অনলাইন থেকে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করা যায় এর মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং ও মার্কেটিং। আপনারা যারা ভাবতেছেন অনলাইন থেকে টাকা আয় করা যায় না, সত্যি কথা বলতে কি অনলাইন থেকে আয় করা অবশ্যই সম্ভব। এজন্য আপনার মেধা এবং শ্রম দুইটাই প্রয়োজন। অনলাইন থেকে কি কি উপায়ে আয় করা যায় আজকে আমরা সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
১। ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন।
২। আউটসোর্সিং করে আয় করুন।
৩। ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করুন।
৪। ব্লগিং করে আয় করুন।
৫। ইউটিউবিং করে আয় করুন।
৬। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় করুন।
৭। ফটো এডিট এবং ভিডিও এডিটিং করে আয় করুন।
কি কি উপায়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন এসব উপায় বলার আগে আপনাদেরকে একটি কথা জানাতে চাই যে সেটি হল আপনাদের মধ্যে অনেকেই ভাবতেছেন আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে পার্থক্য কি?
আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে পার্থক্য?
আউটসোর্সিং কাকে বলে?
আপনি যদি ইন্টারনেট বা গুগলে সার্চ করেন আউটসোর্সিং কি? তাহলে গুগল থেকে আপনি যে উত্তরটি পেতে পারেন তা হলোঃ
আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে স্বাধীন বা মুক্ত একটি পেশা। অর্থাৎ স্বাধীন বা মুক্ত ভাবে কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন কোম্পানির কাজের চাপ ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজ করে আয় করার নামই হচ্ছে আউটসোর্সিং।
গুগোল কিন্তু আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং এই দুটোকে এক করে ফেলেছে, তবে প্রকৃতপক্ষে আউটসোর্সিং এর অর্থ হল একটি কাজ নিজে না করে নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে অন্যকে দিয়ে সেই কাজটি সম্পাদনের নাম বা অপ্রকাশিত নামই হলো আউটসোর্সিং। অপ্রকাশিত নাম বলার কারণ হচ্ছে, ইন্টারনেট বা গুগলে সার্চ করলে এই দুটি জিনিসের মানে এক বলবে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই দুটো জিনিসই ভিন্ন বা ব্যতিক্রম।
যেমনঃ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বায়ার বা বিভিন্ন এজেন্সির লোকেরা আমাদের কাজ বা প্রজেক্ট দিয়ে থাকে যা হলো আউটসোর্সিং আর যারা সেই কাজগুলো নিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় নির্দিষ্ট অর্থের মাধ্যমে নিজের উন্মুক্ত বা নিজের সময়মত সময়ে কাজগুলো সম্পাদন করে থাকে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়।
ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে?
ফ্রিল্যান্সিং কি একদম সহজ ভাবে বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে স্বাধীন বা মুক্ত পেশা। অন্যভাবে বলতে গেলে, নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান বা কারো অধীনে কাজ না করে, স্বাধীন ভাবে কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। এখন কথা হল ব্যাংকের যে কোন কাজকে ব্যাংকিং বলে,আর যারা কাজ করে তাদেরকে ব্যাংকার বলা হয়।
তাহলে আপনার মাথায় এখন একটি প্রশ্ন আসতে পারে,যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে তাদেরকে কি বলা হয়? যারা নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান বা কারও অধীনে কাজ না করে স্বাধীনভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে,তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। অর্থাৎ পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে শহর কিংবা গ্রামে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে উপার্জন করতে পারেন।
যেকোনো চাকরির থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে দিগুন টাকা আয় করা সম্ভব, তবে তা যোগ্যতা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে। যার কাজের দক্ষতা যত বেশি সে ততো বেশি আয় করতে পারে। এই সেক্টরে ধরা বান্দা বলে কোন কাজ নেই, আপনি যত বেশি কাজ করতে পারবেন তত বেশি আয় করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুনঃ
অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে অনেক টাকা আয় করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা খুব সহজ আবার কঠিনও। কঠিন বলার কারণ হচ্ছে এখানে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে, তা নাহলে আপনি এখান থেকে কোনো ভাবেই সফল হতে পারবেন না। আপনি যদি এই সেক্টরে ধৈর্য ধরে কাজ করতে পারেন। তাহলে আপনার কাজের কোন অভাব হবে না।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় সেটি হলো, আপনি এখানে যত বেশি মেধা ও শ্রম দিবেন আপনার ইনকামও ততো বেশি হবে। এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক কাজ রয়েছে, যে কাজ গুলো কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই করা সম্ভব হয়। আবার অনেক কাজ রয়েছে আপনাকে ছয় মাস কিংবা এক বছর কাজ শিখে তারপরে এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আসতে হবে এবং এসব কাজের ডিমান্ড অনেক বেশি হয়ে থাকে এবং এসব কাজ করে ইনকামও অনেক বেশি হয়।
আপনাদের মধ্যে যারা ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে চান, তারা অবশ্যই এই বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন আপনারা কোন বিষয়ের উপর দক্ষ হবেন। ফেন্সিংয়ে কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, অ্যান্ড্রয়েড ডেভলপমেন্ট, এসইও, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি আরো অনেক সেক্টর রয়েছে। আপনি এই থেকে যে কোন একটি সেক্টরে কাজ শিখে দক্ষতা অর্জন করে কাজ শুরু করতে পারেন।
আউটসোর্সিং করে ইনকাম করুন।
আউটসোর্সিং করেও অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আউটসোর্সিং কিভাবে করা হয় সেটি আমি প্রথমেই বলে দিয়েছি সেজন্য এখানে আর ব্যাখ্যা করে বলার প্রয়োজন নেই। অন্য একজনের কাজ আপনি অন্য আরেকজনকে দিয়ে করিয়ে নেওয়াকে আউটসোর্সিং বলে।
আরও সহজভাবে বলতে গেলে আপনি এখানে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে কাজ করবেন। আপনি যার থেকে কাজ নিবেন সে আপনাকে পুরা টাকা পেমেন্ট করবে এবং আপনি যাকে দিয়ে সেই কাজটা কমপ্লিট করাবেন তাকে আপনি 75 শতাংশ বা 60 শতাংশ দিয়ে দিবেন এবং বাকিটা আপনার কাছে থেকে যাবে। এভাবে আপনি আউটসোর্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
ইমেইল মার্কেটিং করে ইনকাম করুন।
ইমেইল মার্কেটিং করেও প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। অনেক ফ্রি ওয়েবসাইট আছে যেখান থেকে আপনি ফ্রিতে ইমেইল মার্কেটিং করতে পারেন সেসব সাইট থেকে আপনি ফ্রিতে ইমেল মার্কেটিং করে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। এখন অনলাইনে বর্তমানে মার্কেটিংয়ের কাজ প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গেছে।
এই মার্কেটিং গুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে করা হয়, তবে সোশ্যাল মিডিয়ার সবথেকে জনপ্রিয় হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম। এখান থেকে আপনি মার্কেটিং করে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি চাইলে আরো বেশি ইনকামের জন্য কিছু পেইড ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি কিছু অর্থ ব্যয় করে আরো বেশি ইনকামের ব্যবস্থা করতে পারেন।
ব্লগিং করে আয় করুন।
বর্তমানে ব্লগিং করে অনেকে অনেক ভাবে ইনকাম করছেন। কেউ করছেন এডসেন্সের মাধ্যমে, কেউ করতেছে বিভিন্ন প্রোডাক্ট প্রোমোশন করে, আবার কেউবা করতেছে অ্যাফিলিয়েট করে। আপনি যদি ব্লগিং করতে ইচ্ছুক হন, তাহলে ব্লগিং হচ্ছে খুব সহজ একটি পদ্ধতি, আপনি যদি ভাল ভাল কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন আপনার ভিজিটরদের জন্য তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি গুগলে আপনার ব্লগ সাইটটি রেংক করাতে পারবেন।
আপনার কনটেন্ট যত ভালো হবে আপনার গুগোলে তত বেশি রেংক করবে এবং এডসেন্স থেকে ইনকামও আপনার বেশি হবে। ব্লগিং করে মাসে লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। তাই আপনারা যারা ভাবতেছেন ব্লগিং শুরু করবেন তাহলে এখনই ব্লগিং শুরু করে দিন।
ইউটিউবিং করে আয় করুন।
বর্তমানে ইউটিউব থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। আগামী দিনে এই ইউটিউব হতে পারে আপনার ক্যারিয়ার গড়ার একটি মাধ্যম। আপনি যদি ইউটিউবে থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে, আপনাকে ধৈর্য ধরে এখানে কাজ করতে হবে এবং অনেক ভাল ভাল কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।
আপনারা যারা নতুন তারা হয়তো কনটেন্ট কি সেটা নাও জানতে পারেন। কন্টেন হচ্ছে ভিডিও এই ভিডিও গুলো আপনাকে ভালো ভাবে তৈরি করতে হবে। যত ভালো ভিডিও তৈরি করতে পারবেন, আপনার ভিডিও গুলো ততো বেশি ভাইরাল হওয়ার চান্স থাকবে। আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যত বেশি ভিউয়ার্স আনতে পারবেন, আপনার ইনকামও কিন্তু ততো বেশি বাড়াতে পারবেন।
অনলাইন থেকে ইনকাম করা কি সম্ভব নাকি এটা ভুল ধারণা?
অনেক জনে বিভিন্ন ভিডিও দেখে গুগলে সার্চ করে যে, অনলাইন থেকে কিভাবে আয় করা যায়? অনলাইন থেকে কি আয় করা সম্ভব নাকি ভুল ধারণা এটা আশা করি আপনাদেরকে আর নতুন করে বোঝাতে হবে না। সেটা আপনারা ইতিমধ্যে বুঝে গেছেন। কেননা আমরা প্রথমেই বলে দিয়েছি কিভাবে বা কি কি উপায়ে আপনারা অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং শিখবো নাকি আউটসোর্সিং শিখবো?
ফ্রিল্যান্সিং শিখবো নাকি আউটসোর্সিং শিখবো এটি জানার আগে আপনাকে বুঝতে হবে ফ্রিল্যান্সিং জিনিসটা কি? এবং ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে?
ফ্রিল্যান্সিং কি একদম সহজ ভাবে বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে স্বাধীন বা মুক্ত পেশা। অন্যভাবে বলতে গেলে, নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান বা কারো অধীনে কাজ না করে, স্বাধীন ভাবে কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে।
এখন কথা হল ব্যাংকের যে কোন কাজকে ব্যাংকিং বলে,আর যারা কাজ করে তাদেরকে ব্যাংকার বলা হয়।
তাহলে আপনার মাথায় এখন একটি প্রশ্ন আসতে পারে,যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে তাদেরকে কি বলা হয়?
যারা নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান বা কারও অধীনে কাজ না করে স্বাধীনভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে,তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। অর্থাৎ পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে শহর কিংবা গ্রামে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে উপার্জন করতে পারেন।
যেকোনো চাকরির থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে দিগুন টাকা আয় করা সম্ভব, তবে তা যোগ্যতা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে। যার কাজের দক্ষতা যত বেশি সে ততো বেশি আয় করতে পারে। এই সেক্টরে ধরা বান্দা বলে কোন কাজ নেই, আপনি যত বেশি কাজ করতে পারবেন তত বেশি আয় করতে পারবেন।
এখন ২য় প্রশ্ন হচ্ছে আউটসোর্সিং কি? আউটসোর্সিং কাকে বলে?
আপনি যদি ইন্টারনেট বা গুগলে সার্চ করেন আউটসোর্সিং কি? তাহলে গুগল থেকে আপনি যে উত্তরটি পেতে পারেন তাহলোঃ
আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে স্বাধীন বা মুক্ত একটি পেশা।
অর্থাৎ স্বাধীন বা মুক্ত ভাবে কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন কোম্পানির কাজের চাপ ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজ করে আয় করার নামই হচ্ছে আউটসোর্সিং।
গুগোল কিন্তু আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং এই দুটোকে এক করে ফেলেছে, তবে প্রকৃতপক্ষে আউটসোর্সিং এর অর্থ হল একটি কাজ নিজে না করে নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে অন্যকে দিয়ে সেই কাজটি সম্পাদনের নাম বা অপ্রকাশিত নামই হলো আউটসোর্সিং।
অপ্রকাশিত নাম বলার কারণ হচ্ছে, ইন্টারনেট বা গুগলে সার্চ করলে এই দুটি জিনিসের মানে এক বলবে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই দুটো জিনিসই ভিন্ন বা ব্যতিক্রম।
যেমনঃ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বায়ার বা বিভিন্ন এজেন্সির লোকেরা আমাদের কাজ বা প্রজেক্ট দিয়ে থাকে যা হলো আউটসোর্সিং আর যারা সেই কাজগুলো নিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় নির্দিষ্ট অর্থের মাধ্যমে নিজের উন্মুক্ত বা নিজের সময়মত সময়ে কাজগুলো সম্পাদন করে থাকে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়।
এতক্ষণে আমরা সকলেই বুঝতে পেরেছি আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং জিনিসটা কি এবং আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলা হয়! এখন আপনি ডিসাইড করুন আপনি কোন জিনিসটি শিখবেন, আউটসোর্সিং নাকি ফ্রিল্যান্সিং?
আমাদের কথাঃ
আমাদের পোস্টটি আপনার কাছে কেমন লাগলো আমাদেরকে জানাতে একদমি ভুলবেন না। অনলাইন আর্নিং বিষয়ে আপনাদের যেকোন সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো, আপনারা শুধু আপনাদের সমস্যাটি আমাদেরকে জানান,
নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আপনার যেকোন সমস্যা আমাদেরকে জানাতে পারেন আমরা আপনার সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ সবাইকে ভালো এবং সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ!
অনলাইন থেকে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করা যায় এর মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং ও মার্কেটিং। আপনারা যারা ভাবতেছেন অনলাইন থেকে টাকা আয় করা যায় না, সত্যি কথা বলতে কি অনলাইন থেকে আয় করা অবশ্যই সম্ভব। এজন্য আপনার মেধা এবং শ্রম দুইটাই প্রয়োজন। অনলাইন থেকে কি কি উপায়ে আয় করা যায় আজকে আমরা সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
১। ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন।
২। আউটসোর্সিং করে আয় করুন।
৩। ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করুন।
৪। ব্লগিং করে আয় করুন।
৫। ইউটিউবিং করে আয় করুন।
৬। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় করুন।
৭। ফটো এডিট এবং ভিডিও এডিটিং করে আয় করুন।
কি কি উপায়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন এসব উপায় বলার আগে আপনাদেরকে একটি কথা জানাতে চাই যে সেটি হল আপনাদের মধ্যে অনেকেই ভাবতেছেন আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে পার্থক্য কি?
আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে পার্থক্য?
আউটসোর্সিং কাকে বলে?
আপনি যদি ইন্টারনেট বা গুগলে সার্চ করেন আউটসোর্সিং কি? তাহলে গুগল থেকে আপনি যে উত্তরটি পেতে পারেন তা হলোঃ
আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে স্বাধীন বা মুক্ত একটি পেশা। অর্থাৎ স্বাধীন বা মুক্ত ভাবে কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন কোম্পানির কাজের চাপ ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজ করে আয় করার নামই হচ্ছে আউটসোর্সিং।
গুগোল কিন্তু আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং এই দুটোকে এক করে ফেলেছে, তবে প্রকৃতপক্ষে আউটসোর্সিং এর অর্থ হল একটি কাজ নিজে না করে নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে অন্যকে দিয়ে সেই কাজটি সম্পাদনের নাম বা অপ্রকাশিত নামই হলো আউটসোর্সিং। অপ্রকাশিত নাম বলার কারণ হচ্ছে, ইন্টারনেট বা গুগলে সার্চ করলে এই দুটি জিনিসের মানে এক বলবে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই দুটো জিনিসই ভিন্ন বা ব্যতিক্রম।
যেমনঃ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বায়ার বা বিভিন্ন এজেন্সির লোকেরা আমাদের কাজ বা প্রজেক্ট দিয়ে থাকে যা হলো আউটসোর্সিং আর যারা সেই কাজগুলো নিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় নির্দিষ্ট অর্থের মাধ্যমে নিজের উন্মুক্ত বা নিজের সময়মত সময়ে কাজগুলো সম্পাদন করে থাকে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়।
ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে?
ফ্রিল্যান্সিং কি একদম সহজ ভাবে বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে স্বাধীন বা মুক্ত পেশা। অন্যভাবে বলতে গেলে, নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান বা কারো অধীনে কাজ না করে, স্বাধীন ভাবে কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। এখন কথা হল ব্যাংকের যে কোন কাজকে ব্যাংকিং বলে,আর যারা কাজ করে তাদেরকে ব্যাংকার বলা হয়।
তাহলে আপনার মাথায় এখন একটি প্রশ্ন আসতে পারে,যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে তাদেরকে কি বলা হয়? যারা নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান বা কারও অধীনে কাজ না করে স্বাধীনভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে,তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। অর্থাৎ পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে শহর কিংবা গ্রামে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে উপার্জন করতে পারেন।
যেকোনো চাকরির থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে দিগুন টাকা আয় করা সম্ভব, তবে তা যোগ্যতা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে। যার কাজের দক্ষতা যত বেশি সে ততো বেশি আয় করতে পারে। এই সেক্টরে ধরা বান্দা বলে কোন কাজ নেই, আপনি যত বেশি কাজ করতে পারবেন তত বেশি আয় করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুনঃ
অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে অনেক টাকা আয় করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা খুব সহজ আবার কঠিনও। কঠিন বলার কারণ হচ্ছে এখানে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে, তা নাহলে আপনি এখান থেকে কোনো ভাবেই সফল হতে পারবেন না। আপনি যদি এই সেক্টরে ধৈর্য ধরে কাজ করতে পারেন। তাহলে আপনার কাজের কোন অভাব হবে না।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় সেটি হলো, আপনি এখানে যত বেশি মেধা ও শ্রম দিবেন আপনার ইনকামও ততো বেশি হবে। এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক কাজ রয়েছে, যে কাজ গুলো কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই করা সম্ভব হয়। আবার অনেক কাজ রয়েছে আপনাকে ছয় মাস কিংবা এক বছর কাজ শিখে তারপরে এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আসতে হবে এবং এসব কাজের ডিমান্ড অনেক বেশি হয়ে থাকে এবং এসব কাজ করে ইনকামও অনেক বেশি হয়।
আপনাদের মধ্যে যারা ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে চান, তারা অবশ্যই এই বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন আপনারা কোন বিষয়ের উপর দক্ষ হবেন। ফেন্সিংয়ে কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, অ্যান্ড্রয়েড ডেভলপমেন্ট, এসইও, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি আরো অনেক সেক্টর রয়েছে। আপনি এই থেকে যে কোন একটি সেক্টরে কাজ শিখে দক্ষতা অর্জন করে কাজ শুরু করতে পারেন।
আউটসোর্সিং করে ইনকাম করুন।
আউটসোর্সিং করেও অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আউটসোর্সিং কিভাবে করা হয় সেটি আমি প্রথমেই বলে দিয়েছি সেজন্য এখানে আর ব্যাখ্যা করে বলার প্রয়োজন নেই। অন্য একজনের কাজ আপনি অন্য আরেকজনকে দিয়ে করিয়ে নেওয়াকে আউটসোর্সিং বলে।
আরও সহজভাবে বলতে গেলে আপনি এখানে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে কাজ করবেন। আপনি যার থেকে কাজ নিবেন সে আপনাকে পুরা টাকা পেমেন্ট করবে এবং আপনি যাকে দিয়ে সেই কাজটা কমপ্লিট করাবেন তাকে আপনি 75 শতাংশ বা 60 শতাংশ দিয়ে দিবেন এবং বাকিটা আপনার কাছে থেকে যাবে। এভাবে আপনি আউটসোর্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
ইমেইল মার্কেটিং করে ইনকাম করুন।
ইমেইল মার্কেটিং করেও প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। অনেক ফ্রি ওয়েবসাইট আছে যেখান থেকে আপনি ফ্রিতে ইমেইল মার্কেটিং করতে পারেন সেসব সাইট থেকে আপনি ফ্রিতে ইমেল মার্কেটিং করে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। এখন অনলাইনে বর্তমানে মার্কেটিংয়ের কাজ প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গেছে।
এই মার্কেটিং গুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে করা হয়, তবে সোশ্যাল মিডিয়ার সবথেকে জনপ্রিয় হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম। এখান থেকে আপনি মার্কেটিং করে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি চাইলে আরো বেশি ইনকামের জন্য কিছু পেইড ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি কিছু অর্থ ব্যয় করে আরো বেশি ইনকামের ব্যবস্থা করতে পারেন।
ব্লগিং করে আয় করুন।
বর্তমানে ব্লগিং করে অনেকে অনেক ভাবে ইনকাম করছেন। কেউ করছেন এডসেন্সের মাধ্যমে, কেউ করতেছে বিভিন্ন প্রোডাক্ট প্রোমোশন করে, আবার কেউবা করতেছে অ্যাফিলিয়েট করে। আপনি যদি ব্লগিং করতে ইচ্ছুক হন, তাহলে ব্লগিং হচ্ছে খুব সহজ একটি পদ্ধতি, আপনি যদি ভাল ভাল কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন আপনার ভিজিটরদের জন্য তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি গুগলে আপনার ব্লগ সাইটটি রেংক করাতে পারবেন।
আপনার কনটেন্ট যত ভালো হবে আপনার গুগোলে তত বেশি রেংক করবে এবং এডসেন্স থেকে ইনকামও আপনার বেশি হবে। ব্লগিং করে মাসে লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। তাই আপনারা যারা ভাবতেছেন ব্লগিং শুরু করবেন তাহলে এখনই ব্লগিং শুরু করে দিন।
ইউটিউবিং করে আয় করুন।
বর্তমানে ইউটিউব থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। আগামী দিনে এই ইউটিউব হতে পারে আপনার ক্যারিয়ার গড়ার একটি মাধ্যম। আপনি যদি ইউটিউবে থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে, আপনাকে ধৈর্য ধরে এখানে কাজ করতে হবে এবং অনেক ভাল ভাল কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।
আপনারা যারা নতুন তারা হয়তো কনটেন্ট কি সেটা নাও জানতে পারেন। কন্টেন হচ্ছে ভিডিও এই ভিডিও গুলো আপনাকে ভালো ভাবে তৈরি করতে হবে। যত ভালো ভিডিও তৈরি করতে পারবেন, আপনার ভিডিও গুলো ততো বেশি ভাইরাল হওয়ার চান্স থাকবে। আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যত বেশি ভিউয়ার্স আনতে পারবেন, আপনার ইনকামও কিন্তু ততো বেশি বাড়াতে পারবেন।
অনলাইন থেকে ইনকাম করা কি সম্ভব নাকি এটা ভুল ধারণা?
অনেক জনে বিভিন্ন ভিডিও দেখে গুগলে সার্চ করে যে, অনলাইন থেকে কিভাবে আয় করা যায়? অনলাইন থেকে কি আয় করা সম্ভব নাকি ভুল ধারণা এটা আশা করি আপনাদেরকে আর নতুন করে বোঝাতে হবে না। সেটা আপনারা ইতিমধ্যে বুঝে গেছেন। কেননা আমরা প্রথমেই বলে দিয়েছি কিভাবে বা কি কি উপায়ে আপনারা অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং শিখবো নাকি আউটসোর্সিং শিখবো?
ফ্রিল্যান্সিং শিখবো নাকি আউটসোর্সিং শিখবো এটি জানার আগে আপনাকে বুঝতে হবে ফ্রিল্যান্সিং জিনিসটা কি? এবং ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে?
ফ্রিল্যান্সিং কি একদম সহজ ভাবে বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে স্বাধীন বা মুক্ত পেশা। অন্যভাবে বলতে গেলে, নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান বা কারো অধীনে কাজ না করে, স্বাধীন ভাবে কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে।
এখন কথা হল ব্যাংকের যে কোন কাজকে ব্যাংকিং বলে,আর যারা কাজ করে তাদেরকে ব্যাংকার বলা হয়।
তাহলে আপনার মাথায় এখন একটি প্রশ্ন আসতে পারে,যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে তাদেরকে কি বলা হয়?
যারা নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান বা কারও অধীনে কাজ না করে স্বাধীনভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে,তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। অর্থাৎ পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে শহর কিংবা গ্রামে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে উপার্জন করতে পারেন।
যেকোনো চাকরির থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে দিগুন টাকা আয় করা সম্ভব, তবে তা যোগ্যতা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে। যার কাজের দক্ষতা যত বেশি সে ততো বেশি আয় করতে পারে। এই সেক্টরে ধরা বান্দা বলে কোন কাজ নেই, আপনি যত বেশি কাজ করতে পারবেন তত বেশি আয় করতে পারবেন।
এখন ২য় প্রশ্ন হচ্ছে আউটসোর্সিং কি? আউটসোর্সিং কাকে বলে?
আপনি যদি ইন্টারনেট বা গুগলে সার্চ করেন আউটসোর্সিং কি? তাহলে গুগল থেকে আপনি যে উত্তরটি পেতে পারেন তাহলোঃ
আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে স্বাধীন বা মুক্ত একটি পেশা।
অর্থাৎ স্বাধীন বা মুক্ত ভাবে কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন কোম্পানির কাজের চাপ ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজ করে আয় করার নামই হচ্ছে আউটসোর্সিং।
গুগোল কিন্তু আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং এই দুটোকে এক করে ফেলেছে, তবে প্রকৃতপক্ষে আউটসোর্সিং এর অর্থ হল একটি কাজ নিজে না করে নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে অন্যকে দিয়ে সেই কাজটি সম্পাদনের নাম বা অপ্রকাশিত নামই হলো আউটসোর্সিং।
অপ্রকাশিত নাম বলার কারণ হচ্ছে, ইন্টারনেট বা গুগলে সার্চ করলে এই দুটি জিনিসের মানে এক বলবে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই দুটো জিনিসই ভিন্ন বা ব্যতিক্রম।
যেমনঃ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বায়ার বা বিভিন্ন এজেন্সির লোকেরা আমাদের কাজ বা প্রজেক্ট দিয়ে থাকে যা হলো আউটসোর্সিং আর যারা সেই কাজগুলো নিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় নির্দিষ্ট অর্থের মাধ্যমে নিজের উন্মুক্ত বা নিজের সময়মত সময়ে কাজগুলো সম্পাদন করে থাকে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়।
এতক্ষণে আমরা সকলেই বুঝতে পেরেছি আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং জিনিসটা কি এবং আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলা হয়! এখন আপনি ডিসাইড করুন আপনি কোন জিনিসটি শিখবেন, আউটসোর্সিং নাকি ফ্রিল্যান্সিং?
আমাদের কথাঃ
আমাদের পোস্টটি আপনার কাছে কেমন লাগলো আমাদেরকে জানাতে একদমি ভুলবেন না। অনলাইন আর্নিং বিষয়ে আপনাদের যেকোন সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো, আপনারা শুধু আপনাদের সমস্যাটি আমাদেরকে জানান,
নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আপনার যেকোন সমস্যা আমাদেরকে জানাতে পারেন আমরা আপনার সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ সবাইকে ভালো এবং সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ!
অনলাইন থেকে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করা যায় এর মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং ও মার্কেটিং। আপনারা যারা ভাবতেছেন অনলাইন থেকে টাকা আয় করা যায় না, সত্যি কথা বলতে কি অনলাইন থেকে আয় করা অবশ্যই সম্ভব। এজন্য আপনার মেধা এবং শ্রম দুইটাই প্রয়োজন। অনলাইন থেকে কি কি উপায়ে আয় করা যায় আজকে আমরা সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
১। ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন।
২। আউটসোর্সিং করে আয় করুন।
৩। ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করুন।
৪। ব্লগিং করে আয় করুন।
৫। ইউটিউবিং করে আয় করুন।
৬। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় করুন।
৭। ফটো এডিট এবং ভিডিও এডিটিং করে আয় করুন।
কি কি উপায়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন এসব উপায় বলার আগে আপনাদেরকে একটি কথা জানাতে চাই যে সেটি হল আপনাদের মধ্যে অনেকেই ভাবতেছেন আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে পার্থক্য কি?
আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে পার্থক্য?
আউটসোর্সিং কাকে বলে?
আপনি যদি ইন্টারনেট বা গুগলে সার্চ করেন আউটসোর্সিং কি? তাহলে গুগল থেকে আপনি যে উত্তরটি পেতে পারেন তা হলোঃ
আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে স্বাধীন বা মুক্ত একটি পেশা। অর্থাৎ স্বাধীন বা মুক্ত ভাবে কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন কোম্পানির কাজের চাপ ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজ করে আয় করার নামই হচ্ছে আউটসোর্সিং।
গুগোল কিন্তু আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং এই দুটোকে এক করে ফেলেছে, তবে প্রকৃতপক্ষে আউটসোর্সিং এর অর্থ হল একটি কাজ নিজে না করে নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে অন্যকে দিয়ে সেই কাজটি সম্পাদনের নাম বা অপ্রকাশিত নামই হলো আউটসোর্সিং। অপ্রকাশিত নাম বলার কারণ হচ্ছে, ইন্টারনেট বা গুগলে সার্চ করলে এই দুটি জিনিসের মানে এক বলবে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই দুটো জিনিসই ভিন্ন বা ব্যতিক্রম।
যেমনঃ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বায়ার বা বিভিন্ন এজেন্সির লোকেরা আমাদের কাজ বা প্রজেক্ট দিয়ে থাকে যা হলো আউটসোর্সিং আর যারা সেই কাজগুলো নিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় নির্দিষ্ট অর্থের মাধ্যমে নিজের উন্মুক্ত বা নিজের সময়মত সময়ে কাজগুলো সম্পাদন করে থাকে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়।
ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে?
ফ্রিল্যান্সিং কি একদম সহজ ভাবে বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে স্বাধীন বা মুক্ত পেশা। অন্যভাবে বলতে গেলে, নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান বা কারো অধীনে কাজ না করে, স্বাধীন ভাবে কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। এখন কথা হল ব্যাংকের যে কোন কাজকে ব্যাংকিং বলে,আর যারা কাজ করে তাদেরকে ব্যাংকার বলা হয়।
তাহলে আপনার মাথায় এখন একটি প্রশ্ন আসতে পারে,যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে তাদেরকে কি বলা হয়? যারা নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান বা কারও অধীনে কাজ না করে স্বাধীনভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে,তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। অর্থাৎ পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে শহর কিংবা গ্রামে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে উপার্জন করতে পারেন।
যেকোনো চাকরির থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে দিগুন টাকা আয় করা সম্ভব, তবে তা যোগ্যতা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে। যার কাজের দক্ষতা যত বেশি সে ততো বেশি আয় করতে পারে। এই সেক্টরে ধরা বান্দা বলে কোন কাজ নেই, আপনি যত বেশি কাজ করতে পারবেন তত বেশি আয় করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুনঃ
অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে অনেক টাকা আয় করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা খুব সহজ আবার কঠিনও। কঠিন বলার কারণ হচ্ছে এখানে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে, তা নাহলে আপনি এখান থেকে কোনো ভাবেই সফল হতে পারবেন না। আপনি যদি এই সেক্টরে ধৈর্য ধরে কাজ করতে পারেন। তাহলে আপনার কাজের কোন অভাব হবে না।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় সেটি হলো, আপনি এখানে যত বেশি মেধা ও শ্রম দিবেন আপনার ইনকামও ততো বেশি হবে। এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক কাজ রয়েছে, যে কাজ গুলো কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই করা সম্ভব হয়। আবার অনেক কাজ রয়েছে আপনাকে ছয় মাস কিংবা এক বছর কাজ শিখে তারপরে এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আসতে হবে এবং এসব কাজের ডিমান্ড অনেক বেশি হয়ে থাকে এবং এসব কাজ করে ইনকামও অনেক বেশি হয়।
আপনাদের মধ্যে যারা ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে চান, তারা অবশ্যই এই বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন আপনারা কোন বিষয়ের উপর দক্ষ হবেন। ফেন্সিংয়ে কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, অ্যান্ড্রয়েড ডেভলপমেন্ট, এসইও, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি আরো অনেক সেক্টর রয়েছে। আপনি এই থেকে যে কোন একটি সেক্টরে কাজ শিখে দক্ষতা অর্জন করে কাজ শুরু করতে পারেন।
আউটসোর্সিং করে ইনকাম করুন।
আউটসোর্সিং করেও অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আউটসোর্সিং কিভাবে করা হয় সেটি আমি প্রথমেই বলে দিয়েছি সেজন্য এখানে আর ব্যাখ্যা করে বলার প্রয়োজন নেই। অন্য একজনের কাজ আপনি অন্য আরেকজনকে দিয়ে করিয়ে নেওয়াকে আউটসোর্সিং বলে।
আরও সহজভাবে বলতে গেলে আপনি এখানে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে কাজ করবেন। আপনি যার থেকে কাজ নিবেন সে আপনাকে পুরা টাকা পেমেন্ট করবে এবং আপনি যাকে দিয়ে সেই কাজটা কমপ্লিট করাবেন তাকে আপনি 75 শতাংশ বা 60 শতাংশ দিয়ে দিবেন এবং বাকিটা আপনার কাছে থেকে যাবে। এভাবে আপনি আউটসোর্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন।
ইমেইল মার্কেটিং করে ইনকাম করুন।
ইমেইল মার্কেটিং করেও প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। অনেক ফ্রি ওয়েবসাইট আছে যেখান থেকে আপনি ফ্রিতে ইমেইল মার্কেটিং করতে পারেন সেসব সাইট থেকে আপনি ফ্রিতে ইমেল মার্কেটিং করে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। এখন অনলাইনে বর্তমানে মার্কেটিংয়ের কাজ প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গেছে।
এই মার্কেটিং গুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে করা হয়, তবে সোশ্যাল মিডিয়ার সবথেকে জনপ্রিয় হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম। এখান থেকে আপনি মার্কেটিং করে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি চাইলে আরো বেশি ইনকামের জন্য কিছু পেইড ওয়েবসাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি কিছু অর্থ ব্যয় করে আরো বেশি ইনকামের ব্যবস্থা করতে পারেন।
ব্লগিং করে আয় করুন।
বর্তমানে ব্লগিং করে অনেকে অনেক ভাবে ইনকাম করছেন। কেউ করছেন এডসেন্সের মাধ্যমে, কেউ করতেছে বিভিন্ন প্রোডাক্ট প্রোমোশন করে, আবার কেউবা করতেছে অ্যাফিলিয়েট করে। আপনি যদি ব্লগিং করতে ইচ্ছুক হন, তাহলে ব্লগিং হচ্ছে খুব সহজ একটি পদ্ধতি, আপনি যদি ভাল ভাল কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন আপনার ভিজিটরদের জন্য তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি গুগলে আপনার ব্লগ সাইটটি রেংক করাতে পারবেন।
আপনার কনটেন্ট যত ভালো হবে আপনার গুগোলে তত বেশি রেংক করবে এবং এডসেন্স থেকে ইনকামও আপনার বেশি হবে। ব্লগিং করে মাসে লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। তাই আপনারা যারা ভাবতেছেন ব্লগিং শুরু করবেন তাহলে এখনই ব্লগিং শুরু করে দিন।
ইউটিউবিং করে আয় করুন।
বর্তমানে ইউটিউব থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। আগামী দিনে এই ইউটিউব হতে পারে আপনার ক্যারিয়ার গড়ার একটি মাধ্যম। আপনি যদি ইউটিউবে থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে, আপনাকে ধৈর্য ধরে এখানে কাজ করতে হবে এবং অনেক ভাল ভাল কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।
আপনারা যারা নতুন তারা হয়তো কনটেন্ট কি সেটা নাও জানতে পারেন। কন্টেন হচ্ছে ভিডিও এই ভিডিও গুলো আপনাকে ভালো ভাবে তৈরি করতে হবে। যত ভালো ভিডিও তৈরি করতে পারবেন, আপনার ভিডিও গুলো ততো বেশি ভাইরাল হওয়ার চান্স থাকবে। আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যত বেশি ভিউয়ার্স আনতে পারবেন, আপনার ইনকামও কিন্তু ততো বেশি বাড়াতে পারবেন।
অনলাইন থেকে ইনকাম করা কি সম্ভব নাকি এটা ভুল ধারণা?
অনেক জনে বিভিন্ন ভিডিও দেখে গুগলে সার্চ করে যে, অনলাইন থেকে কিভাবে আয় করা যায়? অনলাইন থেকে কি আয় করা সম্ভব নাকি ভুল ধারণা এটা আশা করি আপনাদেরকে আর নতুন করে বোঝাতে হবে না। সেটা আপনারা ইতিমধ্যে বুঝে গেছেন। কেননা আমরা প্রথমেই বলে দিয়েছি কিভাবে বা কি কি উপায়ে আপনারা অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং শিখবো নাকি আউটসোর্সিং শিখবো?
ফ্রিল্যান্সিং শিখবো নাকি আউটসোর্সিং শিখবো এটি জানার আগে আপনাকে বুঝতে হবে ফ্রিল্যান্সিং জিনিসটা কি? এবং ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে?
ফ্রিল্যান্সিং কি একদম সহজ ভাবে বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে স্বাধীন বা মুক্ত পেশা। অন্যভাবে বলতে গেলে, নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান বা কারো অধীনে কাজ না করে, স্বাধীন ভাবে কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে।
এখন কথা হল ব্যাংকের যে কোন কাজকে ব্যাংকিং বলে,আর যারা কাজ করে তাদেরকে ব্যাংকার বলা হয়।
তাহলে আপনার মাথায় এখন একটি প্রশ্ন আসতে পারে,যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে তাদেরকে কি বলা হয়?
যারা নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান বা কারও অধীনে কাজ না করে স্বাধীনভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে,তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। অর্থাৎ পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে শহর কিংবা গ্রামে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে উপার্জন করতে পারেন।
যেকোনো চাকরির থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে দিগুন টাকা আয় করা সম্ভব, তবে তা যোগ্যতা ও দক্ষতার উপর নির্ভর করে। যার কাজের দক্ষতা যত বেশি সে ততো বেশি আয় করতে পারে। এই সেক্টরে ধরা বান্দা বলে কোন কাজ নেই, আপনি যত বেশি কাজ করতে পারবেন তত বেশি আয় করতে পারবেন।
এখন ২য় প্রশ্ন হচ্ছে আউটসোর্সিং কি? আউটসোর্সিং কাকে বলে?
আপনি যদি ইন্টারনেট বা গুগলে সার্চ করেন আউটসোর্সিং কি? তাহলে গুগল থেকে আপনি যে উত্তরটি পেতে পারেন তাহলোঃ
আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে স্বাধীন বা মুক্ত একটি পেশা।
অর্থাৎ স্বাধীন বা মুক্ত ভাবে কোন প্রতিষ্ঠান বা কোন কোম্পানির কাজের চাপ ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজ করে আয় করার নামই হচ্ছে আউটসোর্সিং।
গুগোল কিন্তু আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং এই দুটোকে এক করে ফেলেছে, তবে প্রকৃতপক্ষে আউটসোর্সিং এর অর্থ হল একটি কাজ নিজে না করে নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে অন্যকে দিয়ে সেই কাজটি সম্পাদনের নাম বা অপ্রকাশিত নামই হলো আউটসোর্সিং।
অপ্রকাশিত নাম বলার কারণ হচ্ছে, ইন্টারনেট বা গুগলে সার্চ করলে এই দুটি জিনিসের মানে এক বলবে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই দুটো জিনিসই ভিন্ন বা ব্যতিক্রম।
যেমনঃ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বায়ার বা বিভিন্ন এজেন্সির লোকেরা আমাদের কাজ বা প্রজেক্ট দিয়ে থাকে যা হলো আউটসোর্সিং আর যারা সেই কাজগুলো নিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় নির্দিষ্ট অর্থের মাধ্যমে নিজের উন্মুক্ত বা নিজের সময়মত সময়ে কাজগুলো সম্পাদন করে থাকে তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়।
এতক্ষণে আমরা সকলেই বুঝতে পেরেছি আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং জিনিসটা কি এবং আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলা হয়! এখন আপনি ডিসাইড করুন আপনি কোন জিনিসটি শিখবেন, আউটসোর্সিং নাকি ফ্রিল্যান্সিং?
আমাদের কথাঃ
আমাদের পোস্টটি আপনার কাছে কেমন লাগলো আমাদেরকে জানাতে একদমি ভুলবেন না। অনলাইন আর্নিং বিষয়ে আপনাদের যেকোন সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করবো, আপনারা শুধু আপনাদের সমস্যাটি আমাদেরকে জানান,
নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আপনার যেকোন সমস্যা আমাদেরকে জানাতে পারেন আমরা আপনার সমস্যাটি সমাধান করার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ সবাইকে ভালো এবং সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ!