জন্য এই গোপন কোড গুলোর ব্যবহার জেনে নিন
আমরা এক সময় মোবাইল ফোনকে কথা বলার পাশাপাশি নিছক প্রযুক্তি হিসেবে ধরে নিতাম। আর এখন মোবাইল ফোন আর আগের মত শুধু কথা বলার জন্য না এখন মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ হিসেবে কাজ করছে।
"নিউইয়র্ক টাইমস" নামে এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে মোবাইল ফোন ধনী ব্যক্তিদের কাছে যতটা না প্রয়োজনীয় তার চেয়েও বেশি প্রয়োজনীয় একটি উন্নয়নশীল দেশের মানুষের কাছে।
কিন্তু সত্যি কথা বলতে গেলে, আমাদের মধ্যে খুব কম মানুষই আছে যে মোবাইল ফোনের খুঁটিনাটি বিষয়বস্তু গুলো জানে। আমরা যে মোবাইল ফোন দিয়ে কথা বলি, আমাদের এই বেতার আলাপনীতিতে রয়েছে কিছু গোপন কোড যা নিয়ে আমরা কখনোই চিন্তা করিনা।
চলুন তাহলে আমরা জেনে নিই মোবাইল ফোনের কিছু গুরুত্বপূর্ন কোড সম্পর্কে। যেসব কোড গুলো আমাদের দৈনন্দিন সময়ে কাজে আসবে।
১। ফ্যাক্টরি রিসেটঃ
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা মোবাইল ফোনের সেটিং এ ঢুকে ফ্যাক্টরি রিসেট করতে পারেন না। "তাদের জন্য *#*#7780#*#* এই কোডটি ডায়াল করে খুব সহজে আপনার মোবাইলের ফ্যাক্টরি রিসেট করতে পারবেন। আপনি মোবাইল যখন নতুন কিনেছিলেন যে রকম সেটিং পেয়েছিলেন, সেম একই সেটিং পুনরায় পাবেন। এই কোডটি শুধু এন্ড্রয়েড ফোনের জন্য কাজ করবে।
২। আইএমইআই কোড জানতেঃ
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে এই কোডটি জানেন, আমি এই কোডটি এখানে দেওয়ার কারণ হচ্ছে যারা জানেনা তারা নতুন করে জানতে পারবে। আপনার ফোনের ডায়াল অপশনে গিয়ে *#06# এই কোডটি ডায়াল করার পরে আপনার মোবাইলের আইএমইআই কোড এর তথ্য পেয়ে যাবেন। পরবর্তীতে আইএমইআই কোডটি আপনার মোবাইল থেকে মেসেজ পাঠিয়ে জানতে পারবেন আপনার ফোনটি অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল। এটিও শুধু এন্ড্রয়েড ফোনের জন্য প্রযোজ্য।
৩। মোবাইলের বিস্তারিত তথ্য জানতেঃ
আমাদের মোবাইলে থাকা ওয়াইফাই সিগন্যাল ও ব্যাটারির তথ্য এবং বিভিন্ন মোবাইল ইনফরমেশন পেতে ডায়াল অপশনে গিয়ে *#*#4636#*#* এই কোডটি ডায়াল করুন। এটা শুধু অ্যান্ড্রয়েড গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য।
৪। আউটগোয়িং কল গোপন করুন
#31# আপনি এই কোডটি ডায়াল করলে আপনার যেকোন আউটগোয়িং কল গোপন থাকবে। আপনি যাকে ফোন করুন না কেন সে আপনার নাম্বার দেখতে পাবে না এই কোডটি ডায়াল করার পরে। এক কথায় বলতে গেলে আপনার নাম্বারটি হাইড করা থাকবে। এই কোডটি শুধুমাত্র আইফোন ইউজাররাই করতে পারবে। যারা অ্যান্ড্রয়েড ইউজার আছেন তাদের জন্য হল " #31# Phone Numbers "
৫। আউটগোয়িং কল ব্লক করুন
*33*# এই কোডটি আপনার মোবাইলের ডায়াল প্যাডে গিয়ে টাইপ করলে আপনার মোবাইলের সকল আউটগোয়িং কল ব্লক হয়ে যাবে। ভালোভাবে বলতে গেলে আপনার মোবাইলে অন্য কেউ কল দিলে আসবে কেয়ার আপনি কল দিলে যাবে না। এটা পুনরায় চালু করতে #33*Pin# এটি ডায়াল করুন। এই কোডটি শুধু আইফোন এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
৬। কমিউনিকেশন ঠিক করুন
আপনার মোবাইলের কমিউনিকেশন যদি খুব খারাপ হয় তাহলে এখনি *3370# এই কোডটি ডায়াল করলে আপনার কমিউনিকেশনে সাহায্য করবে। আপনার মোবাইলের ডায়াল প্যাড থেকে যখন এই কোডটি ডায়াল করবেন তখন আপনার মোবাইলে কোডিং ব্যবস্থা সক্রিয় করে দেয়। যার ফলে আপনার ফোনের কমিউনিকেশন ক্ষমতা বেড়ে যায়। এই কোডটি শুধুমাত্র আইফোন ইউজারদের জন্য প্রযোজ্য।
মোবাইলের ডার্ক মোড অন করে রাখার সুবিধা কি?
