আজকের এই পোস্ট টি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যারা ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে চান এবং অনেকদিন ধরে ইউটিউবে টিকে থাকতে চান। কারণ আজকে আমরা কথা বলব ইউটিউব এর মনিটাইজেশন সমস্যা নিয়ে।
আজকে আমরা আপনাদেরকে সকল মনিটাইজেশন সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব। ইউটিউবের মনিটাইজেশন যেটা অনেক বেশি ইম্পর্টেন্ট, প্রায় 99% ইউটিউবার ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য ইউটিউবে আসে।
আপনি ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনার চ্যানেলে অবশ্যই মনিটাইজেশন চালু থাকতে হবে, না হলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন না।
মনিটাইজেশন ছাড়াও আরও অনেক ভাবে ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায় কিন্তু এটাই প্রথম যারা ইউটিউবে একদম নতুন আসে তাদের জন্য মনিটাইজেশন চালু করে ইনকাম করাই হচ্ছে প্রথম চ্যালেঞ্জ।
মনিটাইজেশনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে, আপনার চ্যানেলের যদি মনিটাইজেশন চালু হয়েও থাকে তবে সেটাও ডিজেবল হতে পারে এই সমস্যা গুলোর কারণে।
যেমনঃ Re-use Content, Repetitious Content, Miss Leading Meta-Data, Violence, Sexual Content.
Recently একটা সমস্যা বেশি হচ্ছে, সেটা হলো "Currently ineligible for monetization" অর্থাৎ মনিটাইজেশন জন্য আপনি এপ্লাই করলেন কিন্তু ইউটিউব আপনার মনিটাইজেশন রিজেক্ট করে দিল এবং আপনাকে নোটিশ করে দিল যে আপনার চ্যানেল টি মনিটাইজেশনের জন্য এলিজেবল নয়।
এদিকে কিন্তু ইউটিউব এর শর্ত অনুযায়ী আপনার চ্যানেলে 1000 সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইমও আছে। তবুও ইউটিউব এই ধরনের নোটিশ গুলো দিচ্ছে।
এটা আসলে কেন দিচ্ছে ইউটিউবে মনিটাইজেশন নিয়ে যত ধরনের সমস্যা আছে আজকে সকল সমস্যার সমাধান এই ব্লগ পোস্টটির মাধ্যমে দিয়ে দিবো। পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি অবস্যই সম্পূর্ণ বিষয়বস্তু ভালভাবে বুঝতে পারবেন।
আজকের পোস্টটি একটু বড় হতে পারে কিন্তু আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ুন, নয়তো বা এমনও হতে পারে আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করলেন ইউটিউব কোন একটা কারণের জন্য আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি রিজেক্ট করে দিল, হতে পারে সেটা মিস লিডিং মেটা-ডেটার কারণে।
আপনি পরবর্তীতে এটি সমাধান করে আবার একমাস পরে রি-এপ্লাই করলেন কিন্তু দেখা গেল আবার ইউটিউব কোন একটা কারণে রিজেক্ট করে দিল।
হতে পারে সেটা রি-ইউজ কনটেন্ট বা হতে পারে এটা Sexual কনটেন্ট বা হতে পারে এটা Violence কনটেন্ট। একটা চ্যানেলে হয়তো অনেক টাইপের সমস্যা থাকতে পারে, ইউটিউবে প্রথমবার যখন আপনি মনিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করবেন,
তখন যদি ইউটিউব রিজেক্ট করে দেয় পরবর্তীতে এপ্লাই করার আগে আপনার চ্যানেলের যেকোনো ধরনের সমস্যা আপনি একবারেই এটি সমাধান করতে হবে।
ইউটিউব আপনাকে একসাথে বলবে না যে আপনার চ্যানেলে কি কি সমস্যা আছে আপনাকে ইউটিউব প্রতিবারে শুধু একটা সমস্যাই দেখাবে।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না যে ইউটিউবে দুই বারের বেশি মনিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করা যায় না পরবর্তীতে দুইবারের বেশি এপ্লাই করলে আপনাকে রিজেক্ট করে দেওয়া হবে।
যদিও আপনার চ্যানেলটি পরিপূর্ণও থাকে, ইউটিউব তারপরও রিজেক্ট করে দেবে। তাই এই সমস্যাগুলো এটাতে আপনি পুরো ব্লগটি ভালো ভাবে বুঝে শুনে পড়ুন।
১। Reused কনটেন্ট
রিইউজ কনটেন্ট মানে কি? আপনি যখন অন্যদের কনটেন্ট বেশি বেশি ব্যবহার করবেন, সেটা হতে পারে কোন ভাইরাল ভিডিও কিংবা অন্য কোন চ্যানেলের ভিডিও আপনার চ্যানেলে বেশি বেশি ব্যবহার করেন, তখন আপনার এই সমস্যাটি হতে পারে।
যদিও অন্যের ভিডিও ব্যবহার করা যায় তবে এখানে কিছু ব্যবহারের পলিসি আছে। যেমন ফেয়ার ইউজ পলিসি আছে তেমন Reused কনটেন্ট পলিসিও রয়েছে।
তবে আপনাদেরকে বলবো অন্যের ভিডিও আপনারা ইউজ করবেন না অন্যের ভিডিও ইউজ করা থেকে আপনার যতটুকু সম্ভব বিরত থাকবেন।
যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্যের ভিডিও ইউজ করার খুব দরকার পড়ে তখন আপনারা ইউজ করবেন তবে ইউজ করার যে পলিসি আছে সেই পলিসি মতে আপনারা আপনাদের ভিডিওতে ইউজ করবেন।
এখন মূল কথা হলো আপনার যদি এই re-use কন্টেনের জন্য ইউটিউব আপনার মনিটাইজেশন রিজেক্ট করে দেয়, তাহলে আপনি কিভাবে এই সমস্যাটি ঠিক করে আবার মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করবেন।
এ জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার চ্যানেলে গিয়ে আপনার চ্যানেলে যে ভিডিওতে আপনি অন্যের ভিডিও বেশি ইউজ করেছেন, সেগুলো বাছাই করে ডিলেট করে দেন, এটাই আপনার জন্য ভালো হবে নতুন করে মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য।
২। Repetitious কনটেন্ট
Repetitious কনটেন্ট হলো আপনি যখন আপনার নিজের কন্টেন্ট আপনার চ্যানেলে বারবার ব্যবহার করবেন এটাকে Repetitious কনটেন্ট বলা হয়।
আপনি দেখলেন যে আপনার কোন একটা ভিডিওতে প্রচুর পরিমাণে ভিউজ আসতেছে, আপনি সেই জন্য সেই ভিডিওটি আপনার চ্যানেলে বারবার আপলোড করতেছেন অধিক ভিউজ পাওয়ার জন্য। এটি মোটেও করা যাবে না।
এরকম যদি করে থাকেন তাহলে আপনি Repetitious কনটেন্ট এর অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেছেন।
তবে অনেকের মনে চিন্তা আসতে পারে আপনারা যে আপনাদের প্রতিটা ভিডিওতে ইনট্রো এবং আউটট্রো ব্যবহার করেন সেগুলোর জন্য কি Repetitious কনটেন্ট সমস্যাটি হবে?
না এর জন্য কোন Repetitious কনটেন্ট সমস্যা হবে না। কারণ ইউটিউব পলিসিতে ইউটিউব নিজেই বলে দিয়েছে আপনারা ইন্ট্রো বা আউটট্রো আপনাদের প্রতিটা ভিডিওতে ইউজ করলেও Repetitious কনটেন্ট সমস্যাটি হবে না।
কারণ এটি ইউটিউব পলিসিতে পড়ে না। এখন আপনি কীভাবে এই Repetitious কনটেন্ট গুলো আপনার চ্যানেল থেকে মুছে ফেলবেন?
এজন্য আপনার চ্যানেলের সেই অতিরিক্ত ভিডিওগুলো আপনার চ্যানেল থেকে ডিলেট করে দিন। এতে আপনার এই সমস্যাটি একেবারে চলে যাবে।
৩। Sexual কনটেন্ট
এটা সম্পর্কে আপনাকে বেশি কিছু বোঝাতে হবে না আশা করি এর নাম শুনেই এর সম্পর্কে আপনি বুঝতে পেরেছেন।
আপনি যদি আপনার কোন ভিডিওতে সেক্সুয়াল কিছু ইউজ করেন বা আপনার ভিডিওর থামভনেইলেও ইউজ করেন বা যদি আপনার টাইটেলও যদি সেক্সুয়াল কথা থাকে বা ভিডিওর ডেসক্রিপশনেও এই সেক্সুয়াল কথাটি উল্লেখ থাকে তাহলে এই সমস্যাটি হতে পারে।
তাই আপনি সেক্সুয়াল রিলেটেড যেকোনো বিষয় এড়িয়ে যান, এটি আপনার চ্যানেলের জন্য এবং আপনার জন্য ভালো হবে।
আপনি যদি অলরেডি আপনার চ্যানেলে এই সেক্সুয়াল রিলেটেড ভিডিও ইউজ করে থাকেন তাহলে আপনি মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য সেক্সুয়াল রিলেটেড যেসব ভিডিও আপনার চ্যানেলে রয়েছে সবগুলো আপনার চ্যানেল থেকে রিমুভ করে ফেলুন।
৪। Violence কনটেন্ট
Violence কনটেন্ট কি? এটা আমরা অনেকেই বুঝি না। Violence কনটেন্ট হলো আমাদের চোখে অনেক ভিডিও আছে যেগুলো আমাদের চোখে মনে হয় এগুলো লীগেল বা জেনুইন ভিডিও কিন্তু আসলে এগুলো লীগেল জেনুইন ভিডিও না।
কিন্তু আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার চ্যানেলে Violence কনটেন্ট আছে।
এটা একেবারেই সহজ, এক কথায় আপনি যদি আপনার ভিডিওর মধ্যে কোথাও রক্ত জনিত বা কাউকে জবাই করা বা কাউকে মারধর করে রক্ত বের করা এধরনের ভিডিও যদি আপলোড করে থাকেন তাহলে সেসব ভিডিওতে Violence সমস্যাটি হতে পারে।
তাই আপনি এই ধরনের ভিডিও আপলোড দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন বা আপনার ভিডিওর যেসব স্থানে রক্ত জনিত কারণ দেখা যাবে, সেখানে আপনার ভিডিওতে ব্লার দেওয়ার চেষ্টা করবেন যেন রক্ত জনিত বা ইলিগাল কিছু না দেখা যায়।
আপনি যদি অলরেডি এরকম ভিডিও আপনার চ্যানেলে আপলোড করে থাকেন তাহলে সেসব ভিডিও গুলো মুছে ফেলুন।
৫। Misleading Meta-Data
Misleading Meta-Data কি? এটি হচ্ছে আপনার ভিডিওর সাথে আপনার টাইটেল, থামনেইল, আপনার ডিসক্রিপশন এবং আপনার ট্যাগ এর সাথে যদি কোন মিল না থাকে তাহলে এই সমস্যাটি হতে পারে।
তাই আপনি সব সময় খেয়াল রাখবেন, আপনার ভিডিওর সাথে যেন আপনার ভিডিও টাইটেল ডেসস্ক্রিপশন, থামনেল এবং ট্যাগগুলো যেন আপনার ভিডিওর সাথে মিল থাকে।
তাহলে আর আপনার Misleading Meta-Data সমস্যাটি হবে না। তবে এর জন্য আপনার ভিডিও ডিলিট করার কোন দরকার নেই।
আপনার ভিডিওতে আপনি যেই টপিক নিয়ে কাজ করেছেন আপনার থামনেল এবং টাইটেল ডেসক্রিপশন এবং ট্যাগেও সেই টপিকের সাথে মিল রেখে এগুলো ঠিক করে নিন। তাহলে আর আপনার এ সমস্যাটি হবে না।
৬। Currently Ineligible For Monetization
Currently Ineligible For Monetization কি? ইউটিউবে মনিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করার পরে এখন প্রায়ই এই সমস্যাটি সবারই হয়ে থাকে।
ইউটিউব থেকে এরকম একটি ম্যাসেজ আসে Currently Ineligible For Monetization আপনি এখন বুঝতে পারতাছেন না যে আপনি কি করবেন!
উপরের যে কয়টি সমস্যার কথা বলেছি ইউটিউব সেই সমস্যা গুলোর কথা নিজেই বলে দেয় কিন্তু এখানে ইউটিউব কিছুই বলেনি এজন্য আপনি কি করবেন?
আপনি কিভাবে বুঝবেন যে আপনার চ্যানেলের মনিটাইজেশন কেন ইউটিউব অন করছে না। এর জন্য প্রধান কারণ হচ্ছে নিজের ভিডিও নিজে দেখা বা আপনার একই মোবাইলে কয়েকটি জিমেইল ক্রিয়েট করে সেই জিমেইল থেকে ভিডিও গুলো একটার পর একটা দেখা বা বারবার দেখা।
আপনি যদি আপনার চ্যানেলে এরকম কিছু করে থাকেন তাহলে এই সমস্যাটি আপনারও আসবে বা অলরেডি আসছে। আবার অনেকেই আছেন ওয়াচ টাইম এবং সাবস্ক্রাইব ভিউজ এগুলো টাকা দিয়ে কিনে তারপরে তাদের চ্যানেলটি গ্রো করে।
কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় যা তাদের চ্যানেলটি ডাউন হয়ে গেছে। এই জন্য কিন্তু ইউটিউবে মনিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করার পরে আপনাকে ইউটিউব থেকে এরকম একটি নোটিশ পাঠাবে। তাই আপনি এই ধরনের কাজ থেকে একেবারে বিরত থাকবেন।
এখন মূল কথা হচ্ছে আপনি যদি অলরেডি এটি করে থাকেন, তাহলে এটি আপনি এখন কিভাবে ঠিক করবেন! আপনি কি আপনার সেই সমস্ত ভিডিও গুলো ডিলিট করবেন?
একদমই না আপনার চ্যানেলের কোন ভিডিও আপনার ডিলিট করার কোন প্রয়োজন নেই। আপনি ডেক্সটপ থেকে আপনার চ্যানেলের ইউটিউব স্টুডিওতে যাবেন, এরপরে মনিটাইজেশন অপশনটিতে ঢুকবেন,
সেখানে গিয়ে দেখবেন আপনার টোটাল কত ঘন্টা ওয়াচ টাইম হয়েছে, সেখানে যদি দেখেন আপনার সর্বমোট ওয়াচ টাইম 500 ঘন্টা, তাহলে আপনার চ্যানেলের যখন ওয়াচ-টাইম 4500 ঘন্টা হবে তখন আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করবেন।
কারণ আপনি যদি 4000 ঘন্টা থাকাকালীন মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করেন তাহলেই ইউটিউব ধরে নেবে আপনি ইলিগ্যাল ভাবে ওয়াচ-টাইম নিয়ে এসেছেন এ জন্য আপনি ইলিগ্যাল 500 ঘন্টা বাদ দিয়ে যখন আপনার চ্যানেলের সাড়ে চার হাজার ঘন্টা ওয়াচ-টাইম হবে,
আপনি তখন বা তারপরে মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করবেন এতে আপনার মনিটাইজেশন পাওয়ার সম্ভাবনা 99.9 %
আমরা আশা করি আমাদের এই উপরের সবগুলো ফলো করলে আপনার আর মনিটাইজেশনের জন্য কোন প্রকার ঝামেলা পোহাতে হবে না।
আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আর এই পোষ্টটি আপনার কতটুকু হেল্প ফুল হয়েছে সেটি জানাতেও একদমি ভুলবেন না।
আজকের এই পোস্ট টি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যারা ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে চান এবং অনেকদিন ধরে ইউটিউবে টিকে থাকতে চান। কারণ আজকে আমরা কথা বলব ইউটিউব এর মনিটাইজেশন সমস্যা নিয়ে।
আজকে আমরা আপনাদেরকে সকল মনিটাইজেশন সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব। ইউটিউবের মনিটাইজেশন যেটা অনেক বেশি ইম্পর্টেন্ট, প্রায় 99% ইউটিউবার ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য ইউটিউবে আসে।
আপনি ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনার চ্যানেলে অবশ্যই মনিটাইজেশন চালু থাকতে হবে, না হলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন না।
মনিটাইজেশন ছাড়াও আরও অনেক ভাবে ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায় কিন্তু এটাই প্রথম যারা ইউটিউবে একদম নতুন আসে তাদের জন্য মনিটাইজেশন চালু করে ইনকাম করাই হচ্ছে প্রথম চ্যালেঞ্জ।
মনিটাইজেশনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে, আপনার চ্যানেলের যদি মনিটাইজেশন চালু হয়েও থাকে তবে সেটাও ডিজেবল হতে পারে এই সমস্যা গুলোর কারণে।
যেমনঃ Re-use Content, Repetitious Content, Miss Leading Meta-Data, Violence, Sexual Content.
Recently একটা সমস্যা বেশি হচ্ছে, সেটা হলো "Currently ineligible for monetization" অর্থাৎ মনিটাইজেশন জন্য আপনি এপ্লাই করলেন কিন্তু ইউটিউব আপনার মনিটাইজেশন রিজেক্ট করে দিল এবং আপনাকে নোটিশ করে দিল যে আপনার চ্যানেল টি মনিটাইজেশনের জন্য এলিজেবল নয়।
এদিকে কিন্তু ইউটিউব এর শর্ত অনুযায়ী আপনার চ্যানেলে 1000 সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইমও আছে। তবুও ইউটিউব এই ধরনের নোটিশ গুলো দিচ্ছে।
এটা আসলে কেন দিচ্ছে ইউটিউবে মনিটাইজেশন নিয়ে যত ধরনের সমস্যা আছে আজকে সকল সমস্যার সমাধান এই ব্লগ পোস্টটির মাধ্যমে দিয়ে দিবো। পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি অবস্যই সম্পূর্ণ বিষয়বস্তু ভালভাবে বুঝতে পারবেন।
আজকের পোস্টটি একটু বড় হতে পারে কিন্তু আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ুন, নয়তো বা এমনও হতে পারে আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করলেন ইউটিউব কোন একটা কারণের জন্য আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি রিজেক্ট করে দিল, হতে পারে সেটা মিস লিডিং মেটা-ডেটার কারণে।
আপনি পরবর্তীতে এটি সমাধান করে আবার একমাস পরে রি-এপ্লাই করলেন কিন্তু দেখা গেল আবার ইউটিউব কোন একটা কারণে রিজেক্ট করে দিল।
হতে পারে সেটা রি-ইউজ কনটেন্ট বা হতে পারে এটা Sexual কনটেন্ট বা হতে পারে এটা Violence কনটেন্ট। একটা চ্যানেলে হয়তো অনেক টাইপের সমস্যা থাকতে পারে, ইউটিউবে প্রথমবার যখন আপনি মনিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করবেন,
তখন যদি ইউটিউব রিজেক্ট করে দেয় পরবর্তীতে এপ্লাই করার আগে আপনার চ্যানেলের যেকোনো ধরনের সমস্যা আপনি একবারেই এটি সমাধান করতে হবে।
ইউটিউব আপনাকে একসাথে বলবে না যে আপনার চ্যানেলে কি কি সমস্যা আছে আপনাকে ইউটিউব প্রতিবারে শুধু একটা সমস্যাই দেখাবে।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না যে ইউটিউবে দুই বারের বেশি মনিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করা যায় না পরবর্তীতে দুইবারের বেশি এপ্লাই করলে আপনাকে রিজেক্ট করে দেওয়া হবে।
যদিও আপনার চ্যানেলটি পরিপূর্ণও থাকে, ইউটিউব তারপরও রিজেক্ট করে দেবে। তাই এই সমস্যাগুলো এটাতে আপনি পুরো ব্লগটি ভালো ভাবে বুঝে শুনে পড়ুন।
১। Reused কনটেন্ট
রিইউজ কনটেন্ট মানে কি? আপনি যখন অন্যদের কনটেন্ট বেশি বেশি ব্যবহার করবেন, সেটা হতে পারে কোন ভাইরাল ভিডিও কিংবা অন্য কোন চ্যানেলের ভিডিও আপনার চ্যানেলে বেশি বেশি ব্যবহার করেন, তখন আপনার এই সমস্যাটি হতে পারে।
যদিও অন্যের ভিডিও ব্যবহার করা যায় তবে এখানে কিছু ব্যবহারের পলিসি আছে। যেমন ফেয়ার ইউজ পলিসি আছে তেমন Reused কনটেন্ট পলিসিও রয়েছে।
তবে আপনাদেরকে বলবো অন্যের ভিডিও আপনারা ইউজ করবেন না অন্যের ভিডিও ইউজ করা থেকে আপনার যতটুকু সম্ভব বিরত থাকবেন।
যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্যের ভিডিও ইউজ করার খুব দরকার পড়ে তখন আপনারা ইউজ করবেন তবে ইউজ করার যে পলিসি আছে সেই পলিসি মতে আপনারা আপনাদের ভিডিওতে ইউজ করবেন।
এখন মূল কথা হলো আপনার যদি এই re-use কন্টেনের জন্য ইউটিউব আপনার মনিটাইজেশন রিজেক্ট করে দেয়, তাহলে আপনি কিভাবে এই সমস্যাটি ঠিক করে আবার মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করবেন।
এ জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার চ্যানেলে গিয়ে আপনার চ্যানেলে যে ভিডিওতে আপনি অন্যের ভিডিও বেশি ইউজ করেছেন, সেগুলো বাছাই করে ডিলেট করে দেন, এটাই আপনার জন্য ভালো হবে নতুন করে মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য।
২। Repetitious কনটেন্ট
Repetitious কনটেন্ট হলো আপনি যখন আপনার নিজের কন্টেন্ট আপনার চ্যানেলে বারবার ব্যবহার করবেন এটাকে Repetitious কনটেন্ট বলা হয়।
আপনি দেখলেন যে আপনার কোন একটা ভিডিওতে প্রচুর পরিমাণে ভিউজ আসতেছে, আপনি সেই জন্য সেই ভিডিওটি আপনার চ্যানেলে বারবার আপলোড করতেছেন অধিক ভিউজ পাওয়ার জন্য। এটি মোটেও করা যাবে না।
এরকম যদি করে থাকেন তাহলে আপনি Repetitious কনটেন্ট এর অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেছেন।
তবে অনেকের মনে চিন্তা আসতে পারে আপনারা যে আপনাদের প্রতিটা ভিডিওতে ইনট্রো এবং আউটট্রো ব্যবহার করেন সেগুলোর জন্য কি Repetitious কনটেন্ট সমস্যাটি হবে?
না এর জন্য কোন Repetitious কনটেন্ট সমস্যা হবে না। কারণ ইউটিউব পলিসিতে ইউটিউব নিজেই বলে দিয়েছে আপনারা ইন্ট্রো বা আউটট্রো আপনাদের প্রতিটা ভিডিওতে ইউজ করলেও Repetitious কনটেন্ট সমস্যাটি হবে না।
কারণ এটি ইউটিউব পলিসিতে পড়ে না। এখন আপনি কীভাবে এই Repetitious কনটেন্ট গুলো আপনার চ্যানেল থেকে মুছে ফেলবেন?
এজন্য আপনার চ্যানেলের সেই অতিরিক্ত ভিডিওগুলো আপনার চ্যানেল থেকে ডিলেট করে দিন। এতে আপনার এই সমস্যাটি একেবারে চলে যাবে।
৩। Sexual কনটেন্ট
এটা সম্পর্কে আপনাকে বেশি কিছু বোঝাতে হবে না আশা করি এর নাম শুনেই এর সম্পর্কে আপনি বুঝতে পেরেছেন।
আপনি যদি আপনার কোন ভিডিওতে সেক্সুয়াল কিছু ইউজ করেন বা আপনার ভিডিওর থামভনেইলেও ইউজ করেন বা যদি আপনার টাইটেলও যদি সেক্সুয়াল কথা থাকে বা ভিডিওর ডেসক্রিপশনেও এই সেক্সুয়াল কথাটি উল্লেখ থাকে তাহলে এই সমস্যাটি হতে পারে।
তাই আপনি সেক্সুয়াল রিলেটেড যেকোনো বিষয় এড়িয়ে যান, এটি আপনার চ্যানেলের জন্য এবং আপনার জন্য ভালো হবে।
আপনি যদি অলরেডি আপনার চ্যানেলে এই সেক্সুয়াল রিলেটেড ভিডিও ইউজ করে থাকেন তাহলে আপনি মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য সেক্সুয়াল রিলেটেড যেসব ভিডিও আপনার চ্যানেলে রয়েছে সবগুলো আপনার চ্যানেল থেকে রিমুভ করে ফেলুন।
৪। Violence কনটেন্ট
Violence কনটেন্ট কি? এটা আমরা অনেকেই বুঝি না। Violence কনটেন্ট হলো আমাদের চোখে অনেক ভিডিও আছে যেগুলো আমাদের চোখে মনে হয় এগুলো লীগেল বা জেনুইন ভিডিও কিন্তু আসলে এগুলো লীগেল জেনুইন ভিডিও না।
কিন্তু আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার চ্যানেলে Violence কনটেন্ট আছে।
এটা একেবারেই সহজ, এক কথায় আপনি যদি আপনার ভিডিওর মধ্যে কোথাও রক্ত জনিত বা কাউকে জবাই করা বা কাউকে মারধর করে রক্ত বের করা এধরনের ভিডিও যদি আপলোড করে থাকেন তাহলে সেসব ভিডিওতে Violence সমস্যাটি হতে পারে।
তাই আপনি এই ধরনের ভিডিও আপলোড দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন বা আপনার ভিডিওর যেসব স্থানে রক্ত জনিত কারণ দেখা যাবে, সেখানে আপনার ভিডিওতে ব্লার দেওয়ার চেষ্টা করবেন যেন রক্ত জনিত বা ইলিগাল কিছু না দেখা যায়।
আপনি যদি অলরেডি এরকম ভিডিও আপনার চ্যানেলে আপলোড করে থাকেন তাহলে সেসব ভিডিও গুলো মুছে ফেলুন।
৫। Misleading Meta-Data
Misleading Meta-Data কি? এটি হচ্ছে আপনার ভিডিওর সাথে আপনার টাইটেল, থামনেইল, আপনার ডিসক্রিপশন এবং আপনার ট্যাগ এর সাথে যদি কোন মিল না থাকে তাহলে এই সমস্যাটি হতে পারে।
তাই আপনি সব সময় খেয়াল রাখবেন, আপনার ভিডিওর সাথে যেন আপনার ভিডিও টাইটেল ডেসস্ক্রিপশন, থামনেল এবং ট্যাগগুলো যেন আপনার ভিডিওর সাথে মিল থাকে।
তাহলে আর আপনার Misleading Meta-Data সমস্যাটি হবে না। তবে এর জন্য আপনার ভিডিও ডিলিট করার কোন দরকার নেই।
আপনার ভিডিওতে আপনি যেই টপিক নিয়ে কাজ করেছেন আপনার থামনেল এবং টাইটেল ডেসক্রিপশন এবং ট্যাগেও সেই টপিকের সাথে মিল রেখে এগুলো ঠিক করে নিন। তাহলে আর আপনার এ সমস্যাটি হবে না।
৬। Currently Ineligible For Monetization
Currently Ineligible For Monetization কি? ইউটিউবে মনিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করার পরে এখন প্রায়ই এই সমস্যাটি সবারই হয়ে থাকে।
ইউটিউব থেকে এরকম একটি ম্যাসেজ আসে Currently Ineligible For Monetization আপনি এখন বুঝতে পারতাছেন না যে আপনি কি করবেন!
উপরের যে কয়টি সমস্যার কথা বলেছি ইউটিউব সেই সমস্যা গুলোর কথা নিজেই বলে দেয় কিন্তু এখানে ইউটিউব কিছুই বলেনি এজন্য আপনি কি করবেন?
আপনি কিভাবে বুঝবেন যে আপনার চ্যানেলের মনিটাইজেশন কেন ইউটিউব অন করছে না। এর জন্য প্রধান কারণ হচ্ছে নিজের ভিডিও নিজে দেখা বা আপনার একই মোবাইলে কয়েকটি জিমেইল ক্রিয়েট করে সেই জিমেইল থেকে ভিডিও গুলো একটার পর একটা দেখা বা বারবার দেখা।
আপনি যদি আপনার চ্যানেলে এরকম কিছু করে থাকেন তাহলে এই সমস্যাটি আপনারও আসবে বা অলরেডি আসছে। আবার অনেকেই আছেন ওয়াচ টাইম এবং সাবস্ক্রাইব ভিউজ এগুলো টাকা দিয়ে কিনে তারপরে তাদের চ্যানেলটি গ্রো করে।
কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় যা তাদের চ্যানেলটি ডাউন হয়ে গেছে। এই জন্য কিন্তু ইউটিউবে মনিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করার পরে আপনাকে ইউটিউব থেকে এরকম একটি নোটিশ পাঠাবে। তাই আপনি এই ধরনের কাজ থেকে একেবারে বিরত থাকবেন।
এখন মূল কথা হচ্ছে আপনি যদি অলরেডি এটি করে থাকেন, তাহলে এটি আপনি এখন কিভাবে ঠিক করবেন! আপনি কি আপনার সেই সমস্ত ভিডিও গুলো ডিলিট করবেন?
একদমই না আপনার চ্যানেলের কোন ভিডিও আপনার ডিলিট করার কোন প্রয়োজন নেই। আপনি ডেক্সটপ থেকে আপনার চ্যানেলের ইউটিউব স্টুডিওতে যাবেন, এরপরে মনিটাইজেশন অপশনটিতে ঢুকবেন,
সেখানে গিয়ে দেখবেন আপনার টোটাল কত ঘন্টা ওয়াচ টাইম হয়েছে, সেখানে যদি দেখেন আপনার সর্বমোট ওয়াচ টাইম 500 ঘন্টা, তাহলে আপনার চ্যানেলের যখন ওয়াচ-টাইম 4500 ঘন্টা হবে তখন আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করবেন।
কারণ আপনি যদি 4000 ঘন্টা থাকাকালীন মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করেন তাহলেই ইউটিউব ধরে নেবে আপনি ইলিগ্যাল ভাবে ওয়াচ-টাইম নিয়ে এসেছেন এ জন্য আপনি ইলিগ্যাল 500 ঘন্টা বাদ দিয়ে যখন আপনার চ্যানেলের সাড়ে চার হাজার ঘন্টা ওয়াচ-টাইম হবে,
আপনি তখন বা তারপরে মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করবেন এতে আপনার মনিটাইজেশন পাওয়ার সম্ভাবনা 99.9 %
আমরা আশা করি আমাদের এই উপরের সবগুলো ফলো করলে আপনার আর মনিটাইজেশনের জন্য কোন প্রকার ঝামেলা পোহাতে হবে না।
আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আর এই পোষ্টটি আপনার কতটুকু হেল্প ফুল হয়েছে সেটি জানাতেও একদমি ভুলবেন না।
আজকের এই পোস্ট টি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যারা ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে চান এবং অনেকদিন ধরে ইউটিউবে টিকে থাকতে চান। কারণ আজকে আমরা কথা বলব ইউটিউব এর মনিটাইজেশন সমস্যা নিয়ে।
আজকে আমরা আপনাদেরকে সকল মনিটাইজেশন সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব। ইউটিউবের মনিটাইজেশন যেটা অনেক বেশি ইম্পর্টেন্ট, প্রায় 99% ইউটিউবার ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য ইউটিউবে আসে।
আপনি ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনার চ্যানেলে অবশ্যই মনিটাইজেশন চালু থাকতে হবে, না হলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন না।
মনিটাইজেশন ছাড়াও আরও অনেক ভাবে ইউটিউব থেকে ইনকাম করা যায় কিন্তু এটাই প্রথম যারা ইউটিউবে একদম নতুন আসে তাদের জন্য মনিটাইজেশন চালু করে ইনকাম করাই হচ্ছে প্রথম চ্যালেঞ্জ।
মনিটাইজেশনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে, আপনার চ্যানেলের যদি মনিটাইজেশন চালু হয়েও থাকে তবে সেটাও ডিজেবল হতে পারে এই সমস্যা গুলোর কারণে।
যেমনঃ Re-use Content, Repetitious Content, Miss Leading Meta-Data, Violence, Sexual Content.
Recently একটা সমস্যা বেশি হচ্ছে, সেটা হলো "Currently ineligible for monetization" অর্থাৎ মনিটাইজেশন জন্য আপনি এপ্লাই করলেন কিন্তু ইউটিউব আপনার মনিটাইজেশন রিজেক্ট করে দিল এবং আপনাকে নোটিশ করে দিল যে আপনার চ্যানেল টি মনিটাইজেশনের জন্য এলিজেবল নয়।
এদিকে কিন্তু ইউটিউব এর শর্ত অনুযায়ী আপনার চ্যানেলে 1000 সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইমও আছে। তবুও ইউটিউব এই ধরনের নোটিশ গুলো দিচ্ছে।
এটা আসলে কেন দিচ্ছে ইউটিউবে মনিটাইজেশন নিয়ে যত ধরনের সমস্যা আছে আজকে সকল সমস্যার সমাধান এই ব্লগ পোস্টটির মাধ্যমে দিয়ে দিবো। পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি অবস্যই সম্পূর্ণ বিষয়বস্তু ভালভাবে বুঝতে পারবেন।
আজকের পোস্টটি একটু বড় হতে পারে কিন্তু আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ুন, নয়তো বা এমনও হতে পারে আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করলেন ইউটিউব কোন একটা কারণের জন্য আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি রিজেক্ট করে দিল, হতে পারে সেটা মিস লিডিং মেটা-ডেটার কারণে।
আপনি পরবর্তীতে এটি সমাধান করে আবার একমাস পরে রি-এপ্লাই করলেন কিন্তু দেখা গেল আবার ইউটিউব কোন একটা কারণে রিজেক্ট করে দিল।
হতে পারে সেটা রি-ইউজ কনটেন্ট বা হতে পারে এটা Sexual কনটেন্ট বা হতে পারে এটা Violence কনটেন্ট। একটা চ্যানেলে হয়তো অনেক টাইপের সমস্যা থাকতে পারে, ইউটিউবে প্রথমবার যখন আপনি মনিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করবেন,
তখন যদি ইউটিউব রিজেক্ট করে দেয় পরবর্তীতে এপ্লাই করার আগে আপনার চ্যানেলের যেকোনো ধরনের সমস্যা আপনি একবারেই এটি সমাধান করতে হবে।
ইউটিউব আপনাকে একসাথে বলবে না যে আপনার চ্যানেলে কি কি সমস্যা আছে আপনাকে ইউটিউব প্রতিবারে শুধু একটা সমস্যাই দেখাবে।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না যে ইউটিউবে দুই বারের বেশি মনিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করা যায় না পরবর্তীতে দুইবারের বেশি এপ্লাই করলে আপনাকে রিজেক্ট করে দেওয়া হবে।
যদিও আপনার চ্যানেলটি পরিপূর্ণও থাকে, ইউটিউব তারপরও রিজেক্ট করে দেবে। তাই এই সমস্যাগুলো এটাতে আপনি পুরো ব্লগটি ভালো ভাবে বুঝে শুনে পড়ুন।
১। Reused কনটেন্ট
রিইউজ কনটেন্ট মানে কি? আপনি যখন অন্যদের কনটেন্ট বেশি বেশি ব্যবহার করবেন, সেটা হতে পারে কোন ভাইরাল ভিডিও কিংবা অন্য কোন চ্যানেলের ভিডিও আপনার চ্যানেলে বেশি বেশি ব্যবহার করেন, তখন আপনার এই সমস্যাটি হতে পারে।
যদিও অন্যের ভিডিও ব্যবহার করা যায় তবে এখানে কিছু ব্যবহারের পলিসি আছে। যেমন ফেয়ার ইউজ পলিসি আছে তেমন Reused কনটেন্ট পলিসিও রয়েছে।
তবে আপনাদেরকে বলবো অন্যের ভিডিও আপনারা ইউজ করবেন না অন্যের ভিডিও ইউজ করা থেকে আপনার যতটুকু সম্ভব বিরত থাকবেন।
যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্যের ভিডিও ইউজ করার খুব দরকার পড়ে তখন আপনারা ইউজ করবেন তবে ইউজ করার যে পলিসি আছে সেই পলিসি মতে আপনারা আপনাদের ভিডিওতে ইউজ করবেন।
এখন মূল কথা হলো আপনার যদি এই re-use কন্টেনের জন্য ইউটিউব আপনার মনিটাইজেশন রিজেক্ট করে দেয়, তাহলে আপনি কিভাবে এই সমস্যাটি ঠিক করে আবার মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করবেন।
এ জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার চ্যানেলে গিয়ে আপনার চ্যানেলে যে ভিডিওতে আপনি অন্যের ভিডিও বেশি ইউজ করেছেন, সেগুলো বাছাই করে ডিলেট করে দেন, এটাই আপনার জন্য ভালো হবে নতুন করে মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য।
২। Repetitious কনটেন্ট
Repetitious কনটেন্ট হলো আপনি যখন আপনার নিজের কন্টেন্ট আপনার চ্যানেলে বারবার ব্যবহার করবেন এটাকে Repetitious কনটেন্ট বলা হয়।
আপনি দেখলেন যে আপনার কোন একটা ভিডিওতে প্রচুর পরিমাণে ভিউজ আসতেছে, আপনি সেই জন্য সেই ভিডিওটি আপনার চ্যানেলে বারবার আপলোড করতেছেন অধিক ভিউজ পাওয়ার জন্য। এটি মোটেও করা যাবে না।
এরকম যদি করে থাকেন তাহলে আপনি Repetitious কনটেন্ট এর অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেছেন।
তবে অনেকের মনে চিন্তা আসতে পারে আপনারা যে আপনাদের প্রতিটা ভিডিওতে ইনট্রো এবং আউটট্রো ব্যবহার করেন সেগুলোর জন্য কি Repetitious কনটেন্ট সমস্যাটি হবে?
না এর জন্য কোন Repetitious কনটেন্ট সমস্যা হবে না। কারণ ইউটিউব পলিসিতে ইউটিউব নিজেই বলে দিয়েছে আপনারা ইন্ট্রো বা আউটট্রো আপনাদের প্রতিটা ভিডিওতে ইউজ করলেও Repetitious কনটেন্ট সমস্যাটি হবে না।
কারণ এটি ইউটিউব পলিসিতে পড়ে না। এখন আপনি কীভাবে এই Repetitious কনটেন্ট গুলো আপনার চ্যানেল থেকে মুছে ফেলবেন?
এজন্য আপনার চ্যানেলের সেই অতিরিক্ত ভিডিওগুলো আপনার চ্যানেল থেকে ডিলেট করে দিন। এতে আপনার এই সমস্যাটি একেবারে চলে যাবে।
৩। Sexual কনটেন্ট
এটা সম্পর্কে আপনাকে বেশি কিছু বোঝাতে হবে না আশা করি এর নাম শুনেই এর সম্পর্কে আপনি বুঝতে পেরেছেন।
আপনি যদি আপনার কোন ভিডিওতে সেক্সুয়াল কিছু ইউজ করেন বা আপনার ভিডিওর থামভনেইলেও ইউজ করেন বা যদি আপনার টাইটেলও যদি সেক্সুয়াল কথা থাকে বা ভিডিওর ডেসক্রিপশনেও এই সেক্সুয়াল কথাটি উল্লেখ থাকে তাহলে এই সমস্যাটি হতে পারে।
তাই আপনি সেক্সুয়াল রিলেটেড যেকোনো বিষয় এড়িয়ে যান, এটি আপনার চ্যানেলের জন্য এবং আপনার জন্য ভালো হবে।
আপনি যদি অলরেডি আপনার চ্যানেলে এই সেক্সুয়াল রিলেটেড ভিডিও ইউজ করে থাকেন তাহলে আপনি মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য সেক্সুয়াল রিলেটেড যেসব ভিডিও আপনার চ্যানেলে রয়েছে সবগুলো আপনার চ্যানেল থেকে রিমুভ করে ফেলুন।
৪। Violence কনটেন্ট
Violence কনটেন্ট কি? এটা আমরা অনেকেই বুঝি না। Violence কনটেন্ট হলো আমাদের চোখে অনেক ভিডিও আছে যেগুলো আমাদের চোখে মনে হয় এগুলো লীগেল বা জেনুইন ভিডিও কিন্তু আসলে এগুলো লীগেল জেনুইন ভিডিও না।
কিন্তু আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার চ্যানেলে Violence কনটেন্ট আছে।
এটা একেবারেই সহজ, এক কথায় আপনি যদি আপনার ভিডিওর মধ্যে কোথাও রক্ত জনিত বা কাউকে জবাই করা বা কাউকে মারধর করে রক্ত বের করা এধরনের ভিডিও যদি আপলোড করে থাকেন তাহলে সেসব ভিডিওতে Violence সমস্যাটি হতে পারে।
তাই আপনি এই ধরনের ভিডিও আপলোড দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন বা আপনার ভিডিওর যেসব স্থানে রক্ত জনিত কারণ দেখা যাবে, সেখানে আপনার ভিডিওতে ব্লার দেওয়ার চেষ্টা করবেন যেন রক্ত জনিত বা ইলিগাল কিছু না দেখা যায়।
আপনি যদি অলরেডি এরকম ভিডিও আপনার চ্যানেলে আপলোড করে থাকেন তাহলে সেসব ভিডিও গুলো মুছে ফেলুন।
৫। Misleading Meta-Data
Misleading Meta-Data কি? এটি হচ্ছে আপনার ভিডিওর সাথে আপনার টাইটেল, থামনেইল, আপনার ডিসক্রিপশন এবং আপনার ট্যাগ এর সাথে যদি কোন মিল না থাকে তাহলে এই সমস্যাটি হতে পারে।
তাই আপনি সব সময় খেয়াল রাখবেন, আপনার ভিডিওর সাথে যেন আপনার ভিডিও টাইটেল ডেসস্ক্রিপশন, থামনেল এবং ট্যাগগুলো যেন আপনার ভিডিওর সাথে মিল থাকে।
তাহলে আর আপনার Misleading Meta-Data সমস্যাটি হবে না। তবে এর জন্য আপনার ভিডিও ডিলিট করার কোন দরকার নেই।
আপনার ভিডিওতে আপনি যেই টপিক নিয়ে কাজ করেছেন আপনার থামনেল এবং টাইটেল ডেসক্রিপশন এবং ট্যাগেও সেই টপিকের সাথে মিল রেখে এগুলো ঠিক করে নিন। তাহলে আর আপনার এ সমস্যাটি হবে না।
৬। Currently Ineligible For Monetization
Currently Ineligible For Monetization কি? ইউটিউবে মনিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করার পরে এখন প্রায়ই এই সমস্যাটি সবারই হয়ে থাকে।
ইউটিউব থেকে এরকম একটি ম্যাসেজ আসে Currently Ineligible For Monetization আপনি এখন বুঝতে পারতাছেন না যে আপনি কি করবেন!
উপরের যে কয়টি সমস্যার কথা বলেছি ইউটিউব সেই সমস্যা গুলোর কথা নিজেই বলে দেয় কিন্তু এখানে ইউটিউব কিছুই বলেনি এজন্য আপনি কি করবেন?
আপনি কিভাবে বুঝবেন যে আপনার চ্যানেলের মনিটাইজেশন কেন ইউটিউব অন করছে না। এর জন্য প্রধান কারণ হচ্ছে নিজের ভিডিও নিজে দেখা বা আপনার একই মোবাইলে কয়েকটি জিমেইল ক্রিয়েট করে সেই জিমেইল থেকে ভিডিও গুলো একটার পর একটা দেখা বা বারবার দেখা।
আপনি যদি আপনার চ্যানেলে এরকম কিছু করে থাকেন তাহলে এই সমস্যাটি আপনারও আসবে বা অলরেডি আসছে। আবার অনেকেই আছেন ওয়াচ টাইম এবং সাবস্ক্রাইব ভিউজ এগুলো টাকা দিয়ে কিনে তারপরে তাদের চ্যানেলটি গ্রো করে।
কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় যা তাদের চ্যানেলটি ডাউন হয়ে গেছে। এই জন্য কিন্তু ইউটিউবে মনিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করার পরে আপনাকে ইউটিউব থেকে এরকম একটি নোটিশ পাঠাবে। তাই আপনি এই ধরনের কাজ থেকে একেবারে বিরত থাকবেন।
এখন মূল কথা হচ্ছে আপনি যদি অলরেডি এটি করে থাকেন, তাহলে এটি আপনি এখন কিভাবে ঠিক করবেন! আপনি কি আপনার সেই সমস্ত ভিডিও গুলো ডিলিট করবেন?
একদমই না আপনার চ্যানেলের কোন ভিডিও আপনার ডিলিট করার কোন প্রয়োজন নেই। আপনি ডেক্সটপ থেকে আপনার চ্যানেলের ইউটিউব স্টুডিওতে যাবেন, এরপরে মনিটাইজেশন অপশনটিতে ঢুকবেন,
সেখানে গিয়ে দেখবেন আপনার টোটাল কত ঘন্টা ওয়াচ টাইম হয়েছে, সেখানে যদি দেখেন আপনার সর্বমোট ওয়াচ টাইম 500 ঘন্টা, তাহলে আপনার চ্যানেলের যখন ওয়াচ-টাইম 4500 ঘন্টা হবে তখন আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করবেন।
কারণ আপনি যদি 4000 ঘন্টা থাকাকালীন মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করেন তাহলেই ইউটিউব ধরে নেবে আপনি ইলিগ্যাল ভাবে ওয়াচ-টাইম নিয়ে এসেছেন এ জন্য আপনি ইলিগ্যাল 500 ঘন্টা বাদ দিয়ে যখন আপনার চ্যানেলের সাড়ে চার হাজার ঘন্টা ওয়াচ-টাইম হবে,
আপনি তখন বা তারপরে মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করবেন এতে আপনার মনিটাইজেশন পাওয়ার সম্ভাবনা 99.9 %
আমরা আশা করি আমাদের এই উপরের সবগুলো ফলো করলে আপনার আর মনিটাইজেশনের জন্য কোন প্রকার ঝামেলা পোহাতে হবে না।
আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন আর এই পোষ্টটি আপনার কতটুকু হেল্প ফুল হয়েছে সেটি জানাতেও একদমি ভুলবেন না।