ব্লগ নিশ বলতে ব্লগারে আপনি নির্দিষ্ট যেকোনো একটি টপিক নিয়ে কাজ করাকে ব্লগিং নিশ বা টপিক বলা হয়। আপনি ব্লগিং শুরু করার আগে কোন বিষয় নিয়ে ব্লগে লেখালেখি করবেন সেই বিষয়টি সঠিক ভাবে নির্বাচন করা হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
আমাদের মধ্যে ৯০ শতাংশ ব্লগাররাই ব্লগে লেখালেখি করে এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে চায়। কিন্তু নতুন ব্লগাররা প্রথমে যে বিষয় গুলো সিলেক্ট করে ব্লগে লেখালেখি করে ওই বিষয়ের উপর তাদের যথেষ্ট আগ্রহ না থাকার ফলে তাদের ব্লগারে লেখার আগ্রহটাই নষ্ট হয়ে যায়।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে, ব্লগিং শুরু করার আগে আমরা সঠিক নিশ বা টপিক সিলেক্ট না করে তাড়াহুড়া করে পোষ্ট লেখার কারণে আমরা যে টপিকে পোস্ট লিখি ওই টপিকের পোস্টে ভিজিটর পাইনা।
১. মাল্টি নিশ ব্লগ।
২. মাইক্রো নিশ ব্লগ।
মাল্টি নিস ব্লগ হলো, একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে অনেকগুলো কিওয়ার্ডকে টার্গেট করে যে আর্টিকেল লেখা হয়, সেটাই হলো মাল্টি ব্লগ নিশ। অনেক ওয়েবসাইটের মধ্যে দেখবেন বিভিন্ন টপিকের উপরে লেখালেখি করে পোস্ট পাবলিশ করছে।
যেমন দেখবেন একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে কেউ অনলাইন ইনকাম নিয়ে লেখালেখি করে আবার কেউ এডুকেশন রিলেটেড নিয়ে লেখালেখি করে এবং কেউবা বিভিন্ন গ্যাজেট রিভিউ নিয়ে লেখালেখি করে ইত্যাদি।
মাইক্রো ব্লগ নিশ হল, একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে নির্দিষ্ট একটি টপিক বা কিওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে পোষ্ট লিখে পাবলিশ করা হয়। আপনারা অনেক ওয়েবসাইটের মধ্যে দেখবেন যে, তারা নির্দিষ্ট একটি টপিকের উপরে পোস্ট লিখে পাবলিশ করেছে।
যেমন দেখবেন কোনো ওয়েবসাইটের মধ্যে তারা শুধু হেলথ রিলেটেড পোস্ট করে। হেলথ রিলেটেড পোস্ট ছাড়া তারা কিন্তু অন্য কোন পোস্ট করে না। তাই আমরা বলতে পারি একটি নির্দিষ্ট টপিক এর উপরে যে ওয়েবসাইটগুলো তৈরি করা হয় তাকে মাইক্রো নিশ ব্লগ বলা হয়।
আমরা এতক্ষণের সবাই বুঝে গেছি যে, ব্লগারে নিশ বা টপিক ২ ধরনের এবং মাল্টি ব্লগ নিস এবং মাইক্রো ব্লগিং সম্পর্কে আমরা পুরোপুরি জেনে গেছি।
এখন আপনি ভাবতে পারেন আপনি কোন নিশ নিয়ে কাজ করবেন, মাল্টি ব্লগ নিশ নিয়ে কাজ করবেন, নাকি মাইক্রো ব্লগ নিস নিয়ে কাজ করবেন?
মাল্টি নিশ ব্লগ ওয়েবসাইটের থেকে মাইক্রো নিশ ব্লগ ওয়েবসাইটকে গুগল বেশি প্রাধান্য দেয় এবং মাল্টি নিশ ব্লগ ওয়েবসাইটের থেকে মাইক্রো নিস ব্লগ ওয়েবসাইটে ভিজিটর অনেক বেশী হয়ে থাকে।
কারণ ভিজিটররাও মাইক্রো নিশ ওয়েবসাইট বেশি পছন্দ করে। অন্যদিকে মাইক্রো নিশ ব্লগ ওয়েবসাইট গুগলে অনেক দ্রুত রেংক করে এবং আপনার ভিজিটর অনেক বেশী হয়ে থাকে। বেশি ভিজিটর হলে আপনার ইনকামও কিন্তু বেশি হবে
আপনি হেলথ রিলেটেড গুগলে যদি কোন কিছু লিখে সার্চ করেন, সার্চ রেজাল্টে আপনি অনেকগুলো ওয়েবসাইট দেখতে পাবেন।সেখানে আপনি একটা ওয়েবসাইটের মধ্যে দেখলেন, বিভিন্ন টপিকের উপর পোস্ট আছে এবং তার মধ্যে হেলথ রিলেটেড পোস্টও রয়েছে।
তাহলে আপনি সহজেই বুঝতে পারলেন যে, এটি একটি মাল্টি নিশ ব্লগ ওয়েবসাইট। তারপর আপনি আরেকটি ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখলেন যে, সেখানে শুধু হেলথ রিলেটেড পোস্ট রয়েছে আর অন্য কোন পোস্ট সেখানে নেই।
আপনি প্রথমে যে মাল্টি নিশ ব্লগ ওয়েবসাইটের পোস্টটি পড়েছেন সেই পোষ্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে এবং পরবর্তীতে আপনি মাইক্রো নিশ ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে যে পোস্টটি পড়েছেন সেটিও আপনার কাছে ভাল লেগেছে।
এখন আপনিই বলুন আপনি কোন ওয়েবসাইটটিতে বেশি ভিজিট করবেন! যেটিতে এলোমেলো ভাবে বিভিন্ন টপিকের উপর পোস্ট করা আছে,
সেই মাল্টি নিশ ওয়েবসাইট কে নাকি মাইক্রো নিশ ওয়েবসাইটের মধ্যে আপনি যা খুজছেন সেই রিলেটেড আরো অনেক পোস্ট আছে, এই ওয়েবসাইটটিতে?
আপনি নিশ্চয়ই যে টপিক নিয়ে গুগলের সার্চ করছেন, শুধু ওই টপিকের উপরে যে ওয়েবসাইট রয়েছে আপনি অবস্যই ওই ওয়েবসাইট গুলোতে বেশি সময় ব্যয় করবেন। কেননা ওই রিলেটেড পোস্টগুলো আপনার পড়তে ভালো লাগে।
সেজন্য আপনি এই মাইক্রো নিশ ব্লগ ওয়েবসাইট গুলোতে বেশি থাকতে পছন্দ করবেন। এজন্য আমি আপনাকে অবশ্যই এই একটি বিষয় সাজেস্ট করবো, আপনি মাইক্রো নিশ ব্লগ ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করেন যাতে, আপনি খুব সহজে এটি থেকে ইনকাম করতে পারেন।
যেমনঃ
১। কম্পিটিশন (Niche for Competition)
২। ভিজিটর (Niche for Audience)
৩। ইনকাম (Niche for Income)
আপনি একটি নিশ বা টপিক নির্বাচন করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে আপনি যে টপিক টা নির্বাচন করবেন আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ওই টপিকের উপরে আপনার কম্পিটিশন কেমন সেই ব্যাপারটি আপনাকে পুরোপুরি আগে জানতে হবে।
মনে করেন আপনি যেই টপিকের উপরে ওয়েবসাইট তৈরী করলেন ওই টপিকের উপরে গুগলে অলরেডি অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। এগুলোর জন্য আপনার কিন্তু কম্পিটিশন অনেক হাই হয়ে যাবে, আপনি কিন্তু এর জন্য আপনার ওয়েবসাইট র্যাংক করাতে পারবেন না আর এটা সম্ভব হলেও আপনাকে অনেক হার্ডওয়োর্ক করতে হবে।
র্যাংক করাতে না পারলে আপনার ইনকামও কিন্তু হবে না। এই জন্য আপনি যে নিশ বা টপিকটি নির্বাচন করবেন, সেই নিশের উপরে গুগলে সার্চ করে আপনি আপনার কম্পিটিশন জেনে তার পরে নির্বাচন করবেন।
আপনি কিওয়ার্ড রিচার্জ করার পরে, যেই কিওয়ার্ডের কম্পেটিশন লো এবং সার্চ ভলিউম হাই থাকবে আপনি ওই কীওয়ার্ডের উপরে আপনার ওয়েবসাইটটি তৈরি করবেন। কিওয়ার্ড রিসার্চের জন্য আপনি সরাসরি "গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার" এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করতে পারেন। এই ওয়েবসাইটটি একদম ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন।
একটি ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে হলে, আপনাকে অবশ্যই ভিজিটর আনতে হবে আপনার ওয়েবসাইটে। ভিজিটর ছাড়া আপনার ওয়েবসাইট টি গুগলের কাছে কোনো মূল্যই নেই। এজন্যই ভিজিটরকে বলা হয় ওয়েবসাইটের প্রাণবিন্দু।
আপনি আপনার ওয়েবসাইটটি যত সুন্দর করে সাজান না কেন অথবা আপনার ওয়েবসাইটে যত সুন্দর বা ভালো পোস্ট করেন না কেন, আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভিজিটরই না থাকে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের কোনো মূল্যই থাকবেনা।
একটা সময় দেখবেন আপনার ব্লগিং করার ইচ্ছাটাই একদম হারিয়ে যাবে। এই জন্য আপনি যে বিষয়ের উপর পোস্ট লিখবেন ওই বিষয়ের উপরে আপনি ভালো ভাবে রিচার্জ করার পরে পোস্ট লিখবেন এবং আপনাকে এ বিষয়টিও খেয়াল রেখে রিচার্জ করতে হবে যে আপনার ওই পোস্টে কি রকম ভিউজ আসার সম্ভাবনা আছে,
যদি দেখেন যে এখান থেকে ভালো ভিউজ আসার সম্ভাবনা আছে তাহলে ওই বিষয় নিয়ে আপনি পোষ্ট লিখবেন।অন্যথায় আপনার ঐ বিষয়ে কোনো পোষ্ট লেখার প্রয়োজন নেই, যদি ভিজিটরই না আসে।
তাই আপনাকে ভিজিটরের কথা মাথায় রেখে ভিজিটর কি চাচ্ছে ওই টপিকের উপরে আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ করে সেই টপিকের উপরে আপনাকে পোস্ট লিখতে হবে। যাতে আপনার ভিজিটর অটোমেটিকলি আপনার ওয়েবসাইটে চলে আসে। আপনার ওয়েবসাইটে যত ভিজিটর বেশি আসবে আপনার জন্য ততই লাভ।
আমরা যে কোনো পরিশ্রম এর পেছনে একটি মাত্র আশা করে থাকি সেটি হল ইনকাম। তেমনি যারা ব্লগারে ব্লগিং করেন তারা চান যে একটা সময় যেয়ে সে যেন ইনকাম করতে পার এবং তার পরিশ্রম গুলো যেন সার্থক হয়।
কিন্তু যারা এত কষ্ট করে ব্লগে লেখালেখি করেন তারা যদি এখান থেকে ইনকাম না করতে পারেন, আমার মনে হয় না আপনারা আর কোন কষ্ট করে এখানে আপনার সময় নষ্ট করবেন।