বর্তমান সময়ে বলতে গেলে, ডার্ক মোড বেশ ট্রেন্ডে আছে। সময়ের সাথে সাথে ডার্ক মোড এর জনপ্রিয়তা ক্রমাগত বেড়েই চলছে। এখন প্রায় অনেক অ্যাপ্লিকেশন গুলোই ডার্ক মোড এর সুবিধা দিয়ে থাকে এবং অনেক ওয়েবসাইট আছে যেই ওয়েবসাইট গুলো ডার্ক মোড এর সুবিধা রাখে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ডার্ক মোড কি?
ডার্ক মোড হল একটি সেটিং এর নাম। আপনার মোবাইল কিনবা অ্যাপ্লিকেশনের ব্যাকগ্রাউন্ড এর মধ্যে যেসব স্থানে হোয়াইট কিংবা সাদা অংশ থাকে ওই সব স্থানে ব্লাক বা কালো করার নামই হচ্ছে ডার্ক মোড। এই ডার্ক মোড টি করা হয় মূলত আপনার মোবাইলের ব্যাটারির এনার্জি সেভিং এবং স্কিনের চমক কমানোর জন্য ডার্ক মোড টি ব্যবহার করা হয়।
আপনার মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে ডার্ক মোড ব্যবহার করার নানা রকমের সুবিধা রয়েছে। আবার এটা ব্যবহারের কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। আজকে আমরা ডার্ক মোড এর সব গুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করে আপনাদের কি ক্লিয়ার করে দিব।
ডার্ক মোড ব্যবহারের সুবিধা কি?
যদি আপনার ডিভাইসের মধ্যে OLED যার মিনিং হচ্ছ ( Organic Light Emitting Diode ) এবং AMOLED ডিসপ্লে থাকে তাহলে, এই ডার্ক মোড আপনার ব্যাটারি পাওয়ার সেভিং করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
কেননা যখন আপনি ডার্ক মোড ব্যবহার করেন তখন আপনার মোবাইলের ডিসপ্লের অধিকাংশ স্থান কালো হয়ে থাকে। এতে ডিসপ্লে যে আগত নীল আলোর রশ্মির পরিমাণ কমে যায়। তাছাড়া ডিসপ্লে এবং রিফ্লেকশন ও কম হয়।
এছাড়াও ডার্ক মোড ব্যবহারের সময় বেশিরভাগ স্থান কালো থাকায় তা আপনাদের চোখের পক্ষে অনেক আরামদায়ক এবং অন্ধকারের মধ্যেও যদি আপনি ফোন ব্যবহার করেন তারপরও আপনার চোখের কোন ক্ষতি হবে না।
ডার্ক মোড ব্যবহারের অসুবিধা কি?
এখনো অনেক অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যা ডার্ক মোড এর সাথে ঠিকমত অপটিমাইজ নয়। এর জন্য আপনাকে পরিষ্কার ভিজুয়াল পেতে অনেক সমস্যা হতে পারে।
আবার যেসব স্থানে অধিক আলো যুক্ত থাকে সেসব স্থানে ডার্ক মোড ব্যবহার করলে ডিসপ্লে এর লেখা গুলো যেন আবছা দেখা যায়। এর জন্য আপনার কাছে বিরক্ত মনে হতে পারে।
সেই ভাবে বলতে গেলে ডার্ক মোড এর সুবিধার থেকে অসুবিধার পরিমাণ খুবই ক্ষুদ্র। কেননা সব থেকে বড় কথা হচ্ছে এই ডার্ক মোড টি আপনার চোখের জন্য খুবই উপযোগী। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারের ফলে বা অতিরিক্ত কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে তাদের চোখ নষ্ট হয়ে যায়, এই ডার্ক মোড চোখের কোনো রকম সমস্যা করে না।
আজকে আপনি ডার্ক মোড সম্পর্কে নতুন কিছু জেনে থাকলে, আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে একদমই ভুলবেন না। ধন্যবাদ সবাইকে ভাল এবং সুস্থ থাকবেন।