বলা যায় যে আপনার ইচ্ছামত আপনি একটি টপিক সিলেট করে সেখান থেকে সেই টপিকের উপরে আপনি ভাল কোন কিছু আশা করতে পারবেন না বা ভালো ইনকামের আশা করতে পারবেন না।
তাই আপনি একটু ইন্টারনেট রিচার্জ করলে জানতে পারবেন যে কোন ওয়েবসাইটে মাত্র ১০ হাজার ভিজিটর দিয়ে 100 ডলার ইনকাম করা যায়। আবার একই ভিজিটর দিয়ে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ ডলার ইনকাম হয়।
এবার আপনি বুঝতে পারলেন যে একই ভিজিটর থেকে ইনকাম কম বেশি হয়ে থাকে এটা আপনার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটের উপর নির্ভর করে এবং আপনার ওয়েবসাইটে কোন রিলেটেড কিওয়ার্ড নিয়ে আপনি কাজ করতেছেন এটির উপর নির্ভর করে।
এটার মূল কারণ হলো, আমাদের ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল হওয়ার পরে আমরা যে রিলেটেড কিওয়ার্ড নিয়ে পোস্ট লিখি, এডসেন্স ওই রিলেটেড অ্যাড আমাদের ওয়েবসাইটে শো করায়। এর ফলে অ্যাডগুলোতে বেশি বেশি ক্লিক পড়ে এবং আমাদের ইনকামও বেশি বেশি হয়ে থাকে।
যারা অ্যাড প্রোভাইড করে, ওই অ্যাড কোম্পানি গুলো কিছু কিছু টপিক রিলেটেড অ্যাড গুলোতে বেশি টাকা প্রদান করে থাকে এবং কিছু কিছু অ্যাড গুলোতে কম টাকা প্রদান করে।
যাদের এডসেন্স একাউন্ট আছে তারা হয়ত একটা জিনিস খেয়াল করেছেন যে অ্যাডসেন্স এর মধ্যে সিপিসি বলে একটা অপশন আছে।
সিপিসি এর পূর্ণরূপ হল কস্ট পার ক্লিক। এই সিপিসি এর অর্থ হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটে যে অ্যাডগুলো গুগল অ্যাডসেন্স থেকে শো করবে ওই অ্যাডগুলোতে প্রতি ক্লিকে কত সেন্ট বা কত ডলার করে আপনাকে প্রদান করবে এর নামই হচ্ছে সিপিসি বা কস্ট পার ক্লিক।
এজন্য আপনারা একটা জিনিস খেয়াল করবেন যে অ্যাডসেন্সে বেশি সিপিসি হলে আপনার ইনকাম বেশি হবে এবং কম সিপিসি হলে আপনার ইনকামও কম হবে।
তাই আপনাকে টপিক নির্বাচন করার আগে অবশ্যই রিচার্জ করে নিতে হবে যে কোন টপিকের উপর সিপিসি বেশি আসে ওই টপিকের উপর আপনাকে কাজ করতে হবে।
যাতে আপনার সিপিসি বেশি আসে এবং ইনকামও বেশি হয়। কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন আপনি গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার এর মাধ্যমে এটা একদম ফ্রিতে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনাকে ভিজিটরের কথা মাথায় রেখে আপনার ওয়েবসাইটের জন্যে নিশ বা টপিক নির্বাচন করতে হবে। এখন আপনি কিভাবে বুঝবেন যে, কোন টপিকের উপর মানুষ বেশি গুগলে সার্চ করে।
এইটা জানার জন্য আপনি গুগলে যাবেন, গুগলের মধ্যে আপনি যে টপিক নিয়ে কাজ করবেন ভাবছেন ওই টপিক রিলেটেড কীওয়ার্ড লিখে সার্চ করুন।
এরপর দেখবেন ওই টপিকের উপর ভিত্তি করে গুগোল আরো অনেকগুলো সার্চ রেজাল্ট আপনাকে দেখাচ্ছে এবং আপনাকে বুঝতে হবে এই অতিরিক্ত যে সার্চ রেজাল্টে গুগোল দেখায় এই কিওয়ার্ডগুলো নিয়ে মানুষ বেশি সার্চ করে,
এজন্য গুগল আপনাকে এগুলো সাজেস্ট করছে। এভাবে আপনার পছন্দ অনুযায়ী গুগলে সার্চ করে আপনি আপনার নিশ বা টপিক আইডিয়া পেয়ে যাবেন।
যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য ওয়েবসাইট তৈরী করতে চান, তারা সরাসরি অ্যামাজনের ওয়েবসাইটটিতে যেয়ে যে প্রোডাক্ট গুলো বেশি বেশি সেল হচ্ছে ওই প্রোডাক্ট গুলো নিয়ে আপনি রিচার্জ করুন।
এরপরে এখান থেকে আপনার যে প্রোডাক্ট টি ভালো মনে হবে এবং যে প্রোডাক্ট এর সেল বেশি হয়, সেই প্রোডাক্ট রিলেটেড একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
আপনি অ্যাফিলিয়েটের জন্য ওয়েবসাইট বানিয়ে দুই ভাবে ইনকাম করতে পারেন। প্রথমত প্রোডাক্ট সেল করে ইনকাম করতে পারেন এবং দ্বিতীয়তো গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে পারেন।
তবে একটা কথা আপনাকে অবশ্যই মানতে হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে অবশ্যই রিচার্জ এবং অনেক পরিশ্রম করতে হবে। এরপরেই আপনি এখান থেকে একটি ভালো ফল পাবেন।
আপনারা অনেকেই জানেন গুগলের মত yahoo.com একটি সার্চ ইঞ্জিন।
আপনি পূর্বে যে রকম গুগলের সার্চ করে কিওয়ার্ড রিসার্চ করেছেন এখানেও আপনি একই ভাবে কিওয়ার্ড সার্চ করে রিচার্জ করতে পারবেন।
বর্তমানে অনেক মানুষ চাকরির অভাবে অনলাইন থেকে ইনকামের আশায় অনলাইনের দিকে বেশি আসছে। আপনি অনলাইন আর্নিং রিলেটেড একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন,
যার মধ্যে অনলাইন রিলেটেড আর্নিং বিষয়ে আপনি মানুষকে কিছু শিখাবেন যেগুলো মানুষ শিখে কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারবে। তবে আপনার ইনকাম এর জন্য আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে ভুল কিছু শেয়ার করেন তাহলে, আপনি কিন্তু বেশি দিন ব্লগ সাইটে টিকে থাকতে পারবেন না।
তাই আপনি যে জিনিস গুলো পাবলিশ করবেন ওই জিনিস গুলো ভাল ভাবে রিসার্চ করে তার পরে পাবলিশ করবেন যাতে আপনার ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে লং টাইমের জন্য চলে আসে।
বর্তমানে আমরা সবাই কিন্তু টেকনোলজির উপরে নির্ভরশীল । আমরা সবাই কিন্তু টেকনোলজি সম্পর্কে নতুন নতুন ধারণা পেতে চাই। নতুন নতুন টেকনোলজি সম্পর্কে জানার জন্য গুগলের আমরা অনেক কিছু সার্চ করে থাকি।
আপনি যদি টেকনোলজি রিলেটেড একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে এই ওয়েবসাইটে কিন্তু আপনি ভিজিটর অনেক বেশি পাবেন।
আপনি চাইলে বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলের মত আপনিও একটি নিউজ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। যার মধ্যে আপনি প্রতিদিন এর বিভিন্ন স্থানের খবরা খবর নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন।
তবে হ্যা! আপনি যে খবর মানুষকে দিবেন সেগুলো সঠিক এবং ভালোভাবে রিচার্জ করে জেনে-বুঝে দিবেন। তাহলে আপনি ব্লগিং এ অনেকদিন টিকে থাকতে পারবেন অন্যথায় আপনি কখনই এই ব্লগ সাইটের টিকে থাকতে পারবেন না। আপনি যদি ভেবে থাকেন যে আপনি নিউজ রিলেটেড ওয়েবসাইট তৈরি করবেন,
তাহলে আপনাকে বেশি ভিজিটর পাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে, আপনি ট্রেডিং নিউজ নিয়ে পোস্ট করবেন। তাহলে আপনার ভিজিটর অনেক বেশি হবে এবং আপনার ইনকাম অনেক বেশি আসবে।
বর্তমানে কিন্তু আমাদের লেখাপড়া সব অনলাইনে হয়ে গেছে। আমরা আমাদের স্কুল কলেজের অ্যাসাইনমেন্টও কিন্তু অনলাইনের মাধ্যমে দিয়ে থাকি।
তাই আপনি এই সময়ে এডুকেশন রিলেটেড একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে সেখান থেকে আপনি অনেক ভালো পরিমাণে আর্নিং জেনারেট করতে পারবেন।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে ব্লগিং করে ইনকাম করতে চায়। অনেকের মধ্যে সঠিক ধারণা না থাকায় আমরা অনেকেই এই ব্লগিং থেকে ইনকাম করতে পারছিনা।
আপনারা যারা ব্লগিং সম্পর্কে অনেক ভাল কিছু জানেন তারা চাইলে এই ব্লগিং এর গাইডলাইন হিসেবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন যেখানে একটি ব্লগ তৈরি করতে যেকোন সমস্যা হলে, সেটা সমাধান আপনার ওয়েবসাইটে পওয়া যাবে।
যারা ইনকামের আশায় আপনার ওয়েবসাইটে আসবে, তারা যেন ভালো কিছু এখান থেকে শিখতে পারে। তাহলে আপনি এখান থেকে অনেক ভাল কিছু আশা করতে পারবেন এবং অনেক ভালো ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমানে স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা অনেকেই অনেক চিন্তিত থাকি। আমাদের শরীরে কোন সমস্যা হলে আমরা সেই বিষয়ের উপরে গুগলের সার্চ করে জানতে চাই যে আমাদের যে সমস্যাটি হয়েছে সেটি কি এবং এর থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে কিভাবে।
এর জন্য বলা যায় যে এই ধরনের ওয়েবসাইট থেকে অনেক বেশি ইনকাম করা সম্ভব। আপনি চাইলে এই ধরনের হেলথ ও ফিটনেস রিলেটেড ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এবং এই ওয়েবসাইটে আপনি অনেক ভিজিটর পাবেন এবং যত বেশি ভিজিটর আসবে আপনার ইনকামও কিন্তু তত বেশি হবে।
বর্তমানের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বলতে রিভিউ ওয়েবসাইটকে বুঝায়। কারন আমরা কোন কিছু ক্রয় করার আগে ইন্টারনেটে সার্চ করে সেই পণ্যটির রিভিউ বা পন্যটির সম্পর্কে জানতে চাই।
যে ওয়েবসাইট গুলো আমাদেরকে এই পন্য সম্পর্কে জানায় সেই ওয়েবসাইটগুলোকে রিভিউ ওয়েবসাইট বলা হয়। আপনি চাইলে রিভিউ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। আপনি এইধরনের ওয়েবসাইটে অনেক বেশি ভিজিটর পাবেন।
আপনি বিভিন্ন জিনিস নিয়ে রিভিউ করতে পারেন, যেমনঃ মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ডেক্সটপ, কম্পিউটার, মুভি, বিভিন্ন গেজেট ইত্যাদি নিয়ে আপনি একটি রিভিউ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
আপনি হয়তো বুঝে গেছেন আমরা কি বলতে চাচ্ছি প্রশ্ন-উত্তর ওয়েবসাইট বলতে এমন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন যেখানে আপনার ভিজিটররা বিভিন্ন প্রশ্ন করবে আবার সেখানে আপনার ভিজিটররাই সেই প্রশ্নের উত্তর গুলো দেবে।
আপনি বুঝে গেছেন যে আপনি অল্প পরিশ্রমে এখান থেকে অনেক ভাল কিছু করতে পারবেন। প্রশ্ন-উত্তর ওয়েবসাইট গুলো খুবই জনপ্রিয় হয়ে থাকে। এই ধরনের ওয়েবসাইট থেকে খুব অল্প সময়ে অনেক ভালো কিছু করতে পারবেন।
আপনারা হয়ত ইউটিউবে দেখবেন যেখানে বিভিন্ন স্টারদের লাইফ স্টাইল নিয়ে অনেক ধরনের ভিডিও রয়েছে আপনি এই সকল ভিডিও দেখে অনেক ধারণা নিয়ে নিতে পারবেন।
আপনি চাইলে লাইফইস্টাইল বিষয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এতেও অনেক বেশি ভিজিটর পাবেন।
আমাদের চলার পথে যান্ত্রিক জীবনে আমরা অনেক বেশি হতাশ হয়ে পড়ি, যার কারণে আমরা অনেক কিছু করতে ধৈর্য হারিয়ে ফেলি।
এইসব মানুষদের জন্য আপনি চাইলে মোটিভেশনাল একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন যেখানে মানুষকে আপনি বিভিন্ন ধরনের ভালো কাজে মোটিভেট করতে পারবেন।
যে যারা আপনার ব্লগ গুলো পড়বে সে যেন আপনার এখান থেকে কিছুটা হলেও নিজের আত্মবিশ্বাসকে নতুন করে জাগাতে পারে।
আপনি এই ওয়েবসাইটটিতে শিশুদের কিভাবে যত্ন নেওয়া হয় শিশুদের কি কি করলে শিশুদের জন্য ভালো এবং কি কি করলে শিশুদের জন্য খারাপ তো এইসব বিষয় নিয়ে এই ওয়েবসাইটটিতে লেখালেখি করতে পারেন। এর জন্য অনেক ভালো ভিজিটর আপনি পাবেন।
আমরা বর্তমানে বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের নানা কর্মকান্ডে যে খবরই পাই না কেন, একবার হলেও আমরা সেই খবরটি দেখে থাকি।
এর জন্য অনেক ভিজিটরও রয়েছে, আপনি চাইলে এই ধরনের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
স্পোর্টস বলতে আমরা বুঝি খেলাধুলা। আপনি বিভিন্ন খেলাধুলা নিয়ে পোস্ট লিখতে পারেন এই ধরনের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করলে আপনি খুব সহজে গুগলের র্যাংক করতে পারবেন এবং আপনার ভিজিটরও অনেক বেশি হবে।
আপনি চাইলে মেয়েদের সৌন্দর্য বিষয় নিয়ে আপনি একটি ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন যেখানে মেয়েদের সৌন্দর্য,
রূপচর্চা সংক্রান্ত নিয়ে আর্টিকেল লিখবেন। এতে আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ভিজিটর পাবেন।
ঘোরাঘুরি করতে কে না পছন্দ করে, আপনি চাইলে ট্রাভেল বিষয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
যেখানে বিভিন্ন স্থানের সৌন্দর্যকে তুলে ধরতে পারেন যাতে আপনার ওয়েবসাইটে কেউ ঢুকলে আপনার ওয়েবসাইটের সৌন্দর্য এবং তারা বিভিন্ন স্থান সম্পর্কে অনেক নতুন নতুন ধারণা পেতে পারে।
আপনি যেই স্থান নিয়ে আলোচনা করবেন ওই স্থানে যেন মানুষ যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এই ধরনের ওয়েবসাইটেও আপনি অনেক ভিজিটর পাবেন।
আপনি চাইলে এমন একটি ওয়েবসাইট বানাবেন যেখানে কৃষি জাতীয় সকল সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকবেন।
যারা কৃষিকাজ করেন তারা বিভিন্ন সমস্যায় পড়েন এবং তারা খোঁজ করেন সেই সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবে।
আপনি যদি সে সমস্যার সমাধান টি আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে দিতে পারেন তাহলে তারা আপনার ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করবে।
যারা খাবারের বিভিন্ন রেসিপি সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন এবং মানুষকে অনেক ধারণা দিতে পারেন।
তারা চাইলে খাবার রেসিপি নিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন, যেখানে বিভিন্ন খাবারের রেসিপি এবং খাবারের বৈশিষ্ট্যতা ব্যাখ্যা করতে পারেন।
এই ধরণের ওয়েবসাইটে মানুষ অনেক বেশি ভিজিট করে। আপনি চাইলে এরকম একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
এখন আপনাদের জন্য আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো, আপনার যে বিষয়ের উপর লেখালেখি করতে ভালো লাগবে আপনি শুধু ঐ বিষয়ের উপর লেখালেখি করবেন। না হলে আপনার ব্লগে লেখালেখি করার ইচ্ছাটাই মরে যাবে।
কারণ আপনি যদি মনে করেন আপনি পছন্দ করেন খেলাধুলা তো সেখানে যদি আপনাকে বলা হয় আপনি রেসিপি নিয়ে লেখালেখি করেন তো আপনি পছন্দ করেন খেলাধুলা, আপনার রেসিপি নিয়ে কিন্তু লেখালেখি করতে একটুও ভালো লাগবে না।
এভাবে আপনি কয়েকদিন লেখালেখি করার পরে আপনার লেখালেখি করার আগ্রহ টাই নষ্ট হয়ে যাবে। এই জন্য যে যেই জিনিস পছন্দ করেন সে সেই জিনিস নিয়ে লেখালেখি করবেন এবং সে জিনিস নিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। এতে দেখবেন আপনার ব্লগে লেখালেখি করার আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে।
ব্লগ নিশ বলতে ব্লগারে আপনি নির্দিষ্ট যেকোনো একটি টপিক নিয়ে কাজ করাকে ব্লগিং নিশ বা টপিক বলা হয়। আপনি ব্লগিং শুরু করার আগে কোন বিষয় নিয়ে ব্লগে লেখালেখি করবেন সেই বিষয়টি সঠিক ভাবে নির্বাচন করা হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
আমাদের মধ্যে ৯০ শতাংশ ব্লগাররাই ব্লগে লেখালেখি করে এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে চায়। কিন্তু নতুন ব্লগাররা প্রথমে যে বিষয় গুলো সিলেক্ট করে ব্লগে লেখালেখি করে ওই বিষয়ের উপর তাদের যথেষ্ট আগ্রহ না থাকার ফলে তাদের ব্লগারে লেখার আগ্রহটাই নষ্ট হয়ে যায়।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে, ব্লগিং শুরু করার আগে আমরা সঠিক নিশ বা টপিক সিলেক্ট না করে তাড়াহুড়া করে পোষ্ট লেখার কারণে আমরা যে টপিকে পোস্ট লিখি ওই টপিকের পোস্টে ভিজিটর পাইনা।
১. মাল্টি নিশ ব্লগ।
২. মাইক্রো নিশ ব্লগ।
মাল্টি নিস ব্লগ হলো, একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে অনেকগুলো কিওয়ার্ডকে টার্গেট করে যে আর্টিকেল লেখা হয়, সেটাই হলো মাল্টি ব্লগ নিশ। অনেক ওয়েবসাইটের মধ্যে দেখবেন বিভিন্ন টপিকের উপরে লেখালেখি করে পোস্ট পাবলিশ করছে।
যেমন দেখবেন একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে কেউ অনলাইন ইনকাম নিয়ে লেখালেখি করে আবার কেউ এডুকেশন রিলেটেড নিয়ে লেখালেখি করে এবং কেউবা বিভিন্ন গ্যাজেট রিভিউ নিয়ে লেখালেখি করে ইত্যাদি।
মাইক্রো ব্লগ নিশ হল, একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে নির্দিষ্ট একটি টপিক বা কিওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে পোষ্ট লিখে পাবলিশ করা হয়। আপনারা অনেক ওয়েবসাইটের মধ্যে দেখবেন যে, তারা নির্দিষ্ট একটি টপিকের উপরে পোস্ট লিখে পাবলিশ করেছে।
যেমন দেখবেন কোনো ওয়েবসাইটের মধ্যে তারা শুধু হেলথ রিলেটেড পোস্ট করে। হেলথ রিলেটেড পোস্ট ছাড়া তারা কিন্তু অন্য কোন পোস্ট করে না। তাই আমরা বলতে পারি একটি নির্দিষ্ট টপিক এর উপরে যে ওয়েবসাইটগুলো তৈরি করা হয় তাকে মাইক্রো নিশ ব্লগ বলা হয়।
আমরা এতক্ষণের সবাই বুঝে গেছি যে, ব্লগারে নিশ বা টপিক ২ ধরনের এবং মাল্টি ব্লগ নিস এবং মাইক্রো ব্লগিং সম্পর্কে আমরা পুরোপুরি জেনে গেছি।
এখন আপনি ভাবতে পারেন আপনি কোন নিশ নিয়ে কাজ করবেন, মাল্টি ব্লগ নিশ নিয়ে কাজ করবেন, নাকি মাইক্রো ব্লগ নিস নিয়ে কাজ করবেন?
মাল্টি নিশ ব্লগ ওয়েবসাইটের থেকে মাইক্রো নিশ ব্লগ ওয়েবসাইটকে গুগল বেশি প্রাধান্য দেয় এবং মাল্টি নিশ ব্লগ ওয়েবসাইটের থেকে মাইক্রো নিস ব্লগ ওয়েবসাইটে ভিজিটর অনেক বেশী হয়ে থাকে।
কারণ ভিজিটররাও মাইক্রো নিশ ওয়েবসাইট বেশি পছন্দ করে। অন্যদিকে মাইক্রো নিশ ব্লগ ওয়েবসাইট গুগলে অনেক দ্রুত রেংক করে এবং আপনার ভিজিটর অনেক বেশী হয়ে থাকে। বেশি ভিজিটর হলে আপনার ইনকামও কিন্তু বেশি হবে
আপনি হেলথ রিলেটেড গুগলে যদি কোন কিছু লিখে সার্চ করেন, সার্চ রেজাল্টে আপনি অনেকগুলো ওয়েবসাইট দেখতে পাবেন।সেখানে আপনি একটা ওয়েবসাইটের মধ্যে দেখলেন, বিভিন্ন টপিকের উপর পোস্ট আছে এবং তার মধ্যে হেলথ রিলেটেড পোস্টও রয়েছে।
তাহলে আপনি সহজেই বুঝতে পারলেন যে, এটি একটি মাল্টি নিশ ব্লগ ওয়েবসাইট। তারপর আপনি আরেকটি ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখলেন যে, সেখানে শুধু হেলথ রিলেটেড পোস্ট রয়েছে আর অন্য কোন পোস্ট সেখানে নেই।
আপনি প্রথমে যে মাল্টি নিশ ব্লগ ওয়েবসাইটের পোস্টটি পড়েছেন সেই পোষ্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে এবং পরবর্তীতে আপনি মাইক্রো নিশ ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে যে পোস্টটি পড়েছেন সেটিও আপনার কাছে ভাল লেগেছে।
এখন আপনিই বলুন আপনি কোন ওয়েবসাইটটিতে বেশি ভিজিট করবেন! যেটিতে এলোমেলো ভাবে বিভিন্ন টপিকের উপর পোস্ট করা আছে,
সেই মাল্টি নিশ ওয়েবসাইট কে নাকি মাইক্রো নিশ ওয়েবসাইটের মধ্যে আপনি যা খুজছেন সেই রিলেটেড আরো অনেক পোস্ট আছে, এই ওয়েবসাইটটিতে?
আপনি নিশ্চয়ই যে টপিক নিয়ে গুগলের সার্চ করছেন, শুধু ওই টপিকের উপরে যে ওয়েবসাইট রয়েছে আপনি অবস্যই ওই ওয়েবসাইট গুলোতে বেশি সময় ব্যয় করবেন। কেননা ওই রিলেটেড পোস্টগুলো আপনার পড়তে ভালো লাগে।
সেজন্য আপনি এই মাইক্রো নিশ ব্লগ ওয়েবসাইট গুলোতে বেশি থাকতে পছন্দ করবেন। এজন্য আমি আপনাকে অবশ্যই এই একটি বিষয় সাজেস্ট করবো, আপনি মাইক্রো নিশ ব্লগ ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করেন যাতে, আপনি খুব সহজে এটি থেকে ইনকাম করতে পারেন।
যেমনঃ
১। কম্পিটিশন (Niche for Competition)
২। ভিজিটর (Niche for Audience)
৩। ইনকাম (Niche for Income)
আপনি একটি নিশ বা টপিক নির্বাচন করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে আপনি যে টপিক টা নির্বাচন করবেন আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ওই টপিকের উপরে আপনার কম্পিটিশন কেমন সেই ব্যাপারটি আপনাকে পুরোপুরি আগে জানতে হবে।
মনে করেন আপনি যেই টপিকের উপরে ওয়েবসাইট তৈরী করলেন ওই টপিকের উপরে গুগলে অলরেডি অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। এগুলোর জন্য আপনার কিন্তু কম্পিটিশন অনেক হাই হয়ে যাবে, আপনি কিন্তু এর জন্য আপনার ওয়েবসাইট র্যাংক করাতে পারবেন না আর এটা সম্ভব হলেও আপনাকে অনেক হার্ডওয়োর্ক করতে হবে।
র্যাংক করাতে না পারলে আপনার ইনকামও কিন্তু হবে না। এই জন্য আপনি যে নিশ বা টপিকটি নির্বাচন করবেন, সেই নিশের উপরে গুগলে সার্চ করে আপনি আপনার কম্পিটিশন জেনে তার পরে নির্বাচন করবেন।
আপনি কিওয়ার্ড রিচার্জ করার পরে, যেই কিওয়ার্ডের কম্পেটিশন লো এবং সার্চ ভলিউম হাই থাকবে আপনি ওই কীওয়ার্ডের উপরে আপনার ওয়েবসাইটটি তৈরি করবেন। কিওয়ার্ড রিসার্চের জন্য আপনি সরাসরি "গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার" এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করতে পারেন। এই ওয়েবসাইটটি একদম ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন।
একটি ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে হলে, আপনাকে অবশ্যই ভিজিটর আনতে হবে আপনার ওয়েবসাইটে। ভিজিটর ছাড়া আপনার ওয়েবসাইট টি গুগলের কাছে কোনো মূল্যই নেই। এজন্যই ভিজিটরকে বলা হয় ওয়েবসাইটের প্রাণবিন্দু।
আপনি আপনার ওয়েবসাইটটি যত সুন্দর করে সাজান না কেন অথবা আপনার ওয়েবসাইটে যত সুন্দর বা ভালো পোস্ট করেন না কেন, আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভিজিটরই না থাকে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের কোনো মূল্যই থাকবেনা।
একটা সময় দেখবেন আপনার ব্লগিং করার ইচ্ছাটাই একদম হারিয়ে যাবে। এই জন্য আপনি যে বিষয়ের উপর পোস্ট লিখবেন ওই বিষয়ের উপরে আপনি ভালো ভাবে রিচার্জ করার পরে পোস্ট লিখবেন এবং আপনাকে এ বিষয়টিও খেয়াল রেখে রিচার্জ করতে হবে যে আপনার ওই পোস্টে কি রকম ভিউজ আসার সম্ভাবনা আছে,
যদি দেখেন যে এখান থেকে ভালো ভিউজ আসার সম্ভাবনা আছে তাহলে ওই বিষয় নিয়ে আপনি পোষ্ট লিখবেন।অন্যথায় আপনার ঐ বিষয়ে কোনো পোষ্ট লেখার প্রয়োজন নেই, যদি ভিজিটরই না আসে।
তাই আপনাকে ভিজিটরের কথা মাথায় রেখে ভিজিটর কি চাচ্ছে ওই টপিকের উপরে আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ করে সেই টপিকের উপরে আপনাকে পোস্ট লিখতে হবে। যাতে আপনার ভিজিটর অটোমেটিকলি আপনার ওয়েবসাইটে চলে আসে। আপনার ওয়েবসাইটে যত ভিজিটর বেশি আসবে আপনার জন্য ততই লাভ।
আমরা যে কোনো পরিশ্রম এর পেছনে একটি মাত্র আশা করে থাকি সেটি হল ইনকাম। তেমনি যারা ব্লগারে ব্লগিং করেন তারা চান যে একটা সময় যেয়ে সে যেন ইনকাম করতে পার এবং তার পরিশ্রম গুলো যেন সার্থক হয়।
কিন্তু যারা এত কষ্ট করে ব্লগে লেখালেখি করেন তারা যদি এখান থেকে ইনকাম না করতে পারেন, আমার মনে হয় না আপনারা আর কোন কষ্ট করে এখানে আপনার সময় নষ্ট করবেন।
বলা যায় যে আপনার ইচ্ছামত আপনি একটি টপিক সিলেট করে সেখান থেকে সেই টপিকের উপরে আপনি ভাল কোন কিছু আশা করতে পারবেন না বা ভালো ইনকামের আশা করতে পারবেন না।
তাই আপনি একটু ইন্টারনেট রিচার্জ করলে জানতে পারবেন যে কোন ওয়েবসাইটে মাত্র ১০ হাজার ভিজিটর দিয়ে 100 ডলার ইনকাম করা যায়। আবার একই ভিজিটর দিয়ে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ ডলার ইনকাম হয়।
এবার আপনি বুঝতে পারলেন যে একই ভিজিটর থেকে ইনকাম কম বেশি হয়ে থাকে এটা আপনার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটের উপর নির্ভর করে এবং আপনার ওয়েবসাইটে কোন রিলেটেড কিওয়ার্ড নিয়ে আপনি কাজ করতেছেন এটির উপর নির্ভর করে।
এটার মূল কারণ হলো, আমাদের ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল হওয়ার পরে আমরা যে রিলেটেড কিওয়ার্ড নিয়ে পোস্ট লিখি, এডসেন্স ওই রিলেটেড অ্যাড আমাদের ওয়েবসাইটে শো করায়। এর ফলে অ্যাডগুলোতে বেশি বেশি ক্লিক পড়ে এবং আমাদের ইনকামও বেশি বেশি হয়ে থাকে।
যারা অ্যাড প্রোভাইড করে, ওই অ্যাড কোম্পানি গুলো কিছু কিছু টপিক রিলেটেড অ্যাড গুলোতে বেশি টাকা প্রদান করে থাকে এবং কিছু কিছু অ্যাড গুলোতে কম টাকা প্রদান করে।
যাদের এডসেন্স একাউন্ট আছে তারা হয়ত একটা জিনিস খেয়াল করেছেন যে অ্যাডসেন্স এর মধ্যে সিপিসি বলে একটা অপশন আছে।
সিপিসি এর পূর্ণরূপ হল কস্ট পার ক্লিক। এই সিপিসি এর অর্থ হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটে যে অ্যাডগুলো গুগল অ্যাডসেন্স থেকে শো করবে ওই অ্যাডগুলোতে প্রতি ক্লিকে কত সেন্ট বা কত ডলার করে আপনাকে প্রদান করবে এর নামই হচ্ছে সিপিসি বা কস্ট পার ক্লিক।
এজন্য আপনারা একটা জিনিস খেয়াল করবেন যে অ্যাডসেন্সে বেশি সিপিসি হলে আপনার ইনকাম বেশি হবে এবং কম সিপিসি হলে আপনার ইনকামও কম হবে।
তাই আপনাকে টপিক নির্বাচন করার আগে অবশ্যই রিচার্জ করে নিতে হবে যে কোন টপিকের উপর সিপিসি বেশি আসে ওই টপিকের উপর আপনাকে কাজ করতে হবে।
যাতে আপনার সিপিসি বেশি আসে এবং ইনকামও বেশি হয়। কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন আপনি গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার এর মাধ্যমে এটা একদম ফ্রিতে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনাকে ভিজিটরের কথা মাথায় রেখে আপনার ওয়েবসাইটের জন্যে নিশ বা টপিক নির্বাচন করতে হবে। এখন আপনি কিভাবে বুঝবেন যে, কোন টপিকের উপর মানুষ বেশি গুগলে সার্চ করে।
এইটা জানার জন্য আপনি গুগলে যাবেন, গুগলের মধ্যে আপনি যে টপিক নিয়ে কাজ করবেন ভাবছেন ওই টপিক রিলেটেড কীওয়ার্ড লিখে সার্চ করুন।
এরপর দেখবেন ওই টপিকের উপর ভিত্তি করে গুগোল আরো অনেকগুলো সার্চ রেজাল্ট আপনাকে দেখাচ্ছে এবং আপনাকে বুঝতে হবে এই অতিরিক্ত যে সার্চ রেজাল্টে গুগোল দেখায় এই কিওয়ার্ডগুলো নিয়ে মানুষ বেশি সার্চ করে,
এজন্য গুগল আপনাকে এগুলো সাজেস্ট করছে। এভাবে আপনার পছন্দ অনুযায়ী গুগলে সার্চ করে আপনি আপনার নিশ বা টপিক আইডিয়া পেয়ে যাবেন।
যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য ওয়েবসাইট তৈরী করতে চান, তারা সরাসরি অ্যামাজনের ওয়েবসাইটটিতে যেয়ে যে প্রোডাক্ট গুলো বেশি বেশি সেল হচ্ছে ওই প্রোডাক্ট গুলো নিয়ে আপনি রিচার্জ করুন।
এরপরে এখান থেকে আপনার যে প্রোডাক্ট টি ভালো মনে হবে এবং যে প্রোডাক্ট এর সেল বেশি হয়, সেই প্রোডাক্ট রিলেটেড একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
আপনি অ্যাফিলিয়েটের জন্য ওয়েবসাইট বানিয়ে দুই ভাবে ইনকাম করতে পারেন। প্রথমত প্রোডাক্ট সেল করে ইনকাম করতে পারেন এবং দ্বিতীয়তো গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে পারেন।
তবে একটা কথা আপনাকে অবশ্যই মানতে হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে অবশ্যই রিচার্জ এবং অনেক পরিশ্রম করতে হবে। এরপরেই আপনি এখান থেকে একটি ভালো ফল পাবেন।
আপনারা অনেকেই জানেন গুগলের মত yahoo.com একটি সার্চ ইঞ্জিন।
আপনি পূর্বে যে রকম গুগলের সার্চ করে কিওয়ার্ড রিসার্চ করেছেন এখানেও আপনি একই ভাবে কিওয়ার্ড সার্চ করে রিচার্জ করতে পারবেন।
বর্তমানে অনেক মানুষ চাকরির অভাবে অনলাইন থেকে ইনকামের আশায় অনলাইনের দিকে বেশি আসছে। আপনি অনলাইন আর্নিং রিলেটেড একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন,
যার মধ্যে অনলাইন রিলেটেড আর্নিং বিষয়ে আপনি মানুষকে কিছু শিখাবেন যেগুলো মানুষ শিখে কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারবে। তবে আপনার ইনকাম এর জন্য আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে ভুল কিছু শেয়ার করেন তাহলে, আপনি কিন্তু বেশি দিন ব্লগ সাইটে টিকে থাকতে পারবেন না।
তাই আপনি যে জিনিস গুলো পাবলিশ করবেন ওই জিনিস গুলো ভাল ভাবে রিসার্চ করে তার পরে পাবলিশ করবেন যাতে আপনার ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে লং টাইমের জন্য চলে আসে।
বর্তমানে আমরা সবাই কিন্তু টেকনোলজির উপরে নির্ভরশীল । আমরা সবাই কিন্তু টেকনোলজি সম্পর্কে নতুন নতুন ধারণা পেতে চাই। নতুন নতুন টেকনোলজি সম্পর্কে জানার জন্য গুগলের আমরা অনেক কিছু সার্চ করে থাকি।
আপনি যদি টেকনোলজি রিলেটেড একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে এই ওয়েবসাইটে কিন্তু আপনি ভিজিটর অনেক বেশি পাবেন।
আপনি চাইলে বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলের মত আপনিও একটি নিউজ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। যার মধ্যে আপনি প্রতিদিন এর বিভিন্ন স্থানের খবরা খবর নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন।
তবে হ্যা! আপনি যে খবর মানুষকে দিবেন সেগুলো সঠিক এবং ভালোভাবে রিচার্জ করে জেনে-বুঝে দিবেন। তাহলে আপনি ব্লগিং এ অনেকদিন টিকে থাকতে পারবেন অন্যথায় আপনি কখনই এই ব্লগ সাইটের টিকে থাকতে পারবেন না। আপনি যদি ভেবে থাকেন যে আপনি নিউজ রিলেটেড ওয়েবসাইট তৈরি করবেন,
তাহলে আপনাকে বেশি ভিজিটর পাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে, আপনি ট্রেডিং নিউজ নিয়ে পোস্ট করবেন। তাহলে আপনার ভিজিটর অনেক বেশি হবে এবং আপনার ইনকাম অনেক বেশি আসবে।
বর্তমানে কিন্তু আমাদের লেখাপড়া সব অনলাইনে হয়ে গেছে। আমরা আমাদের স্কুল কলেজের অ্যাসাইনমেন্টও কিন্তু অনলাইনের মাধ্যমে দিয়ে থাকি।
তাই আপনি এই সময়ে এডুকেশন রিলেটেড একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে সেখান থেকে আপনি অনেক ভালো পরিমাণে আর্নিং জেনারেট করতে পারবেন।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে ব্লগিং করে ইনকাম করতে চায়। অনেকের মধ্যে সঠিক ধারণা না থাকায় আমরা অনেকেই এই ব্লগিং থেকে ইনকাম করতে পারছিনা।
আপনারা যারা ব্লগিং সম্পর্কে অনেক ভাল কিছু জানেন তারা চাইলে এই ব্লগিং এর গাইডলাইন হিসেবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন যেখানে একটি ব্লগ তৈরি করতে যেকোন সমস্যা হলে, সেটা সমাধান আপনার ওয়েবসাইটে পওয়া যাবে।
যারা ইনকামের আশায় আপনার ওয়েবসাইটে আসবে, তারা যেন ভালো কিছু এখান থেকে শিখতে পারে। তাহলে আপনি এখান থেকে অনেক ভাল কিছু আশা করতে পারবেন এবং অনেক ভালো ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমানে স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা অনেকেই অনেক চিন্তিত থাকি। আমাদের শরীরে কোন সমস্যা হলে আমরা সেই বিষয়ের উপরে গুগলের সার্চ করে জানতে চাই যে আমাদের যে সমস্যাটি হয়েছে সেটি কি এবং এর থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে কিভাবে।
এর জন্য বলা যায় যে এই ধরনের ওয়েবসাইট থেকে অনেক বেশি ইনকাম করা সম্ভব। আপনি চাইলে এই ধরনের হেলথ ও ফিটনেস রিলেটেড ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এবং এই ওয়েবসাইটে আপনি অনেক ভিজিটর পাবেন এবং যত বেশি ভিজিটর আসবে আপনার ইনকামও কিন্তু তত বেশি হবে।
বর্তমানের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বলতে রিভিউ ওয়েবসাইটকে বুঝায়। কারন আমরা কোন কিছু ক্রয় করার আগে ইন্টারনেটে সার্চ করে সেই পণ্যটির রিভিউ বা পন্যটির সম্পর্কে জানতে চাই।
যে ওয়েবসাইট গুলো আমাদেরকে এই পন্য সম্পর্কে জানায় সেই ওয়েবসাইটগুলোকে রিভিউ ওয়েবসাইট বলা হয়। আপনি চাইলে রিভিউ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। আপনি এইধরনের ওয়েবসাইটে অনেক বেশি ভিজিটর পাবেন।
আপনি বিভিন্ন জিনিস নিয়ে রিভিউ করতে পারেন, যেমনঃ মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ডেক্সটপ, কম্পিউটার, মুভি, বিভিন্ন গেজেট ইত্যাদি নিয়ে আপনি একটি রিভিউ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
আপনি হয়তো বুঝে গেছেন আমরা কি বলতে চাচ্ছি প্রশ্ন-উত্তর ওয়েবসাইট বলতে এমন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন যেখানে আপনার ভিজিটররা বিভিন্ন প্রশ্ন করবে আবার সেখানে আপনার ভিজিটররাই সেই প্রশ্নের উত্তর গুলো দেবে।
আপনি বুঝে গেছেন যে আপনি অল্প পরিশ্রমে এখান থেকে অনেক ভাল কিছু করতে পারবেন। প্রশ্ন-উত্তর ওয়েবসাইট গুলো খুবই জনপ্রিয় হয়ে থাকে। এই ধরনের ওয়েবসাইট থেকে খুব অল্প সময়ে অনেক ভালো কিছু করতে পারবেন।
আপনারা হয়ত ইউটিউবে দেখবেন যেখানে বিভিন্ন স্টারদের লাইফ স্টাইল নিয়ে অনেক ধরনের ভিডিও রয়েছে আপনি এই সকল ভিডিও দেখে অনেক ধারণা নিয়ে নিতে পারবেন।
আপনি চাইলে লাইফইস্টাইল বিষয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এতেও অনেক বেশি ভিজিটর পাবেন।
আমাদের চলার পথে যান্ত্রিক জীবনে আমরা অনেক বেশি হতাশ হয়ে পড়ি, যার কারণে আমরা অনেক কিছু করতে ধৈর্য হারিয়ে ফেলি।
এইসব মানুষদের জন্য আপনি চাইলে মোটিভেশনাল একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন যেখানে মানুষকে আপনি বিভিন্ন ধরনের ভালো কাজে মোটিভেট করতে পারবেন।
যে যারা আপনার ব্লগ গুলো পড়বে সে যেন আপনার এখান থেকে কিছুটা হলেও নিজের আত্মবিশ্বাসকে নতুন করে জাগাতে পারে।
আপনি এই ওয়েবসাইটটিতে শিশুদের কিভাবে যত্ন নেওয়া হয় শিশুদের কি কি করলে শিশুদের জন্য ভালো এবং কি কি করলে শিশুদের জন্য খারাপ তো এইসব বিষয় নিয়ে এই ওয়েবসাইটটিতে লেখালেখি করতে পারেন। এর জন্য অনেক ভালো ভিজিটর আপনি পাবেন।
আমরা বর্তমানে বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের নানা কর্মকান্ডে যে খবরই পাই না কেন, একবার হলেও আমরা সেই খবরটি দেখে থাকি।
এর জন্য অনেক ভিজিটরও রয়েছে, আপনি চাইলে এই ধরনের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
স্পোর্টস বলতে আমরা বুঝি খেলাধুলা। আপনি বিভিন্ন খেলাধুলা নিয়ে পোস্ট লিখতে পারেন এই ধরনের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করলে আপনি খুব সহজে গুগলের র্যাংক করতে পারবেন এবং আপনার ভিজিটরও অনেক বেশি হবে।
আপনি চাইলে মেয়েদের সৌন্দর্য বিষয় নিয়ে আপনি একটি ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন যেখানে মেয়েদের সৌন্দর্য,
রূপচর্চা সংক্রান্ত নিয়ে আর্টিকেল লিখবেন। এতে আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ভিজিটর পাবেন।
ঘোরাঘুরি করতে কে না পছন্দ করে, আপনি চাইলে ট্রাভেল বিষয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
যেখানে বিভিন্ন স্থানের সৌন্দর্যকে তুলে ধরতে পারেন যাতে আপনার ওয়েবসাইটে কেউ ঢুকলে আপনার ওয়েবসাইটের সৌন্দর্য এবং তারা বিভিন্ন স্থান সম্পর্কে অনেক নতুন নতুন ধারণা পেতে পারে।
আপনি যেই স্থান নিয়ে আলোচনা করবেন ওই স্থানে যেন মানুষ যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এই ধরনের ওয়েবসাইটেও আপনি অনেক ভিজিটর পাবেন।
আপনি চাইলে এমন একটি ওয়েবসাইট বানাবেন যেখানে কৃষি জাতীয় সকল সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকবেন।
যারা কৃষিকাজ করেন তারা বিভিন্ন সমস্যায় পড়েন এবং তারা খোঁজ করেন সেই সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবে।
আপনি যদি সে সমস্যার সমাধান টি আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে দিতে পারেন তাহলে তারা আপনার ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করবে।
যারা খাবারের বিভিন্ন রেসিপি সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন এবং মানুষকে অনেক ধারণা দিতে পারেন।
তারা চাইলে খাবার রেসিপি নিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন, যেখানে বিভিন্ন খাবারের রেসিপি এবং খাবারের বৈশিষ্ট্যতা ব্যাখ্যা করতে পারেন।
এই ধরণের ওয়েবসাইটে মানুষ অনেক বেশি ভিজিট করে। আপনি চাইলে এরকম একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
এখন আপনাদের জন্য আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো, আপনার যে বিষয়ের উপর লেখালেখি করতে ভালো লাগবে আপনি শুধু ঐ বিষয়ের উপর লেখালেখি করবেন। না হলে আপনার ব্লগে লেখালেখি করার ইচ্ছাটাই মরে যাবে।
কারণ আপনি যদি মনে করেন আপনি পছন্দ করেন খেলাধুলা তো সেখানে যদি আপনাকে বলা হয় আপনি রেসিপি নিয়ে লেখালেখি করেন তো আপনি পছন্দ করেন খেলাধুলা, আপনার রেসিপি নিয়ে কিন্তু লেখালেখি করতে একটুও ভালো লাগবে না।
এভাবে আপনি কয়েকদিন লেখালেখি করার পরে আপনার লেখালেখি করার আগ্রহ টাই নষ্ট হয়ে যাবে। এই জন্য যে যেই জিনিস পছন্দ করেন সে সেই জিনিস নিয়ে লেখালেখি করবেন এবং সে জিনিস নিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। এতে দেখবেন আপনার ব্লগে লেখালেখি করার আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে।
ব্লগ নিশ বলতে ব্লগারে আপনি নির্দিষ্ট যেকোনো একটি টপিক নিয়ে কাজ করাকে ব্লগিং নিশ বা টপিক বলা হয়। আপনি ব্লগিং শুরু করার আগে কোন বিষয় নিয়ে ব্লগে লেখালেখি করবেন সেই বিষয়টি সঠিক ভাবে নির্বাচন করা হচ্ছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
আমাদের মধ্যে ৯০ শতাংশ ব্লগাররাই ব্লগে লেখালেখি করে এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে চায়। কিন্তু নতুন ব্লগাররা প্রথমে যে বিষয় গুলো সিলেক্ট করে ব্লগে লেখালেখি করে ওই বিষয়ের উপর তাদের যথেষ্ট আগ্রহ না থাকার ফলে তাদের ব্লগারে লেখার আগ্রহটাই নষ্ট হয়ে যায়।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে, ব্লগিং শুরু করার আগে আমরা সঠিক নিশ বা টপিক সিলেক্ট না করে তাড়াহুড়া করে পোষ্ট লেখার কারণে আমরা যে টপিকে পোস্ট লিখি ওই টপিকের পোস্টে ভিজিটর পাইনা।
১. মাল্টি নিশ ব্লগ।
২. মাইক্রো নিশ ব্লগ।
মাল্টি নিস ব্লগ হলো, একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে অনেকগুলো কিওয়ার্ডকে টার্গেট করে যে আর্টিকেল লেখা হয়, সেটাই হলো মাল্টি ব্লগ নিশ। অনেক ওয়েবসাইটের মধ্যে দেখবেন বিভিন্ন টপিকের উপরে লেখালেখি করে পোস্ট পাবলিশ করছে।
যেমন দেখবেন একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে কেউ অনলাইন ইনকাম নিয়ে লেখালেখি করে আবার কেউ এডুকেশন রিলেটেড নিয়ে লেখালেখি করে এবং কেউবা বিভিন্ন গ্যাজেট রিভিউ নিয়ে লেখালেখি করে ইত্যাদি।
মাইক্রো ব্লগ নিশ হল, একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে নির্দিষ্ট একটি টপিক বা কিওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে পোষ্ট লিখে পাবলিশ করা হয়। আপনারা অনেক ওয়েবসাইটের মধ্যে দেখবেন যে, তারা নির্দিষ্ট একটি টপিকের উপরে পোস্ট লিখে পাবলিশ করেছে।
যেমন দেখবেন কোনো ওয়েবসাইটের মধ্যে তারা শুধু হেলথ রিলেটেড পোস্ট করে। হেলথ রিলেটেড পোস্ট ছাড়া তারা কিন্তু অন্য কোন পোস্ট করে না। তাই আমরা বলতে পারি একটি নির্দিষ্ট টপিক এর উপরে যে ওয়েবসাইটগুলো তৈরি করা হয় তাকে মাইক্রো নিশ ব্লগ বলা হয়।
আমরা এতক্ষণের সবাই বুঝে গেছি যে, ব্লগারে নিশ বা টপিক ২ ধরনের এবং মাল্টি ব্লগ নিস এবং মাইক্রো ব্লগিং সম্পর্কে আমরা পুরোপুরি জেনে গেছি।
এখন আপনি ভাবতে পারেন আপনি কোন নিশ নিয়ে কাজ করবেন, মাল্টি ব্লগ নিশ নিয়ে কাজ করবেন, নাকি মাইক্রো ব্লগ নিস নিয়ে কাজ করবেন?
মাল্টি নিশ ব্লগ ওয়েবসাইটের থেকে মাইক্রো নিশ ব্লগ ওয়েবসাইটকে গুগল বেশি প্রাধান্য দেয় এবং মাল্টি নিশ ব্লগ ওয়েবসাইটের থেকে মাইক্রো নিস ব্লগ ওয়েবসাইটে ভিজিটর অনেক বেশী হয়ে থাকে।
কারণ ভিজিটররাও মাইক্রো নিশ ওয়েবসাইট বেশি পছন্দ করে। অন্যদিকে মাইক্রো নিশ ব্লগ ওয়েবসাইট গুগলে অনেক দ্রুত রেংক করে এবং আপনার ভিজিটর অনেক বেশী হয়ে থাকে। বেশি ভিজিটর হলে আপনার ইনকামও কিন্তু বেশি হবে
আপনি হেলথ রিলেটেড গুগলে যদি কোন কিছু লিখে সার্চ করেন, সার্চ রেজাল্টে আপনি অনেকগুলো ওয়েবসাইট দেখতে পাবেন।সেখানে আপনি একটা ওয়েবসাইটের মধ্যে দেখলেন, বিভিন্ন টপিকের উপর পোস্ট আছে এবং তার মধ্যে হেলথ রিলেটেড পোস্টও রয়েছে।
তাহলে আপনি সহজেই বুঝতে পারলেন যে, এটি একটি মাল্টি নিশ ব্লগ ওয়েবসাইট। তারপর আপনি আরেকটি ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখলেন যে, সেখানে শুধু হেলথ রিলেটেড পোস্ট রয়েছে আর অন্য কোন পোস্ট সেখানে নেই।
আপনি প্রথমে যে মাল্টি নিশ ব্লগ ওয়েবসাইটের পোস্টটি পড়েছেন সেই পোষ্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে এবং পরবর্তীতে আপনি মাইক্রো নিশ ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে যে পোস্টটি পড়েছেন সেটিও আপনার কাছে ভাল লেগেছে।
এখন আপনিই বলুন আপনি কোন ওয়েবসাইটটিতে বেশি ভিজিট করবেন! যেটিতে এলোমেলো ভাবে বিভিন্ন টপিকের উপর পোস্ট করা আছে,
সেই মাল্টি নিশ ওয়েবসাইট কে নাকি মাইক্রো নিশ ওয়েবসাইটের মধ্যে আপনি যা খুজছেন সেই রিলেটেড আরো অনেক পোস্ট আছে, এই ওয়েবসাইটটিতে?
আপনি নিশ্চয়ই যে টপিক নিয়ে গুগলের সার্চ করছেন, শুধু ওই টপিকের উপরে যে ওয়েবসাইট রয়েছে আপনি অবস্যই ওই ওয়েবসাইট গুলোতে বেশি সময় ব্যয় করবেন। কেননা ওই রিলেটেড পোস্টগুলো আপনার পড়তে ভালো লাগে।
সেজন্য আপনি এই মাইক্রো নিশ ব্লগ ওয়েবসাইট গুলোতে বেশি থাকতে পছন্দ করবেন। এজন্য আমি আপনাকে অবশ্যই এই একটি বিষয় সাজেস্ট করবো, আপনি মাইক্রো নিশ ব্লগ ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করেন যাতে, আপনি খুব সহজে এটি থেকে ইনকাম করতে পারেন।
যেমনঃ
১। কম্পিটিশন (Niche for Competition)
২। ভিজিটর (Niche for Audience)
৩। ইনকাম (Niche for Income)
আপনি একটি নিশ বা টপিক নির্বাচন করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে আপনি যে টপিক টা নির্বাচন করবেন আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ওই টপিকের উপরে আপনার কম্পিটিশন কেমন সেই ব্যাপারটি আপনাকে পুরোপুরি আগে জানতে হবে।
মনে করেন আপনি যেই টপিকের উপরে ওয়েবসাইট তৈরী করলেন ওই টপিকের উপরে গুগলে অলরেডি অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। এগুলোর জন্য আপনার কিন্তু কম্পিটিশন অনেক হাই হয়ে যাবে, আপনি কিন্তু এর জন্য আপনার ওয়েবসাইট র্যাংক করাতে পারবেন না আর এটা সম্ভব হলেও আপনাকে অনেক হার্ডওয়োর্ক করতে হবে।
র্যাংক করাতে না পারলে আপনার ইনকামও কিন্তু হবে না। এই জন্য আপনি যে নিশ বা টপিকটি নির্বাচন করবেন, সেই নিশের উপরে গুগলে সার্চ করে আপনি আপনার কম্পিটিশন জেনে তার পরে নির্বাচন করবেন।
আপনি কিওয়ার্ড রিচার্জ করার পরে, যেই কিওয়ার্ডের কম্পেটিশন লো এবং সার্চ ভলিউম হাই থাকবে আপনি ওই কীওয়ার্ডের উপরে আপনার ওয়েবসাইটটি তৈরি করবেন। কিওয়ার্ড রিসার্চের জন্য আপনি সরাসরি "গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার" এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করতে পারেন। এই ওয়েবসাইটটি একদম ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন।
একটি ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে হলে, আপনাকে অবশ্যই ভিজিটর আনতে হবে আপনার ওয়েবসাইটে। ভিজিটর ছাড়া আপনার ওয়েবসাইট টি গুগলের কাছে কোনো মূল্যই নেই। এজন্যই ভিজিটরকে বলা হয় ওয়েবসাইটের প্রাণবিন্দু।
আপনি আপনার ওয়েবসাইটটি যত সুন্দর করে সাজান না কেন অথবা আপনার ওয়েবসাইটে যত সুন্দর বা ভালো পোস্ট করেন না কেন, আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভিজিটরই না থাকে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের কোনো মূল্যই থাকবেনা।
একটা সময় দেখবেন আপনার ব্লগিং করার ইচ্ছাটাই একদম হারিয়ে যাবে। এই জন্য আপনি যে বিষয়ের উপর পোস্ট লিখবেন ওই বিষয়ের উপরে আপনি ভালো ভাবে রিচার্জ করার পরে পোস্ট লিখবেন এবং আপনাকে এ বিষয়টিও খেয়াল রেখে রিচার্জ করতে হবে যে আপনার ওই পোস্টে কি রকম ভিউজ আসার সম্ভাবনা আছে,
যদি দেখেন যে এখান থেকে ভালো ভিউজ আসার সম্ভাবনা আছে তাহলে ওই বিষয় নিয়ে আপনি পোষ্ট লিখবেন।অন্যথায় আপনার ঐ বিষয়ে কোনো পোষ্ট লেখার প্রয়োজন নেই, যদি ভিজিটরই না আসে।
তাই আপনাকে ভিজিটরের কথা মাথায় রেখে ভিজিটর কি চাচ্ছে ওই টপিকের উপরে আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ করে সেই টপিকের উপরে আপনাকে পোস্ট লিখতে হবে। যাতে আপনার ভিজিটর অটোমেটিকলি আপনার ওয়েবসাইটে চলে আসে। আপনার ওয়েবসাইটে যত ভিজিটর বেশি আসবে আপনার জন্য ততই লাভ।
আমরা যে কোনো পরিশ্রম এর পেছনে একটি মাত্র আশা করে থাকি সেটি হল ইনকাম। তেমনি যারা ব্লগারে ব্লগিং করেন তারা চান যে একটা সময় যেয়ে সে যেন ইনকাম করতে পার এবং তার পরিশ্রম গুলো যেন সার্থক হয়।
কিন্তু যারা এত কষ্ট করে ব্লগে লেখালেখি করেন তারা যদি এখান থেকে ইনকাম না করতে পারেন, আমার মনে হয় না আপনারা আর কোন কষ্ট করে এখানে আপনার সময় নষ্ট করবেন।
বলা যায় যে আপনার ইচ্ছামত আপনি একটি টপিক সিলেট করে সেখান থেকে সেই টপিকের উপরে আপনি ভাল কোন কিছু আশা করতে পারবেন না বা ভালো ইনকামের আশা করতে পারবেন না।
তাই আপনি একটু ইন্টারনেট রিচার্জ করলে জানতে পারবেন যে কোন ওয়েবসাইটে মাত্র ১০ হাজার ভিজিটর দিয়ে 100 ডলার ইনকাম করা যায়। আবার একই ভিজিটর দিয়ে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ ডলার ইনকাম হয়।
এবার আপনি বুঝতে পারলেন যে একই ভিজিটর থেকে ইনকাম কম বেশি হয়ে থাকে এটা আপনার সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটের উপর নির্ভর করে এবং আপনার ওয়েবসাইটে কোন রিলেটেড কিওয়ার্ড নিয়ে আপনি কাজ করতেছেন এটির উপর নির্ভর করে।
এটার মূল কারণ হলো, আমাদের ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল হওয়ার পরে আমরা যে রিলেটেড কিওয়ার্ড নিয়ে পোস্ট লিখি, এডসেন্স ওই রিলেটেড অ্যাড আমাদের ওয়েবসাইটে শো করায়। এর ফলে অ্যাডগুলোতে বেশি বেশি ক্লিক পড়ে এবং আমাদের ইনকামও বেশি বেশি হয়ে থাকে।
যারা অ্যাড প্রোভাইড করে, ওই অ্যাড কোম্পানি গুলো কিছু কিছু টপিক রিলেটেড অ্যাড গুলোতে বেশি টাকা প্রদান করে থাকে এবং কিছু কিছু অ্যাড গুলোতে কম টাকা প্রদান করে।
যাদের এডসেন্স একাউন্ট আছে তারা হয়ত একটা জিনিস খেয়াল করেছেন যে অ্যাডসেন্স এর মধ্যে সিপিসি বলে একটা অপশন আছে।
সিপিসি এর পূর্ণরূপ হল কস্ট পার ক্লিক। এই সিপিসি এর অর্থ হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটে যে অ্যাডগুলো গুগল অ্যাডসেন্স থেকে শো করবে ওই অ্যাডগুলোতে প্রতি ক্লিকে কত সেন্ট বা কত ডলার করে আপনাকে প্রদান করবে এর নামই হচ্ছে সিপিসি বা কস্ট পার ক্লিক।
এজন্য আপনারা একটা জিনিস খেয়াল করবেন যে অ্যাডসেন্সে বেশি সিপিসি হলে আপনার ইনকাম বেশি হবে এবং কম সিপিসি হলে আপনার ইনকামও কম হবে।
তাই আপনাকে টপিক নির্বাচন করার আগে অবশ্যই রিচার্জ করে নিতে হবে যে কোন টপিকের উপর সিপিসি বেশি আসে ওই টপিকের উপর আপনাকে কাজ করতে হবে।
যাতে আপনার সিপিসি বেশি আসে এবং ইনকামও বেশি হয়। কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন আপনি গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার এর মাধ্যমে এটা একদম ফ্রিতে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনাকে ভিজিটরের কথা মাথায় রেখে আপনার ওয়েবসাইটের জন্যে নিশ বা টপিক নির্বাচন করতে হবে। এখন আপনি কিভাবে বুঝবেন যে, কোন টপিকের উপর মানুষ বেশি গুগলে সার্চ করে।
এইটা জানার জন্য আপনি গুগলে যাবেন, গুগলের মধ্যে আপনি যে টপিক নিয়ে কাজ করবেন ভাবছেন ওই টপিক রিলেটেড কীওয়ার্ড লিখে সার্চ করুন।
এরপর দেখবেন ওই টপিকের উপর ভিত্তি করে গুগোল আরো অনেকগুলো সার্চ রেজাল্ট আপনাকে দেখাচ্ছে এবং আপনাকে বুঝতে হবে এই অতিরিক্ত যে সার্চ রেজাল্টে গুগোল দেখায় এই কিওয়ার্ডগুলো নিয়ে মানুষ বেশি সার্চ করে,
এজন্য গুগল আপনাকে এগুলো সাজেস্ট করছে। এভাবে আপনার পছন্দ অনুযায়ী গুগলে সার্চ করে আপনি আপনার নিশ বা টপিক আইডিয়া পেয়ে যাবেন।
যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য ওয়েবসাইট তৈরী করতে চান, তারা সরাসরি অ্যামাজনের ওয়েবসাইটটিতে যেয়ে যে প্রোডাক্ট গুলো বেশি বেশি সেল হচ্ছে ওই প্রোডাক্ট গুলো নিয়ে আপনি রিচার্জ করুন।
এরপরে এখান থেকে আপনার যে প্রোডাক্ট টি ভালো মনে হবে এবং যে প্রোডাক্ট এর সেল বেশি হয়, সেই প্রোডাক্ট রিলেটেড একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
আপনি অ্যাফিলিয়েটের জন্য ওয়েবসাইট বানিয়ে দুই ভাবে ইনকাম করতে পারেন। প্রথমত প্রোডাক্ট সেল করে ইনকাম করতে পারেন এবং দ্বিতীয়তো গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে পারেন।
তবে একটা কথা আপনাকে অবশ্যই মানতে হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করতে অবশ্যই রিচার্জ এবং অনেক পরিশ্রম করতে হবে। এরপরেই আপনি এখান থেকে একটি ভালো ফল পাবেন।
আপনারা অনেকেই জানেন গুগলের মত yahoo.com একটি সার্চ ইঞ্জিন।
আপনি পূর্বে যে রকম গুগলের সার্চ করে কিওয়ার্ড রিসার্চ করেছেন এখানেও আপনি একই ভাবে কিওয়ার্ড সার্চ করে রিচার্জ করতে পারবেন।
বর্তমানে অনেক মানুষ চাকরির অভাবে অনলাইন থেকে ইনকামের আশায় অনলাইনের দিকে বেশি আসছে। আপনি অনলাইন আর্নিং রিলেটেড একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন,
যার মধ্যে অনলাইন রিলেটেড আর্নিং বিষয়ে আপনি মানুষকে কিছু শিখাবেন যেগুলো মানুষ শিখে কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারবে। তবে আপনার ইনকাম এর জন্য আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে ভুল কিছু শেয়ার করেন তাহলে, আপনি কিন্তু বেশি দিন ব্লগ সাইটে টিকে থাকতে পারবেন না।
তাই আপনি যে জিনিস গুলো পাবলিশ করবেন ওই জিনিস গুলো ভাল ভাবে রিসার্চ করে তার পরে পাবলিশ করবেন যাতে আপনার ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে লং টাইমের জন্য চলে আসে।
বর্তমানে আমরা সবাই কিন্তু টেকনোলজির উপরে নির্ভরশীল । আমরা সবাই কিন্তু টেকনোলজি সম্পর্কে নতুন নতুন ধারণা পেতে চাই। নতুন নতুন টেকনোলজি সম্পর্কে জানার জন্য গুগলের আমরা অনেক কিছু সার্চ করে থাকি।
আপনি যদি টেকনোলজি রিলেটেড একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে এই ওয়েবসাইটে কিন্তু আপনি ভিজিটর অনেক বেশি পাবেন।
আপনি চাইলে বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলের মত আপনিও একটি নিউজ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। যার মধ্যে আপনি প্রতিদিন এর বিভিন্ন স্থানের খবরা খবর নিয়ে লেখালেখি করতে পারেন।
তবে হ্যা! আপনি যে খবর মানুষকে দিবেন সেগুলো সঠিক এবং ভালোভাবে রিচার্জ করে জেনে-বুঝে দিবেন। তাহলে আপনি ব্লগিং এ অনেকদিন টিকে থাকতে পারবেন অন্যথায় আপনি কখনই এই ব্লগ সাইটের টিকে থাকতে পারবেন না। আপনি যদি ভেবে থাকেন যে আপনি নিউজ রিলেটেড ওয়েবসাইট তৈরি করবেন,
তাহলে আপনাকে বেশি ভিজিটর পাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে, আপনি ট্রেডিং নিউজ নিয়ে পোস্ট করবেন। তাহলে আপনার ভিজিটর অনেক বেশি হবে এবং আপনার ইনকাম অনেক বেশি আসবে।
বর্তমানে কিন্তু আমাদের লেখাপড়া সব অনলাইনে হয়ে গেছে। আমরা আমাদের স্কুল কলেজের অ্যাসাইনমেন্টও কিন্তু অনলাইনের মাধ্যমে দিয়ে থাকি।
তাই আপনি এই সময়ে এডুকেশন রিলেটেড একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে সেখান থেকে আপনি অনেক ভালো পরিমাণে আর্নিং জেনারেট করতে পারবেন।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে ব্লগিং করে ইনকাম করতে চায়। অনেকের মধ্যে সঠিক ধারণা না থাকায় আমরা অনেকেই এই ব্লগিং থেকে ইনকাম করতে পারছিনা।
আপনারা যারা ব্লগিং সম্পর্কে অনেক ভাল কিছু জানেন তারা চাইলে এই ব্লগিং এর গাইডলাইন হিসেবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন যেখানে একটি ব্লগ তৈরি করতে যেকোন সমস্যা হলে, সেটা সমাধান আপনার ওয়েবসাইটে পওয়া যাবে।
যারা ইনকামের আশায় আপনার ওয়েবসাইটে আসবে, তারা যেন ভালো কিছু এখান থেকে শিখতে পারে। তাহলে আপনি এখান থেকে অনেক ভাল কিছু আশা করতে পারবেন এবং অনেক ভালো ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমানে স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা অনেকেই অনেক চিন্তিত থাকি। আমাদের শরীরে কোন সমস্যা হলে আমরা সেই বিষয়ের উপরে গুগলের সার্চ করে জানতে চাই যে আমাদের যে সমস্যাটি হয়েছে সেটি কি এবং এর থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে কিভাবে।
এর জন্য বলা যায় যে এই ধরনের ওয়েবসাইট থেকে অনেক বেশি ইনকাম করা সম্ভব। আপনি চাইলে এই ধরনের হেলথ ও ফিটনেস রিলেটেড ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এবং এই ওয়েবসাইটে আপনি অনেক ভিজিটর পাবেন এবং যত বেশি ভিজিটর আসবে আপনার ইনকামও কিন্তু তত বেশি হবে।
বর্তমানের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বলতে রিভিউ ওয়েবসাইটকে বুঝায়। কারন আমরা কোন কিছু ক্রয় করার আগে ইন্টারনেটে সার্চ করে সেই পণ্যটির রিভিউ বা পন্যটির সম্পর্কে জানতে চাই।
যে ওয়েবসাইট গুলো আমাদেরকে এই পন্য সম্পর্কে জানায় সেই ওয়েবসাইটগুলোকে রিভিউ ওয়েবসাইট বলা হয়। আপনি চাইলে রিভিউ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। আপনি এইধরনের ওয়েবসাইটে অনেক বেশি ভিজিটর পাবেন।
আপনি বিভিন্ন জিনিস নিয়ে রিভিউ করতে পারেন, যেমনঃ মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ডেক্সটপ, কম্পিউটার, মুভি, বিভিন্ন গেজেট ইত্যাদি নিয়ে আপনি একটি রিভিউ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
আপনি হয়তো বুঝে গেছেন আমরা কি বলতে চাচ্ছি প্রশ্ন-উত্তর ওয়েবসাইট বলতে এমন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন যেখানে আপনার ভিজিটররা বিভিন্ন প্রশ্ন করবে আবার সেখানে আপনার ভিজিটররাই সেই প্রশ্নের উত্তর গুলো দেবে।
আপনি বুঝে গেছেন যে আপনি অল্প পরিশ্রমে এখান থেকে অনেক ভাল কিছু করতে পারবেন। প্রশ্ন-উত্তর ওয়েবসাইট গুলো খুবই জনপ্রিয় হয়ে থাকে। এই ধরনের ওয়েবসাইট থেকে খুব অল্প সময়ে অনেক ভালো কিছু করতে পারবেন।
আপনারা হয়ত ইউটিউবে দেখবেন যেখানে বিভিন্ন স্টারদের লাইফ স্টাইল নিয়ে অনেক ধরনের ভিডিও রয়েছে আপনি এই সকল ভিডিও দেখে অনেক ধারণা নিয়ে নিতে পারবেন।
আপনি চাইলে লাইফইস্টাইল বিষয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এতেও অনেক বেশি ভিজিটর পাবেন।
আমাদের চলার পথে যান্ত্রিক জীবনে আমরা অনেক বেশি হতাশ হয়ে পড়ি, যার কারণে আমরা অনেক কিছু করতে ধৈর্য হারিয়ে ফেলি।
এইসব মানুষদের জন্য আপনি চাইলে মোটিভেশনাল একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন যেখানে মানুষকে আপনি বিভিন্ন ধরনের ভালো কাজে মোটিভেট করতে পারবেন।
যে যারা আপনার ব্লগ গুলো পড়বে সে যেন আপনার এখান থেকে কিছুটা হলেও নিজের আত্মবিশ্বাসকে নতুন করে জাগাতে পারে।
আপনি এই ওয়েবসাইটটিতে শিশুদের কিভাবে যত্ন নেওয়া হয় শিশুদের কি কি করলে শিশুদের জন্য ভালো এবং কি কি করলে শিশুদের জন্য খারাপ তো এইসব বিষয় নিয়ে এই ওয়েবসাইটটিতে লেখালেখি করতে পারেন। এর জন্য অনেক ভালো ভিজিটর আপনি পাবেন।
আমরা বর্তমানে বিভিন্ন সেলিব্রেটিদের নানা কর্মকান্ডে যে খবরই পাই না কেন, একবার হলেও আমরা সেই খবরটি দেখে থাকি।
এর জন্য অনেক ভিজিটরও রয়েছে, আপনি চাইলে এই ধরনের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
স্পোর্টস বলতে আমরা বুঝি খেলাধুলা। আপনি বিভিন্ন খেলাধুলা নিয়ে পোস্ট লিখতে পারেন এই ধরনের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করলে আপনি খুব সহজে গুগলের র্যাংক করতে পারবেন এবং আপনার ভিজিটরও অনেক বেশি হবে।
আপনি চাইলে মেয়েদের সৌন্দর্য বিষয় নিয়ে আপনি একটি ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন যেখানে মেয়েদের সৌন্দর্য,
রূপচর্চা সংক্রান্ত নিয়ে আর্টিকেল লিখবেন। এতে আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ভিজিটর পাবেন।
ঘোরাঘুরি করতে কে না পছন্দ করে, আপনি চাইলে ট্রাভেল বিষয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
যেখানে বিভিন্ন স্থানের সৌন্দর্যকে তুলে ধরতে পারেন যাতে আপনার ওয়েবসাইটে কেউ ঢুকলে আপনার ওয়েবসাইটের সৌন্দর্য এবং তারা বিভিন্ন স্থান সম্পর্কে অনেক নতুন নতুন ধারণা পেতে পারে।
আপনি যেই স্থান নিয়ে আলোচনা করবেন ওই স্থানে যেন মানুষ যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এই ধরনের ওয়েবসাইটেও আপনি অনেক ভিজিটর পাবেন।
আপনি চাইলে এমন একটি ওয়েবসাইট বানাবেন যেখানে কৃষি জাতীয় সকল সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকবেন।
যারা কৃষিকাজ করেন তারা বিভিন্ন সমস্যায় পড়েন এবং তারা খোঁজ করেন সেই সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবে।
আপনি যদি সে সমস্যার সমাধান টি আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে দিতে পারেন তাহলে তারা আপনার ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করবে।
যারা খাবারের বিভিন্ন রেসিপি সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন এবং মানুষকে অনেক ধারণা দিতে পারেন।
তারা চাইলে খাবার রেসিপি নিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন, যেখানে বিভিন্ন খাবারের রেসিপি এবং খাবারের বৈশিষ্ট্যতা ব্যাখ্যা করতে পারেন।
এই ধরণের ওয়েবসাইটে মানুষ অনেক বেশি ভিজিট করে। আপনি চাইলে এরকম একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
এখন আপনাদের জন্য আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো, আপনার যে বিষয়ের উপর লেখালেখি করতে ভালো লাগবে আপনি শুধু ঐ বিষয়ের উপর লেখালেখি করবেন। না হলে আপনার ব্লগে লেখালেখি করার ইচ্ছাটাই মরে যাবে।
কারণ আপনি যদি মনে করেন আপনি পছন্দ করেন খেলাধুলা তো সেখানে যদি আপনাকে বলা হয় আপনি রেসিপি নিয়ে লেখালেখি করেন তো আপনি পছন্দ করেন খেলাধুলা, আপনার রেসিপি নিয়ে কিন্তু লেখালেখি করতে একটুও ভালো লাগবে না।
এভাবে আপনি কয়েকদিন লেখালেখি করার পরে আপনার লেখালেখি করার আগ্রহ টাই নষ্ট হয়ে যাবে। এই জন্য যে যেই জিনিস পছন্দ করেন সে সেই জিনিস নিয়ে লেখালেখি করবেন এবং সে জিনিস নিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। এতে দেখবেন আপনার ব্লগে লেখালেখি করার আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে।