DEMO
  • Home
  • Android
  • Windows
  • Mac
  • Apps
    • Dropdown1
    • Dropdown2
    • Dropdown3
    • Dropdown4
    • Dropdown5
    • Dropdown6
  • Games
    • Dropdown1
    • Dropdown2
    • Dropdown3
    • Dropdown4
    • Dropdown5
    • Dropdown6
LifeStyle
thumbnail

সমাজে প্রচলিত ১২৮ টি কুসংস্কার | Somaje Procholito 128 Ti Kusongskor

Islamik LifeStyle February 25, 2022
thumbnail

প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে সাতটি আমল যা আপনার জীবনকে বদলে দেবে।

Islamik LifeStyle Motivational February 03, 2022
thumbnail

যখন আপনার সাথে কেউ নিজের ভুল স্বীকার না করে তর্ক করে, তখন আপনার কি করা উচিত? Kew Ojotha Torke Jorale Ki Korben

LifeStyle December 04, 2021
thumbnail

একটি ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্প | Ekti Islamic Shikkhonio Golpo

Islamik LifeStyle Motivational December 01, 2021
thumbnail

ছোটলোক চেনার সহজ উপায় কি?

LifeStyle October 16, 2021
thumbnail

আপনার সঠিক সময়ের সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে নেওয়া উচিত।

LifeStyle October 15, 2021
thumbnail

রাতে ঘুমানোর আগে এই অভ্যাস গুলো করুন, আপনার জীবন পাল্টে যাবে।

LifeStyle October 11, 2021
thumbnail

আমি বাজারে কিছু কিনতে গেলে প্রায়ই ঠকে আসি, একটু চালাক হব কিভাবে?

LifeStyle October 10, 2021
thumbnail

অতিরিক্ত রাগ বা বিরক্তি উঠলে করণীয় কি?

LifeStyle October 09, 2021
Older Posts ››

Popular Posts

Facebook

Templateclue

Blog Archive

Labels Cloud

  • Technology 8

Recent Posts

Advertisement

Categories

  • Adsense
  • AndroidApps
  • Background Music
  • Bangladesh-Army
  • BDNavy
  • BloggerTips
  • Business-idea-Share
  • Digital-Marketing
  • Earning-Tips
  • Email-Marketing
  • Facebook-Earning-Tips
  • FireService
  • Freelancing
  • General-Knowledge
  • GovJob
  • HealthTips
  • Islamik
  • Islamik-Q-A
  • JobNews
  • LifeStyle
  • Motivational
  • Ojana-Tottho
  • OnlineEarning
  • PDB
  • ProVPN
  • Q-A
  • Sadharon-Geann
  • Technology
  • VideoEditingApps
  • Virar-News
  • Youtube
Powered by Blogger.
  • Home
  • About
  • Contact
  • Buy Now

Popular Posts

  • আপনার লেখা আর্টিকেলটি কপিরাইটমুক্ত কিনা সেটি কিভাবে চেক করবেন? A to Z গাইড
  • Feeling The Old Days || HD Background Music || No ©Copyright || ©Copyright Free Music
  • Youtube And Facebook Video Downloader Apk Snaptube Premium Apps Free Download For Mobile

Top of the week

Report Abuse

Labels

  • Adsense
  • AndroidApps
  • Background Music
  • Bangladesh-Army
  • BDNavy
  • BloggerTips
  • Business-idea-Share
  • Digital-Marketing
  • Earning-Tips
  • Email-Marketing
  • Facebook-Earning-Tips
  • FireService
  • Freelancing
  • General-Knowledge
  • GovJob
  • HealthTips
  • Islamik
  • Islamik-Q-A
  • JobNews
  • LifeStyle
  • Motivational
  • Ojana-Tottho
  • OnlineEarning
  • PDB
  • ProVPN
  • Q-A
  • Sadharon-Geann
  • Technology
  • VideoEditingApps
  • Virar-News
  • Youtube

Contact Form

Tags Clouds

Adsense AndroidApps Background Music Bangladesh-Army BDNavy BloggerTips Business-idea-Share Digital-Marketing Earning-Tips Email-Marketing Facebook-Earning-Tips FireService Freelancing General-Knowledge GovJob HealthTips Islamik Islamik-Q-A JobNews LifeStyle Motivational Ojana-Tottho OnlineEarning PDB ProVPN Q-A Sadharon-Geann Technology VideoEditingApps Virar-News Youtube
Showing posts with label LifeStyle. Show all posts
Showing posts with label LifeStyle. Show all posts

আজ আমরা আমাদের সমাজে প্রচলিত ১২৮ টি কুসংস্কার জানবো। কুসংস্কার মানা, অপরকে মানতে বলা, মুরুব্বীরা করেছেন তাই মানা, শিরকের অন্তর্ভুক্ত। কেউ যদি কোন আমল করে যার আদেশ নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেননি তা হল বাতিল।



সমাজে প্রচলিত ১২৮ টি কুসংস্কার | Somaje Procholito 128 Ti Kusongskor

সমাজে প্রচলিত ১২৮ টি কুসংস্কার | Somaje Procholito 128 Ti Kusongskor




১। ঘর থেকে বের হয়ে বিধবা নারী চোখে পড়লে, যাত্রা অশুভ হবে মনে করা।



২। ঘরের চৌকাঠে বসা যাবে না মনে করা।



৩। প্রেম ভালবাসায় কোন পাপ নেই মনে করা।



৪। বিধবা নারীকে সাদা কাপড় পরিধান করতে হয় মনে করা।



৫। ভাঙ্গা আয়নায় চেহারা দেখা যাবে না মনে করা।



৬। ডান হাতের তালু চুলকালে টাকা আসবে আর বাম হাতের তালু চুলকালে বিপদ আসবে মনে করা।



৭। মানুষ মারা গেলে আকাশের তারা হয়ে যায় মনে করা।



৮। পীরেরা কবরে জীবিত তারা মুরিদদের বিপদে সাহায্য করে মনে করা।



৯। চোখে গোটা হলে ছোট বাচ্চাদের নুনু ছোঁয়ালে সুস্থ হয়ে যায় মনে করা।



১০। আশ্বিন মাসের নারী বিধবা হলে আর কোনদিন বিবাহ্ হবে না মনে করা।



১১। পাগলা কুকুর মানুষকে কামড়ালে মানুষের পেটে কুকুরের বাচ্চা হয় বলে মনে করাও একটি প্রচলিত কুসংস্কার।



১২। রাতের বেলা কাউকে সুঁই সুঁতা দিতে নেই মনে করা।



১৩। ব্যবহার করা গেঞ্জি বা গামছা ছিড়ে গেলে সেলাই করতে নেই বলে মনে করাও একটি কুসংস্কার।



১৪। খালি ঘরে সন্ধ্যাবাতি দিতে হয়, না হলে ঘরে বিপদ আসে মনে করা।



১৫। কদম বুচি বা পায়ে ধরে চুমা বা সালাম করাকে ইসলামী বিধান মনে করা।



১৬। মহিলার পেটে বাচ্চা থাকলে কিছু কাটাকাটি বা জবেহ্ করা যাবে না মনে করা।



১৭। পাতিলের মধ্যে খাবার থাকা অবস্থায় তা খেলে পেট বড় হয়ে যাবে মনে করা।



১৮। বিড়াল মারলে ২ কেজি ৫০০ গ্রাম / আড়াই কেজি লবণ দিতে হয় বলে মনে করা।



১৯। বাচ্চাদের শরীরে লোহা বা তাবিজ থাকতে হবে মনে করা।



২০। ছোটরাই শুধু বড়দের সালাম দিবে, বড়রা সালাম দিবে না মনে করা।



২১। বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেললে সুন্দর দাঁত উঠে মনে করা।



২২। দিনের প্রথম উপার্জন হাতে পাওয়ার পর তাতে চুমু দিতে হয় মনে করা।



২৩। কাউকে দেখে বলা আপনার কথা হচ্ছিল আপনার হায়াত আছে, এমন কথা বলা কুসংস্কার। 



২৪। কোন বিশেষ পাখি দেখলে বা ডাকলে  আত্মীয় আসবে মনে করা।



২৫। বাড়ি থেকে বাহির হওয়ার সময় খালি কলস, কালো বিড়াল ও ঝাড়ু দেখলে যাত্রা অশুভ হবে মনে করা।



২৬। খাওয়ার পরে যদি কেউ মোচড় দেয় তবে খানা কুকুরের পেটে চলে যায় মনে করা।



২৭। ঘর থেকে বের হয়ে পেছনদিকে ফিরে তাকানো বা ডাকা অশুভ মনে করা।



২৮। খাবার খাওয়ার সময় কারো হেচকি উঠলে কেউ স্মরণ করেছে মনে করা।



২৯। বৃষ্টির সময় রোদ দেখা দিলে শিয়ালের বিয়ে হয় বা ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হবে মনে করা।



৩০। মায়ের পেটের দুই আপন ভাই ও বোন একসাথে মিলে মুরগী জবেহ্ করা যাবে না বলে মনে করা।



৩১। ঘরের ময়লা পানি রাতে বাহিরে ফেলা যাবে না মনে করা।



৩২। বাসর ঘরে স্ত্রীর নিকট হতে দেনমোহরের টাকা মাপ চেয়ে নিলে, তা আর দিতে হয় না মনে করা।



৩৩। খালি মুখে মেহমান ফেরত গেলে অমঙ্গল হয় বা কাউকে শুধু পানি দেওয়া উচিত না মনে করা।



৩৪। কোরআন মাজীদ হাত থেকে পড়ে গেলে আড়াই কেজি চাল বা লবণ দিতে হয় মনে করা।



৩৫। পরীক্ষার পূর্বে ডিম খাওয়া যাবে না খেলে পরীক্ষায় ডিম পাবে এমন মনে করা।



৩৬। মুরগির মাথা খেলে মা বাবার মৃত্যু দেখবে না মনে করা।



৩৭। জোড়া কলা খেলে যমজ সন্তান হবে বলে মনে করা।



৩৮। রোধে অর্ধেক শরীর রেখে বসলেই জ্বর হবে মনে করা।



৩৮। রাতে বাঁশ বা গাছ কাটা যাবে না মনে করা।



৩৯। রাতে গাছের পাতা ছিঁড়া যাবে না মনে করা।



৪০। হাত থেকে কিছু পড়ে গেলে বাড়িতে মেহমান আসবে বলে মনে করাও একটি কুসংস্কার।



৪১।  নতুন বউ কোন ভাল কাজ করলে শুভ লক্ষণ মনে করা।



৪২। নতুন স্ত্রীকে নরম স্থানে বসতে দিলে মেজাজ নরম থাকবে মনে করা।



৪৩। ফরজ গোসল ছাড়া ঘরের কোনো কাজ করা যাবে না বলে মনে করা।



৪৪। তিন রাস্তার মোড়ে বসতে নেই মনে করা।



৪৫। রাতে নখ, চুল ইত্যাদি কাটতে নেই মনে করা।



৪৬। মানুষ মরে গেলে ভুত হয় মনে করা।



৪৭। শকুন ডাকলে, বিড়াল কাঁদলে মানুষ মারা যাবে মনে করা।



৪৮। পেঁচা ডাকলে বিপদ আসবে মনে করা।



৪৯। কাউকে ধর্মের ভাই-বোন, মা-বাবা ডাকলেই আপন হয়ে যায় পর্দা লাগে না মনে করা।



৫০। হাশরের দিন পীরগন মুরিদদের জন্য সাফায়াত করবে মনে করা



৫১। নতুন স্ত্রীকে দুলাভাই কোলে করে ঘরে আনতে হবে মনে করা।



৫২। একবার মাথায় টাক খেলে দ্বিতীয়বার টাক দিতে হবে নতুবা শিং উঠবে মনে করা।



৫৩। খানা একবার নেওয়া যাবে না, দুই তিনবার নিতে হবে মনে করা।



৫৪। নতুন জামাই বাজার না করা পর্যন্ত একই খানা খাওয়াতে হবে মনে করা।



৫৫। নতুন স্ত্রীকে স্বামীর বাড়িতে প্রথম পর্যায়ে আড়াই দিন অবস্থান করতে হবে মনে করা।



৫৬। পাতিল এর মধ্যে খানা খেলে মেয়ে সন্তান হয় বা পেট বড় হয় মনে করা।



৫৭। পিতা-মাতা-সন্তান নেতা-নেত্রী বা পীরের ছবি ঘরে রাখলে বরকত হয় মনে করা।



৫৮। দোকান বা যেকোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বরকতের জন্য প্রতিদিন সকাল বেলায় গোলাপজল ও সন্ধ্যা বেলায় আগরবাতি জ্বালাতে হয় বলে মনে করা।



৫৯। দাঁত উঠতে বিলম্ব হলে সাত ঘরের চাল উঠিয়ে রান্না করে কাককে খাওয়াতে হবে এবং নিজেও খেতে হবে মনে করা।



৬০। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ঘর ঝাড়ু দেওয়ার পূর্বে কাউকে কোন কিছু দেওয়া যাবে না মনে করা।



৬১। রাতের বেলা কোন কিছু লেনদেন করা যাবে না মনে করা।



৬২। সকালবেলা প্রথম দোকান খুলে নগদ টাকার পন্য বিক্রয় না করে কাউকে বাকি দেওয়া যাবে না বলে মনে করা।



৬৩। দাঁড়িপাল্লা পায়ে লাগলে বা হাত থেকে নিচে পড়ে গেলে সালাম করতে হয় মনে করা।



৬৪। দোকানের টাকার বাক্স প্রতিদিন সকালে চুমা করতে হয় বলে মনে করা।



৬৫। গাড়ি বা রিকশা সকালে চালানো শুরু করার পূর্বে সালাম করে চালাতে হয় মনে করা।



৬৬। শুকুরের নাম মুখে নিলে চল্লিশ দিন মুখ নাপাক থাকে মনে করা।



৬৭। রাতের বেলা কাউকে চুন ধার দিলে চুন না বলে দই বলতে হয় মনে করা।



৬৮। বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তায় যদি হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় তাহলে যাত্রা অশুভ হবে মনে করা।



৬৯। অষ্টধাতুর আংটি বা বালা ব্যবহার করলে বাতজ্বর, রক্তচাপ ইত্যাদি অসুখ ভালো হয় মনে করা।



৭০। বিনা অজুতে বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহির নাম নিলে আড়াই টা পশম পড়ে যায় মনে করা।



৭১। নখ, চুল কেটে মাটিতে দাফন করতে হয় মনে করা।



৭২। মাথায় বা গালে হাত দিয়ে বসে থাকলে অসুখ হয় মনে করা।



৭৩। মহিলারা হাতে চুড়ি বা বালা না পরলে স্বামীর অমঙ্গল হয় মনে করা।



৭৪। স্ত্রী নাকে নাকফুল না রাখলে স্বামী বাচেনা মনে করা।



৭৫। দা, কাঁচি বা ছুরি ডেঙিয়ে গেলে হাত পা কেটে যাবে মনে করা।



৭৬। ছোট বাচ্চা ডেঙিয়ে গেলে লম্বা হবে না মনে করা।



৭৭। গলায় কাটা বিঁধলে বিড়ালের পা ধরে মাফ চাইতে হয় বলে মনে করা।



৭৮। লেনদেনে জোড় সংখ্যা রাখা যাবেনা এক লক্ষ হলে এক লক্ষ এক টাকা ধার্য করতে হয় বলে মনে করা।



৭৯। দোকানে প্রথম কাস্টমার ফেরত দিতে নেই বা ফেরত দিলে অমঙ্গল হয় বলে মনে করা।



৮০। পুরুষদের রাগ দমন করার জন্য কান ছিদ্র করতে হয় মনে করা।



৮১। পায়ে মেহেদী ব্যবহার করা উচিত না  মনে করা।



৮২। মৃত ব্যক্তির রুহ্ ৪০ দিন বাড়িতে আসা যাওয়া করে মনে করা।



৮৩। মা-বাবা ছেলে-মেয়ের আকিকার গোশত খেতে পারবে না মনে করা।



৮৪। সমাজের বেশিরভাগ মানুষ যা করে তাই সঠিক মনে করা।



৮৫। পীর না ধরলে মুক্তি পাওয়া যাবে না, যার পীর নাই তার পীর শয়তান মনে করা। 



৮৬। নতুন ঘর, ব্যবসা শুরু করতে মিলাদ দিতে হয় মনে করা।



৮৭। রান্না করার জন্য হলুদ ধার দেওয়া যাবে না মনে করা।



৮৮। বদ নজর থেকে হেফাজতের জন্য শিশুর কপালের টিপ দিতে হয় মনে করা।



৮৯। গাছের ফল চুরি হলে গাছে আর ফল ধরবে না মনে করা।



৯০। মৃত ব্যক্তির জন্য চল্লিশা মৃত্যুবার্ষিকী না করলে মৃত আত্মা কষ্ট পায় মনে করা।



৯১। মৃত ব্যক্তির কবর জিয়ারতের সময় মোমবাতি আগরবাতি ফুল দিতে হয় মনে করা।



৯২। জামা গায়ে থাকা অবস্থায় সেলাই করলে অসুখ হয় মনে করা।



৯৩। বিয়ের পর মুরব্বিদের দাঁড়িয়ে সালাম করতে হয়, পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে হয় মনে করা।



৯৪। ঈদের রাতে শবে বরাতের রাতে মৃত আপন জনের আত্মা ঘরে আসি মনে করা।



৯৫। স্বামীর নাম শ্বশুরের নাম উচ্চারণ করা যাবে না মনে করা।



৯৬। মন ভাঙ্গা আর মসজিদ ভাঙ্গা সমান এটা মনে করা।



৯৭। বিড়াল মারলে লবণ ও গামছা সদগা দিতে হয় মনে করা।



৯৮। দোয়া করতে হুজুর ডাকতে হয়, নিজে না করাই ভাল মনে করা।



৯৯। মেয়ে সন্তান হয় স্ত্রীর দোষে এটা মনে করা।



১০০। জন্মের পর বার বার সন্তান মারা গেলে অরুচিকর নাম রাখলে সন্তান বেঁচে যায় মনে করা।



১০১। বুড়া বয়সে হজ্জ্ব করা উচিত, যুবক বয়সে হজ্জ্ব করা যায় না মনে করা।



১০২। রাস্তার পাশে কবর মাজার দেখলে ভক্তিসহকারে দূর থেকে চুমা করতে হয় মনে করা।



১০৩। মাজারে শিন্নি দিতে হয়, মুরগি খাঁসি দান করতে হয় মনে করা।



১০৪। চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলা কিছু কাটলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হয় মনে করা।



১০৫। ১৩ সংখ্যাকে অশুভ আর ৭ সংখ্যাকে শুভ মনে করাও হল একটি কুসংস্কার।



১০৬। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর এই কুসংস্কার বিশ্বাস করা।



১০৭। শবে বরাতে হালুয়া রুটি বানালে আরশের নিচে ছায়া হবে মনে করা।



১০৮। দোকানে ঝাড়ু দেওয়ার পূর্বে ভিক্ষা দেওয়া বা বেচাকেনা করা যাবেনা মনে করা।



১০৯। প্রজাপতিকে পানি পান করালে মৃত ব্যক্তিকে পানি পান করানো হয় মনে করা।



১১০। জবাইকৃত মুরগির পেটে ডিম বাড়িতে তৈরি প্রথম পিঠা অবিবাহিত মেয়েরা খাওয়া ঠিক নয় মনে করা।



১১১। স্ত্রী স্বামীর থেকে তালাক নিলে দেনমোহর দিতে হয় না মনে করা।



১১২। গর্ভবতী মহিলা সর্বদা লোহা, ম্যাচের কাঠি, রসুন সাথে রাখতে হয় নতুবা অমঙ্গল হয় মনে করা।



১১৩। শালি দুলাভাই আপন ভাই বোনের মতো, পর্দা লাগেনা মনে করা।



১১৪। বাচ্চা বিছানায় পেশাব করলে তাবিজ দিতে হয় মনে করা।



১১৫। কেউ হঠাৎ ভয় পেলে বুকে থুথু দিতে হয় মনে করা।



১১৬। কবরস্থান এর সামনে গিয়ে কবরের দিকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করা নিষেধ বলে মনে করা।



১১৭। যে ঘরে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় সেইঘর চল্লিশ দিন নাপাক থাকে মনে করা।



১১৮। পীরের নাম মনে করে গাড়ি চালালে বিপদ-আপদ হয়না মনে করা।



১১৯। সকালে গাড়ি চালানোর শুরুর পূর্বে ড্রাইভারকে গাড়ি স্টিয়ারিং হুইলে চুমা করতে হয় মনে করা।



১২০। আল্লাহকে পেতে মাধ্যম লাগে আর সেই মাধ্যম হলো পীর মনে করা।



১২১। বড় বিপদ থেকে ফিরে আসলে সোনা-রুপা ভেজানো পানি দিয়ে গোসল করতে হয় বলে মনে করা।



১২২। মৃত ব্যাক্তির নখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানের চুল পরিষ্কার করে দিতে হয় মনে করা।



১২৩। 'ধর্ম যার যার উৎসব সবার' এই কুসংস্কার মানা।



১২৪। কোন বস্তু বা ব্যক্তি কে লক্ষ্মী বা শুভ বলে মনে করা।



১২৫। মৃত স্বামীকে তার স্ত্রী বা স্ত্রীকে তার স্বামী দেখতে, ধরতে বা গোসল দিতে পারবে না বলে মনে করা।



১২৬। মাগরিবের আযান দিলে দোকানপাট বা গাড়িতে সন্ধ্যার বাতি জ্বালাতে হয় মনে করা।



১২৭। আপন বাপ জীবিত থাকলেও বিয়েতে অন্য মুরব্বিকে উকিল বাপ বানাতে হয় মনে করা।



১২৮। রত্ন পাথর ব্যবহারে ভাগ্য পরিবর্তন হয়, ভাগ্যের শনির প্রভাব পড়ে, ভাগ্য হাতে লেখা থাকে মনে করা।




মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের সবাইকে সকল প্রকার কুসংস্কার কথা বলা এবং শোনা থেকে হেফাজত করুন। আমীন!



আপনি যদি এরকম আরো সুন্দর সুন্দর শিক্ষণীয় পোস্ট পেতে চান তাহলে এই পোস্ট এর নিচে একটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। ধন্যবাদ!

প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে সাতটি আমল যা আপনার জীবনকে বদলে দেবে। ibrahim blog

প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে সাতটি আমল যা আপনার জীবনকে বদলে দেবে।


১। আপনি ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই প্রতিদিন অজু করে বিছানায় যাবেন।

২। বিছানায় শুয়ে অবশ্যই প্রতিদিন ঘুমের দোয়া এবং ডান কাত হয়ে শোবেন।

৩। বিছানায় শুয়ে আয়াতুল কুরসি ও সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবেন।

৪। সূরা ফাতিহা ও সূরা কাফিরুন পড়বেন।

৫। তিন কুল অর্থাৎ সূরা ইখলাস, নাস ও সূরা ফালাক, তিনবার করে পাঠ করবেন।

৬। সুবহান আল্লাহ্ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ্ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবার ৩৪ বার করে প্রতিদিন পাঠ করবেন।

৭। সূরা মূলক ও ইস্তেগফার পড়বেন।

সমাজে প্রচলিত ১২৮ টি কুসংস্কার


শেষ কথা

আপনি যদি প্রতিদিন এই আমলগুলো নিয়মিত করেন। তাহলে আপনি কয়েক দিনের মধ্যে আপনার পরিবর্তন আপনি নিজেই দেখতে পারবেন।
যখন আপনার সাথে কেউ নিজের ভুল স্বীকার না করে তর্ক করে, তখন আপনার কি করা উচিত? Kew Ojotha Torke Jorale Ki Korben ?


যখন আপনার সাথে কেউ নিজের ভুল স্বীকার না করে তর্ক করে, তখন আপনার কি করা উচিত?


আপনার সাথে কেউ অযথা তর্কে লিপ্ত হলে তখন আপনি কি করবেন?


এটা বলার আগে আপনাকে ছোট্ট একটা গল্প বলি। একদিন একটি গাধা জঙ্গলের মধ্যে একা একা ঘাস খাচ্ছিলো। তখন সেই পথ দিয়ে একটি বাঘ যাচ্ছিল এবং বাঘটি দেখতে পেল গাধাটি একা একা ঘাস খাচ্ছে, তখন বাঘটি গাধাটাকে জিজ্ঞেস করলো এই গাধা তুমি কি খাচ্ছ? 


গাধাটা তার প্রশ্নের উত্তর দিলো আমি ঘাস খাচ্ছি, তখন বাঘটি বলল তোমার ঘাস খাওয়া হলে আমি তোমাকে খাবো। তখন গাধাটি ভীত হয়ে বাঘটিকে বলল আপনি আমাকে খাবেন না, আপনি আমাকে দয়া করে ছেড়ে দিন। 


বাঘটি বলল আচ্ছা তোমাকে আমি এক শর্তে ছাড়তে পারি, তুমি বলতো তুমি যে ঘাস খাচ্ছো সেই ঘাসের রং কি? গাধাটি তার প্রশ্নের উত্তরে বললো ঘাসের রঙ হচ্ছে নীল এবার বাঘ খেপে গিয়ে বললো আমি তোমাকে খেয়ে ফেলবো। 


গাধাটি বলল আমি তো আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি, তাহলে আপনি আমাকে কেন খাবেন? তখন বাঘটি বলল তুমি যে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছো এটি ভুল ঘাসের রং হচ্ছে সবুজ। গাধাটি এবার জোর গলায় বললো, না ঘাসের রং হচ্ছে নীল। বাঘ বলে, না ঘাসের রং সবুজ। 


এভাবে তাদের মধ্যে অনেক বড় ঝগড়া শুরু হয়ে গেল, এবার বাঘ বললো আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে জঙ্গলের রাজা সিংহ মশায়ের কাছে চলো সে আমাদের বিচার করে দেবে, গাধাটি বললো আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে চলো রাজা মশাইয়ের কাছে। 


গধাটি আগে আগে গিয়ে রাজামশাই কে বললো, রাজামশাই! রাজামশাই! আপনি বলেন তো ঘাসের রং নীল কিনা? রাজামশাই বলল-হ্যাঁ ঘাসের রং নীল এরপর গাধাকে বললো, আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে তুমি চলে যাও। 


এবার বাঘকে সিংহ বললো তোমাকে শাস্তি দেওয়া হল। এটা শুনে বাঘটি রাজামশাই কে জিজ্ঞেস করল রাজামশাই আমি যে উত্তর দিয়েছি আমারটা তো সঠিক ছিল ঘাসের রংতো সবুজ, তাহলে আপনি আমাকে কেন শাস্তি দিলেন? 


Learn more... একটি ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্প


তখন রাজা মশাই বলল হ্যাঁ তোমার উত্তর সঠিক কিন্তু তোমাকে কেন শাস্তি দিয়েছি সেটা কি তুমি জানো? তোমার উত্তর সঠিক নাকি ভুল, আমি এই জন্য তোমাকে শাস্তি দেই নি, আমি তোমাকে শাস্তি দিয়েছি তুমি মূর্খের সাথে কেন তর্ক করতে গেলে।


আপনি এই গল্পটি থেকে কি শিক্ষা পেয়েছেন? আপনি অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে তর্কে লিপ্ত হওয়ার আগে, আপনি কার সাথে তর্কে লিপ্ত হচ্ছেন সেটি বিবেচনা করা উচিত। কারণ মূর্খের সাথে তর্কে লিপ্ত হওয়া মানে আপনি তার থেকেও অতি মূর্খ।

একটি ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্প | Ekti Islamic Shikkhonio Golpo


একটি ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্প | Ekti Islamic Shikkhonio Golpo


একদিন একজন কৃষক মাঠে কাজ করতেছিল, ওই সময়ে এক অপূর্ব সুন্দরী নারী কৃষককে ডেকে বলল আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই। কৃষক সেই নারীর চেহারা দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়, সে কিছু না ভেবেই রাজি হয়ে যায়। 


কৃষক অপূর্ব সুন্দরী নারীকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে কাজী অফিসে নিয়ে যায়। কাজী অফিসে গিয়ে কাজীকে ডেকে বললো আমাদের দুজনকে বিয়ে  দিয়ে দাও। 


কাজী এই নারীর চেহারা দেখে কাজী নিজেও মুগ্ধ হয়ে যায়, কাজী কৃষককে বলে উঠল এই ব্যাটা তুই তো এই নারীর যোগ্যই না, আমি এই অপূর্ব সুন্দরী নারীকে বিয়ে করব। 


এই বলে কৃষক এবং কাজীর মধ্যে ঝগড়া লেগে গেল। কাজী এবং কৃষক দুজনে মিলে বিচার নিয়ে গেল বাদশাহের কাছে। এবার বাদশা সেই নারীর চেহারা দেখে সে নিজেও মুগ্ধ হয়ে যায়। 


সমাজে প্রচলিত ১২৮ টি কুসংস্কার


এবার বাদশা দুজনকে বলে উঠলো তোরা দুজনেই এই নারীর যোগ্য না, শুধু আমি এই অপূর্ব সুন্দরী নারীকে বিয়ে করব। এরপর সেই সুন্দরী নারীকে জিজ্ঞেস করা হল, তুমি নিজেই সিদ্ধান্ত দাও তুমি কাকে বিয়ে করবে? 


সুন্দরী নারী বললো, তোমাদের তিনজনের মধ্যে যে আমাকে দৌড়ে ধরতে পারবে আমি শুধু তাকেই বিয়ে করবো। সুন্দরী নারীর কথা শুনে সবাই রাজি হয়ে গেল এবং তার পিছে পিছে কৃষক কাজী বাদশা তিনজনেই দৌড়াতে শুরু করলো। 


অনেকক্ষণ পিছন পিছন দৌড়াতে দৌড়াতে কাজী এবং কৃষক দুজনে মারা গেল। বাকি ছিল শুধু বাদশা, বাদশা নারীটিকে বলল এখন তো শুধু আমি একাই আছি চলো তুমি আর আমি বিয়ে করে ফেলি! তখন সুন্দরী নারী বললো না আগে আমাকে দৌড়ে ধরো তারপরে বিবাহ করিবে। 


তখন সুন্দরী নারীর কথা শুনে বাদশাহ্ চমকে গিয়ে সেই নারীকে বললো হে সুন্দরি নারী তুমি কে, কি তোমার পরিচয়? তখন সেই নারী বললো, আমি হলাম দুনিয়া। 


প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে সাতটি আমল যা আপনার জীবনকে বদলে দেবে।


আমার মধ্যে আছে শুধু চাকচিক্য, মোহ্ এবং লোভ-লালসায় ভরা। আমার পিছে যারাই দৌড়াবে তারাই শুধু এভাবে মরবে, বিনিময়ে তারা কিছুই পাবে না। এই থেকে বোঝা যায় লোভ মানুষকে ধ্বংস করে, লোভে পাপ পাপে মৃত্যু। 


তাই সময় থাকতে তুমি আল্লাহর দিকে ফিরে যাও। সৌভাগ্য ফিরবে তোমার দিকে, পৃথিবীর সব সম্পর্কের শেষ আছে কিন্তু বান্দার সাথে আল্লাহর সম্পর্ক কোন শেষ নেই। 


পৃথিবীতে তুমি যদি কাউকে বারবার ডাকো সে বিরক্ত হয়, রাগ হয় কিন্তু আল্লাহকে তুমি যত খুশি ডাকবে, আল্লাহ ততো বেশি খুশি হবেন। 


তাই সময় থাকতে আল্লাহর দিকে ফিরে আসো, নামাজ পড়ো আল্লাহ তোমায় সঠিক পথ দেখাবে, ইনশা-আল্লাহ।

ছোটলোক চেনার সহজ উপায় ibrahimhossain.com

ছোটলোক চেনার সহজ উপায় কি?

ছোটলোক চেনার আগে ছোট্ট একটা গল্প বলি, একদিন এক ধনী লোক তার ঘরের খাটের নিচে অনেক গুলো হীরার টুকরা রাখে, সেখান থেকে একটি ইঁদুর একটা হীরার টুকরা ভুল করে গিলে ফেলে।

ইঁদুরটি তার হীরের টুকরোটা গিলে ফেলার কারণে তার রাতে ঘুম হয়না। সে সারারাত ধরে চিন্তা করতে লাগলো, সে ইঁদুরটাকে মেরে তার পেট থেকে হীরের টুকরো বের করবে।

এরপর ধনী লোকটি সকাল হতেই ইঁদুর শিকারীর খোঁজে বেরিয়ে পড়লেন। সে এক লোককে পেল যে ইঁদুর শিকার করে, ধনী লোকটি তাকে বললো আপনি যদি ইঁদুরটিকে মেরে তার পেট থেকে আমার হিরের টুকরাটা উদ্ধার করে দিতে পারেন, তাহলে আপনাকে আমি আপনার পরিশ্রমের ন্যায্য মূল্য দেব, এই বলে ধনী লোকটি ইঁদুর শিকারিকে তার বাড়িতে নিয়ে গেলো।

শিকারি যখন ইদুর মারার জন্য ইদুরের বাসস্থানে গিয়ে পৌঁছায়, সে তখন দেখে সেখানে শত শত ইঁদুর একে অন্যের সঙ্গে গায়ে গা লাগিয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে কেউ বা আবার বসে আছে। শিকারি আর একটা ইঁদুরকে দেখল, সেই ইঁদুরটা একা এক জায়গায় চিৎ হয়ে শুয়ে আছে।

শিকারি ওই একা থাকা ইঁদুরটিকে তাক করে ধরে তার পেট চিরে হিরা বের করে হীরের মালিকের কাছে বুঝিয়ে দেয়। শিকারি তার নিজের পারিশ্রমিক বুঝে নেওয়ার পরে যখন সে সেখান থেকে চলে যাবে তখন সেই ধনী লোকটি তাকে জিজ্ঞাসা করল, ভাই এতগুলো ইঁদুরের মধ্যে তুমি কিভাবে বুঝতে পারলে যে ওই ইঁদুরটাই হেরে গিলেছে এবং ওর পেটেই হিরা আছে?

শিকারি তখন ধনী লোকটিকে বলল এটাতো অনেক সহজ! মূর্খ যখন হঠাৎ করে বিত্তবান হয়ে যায়, তখন সে তার নিজের লোকদের ভুলে যায় এবং সে তার নিজের লোকদের থেকে মেলামেশা বন্ধ করে আলাদা থাকে। সে তখন নিজেকে  সাধারণ লোকদের থেকে আলাদা ভাবতে শুরু করে। এই জন্যই আমি খুব সহজেই ইঁদুরটিকে খুঁজে বের করতে পেরেছে। শিকারির কথায় ধনী ব্যক্তিটি অনেক অবাক হয়ে যায়।

বর্তমান সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে, যাদের আচরণ পরিলক্ষিত হয় যা তার যোগ্যতার চেয়ে যখন সে অনেক বেশি পেয়ে যায়, এরাই হলো প্রকৃত ছোটলোক।

আরো পড়ুনঃ আমি বাজারে কিছু কিনতে গেলে প্রায়ই ঠকে আসি, একটু চালাক হব কিভাবে?

আপনার সঠিক সময়ের সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে নেওয়া উচিত। ibrahimhossain.com

আপনার সঠিক সময়ের সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে নেওয়া উচিত।


আপনাকে কিছু কথা বলার পূর্বে ছোট্ট একটা গল্প বলি

একটি পাত্রের মধ্যে পানি রেখে তার ভিতরে একটি ব্যাঙ রাখা হল। এবার পাত্রটি চুলার উপরে রেখে পানি গরম করা শুরু করা হলো।

পানির তাপমাত্রা যখন আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকলো, তখন ব্যাঙ টি ও তার শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে সহনীয় পর্যায়ে নিতে শুরু করলো। যদিও সে ইচ্ছা করলে পাত্রটি থেকে লাফ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারত কিন্তু সে সেটা না করে , সে সহ্য করতে থাকে।

তাপমাত্রা যখন ক্রমাগত বাড়তে থাকে, তখন ব্যাঙ টা সিদ্ধান্ত নেয় সে পাত্রটি থেকে লাভ দিবে কিন্তু সে যখন লাফ দিতে চায়, তখন সে আর লাফ দিতে পারছিল না। কারন তার শরীরে আর আগের মত যতেষ্টো শক্তি ছিলনা। পানির তাপমাত্রা যখন আরো বেড়ে যায় তখন সে একটা সময় পাত্রের মধ্যেই মারা যায়।

এখন আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় ব্যাঙ টি কিভাবে মারা গেল? এর উত্তরে আপনি কি জবাব দিবেন!

আপনি বা অধিকাংশ মানুষই বলবে ব্যাঙ টি গরম পানির কারণে মারা গিয়েছে। কিন্তু আমি যদি বলি ব্যাঙ টি গরম পানির কারণে মারা যায়নি। সে মারা গিয়েছে শুধু তার একটি সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে।

এটাকে ভালোভাবে বোঝাতে গেলে, ব্যাঙ টি লাফ দেওয়ার জন্য যেই সময়টা বেছে নিয়েছিল ওই সময়টা তার জন্য সঠিক সময় ছিল না। সে লাফ দেওয়ার জন্য যদি পূর্বে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে লাফ দিত তাহলে আর তাকে এই পাত্রের মধ্যে মরতে হতো না।

আপনার সঠিক সময়ের সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে নেওয়া উচিত। ibrahimhossain.com

এই গল্পটি বলার কারণ হচ্ছে, আপনার জীবনে যত বড় সমস্যা আসুক না কেন আপনাকে আপনার সমস্যা দেখে বুঝে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাহলেই আপনি আপনার জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

রাতে ঘুমানোর আগে এই অভ্যাস গুলো করুন, আপনার জীবন পাল্টে যাবে। ibrahimhossain.com

রাতে ঘুমানোর আগে এই অভ্যাস গুলো করুন, আপনার জীবন পাল্টে যাবে।


আপনার জীবনকে সুন্দর করে গোছানোর জন্য নিম্নোক্ত অভ্যাসগুলো অনুসরণ করা উচিতঃ

১। রাতে ঘুমানোর জন্য বিছানায় যাওয়ার পূর্বে সর্বদা আপনার হাত পা ভালো করে ধুয়ে নিবেন। মুসলিম হলে ওযু করে নিবেন। তবে গোসল করে ঘুমালে বেশি ভালো হয়।


২। আপনি রাতে খাবার খাওয়ার ২০ মিনিট পূর্বে এবং পরে কখনোই পানি পান করবেন না। আপনি এই পদ্ধতিটা মাত্র ১০ দিন অনুসরণ করে দেখেন। মাত্র ১০ দিন পরে আপনি নিজের পরিবর্তন দেখতে পারবেন।


৩। ঘুমানোর আগে আপনি কখনোই যৌন জাতীয় বিষয়বস্তু দেখবেন না বা চিন্তাও করবেন না। যদি ভুল বসত আপনার মাথায় চলে আসে তাহলে, আপনি এটাকে ভেবে নিবেন এটি মোটেও ভালো জিনিস নয়, এগুলো ভাবা উচিত নয়।


৪। আপনি যেখানে ঘুমান ওই বিছানা থেকে আপনার মোবাইল ফোনটি কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ফিট দূরে রাখুন এবং আপনার মোবাইলের ওয়াইফাই অথবা ডাটা কানেকশন বন্ধ রাখুন। অনেক গবেষণায় ফোন কাছে রেখে ঘুমালে, শরীরের নানা ধরনের খারাপ প্রভাব দেখা দেখা দিয়েছে।


৫। আপনি যদি উঁচু বালিশে ঘুমাতে পছন্দ করেন তাহলে আজ থেকে উচ্চ বালিকা ঘুমানো বন্ধ করুন। উঁচু বালিশে ঘুমানো আপনার শরীরের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর। যতো সম্ভব নিচু বালিশে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।


৬। আপনার ঘরে আবছা আলো জাতীয় কিছু জ্বালিয়ে রাখুন, কখনোই অন্ধকার রুমে ঘুমাবেন না। এক্ষেত্রে আপনি ডিম-লাইট ব্যবহার করতে পারেন।


৭। আপনি কিভাবে ঘুমান? আপনার ঘুমানোর অবস্থান সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সব সময় সোজা পিঠে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।


৮। রাতে ঘুমানোর আগে আপনার ভবিষ্যতের পরিকল্পনা এবং লক্ষ্য সম্পর্কে প্রতিদিন ভাবুন এবং রাতে ঘুমানোর পরে আগামীকাল আপনাকে কি করতে হবে এটাও ভবুন।

আশা করি এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলো আপনার জীবন বদলে দিতে সাহায্য করবে।


আরো পড়ুনঃ মোবাইল মাথার কাছে নিয়ে ঘুমালে কি ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা হতে পারে? 

আমি বাজারে কিছু কিনতে গেলে প্রায়ই ঠকে আসি, একটু চালাক হব কিভাবে? ibrahimhossain.com

আমি বাজারে কিছু কিনতে গেলে প্রায়ই ঠকে আসি, একটু চালাক হব কিভাবে?


যারা বাজারে গিয়ে কিছু কিনে ঠকে আসে, তাদেরকে আপনি বোকা বলতে পারবেন না, কেননা আমাদের মধ্যে অনেক চালাক মানুষও আছে যারা বাজারে গিয়ে ঠকে আসে।

এটা কিন্তু আপনার দোষ নয়, যে ঠকায় এটা তার দোষ। কেননা সে জানেনা সে আপনাকে পণ্যের ভেতরে ভেজাল দেয়, এর কারণে তাঁর মৃত্যুর পরে পরকালে কত ভয়ংকর আজাব বা শাস্তি তার জন্য রাখা হয়েছে, সে জানে না।

সেটা যদি সে জানতো তাহলে, সে পণ্যের মধ্যে ভেজাল দেওয়ার আগে অন্তত ১০০ বার ভেবে নিতো। যারা এসব খারাপ অপকর্ম করে তারা এগুলো কিছুই ভাবে না।

অনেক অসাধু ব্যবসায়ী আছে, যারা পন্য ভালো দিলেও ওজনে কম দেয়। আবার অনেকে পন্যও ভালো দেয় এবং ওজনেও ঠিক মতো দেয়, কিন্তু পন্যের দাম অতিরিক্ত নিয়ে যায়। এর থেকে আপনি বুঝতে পারলেন যে, আপনি অসাধু ব্যবসায়ীদের থেকে বিভিন্ন ভাবে ঠকতে পারেন।


আপনি এই ভিডিওটি দেখলে বুঝতে পারবেন, আপনি কিভাবে অসাধু ব্যবসায়ীদের থেকে প্রতারিত হতে পারেন।


এখন মূল কথা হচ্ছে আপনি এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের থেকে প্রতারিত হওয়ার হাত থেকে কিভাবে বাঁচবেন?


আজকে আপনাকে কয়েকটি ট্রিক্সস্ বলবো, এগুলো যদি আপনি ফলো করেন তাহলে আশাকরি ভবিষ্যতে আর আপনি ঠকবেন না।


১। এক দোকান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় সকল বাজার করবেন না। কেননা আপনি প্রথম যে পন্যটি কিনবেন সেটার দাম হয়তো বা আপনার দরদাম করার পরে ৫ টাকা কামাবে, কিন্তু পরবর্তীতে আপনি যে পণ্যগুলো কিনবেন তার দাম কিন্তু আপনার কাছ থেকে বাড়িয়ে নিবে।


২। মাছ কেনার সময় আপনি প্রয়োজনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে অন্যরা কত করে কিনছে বা কত টাকা দিয়ে ক্রয় করছে এটা আপনি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখেন, তারপরে আপনি ব্যবসায়ীর সাথে দরদাম করে কিনবেন। তাহলে আশা করি আপনি ঠকবেন না।


৩। আপনি এক দোকানে না কিনে প্রয়োজনে কয়েকটি দোকানে সেই পণ্যটির দাম জিজ্ঞেস করুন, তারপরে যেখানে আপনি পণ্যের মান ভাল পাবেন এবং দাম কম পাবেন, সেখান থেকে কিনবেন। আবার দেখেন সস্তা পেয়ে বস্তা ভরবেন না কিন্তু।


৪। বিভিন্ন রাস্তার পাশে লঞ্চঘাটে এবং বাস স্ট্যান্ডে যে কোন ফল কেনার সময় বিক্রেতার হাতের দিকে আপনি নজর রাখবেন। কেননা সে কখন আপনাকে খারাপ ফল দিয়ে দেবে আপনি নিজেও টের পাবেন না কিন্তু পরবর্তীতে আপনি বাড়িতে এসে বুঝতে পারবেন যে আপনি ঠকেছেন। তখন আর আপনি চাইলেও কিছু করতে পারবেন না।


৫। আমরা যারা গ্রামে থাকি, তাদের গ্রামের বাজারে কিছু বিশ্বস্ত দোকান থাকে, যারা সব সময় মানুষের কাছ থেকে দাম কম রাখে। 

এর ফলে তাদের দোকানে বিক্রয় বেশি হয় এবং কাস্টমারও অনেক বেশি হয়। আপনার তেমন বিশ্বস্ত বা পরিচিত দোকান থাকলে সেখান থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করুন। 

আশা করি তারা আপনাকে ঠকাবে না। আমি এরকম আমার পরিচিত দোকান থেকে কেনার পরে অন্য সব দোকানে যাচাই করে দেখেছি, সেখানে বরং এর থেকে দাম আরো আমার কাছে বেশি চাচ্ছে।


৬। ইলেকট্রনিক্স কোন পণ্য কেনার আগে আপনি অবশ্যই ইন্টারনেট রিচার্জ করে পন্যের রিভিউ বা পণ্যের বিস্তারিত জেনে নিবেন, তারপরে ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনবেন। 


আশা করি আপনি যদি এই কয়েকটি আইডিয়া কাজে লাগাতে পারেন তাহলে আপনি ভবিষ্যতে আর ঠকবেন না।


আমাদের পোস্টটি কেমন লেগেছে আমাদেরকে জানাতে ভুলবেন না, নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাবেন। এই পোস্টটি আপনার কতটুকু হেল্পফুল মনে হয়েছে?

আপনি যদি মনে করেন আমাদের এই পোস্ট থেকে আপনি নতুন কিছু জানতে বা শিখতে পেরেছেন তাহলে, এখনি পোস্টটি শেয়ার করে অন্যকে জানিয়ে দিন।

সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি, সবাই ভাল এবং সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ!
অতিরিক্ত রাগ বা বিরক্তি উঠলে করণীয় কি? ibrahimhossain.com

অতিরিক্ত রাগ বা বিরক্তি উঠলে করণীয় কি?


আসলে সত্যি কথা বলতে মানুষের যে রাগ, এটাকে স্থির করা এতোটাও সম্ভব নয়। কারন প্রতিটি মানুষের রাগ বা ক্রোধ এক এক রকমের হয়ে থাকে। কারো রাগ বা বিরক্তি হলে সে নিজে নিজেই কন্ট্রোল করতে পারে। 

আবার অনেকে রাগ বা বিরক্তি হলে সে কিছুতেই নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না আর আজকের এই আর্টিকেলটি শুধু তাদের জন্য যারা নিজেকে স্থির রাখতে পারেন না।

নিচে ১১টি টিপস দেওয়া হল, এই ১১ টি টিপস আপনি ফলো করলে ইনশা-আল্লাহ আপনি আপনার রাগ বা বিরক্তি অনেকাংশে কমাতে পারবেন।

স্টেপ গুলো ফলো করুন:

১। আপনি যখন অতিরিক্ত রাগ বা বিরক্তি অনুভব করবেন তখন আপনি চুপ থাকতে শিখুন। নিজেকে কন্ট্রোল করে চুপ থাকুন। কেননা চুপ থাকলে আপনার ব্রেইন আস্তে আস্তে স্থির  হবে।


২। অতিরিক্ত রাগ বা ক্রোদের সময় আপনি অন্য কোনো ভালো স্মৃতি মনে করার চেষ্টা করুন যাতে আপনার রাগ বা বিরক্তি জিনিসটা আপনার ব্রেইন থেকে চলে যায়।


৩। আপনি যে বিষয়ে রাগ বা বিরক্তি অনুভব করতেছেন ওই বিষয়টিকে যতসম্ভব এড়ানোর চেষ্টা করুন।


৪। যখন আপনি অতিরিক্ত রাগ বা বিরক্তি অনুভব করবেন তখন এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে আপনি এক গ্লাস পানি পান করুন।


৫। অতিরিক্ত রাগ বা বিরক্তি অনুভব করলে একটু হাঁটাহাঁটি করুন।

৬। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পর, এক জায়গায় স্থির হয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকুন।


৭। কারো সাথে রাগ বা বিরক্তি অনুভব করলে সাথে সাথে তার কথার উত্তর দিবেন না, কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে তারপর তার সাথে কথা বলুন। রাগ উঠলে তা সাথে সাথে দেখাবেন না। একটু ধৈর্য ধরে আপনার রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করুন।


৮। কারো সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হলে, প্রতিবাদ করার চেয়ে প্রতিরোধ করাই হলো উত্তম কাজ।


৯। অতিরিক্ত রাগ বা ক্রোধ বা বিরক্তি হলে আপনি আপনার পছন্দের খাবার গুলো খেতে পারেন।


১০। আপনি যদি দেখেন যে, আপনার অতিরিক্ত রাগ বা ক্রোধ, আপনি কিছুতেই কন্ট্রোল করতে পারতেছেন না তাহলে, একলা ঘরে দরজা বন্ধ করে ৪০ থেকে ৬০ মিনিট বসে থাকুন।


১১। আপনি যদি মুসলিম হন তাহলে এই শেষের স্টেপটি ফলো করতে পারেন। এটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী হবে। আপনার যখন অতিরিক্ত রাগ বা ক্রোধ বা বিরক্তি অনুভব হবে তখন আপনি কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন এবং নফল নামাজ আদায় করতে পারেন। ( ফরজ নামাজ বাকি থাকলে প্রথমে ফরজ নামাজ পড়ে নেবেন )।


আশা করি, আপনি এই ১১ টি স্টেপ ফলো করলে ইনশাআল্লাহ অতিরিক্ত রাগ বা ক্রোধ বা বিরক্তি কমে যাবে।

Older Posts Home

Follow Us

  • Home
  • About
  • Contact
  • Home
  • Blogger
  • Wordpres
  • Adsense
  • Seo Tips

আজ আমরা আমাদের সমাজে প্রচলিত ১২৮ টি কুসংস্কার জানবো। কুসংস্কার মানা, অপরকে মানতে বলা, মুরুব্বীরা করেছেন তাই মানা, শিরকের অন্তর্ভুক্ত। কেউ যদি কোন আমল করে যার আদেশ নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেননি তা হল বাতিল।



সমাজে প্রচলিত ১২৮ টি কুসংস্কার | Somaje Procholito 128 Ti Kusongskor

সমাজে প্রচলিত ১২৮ টি কুসংস্কার | Somaje Procholito 128 Ti Kusongskor




১। ঘর থেকে বের হয়ে বিধবা নারী চোখে পড়লে, যাত্রা অশুভ হবে মনে করা।



২। ঘরের চৌকাঠে বসা যাবে না মনে করা।



৩। প্রেম ভালবাসায় কোন পাপ নেই মনে করা।



৪। বিধবা নারীকে সাদা কাপড় পরিধান করতে হয় মনে করা।



৫। ভাঙ্গা আয়নায় চেহারা দেখা যাবে না মনে করা।



৬। ডান হাতের তালু চুলকালে টাকা আসবে আর বাম হাতের তালু চুলকালে বিপদ আসবে মনে করা।



৭। মানুষ মারা গেলে আকাশের তারা হয়ে যায় মনে করা।



৮। পীরেরা কবরে জীবিত তারা মুরিদদের বিপদে সাহায্য করে মনে করা।



৯। চোখে গোটা হলে ছোট বাচ্চাদের নুনু ছোঁয়ালে সুস্থ হয়ে যায় মনে করা।



১০। আশ্বিন মাসের নারী বিধবা হলে আর কোনদিন বিবাহ্ হবে না মনে করা।



১১। পাগলা কুকুর মানুষকে কামড়ালে মানুষের পেটে কুকুরের বাচ্চা হয় বলে মনে করাও একটি প্রচলিত কুসংস্কার।



১২। রাতের বেলা কাউকে সুঁই সুঁতা দিতে নেই মনে করা।



১৩। ব্যবহার করা গেঞ্জি বা গামছা ছিড়ে গেলে সেলাই করতে নেই বলে মনে করাও একটি কুসংস্কার।



১৪। খালি ঘরে সন্ধ্যাবাতি দিতে হয়, না হলে ঘরে বিপদ আসে মনে করা।



১৫। কদম বুচি বা পায়ে ধরে চুমা বা সালাম করাকে ইসলামী বিধান মনে করা।



১৬। মহিলার পেটে বাচ্চা থাকলে কিছু কাটাকাটি বা জবেহ্ করা যাবে না মনে করা।



১৭। পাতিলের মধ্যে খাবার থাকা অবস্থায় তা খেলে পেট বড় হয়ে যাবে মনে করা।



১৮। বিড়াল মারলে ২ কেজি ৫০০ গ্রাম / আড়াই কেজি লবণ দিতে হয় বলে মনে করা।



১৯। বাচ্চাদের শরীরে লোহা বা তাবিজ থাকতে হবে মনে করা।



২০। ছোটরাই শুধু বড়দের সালাম দিবে, বড়রা সালাম দিবে না মনে করা।



২১। বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেললে সুন্দর দাঁত উঠে মনে করা।



২২। দিনের প্রথম উপার্জন হাতে পাওয়ার পর তাতে চুমু দিতে হয় মনে করা।



২৩। কাউকে দেখে বলা আপনার কথা হচ্ছিল আপনার হায়াত আছে, এমন কথা বলা কুসংস্কার। 



২৪। কোন বিশেষ পাখি দেখলে বা ডাকলে  আত্মীয় আসবে মনে করা।



২৫। বাড়ি থেকে বাহির হওয়ার সময় খালি কলস, কালো বিড়াল ও ঝাড়ু দেখলে যাত্রা অশুভ হবে মনে করা।



২৬। খাওয়ার পরে যদি কেউ মোচড় দেয় তবে খানা কুকুরের পেটে চলে যায় মনে করা।



২৭। ঘর থেকে বের হয়ে পেছনদিকে ফিরে তাকানো বা ডাকা অশুভ মনে করা।



২৮। খাবার খাওয়ার সময় কারো হেচকি উঠলে কেউ স্মরণ করেছে মনে করা।



২৯। বৃষ্টির সময় রোদ দেখা দিলে শিয়ালের বিয়ে হয় বা ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হবে মনে করা।



৩০। মায়ের পেটের দুই আপন ভাই ও বোন একসাথে মিলে মুরগী জবেহ্ করা যাবে না বলে মনে করা।



৩১। ঘরের ময়লা পানি রাতে বাহিরে ফেলা যাবে না মনে করা।



৩২। বাসর ঘরে স্ত্রীর নিকট হতে দেনমোহরের টাকা মাপ চেয়ে নিলে, তা আর দিতে হয় না মনে করা।



৩৩। খালি মুখে মেহমান ফেরত গেলে অমঙ্গল হয় বা কাউকে শুধু পানি দেওয়া উচিত না মনে করা।



৩৪। কোরআন মাজীদ হাত থেকে পড়ে গেলে আড়াই কেজি চাল বা লবণ দিতে হয় মনে করা।



৩৫। পরীক্ষার পূর্বে ডিম খাওয়া যাবে না খেলে পরীক্ষায় ডিম পাবে এমন মনে করা।



৩৬। মুরগির মাথা খেলে মা বাবার মৃত্যু দেখবে না মনে করা।



৩৭। জোড়া কলা খেলে যমজ সন্তান হবে বলে মনে করা।



৩৮। রোধে অর্ধেক শরীর রেখে বসলেই জ্বর হবে মনে করা।



৩৮। রাতে বাঁশ বা গাছ কাটা যাবে না মনে করা।



৩৯। রাতে গাছের পাতা ছিঁড়া যাবে না মনে করা।



৪০। হাত থেকে কিছু পড়ে গেলে বাড়িতে মেহমান আসবে বলে মনে করাও একটি কুসংস্কার।



৪১।  নতুন বউ কোন ভাল কাজ করলে শুভ লক্ষণ মনে করা।



৪২। নতুন স্ত্রীকে নরম স্থানে বসতে দিলে মেজাজ নরম থাকবে মনে করা।



৪৩। ফরজ গোসল ছাড়া ঘরের কোনো কাজ করা যাবে না বলে মনে করা।



৪৪। তিন রাস্তার মোড়ে বসতে নেই মনে করা।



৪৫। রাতে নখ, চুল ইত্যাদি কাটতে নেই মনে করা।



৪৬। মানুষ মরে গেলে ভুত হয় মনে করা।



৪৭। শকুন ডাকলে, বিড়াল কাঁদলে মানুষ মারা যাবে মনে করা।



৪৮। পেঁচা ডাকলে বিপদ আসবে মনে করা।



৪৯। কাউকে ধর্মের ভাই-বোন, মা-বাবা ডাকলেই আপন হয়ে যায় পর্দা লাগে না মনে করা।



৫০। হাশরের দিন পীরগন মুরিদদের জন্য সাফায়াত করবে মনে করা



৫১। নতুন স্ত্রীকে দুলাভাই কোলে করে ঘরে আনতে হবে মনে করা।



৫২। একবার মাথায় টাক খেলে দ্বিতীয়বার টাক দিতে হবে নতুবা শিং উঠবে মনে করা।



৫৩। খানা একবার নেওয়া যাবে না, দুই তিনবার নিতে হবে মনে করা।



৫৪। নতুন জামাই বাজার না করা পর্যন্ত একই খানা খাওয়াতে হবে মনে করা।



৫৫। নতুন স্ত্রীকে স্বামীর বাড়িতে প্রথম পর্যায়ে আড়াই দিন অবস্থান করতে হবে মনে করা।



৫৬। পাতিল এর মধ্যে খানা খেলে মেয়ে সন্তান হয় বা পেট বড় হয় মনে করা।



৫৭। পিতা-মাতা-সন্তান নেতা-নেত্রী বা পীরের ছবি ঘরে রাখলে বরকত হয় মনে করা।



৫৮। দোকান বা যেকোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বরকতের জন্য প্রতিদিন সকাল বেলায় গোলাপজল ও সন্ধ্যা বেলায় আগরবাতি জ্বালাতে হয় বলে মনে করা।



৫৯। দাঁত উঠতে বিলম্ব হলে সাত ঘরের চাল উঠিয়ে রান্না করে কাককে খাওয়াতে হবে এবং নিজেও খেতে হবে মনে করা।



৬০। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ঘর ঝাড়ু দেওয়ার পূর্বে কাউকে কোন কিছু দেওয়া যাবে না মনে করা।



৬১। রাতের বেলা কোন কিছু লেনদেন করা যাবে না মনে করা।



৬২। সকালবেলা প্রথম দোকান খুলে নগদ টাকার পন্য বিক্রয় না করে কাউকে বাকি দেওয়া যাবে না বলে মনে করা।



৬৩। দাঁড়িপাল্লা পায়ে লাগলে বা হাত থেকে নিচে পড়ে গেলে সালাম করতে হয় মনে করা।



৬৪। দোকানের টাকার বাক্স প্রতিদিন সকালে চুমা করতে হয় বলে মনে করা।



৬৫। গাড়ি বা রিকশা সকালে চালানো শুরু করার পূর্বে সালাম করে চালাতে হয় মনে করা।



৬৬। শুকুরের নাম মুখে নিলে চল্লিশ দিন মুখ নাপাক থাকে মনে করা।



৬৭। রাতের বেলা কাউকে চুন ধার দিলে চুন না বলে দই বলতে হয় মনে করা।



৬৮। বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তায় যদি হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় তাহলে যাত্রা অশুভ হবে মনে করা।



৬৯। অষ্টধাতুর আংটি বা বালা ব্যবহার করলে বাতজ্বর, রক্তচাপ ইত্যাদি অসুখ ভালো হয় মনে করা।



৭০। বিনা অজুতে বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহির নাম নিলে আড়াই টা পশম পড়ে যায় মনে করা।



৭১। নখ, চুল কেটে মাটিতে দাফন করতে হয় মনে করা।



৭২। মাথায় বা গালে হাত দিয়ে বসে থাকলে অসুখ হয় মনে করা।



৭৩। মহিলারা হাতে চুড়ি বা বালা না পরলে স্বামীর অমঙ্গল হয় মনে করা।



৭৪। স্ত্রী নাকে নাকফুল না রাখলে স্বামী বাচেনা মনে করা।



৭৫। দা, কাঁচি বা ছুরি ডেঙিয়ে গেলে হাত পা কেটে যাবে মনে করা।



৭৬। ছোট বাচ্চা ডেঙিয়ে গেলে লম্বা হবে না মনে করা।



৭৭। গলায় কাটা বিঁধলে বিড়ালের পা ধরে মাফ চাইতে হয় বলে মনে করা।



৭৮। লেনদেনে জোড় সংখ্যা রাখা যাবেনা এক লক্ষ হলে এক লক্ষ এক টাকা ধার্য করতে হয় বলে মনে করা।



৭৯। দোকানে প্রথম কাস্টমার ফেরত দিতে নেই বা ফেরত দিলে অমঙ্গল হয় বলে মনে করা।



৮০। পুরুষদের রাগ দমন করার জন্য কান ছিদ্র করতে হয় মনে করা।



৮১। পায়ে মেহেদী ব্যবহার করা উচিত না  মনে করা।



৮২। মৃত ব্যক্তির রুহ্ ৪০ দিন বাড়িতে আসা যাওয়া করে মনে করা।



৮৩। মা-বাবা ছেলে-মেয়ের আকিকার গোশত খেতে পারবে না মনে করা।



৮৪। সমাজের বেশিরভাগ মানুষ যা করে তাই সঠিক মনে করা।



৮৫। পীর না ধরলে মুক্তি পাওয়া যাবে না, যার পীর নাই তার পীর শয়তান মনে করা। 



৮৬। নতুন ঘর, ব্যবসা শুরু করতে মিলাদ দিতে হয় মনে করা।



৮৭। রান্না করার জন্য হলুদ ধার দেওয়া যাবে না মনে করা।



৮৮। বদ নজর থেকে হেফাজতের জন্য শিশুর কপালের টিপ দিতে হয় মনে করা।



৮৯। গাছের ফল চুরি হলে গাছে আর ফল ধরবে না মনে করা।



৯০। মৃত ব্যক্তির জন্য চল্লিশা মৃত্যুবার্ষিকী না করলে মৃত আত্মা কষ্ট পায় মনে করা।



৯১। মৃত ব্যক্তির কবর জিয়ারতের সময় মোমবাতি আগরবাতি ফুল দিতে হয় মনে করা।



৯২। জামা গায়ে থাকা অবস্থায় সেলাই করলে অসুখ হয় মনে করা।



৯৩। বিয়ের পর মুরব্বিদের দাঁড়িয়ে সালাম করতে হয়, পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে হয় মনে করা।



৯৪। ঈদের রাতে শবে বরাতের রাতে মৃত আপন জনের আত্মা ঘরে আসি মনে করা।



৯৫। স্বামীর নাম শ্বশুরের নাম উচ্চারণ করা যাবে না মনে করা।



৯৬। মন ভাঙ্গা আর মসজিদ ভাঙ্গা সমান এটা মনে করা।



৯৭। বিড়াল মারলে লবণ ও গামছা সদগা দিতে হয় মনে করা।



৯৮। দোয়া করতে হুজুর ডাকতে হয়, নিজে না করাই ভাল মনে করা।



৯৯। মেয়ে সন্তান হয় স্ত্রীর দোষে এটা মনে করা।



১০০। জন্মের পর বার বার সন্তান মারা গেলে অরুচিকর নাম রাখলে সন্তান বেঁচে যায় মনে করা।



১০১। বুড়া বয়সে হজ্জ্ব করা উচিত, যুবক বয়সে হজ্জ্ব করা যায় না মনে করা।



১০২। রাস্তার পাশে কবর মাজার দেখলে ভক্তিসহকারে দূর থেকে চুমা করতে হয় মনে করা।



১০৩। মাজারে শিন্নি দিতে হয়, মুরগি খাঁসি দান করতে হয় মনে করা।



১০৪। চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলা কিছু কাটলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হয় মনে করা।



১০৫। ১৩ সংখ্যাকে অশুভ আর ৭ সংখ্যাকে শুভ মনে করাও হল একটি কুসংস্কার।



১০৬। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর এই কুসংস্কার বিশ্বাস করা।



১০৭। শবে বরাতে হালুয়া রুটি বানালে আরশের নিচে ছায়া হবে মনে করা।



১০৮। দোকানে ঝাড়ু দেওয়ার পূর্বে ভিক্ষা দেওয়া বা বেচাকেনা করা যাবেনা মনে করা।



১০৯। প্রজাপতিকে পানি পান করালে মৃত ব্যক্তিকে পানি পান করানো হয় মনে করা।



১১০। জবাইকৃত মুরগির পেটে ডিম বাড়িতে তৈরি প্রথম পিঠা অবিবাহিত মেয়েরা খাওয়া ঠিক নয় মনে করা।



১১১। স্ত্রী স্বামীর থেকে তালাক নিলে দেনমোহর দিতে হয় না মনে করা।



১১২। গর্ভবতী মহিলা সর্বদা লোহা, ম্যাচের কাঠি, রসুন সাথে রাখতে হয় নতুবা অমঙ্গল হয় মনে করা।



১১৩। শালি দুলাভাই আপন ভাই বোনের মতো, পর্দা লাগেনা মনে করা।



১১৪। বাচ্চা বিছানায় পেশাব করলে তাবিজ দিতে হয় মনে করা।



১১৫। কেউ হঠাৎ ভয় পেলে বুকে থুথু দিতে হয় মনে করা।



১১৬। কবরস্থান এর সামনে গিয়ে কবরের দিকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করা নিষেধ বলে মনে করা।



১১৭। যে ঘরে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় সেইঘর চল্লিশ দিন নাপাক থাকে মনে করা।



১১৮। পীরের নাম মনে করে গাড়ি চালালে বিপদ-আপদ হয়না মনে করা।



১১৯। সকালে গাড়ি চালানোর শুরুর পূর্বে ড্রাইভারকে গাড়ি স্টিয়ারিং হুইলে চুমা করতে হয় মনে করা।



১২০। আল্লাহকে পেতে মাধ্যম লাগে আর সেই মাধ্যম হলো পীর মনে করা।



১২১। বড় বিপদ থেকে ফিরে আসলে সোনা-রুপা ভেজানো পানি দিয়ে গোসল করতে হয় বলে মনে করা।



১২২। মৃত ব্যাক্তির নখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানের চুল পরিষ্কার করে দিতে হয় মনে করা।



১২৩। 'ধর্ম যার যার উৎসব সবার' এই কুসংস্কার মানা।



১২৪। কোন বস্তু বা ব্যক্তি কে লক্ষ্মী বা শুভ বলে মনে করা।



১২৫। মৃত স্বামীকে তার স্ত্রী বা স্ত্রীকে তার স্বামী দেখতে, ধরতে বা গোসল দিতে পারবে না বলে মনে করা।



১২৬। মাগরিবের আযান দিলে দোকানপাট বা গাড়িতে সন্ধ্যার বাতি জ্বালাতে হয় মনে করা।



১২৭। আপন বাপ জীবিত থাকলেও বিয়েতে অন্য মুরব্বিকে উকিল বাপ বানাতে হয় মনে করা।



১২৮। রত্ন পাথর ব্যবহারে ভাগ্য পরিবর্তন হয়, ভাগ্যের শনির প্রভাব পড়ে, ভাগ্য হাতে লেখা থাকে মনে করা।




মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের সবাইকে সকল প্রকার কুসংস্কার কথা বলা এবং শোনা থেকে হেফাজত করুন। আমীন!



আপনি যদি এরকম আরো সুন্দর সুন্দর শিক্ষণীয় পোস্ট পেতে চান তাহলে এই পোস্ট এর নিচে একটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। ধন্যবাদ!

প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে সাতটি আমল যা আপনার জীবনকে বদলে দেবে। ibrahim blog

প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে সাতটি আমল যা আপনার জীবনকে বদলে দেবে।


১। আপনি ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই প্রতিদিন অজু করে বিছানায় যাবেন।

২। বিছানায় শুয়ে অবশ্যই প্রতিদিন ঘুমের দোয়া এবং ডান কাত হয়ে শোবেন।

৩। বিছানায় শুয়ে আয়াতুল কুরসি ও সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবেন।

৪। সূরা ফাতিহা ও সূরা কাফিরুন পড়বেন।

৫। তিন কুল অর্থাৎ সূরা ইখলাস, নাস ও সূরা ফালাক, তিনবার করে পাঠ করবেন।

৬। সুবহান আল্লাহ্ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ্ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবার ৩৪ বার করে প্রতিদিন পাঠ করবেন।

৭। সূরা মূলক ও ইস্তেগফার পড়বেন।

সমাজে প্রচলিত ১২৮ টি কুসংস্কার


শেষ কথা

আপনি যদি প্রতিদিন এই আমলগুলো নিয়মিত করেন। তাহলে আপনি কয়েক দিনের মধ্যে আপনার পরিবর্তন আপনি নিজেই দেখতে পারবেন।
যখন আপনার সাথে কেউ নিজের ভুল স্বীকার না করে তর্ক করে, তখন আপনার কি করা উচিত? Kew Ojotha Torke Jorale Ki Korben ?


যখন আপনার সাথে কেউ নিজের ভুল স্বীকার না করে তর্ক করে, তখন আপনার কি করা উচিত?


আপনার সাথে কেউ অযথা তর্কে লিপ্ত হলে তখন আপনি কি করবেন?


এটা বলার আগে আপনাকে ছোট্ট একটা গল্প বলি। একদিন একটি গাধা জঙ্গলের মধ্যে একা একা ঘাস খাচ্ছিলো। তখন সেই পথ দিয়ে একটি বাঘ যাচ্ছিল এবং বাঘটি দেখতে পেল গাধাটি একা একা ঘাস খাচ্ছে, তখন বাঘটি গাধাটাকে জিজ্ঞেস করলো এই গাধা তুমি কি খাচ্ছ? 


গাধাটা তার প্রশ্নের উত্তর দিলো আমি ঘাস খাচ্ছি, তখন বাঘটি বলল তোমার ঘাস খাওয়া হলে আমি তোমাকে খাবো। তখন গাধাটি ভীত হয়ে বাঘটিকে বলল আপনি আমাকে খাবেন না, আপনি আমাকে দয়া করে ছেড়ে দিন। 


বাঘটি বলল আচ্ছা তোমাকে আমি এক শর্তে ছাড়তে পারি, তুমি বলতো তুমি যে ঘাস খাচ্ছো সেই ঘাসের রং কি? গাধাটি তার প্রশ্নের উত্তরে বললো ঘাসের রঙ হচ্ছে নীল এবার বাঘ খেপে গিয়ে বললো আমি তোমাকে খেয়ে ফেলবো। 


গাধাটি বলল আমি তো আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি, তাহলে আপনি আমাকে কেন খাবেন? তখন বাঘটি বলল তুমি যে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছো এটি ভুল ঘাসের রং হচ্ছে সবুজ। গাধাটি এবার জোর গলায় বললো, না ঘাসের রং হচ্ছে নীল। বাঘ বলে, না ঘাসের রং সবুজ। 


এভাবে তাদের মধ্যে অনেক বড় ঝগড়া শুরু হয়ে গেল, এবার বাঘ বললো আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে জঙ্গলের রাজা সিংহ মশায়ের কাছে চলো সে আমাদের বিচার করে দেবে, গাধাটি বললো আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে চলো রাজা মশাইয়ের কাছে। 


গধাটি আগে আগে গিয়ে রাজামশাই কে বললো, রাজামশাই! রাজামশাই! আপনি বলেন তো ঘাসের রং নীল কিনা? রাজামশাই বলল-হ্যাঁ ঘাসের রং নীল এরপর গাধাকে বললো, আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে তুমি চলে যাও। 


এবার বাঘকে সিংহ বললো তোমাকে শাস্তি দেওয়া হল। এটা শুনে বাঘটি রাজামশাই কে জিজ্ঞেস করল রাজামশাই আমি যে উত্তর দিয়েছি আমারটা তো সঠিক ছিল ঘাসের রংতো সবুজ, তাহলে আপনি আমাকে কেন শাস্তি দিলেন? 


Learn more... একটি ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্প


তখন রাজা মশাই বলল হ্যাঁ তোমার উত্তর সঠিক কিন্তু তোমাকে কেন শাস্তি দিয়েছি সেটা কি তুমি জানো? তোমার উত্তর সঠিক নাকি ভুল, আমি এই জন্য তোমাকে শাস্তি দেই নি, আমি তোমাকে শাস্তি দিয়েছি তুমি মূর্খের সাথে কেন তর্ক করতে গেলে।


আপনি এই গল্পটি থেকে কি শিক্ষা পেয়েছেন? আপনি অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে তর্কে লিপ্ত হওয়ার আগে, আপনি কার সাথে তর্কে লিপ্ত হচ্ছেন সেটি বিবেচনা করা উচিত। কারণ মূর্খের সাথে তর্কে লিপ্ত হওয়া মানে আপনি তার থেকেও অতি মূর্খ।

একটি ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্প | Ekti Islamic Shikkhonio Golpo


একটি ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্প | Ekti Islamic Shikkhonio Golpo


একদিন একজন কৃষক মাঠে কাজ করতেছিল, ওই সময়ে এক অপূর্ব সুন্দরী নারী কৃষককে ডেকে বলল আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই। কৃষক সেই নারীর চেহারা দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়, সে কিছু না ভেবেই রাজি হয়ে যায়। 


কৃষক অপূর্ব সুন্দরী নারীকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে কাজী অফিসে নিয়ে যায়। কাজী অফিসে গিয়ে কাজীকে ডেকে বললো আমাদের দুজনকে বিয়ে  দিয়ে দাও। 


কাজী এই নারীর চেহারা দেখে কাজী নিজেও মুগ্ধ হয়ে যায়, কাজী কৃষককে বলে উঠল এই ব্যাটা তুই তো এই নারীর যোগ্যই না, আমি এই অপূর্ব সুন্দরী নারীকে বিয়ে করব। 


এই বলে কৃষক এবং কাজীর মধ্যে ঝগড়া লেগে গেল। কাজী এবং কৃষক দুজনে মিলে বিচার নিয়ে গেল বাদশাহের কাছে। এবার বাদশা সেই নারীর চেহারা দেখে সে নিজেও মুগ্ধ হয়ে যায়। 


সমাজে প্রচলিত ১২৮ টি কুসংস্কার


এবার বাদশা দুজনকে বলে উঠলো তোরা দুজনেই এই নারীর যোগ্য না, শুধু আমি এই অপূর্ব সুন্দরী নারীকে বিয়ে করব। এরপর সেই সুন্দরী নারীকে জিজ্ঞেস করা হল, তুমি নিজেই সিদ্ধান্ত দাও তুমি কাকে বিয়ে করবে? 


সুন্দরী নারী বললো, তোমাদের তিনজনের মধ্যে যে আমাকে দৌড়ে ধরতে পারবে আমি শুধু তাকেই বিয়ে করবো। সুন্দরী নারীর কথা শুনে সবাই রাজি হয়ে গেল এবং তার পিছে পিছে কৃষক কাজী বাদশা তিনজনেই দৌড়াতে শুরু করলো। 


অনেকক্ষণ পিছন পিছন দৌড়াতে দৌড়াতে কাজী এবং কৃষক দুজনে মারা গেল। বাকি ছিল শুধু বাদশা, বাদশা নারীটিকে বলল এখন তো শুধু আমি একাই আছি চলো তুমি আর আমি বিয়ে করে ফেলি! তখন সুন্দরী নারী বললো না আগে আমাকে দৌড়ে ধরো তারপরে বিবাহ করিবে। 


তখন সুন্দরী নারীর কথা শুনে বাদশাহ্ চমকে গিয়ে সেই নারীকে বললো হে সুন্দরি নারী তুমি কে, কি তোমার পরিচয়? তখন সেই নারী বললো, আমি হলাম দুনিয়া। 


প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে সাতটি আমল যা আপনার জীবনকে বদলে দেবে।


আমার মধ্যে আছে শুধু চাকচিক্য, মোহ্ এবং লোভ-লালসায় ভরা। আমার পিছে যারাই দৌড়াবে তারাই শুধু এভাবে মরবে, বিনিময়ে তারা কিছুই পাবে না। এই থেকে বোঝা যায় লোভ মানুষকে ধ্বংস করে, লোভে পাপ পাপে মৃত্যু। 


তাই সময় থাকতে তুমি আল্লাহর দিকে ফিরে যাও। সৌভাগ্য ফিরবে তোমার দিকে, পৃথিবীর সব সম্পর্কের শেষ আছে কিন্তু বান্দার সাথে আল্লাহর সম্পর্ক কোন শেষ নেই। 


পৃথিবীতে তুমি যদি কাউকে বারবার ডাকো সে বিরক্ত হয়, রাগ হয় কিন্তু আল্লাহকে তুমি যত খুশি ডাকবে, আল্লাহ ততো বেশি খুশি হবেন। 


তাই সময় থাকতে আল্লাহর দিকে ফিরে আসো, নামাজ পড়ো আল্লাহ তোমায় সঠিক পথ দেখাবে, ইনশা-আল্লাহ।

ছোটলোক চেনার সহজ উপায় ibrahimhossain.com

ছোটলোক চেনার সহজ উপায় কি?

ছোটলোক চেনার আগে ছোট্ট একটা গল্প বলি, একদিন এক ধনী লোক তার ঘরের খাটের নিচে অনেক গুলো হীরার টুকরা রাখে, সেখান থেকে একটি ইঁদুর একটা হীরার টুকরা ভুল করে গিলে ফেলে।

ইঁদুরটি তার হীরের টুকরোটা গিলে ফেলার কারণে তার রাতে ঘুম হয়না। সে সারারাত ধরে চিন্তা করতে লাগলো, সে ইঁদুরটাকে মেরে তার পেট থেকে হীরের টুকরো বের করবে।

এরপর ধনী লোকটি সকাল হতেই ইঁদুর শিকারীর খোঁজে বেরিয়ে পড়লেন। সে এক লোককে পেল যে ইঁদুর শিকার করে, ধনী লোকটি তাকে বললো আপনি যদি ইঁদুরটিকে মেরে তার পেট থেকে আমার হিরের টুকরাটা উদ্ধার করে দিতে পারেন, তাহলে আপনাকে আমি আপনার পরিশ্রমের ন্যায্য মূল্য দেব, এই বলে ধনী লোকটি ইঁদুর শিকারিকে তার বাড়িতে নিয়ে গেলো।

শিকারি যখন ইদুর মারার জন্য ইদুরের বাসস্থানে গিয়ে পৌঁছায়, সে তখন দেখে সেখানে শত শত ইঁদুর একে অন্যের সঙ্গে গায়ে গা লাগিয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে কেউ বা আবার বসে আছে। শিকারি আর একটা ইঁদুরকে দেখল, সেই ইঁদুরটা একা এক জায়গায় চিৎ হয়ে শুয়ে আছে।

শিকারি ওই একা থাকা ইঁদুরটিকে তাক করে ধরে তার পেট চিরে হিরা বের করে হীরের মালিকের কাছে বুঝিয়ে দেয়। শিকারি তার নিজের পারিশ্রমিক বুঝে নেওয়ার পরে যখন সে সেখান থেকে চলে যাবে তখন সেই ধনী লোকটি তাকে জিজ্ঞাসা করল, ভাই এতগুলো ইঁদুরের মধ্যে তুমি কিভাবে বুঝতে পারলে যে ওই ইঁদুরটাই হেরে গিলেছে এবং ওর পেটেই হিরা আছে?

শিকারি তখন ধনী লোকটিকে বলল এটাতো অনেক সহজ! মূর্খ যখন হঠাৎ করে বিত্তবান হয়ে যায়, তখন সে তার নিজের লোকদের ভুলে যায় এবং সে তার নিজের লোকদের থেকে মেলামেশা বন্ধ করে আলাদা থাকে। সে তখন নিজেকে  সাধারণ লোকদের থেকে আলাদা ভাবতে শুরু করে। এই জন্যই আমি খুব সহজেই ইঁদুরটিকে খুঁজে বের করতে পেরেছে। শিকারির কথায় ধনী ব্যক্তিটি অনেক অবাক হয়ে যায়।

বর্তমান সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে, যাদের আচরণ পরিলক্ষিত হয় যা তার যোগ্যতার চেয়ে যখন সে অনেক বেশি পেয়ে যায়, এরাই হলো প্রকৃত ছোটলোক।

আরো পড়ুনঃ আমি বাজারে কিছু কিনতে গেলে প্রায়ই ঠকে আসি, একটু চালাক হব কিভাবে?

আপনার সঠিক সময়ের সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে নেওয়া উচিত। ibrahimhossain.com

আপনার সঠিক সময়ের সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে নেওয়া উচিত।


আপনাকে কিছু কথা বলার পূর্বে ছোট্ট একটা গল্প বলি

একটি পাত্রের মধ্যে পানি রেখে তার ভিতরে একটি ব্যাঙ রাখা হল। এবার পাত্রটি চুলার উপরে রেখে পানি গরম করা শুরু করা হলো।

পানির তাপমাত্রা যখন আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকলো, তখন ব্যাঙ টি ও তার শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে সহনীয় পর্যায়ে নিতে শুরু করলো। যদিও সে ইচ্ছা করলে পাত্রটি থেকে লাফ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারত কিন্তু সে সেটা না করে , সে সহ্য করতে থাকে।

তাপমাত্রা যখন ক্রমাগত বাড়তে থাকে, তখন ব্যাঙ টা সিদ্ধান্ত নেয় সে পাত্রটি থেকে লাভ দিবে কিন্তু সে যখন লাফ দিতে চায়, তখন সে আর লাফ দিতে পারছিল না। কারন তার শরীরে আর আগের মত যতেষ্টো শক্তি ছিলনা। পানির তাপমাত্রা যখন আরো বেড়ে যায় তখন সে একটা সময় পাত্রের মধ্যেই মারা যায়।

এখন আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় ব্যাঙ টি কিভাবে মারা গেল? এর উত্তরে আপনি কি জবাব দিবেন!

আপনি বা অধিকাংশ মানুষই বলবে ব্যাঙ টি গরম পানির কারণে মারা গিয়েছে। কিন্তু আমি যদি বলি ব্যাঙ টি গরম পানির কারণে মারা যায়নি। সে মারা গিয়েছে শুধু তার একটি সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে।

এটাকে ভালোভাবে বোঝাতে গেলে, ব্যাঙ টি লাফ দেওয়ার জন্য যেই সময়টা বেছে নিয়েছিল ওই সময়টা তার জন্য সঠিক সময় ছিল না। সে লাফ দেওয়ার জন্য যদি পূর্বে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে লাফ দিত তাহলে আর তাকে এই পাত্রের মধ্যে মরতে হতো না।

আপনার সঠিক সময়ের সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে নেওয়া উচিত। ibrahimhossain.com

এই গল্পটি বলার কারণ হচ্ছে, আপনার জীবনে যত বড় সমস্যা আসুক না কেন আপনাকে আপনার সমস্যা দেখে বুঝে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাহলেই আপনি আপনার জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

রাতে ঘুমানোর আগে এই অভ্যাস গুলো করুন, আপনার জীবন পাল্টে যাবে। ibrahimhossain.com

রাতে ঘুমানোর আগে এই অভ্যাস গুলো করুন, আপনার জীবন পাল্টে যাবে।


আপনার জীবনকে সুন্দর করে গোছানোর জন্য নিম্নোক্ত অভ্যাসগুলো অনুসরণ করা উচিতঃ

১। রাতে ঘুমানোর জন্য বিছানায় যাওয়ার পূর্বে সর্বদা আপনার হাত পা ভালো করে ধুয়ে নিবেন। মুসলিম হলে ওযু করে নিবেন। তবে গোসল করে ঘুমালে বেশি ভালো হয়।


২। আপনি রাতে খাবার খাওয়ার ২০ মিনিট পূর্বে এবং পরে কখনোই পানি পান করবেন না। আপনি এই পদ্ধতিটা মাত্র ১০ দিন অনুসরণ করে দেখেন। মাত্র ১০ দিন পরে আপনি নিজের পরিবর্তন দেখতে পারবেন।


৩। ঘুমানোর আগে আপনি কখনোই যৌন জাতীয় বিষয়বস্তু দেখবেন না বা চিন্তাও করবেন না। যদি ভুল বসত আপনার মাথায় চলে আসে তাহলে, আপনি এটাকে ভেবে নিবেন এটি মোটেও ভালো জিনিস নয়, এগুলো ভাবা উচিত নয়।


৪। আপনি যেখানে ঘুমান ওই বিছানা থেকে আপনার মোবাইল ফোনটি কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ফিট দূরে রাখুন এবং আপনার মোবাইলের ওয়াইফাই অথবা ডাটা কানেকশন বন্ধ রাখুন। অনেক গবেষণায় ফোন কাছে রেখে ঘুমালে, শরীরের নানা ধরনের খারাপ প্রভাব দেখা দেখা দিয়েছে।


৫। আপনি যদি উঁচু বালিশে ঘুমাতে পছন্দ করেন তাহলে আজ থেকে উচ্চ বালিকা ঘুমানো বন্ধ করুন। উঁচু বালিশে ঘুমানো আপনার শরীরের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর। যতো সম্ভব নিচু বালিশে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।


৬। আপনার ঘরে আবছা আলো জাতীয় কিছু জ্বালিয়ে রাখুন, কখনোই অন্ধকার রুমে ঘুমাবেন না। এক্ষেত্রে আপনি ডিম-লাইট ব্যবহার করতে পারেন।


৭। আপনি কিভাবে ঘুমান? আপনার ঘুমানোর অবস্থান সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সব সময় সোজা পিঠে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।


৮। রাতে ঘুমানোর আগে আপনার ভবিষ্যতের পরিকল্পনা এবং লক্ষ্য সম্পর্কে প্রতিদিন ভাবুন এবং রাতে ঘুমানোর পরে আগামীকাল আপনাকে কি করতে হবে এটাও ভবুন।

আশা করি এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলো আপনার জীবন বদলে দিতে সাহায্য করবে।


আরো পড়ুনঃ মোবাইল মাথার কাছে নিয়ে ঘুমালে কি ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা হতে পারে? 

আমি বাজারে কিছু কিনতে গেলে প্রায়ই ঠকে আসি, একটু চালাক হব কিভাবে? ibrahimhossain.com

আমি বাজারে কিছু কিনতে গেলে প্রায়ই ঠকে আসি, একটু চালাক হব কিভাবে?


যারা বাজারে গিয়ে কিছু কিনে ঠকে আসে, তাদেরকে আপনি বোকা বলতে পারবেন না, কেননা আমাদের মধ্যে অনেক চালাক মানুষও আছে যারা বাজারে গিয়ে ঠকে আসে।

এটা কিন্তু আপনার দোষ নয়, যে ঠকায় এটা তার দোষ। কেননা সে জানেনা সে আপনাকে পণ্যের ভেতরে ভেজাল দেয়, এর কারণে তাঁর মৃত্যুর পরে পরকালে কত ভয়ংকর আজাব বা শাস্তি তার জন্য রাখা হয়েছে, সে জানে না।

সেটা যদি সে জানতো তাহলে, সে পণ্যের মধ্যে ভেজাল দেওয়ার আগে অন্তত ১০০ বার ভেবে নিতো। যারা এসব খারাপ অপকর্ম করে তারা এগুলো কিছুই ভাবে না।

অনেক অসাধু ব্যবসায়ী আছে, যারা পন্য ভালো দিলেও ওজনে কম দেয়। আবার অনেকে পন্যও ভালো দেয় এবং ওজনেও ঠিক মতো দেয়, কিন্তু পন্যের দাম অতিরিক্ত নিয়ে যায়। এর থেকে আপনি বুঝতে পারলেন যে, আপনি অসাধু ব্যবসায়ীদের থেকে বিভিন্ন ভাবে ঠকতে পারেন।


আপনি এই ভিডিওটি দেখলে বুঝতে পারবেন, আপনি কিভাবে অসাধু ব্যবসায়ীদের থেকে প্রতারিত হতে পারেন।


এখন মূল কথা হচ্ছে আপনি এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের থেকে প্রতারিত হওয়ার হাত থেকে কিভাবে বাঁচবেন?


আজকে আপনাকে কয়েকটি ট্রিক্সস্ বলবো, এগুলো যদি আপনি ফলো করেন তাহলে আশাকরি ভবিষ্যতে আর আপনি ঠকবেন না।


১। এক দোকান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় সকল বাজার করবেন না। কেননা আপনি প্রথম যে পন্যটি কিনবেন সেটার দাম হয়তো বা আপনার দরদাম করার পরে ৫ টাকা কামাবে, কিন্তু পরবর্তীতে আপনি যে পণ্যগুলো কিনবেন তার দাম কিন্তু আপনার কাছ থেকে বাড়িয়ে নিবে।


২। মাছ কেনার সময় আপনি প্রয়োজনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে অন্যরা কত করে কিনছে বা কত টাকা দিয়ে ক্রয় করছে এটা আপনি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখেন, তারপরে আপনি ব্যবসায়ীর সাথে দরদাম করে কিনবেন। তাহলে আশা করি আপনি ঠকবেন না।


৩। আপনি এক দোকানে না কিনে প্রয়োজনে কয়েকটি দোকানে সেই পণ্যটির দাম জিজ্ঞেস করুন, তারপরে যেখানে আপনি পণ্যের মান ভাল পাবেন এবং দাম কম পাবেন, সেখান থেকে কিনবেন। আবার দেখেন সস্তা পেয়ে বস্তা ভরবেন না কিন্তু।


৪। বিভিন্ন রাস্তার পাশে লঞ্চঘাটে এবং বাস স্ট্যান্ডে যে কোন ফল কেনার সময় বিক্রেতার হাতের দিকে আপনি নজর রাখবেন। কেননা সে কখন আপনাকে খারাপ ফল দিয়ে দেবে আপনি নিজেও টের পাবেন না কিন্তু পরবর্তীতে আপনি বাড়িতে এসে বুঝতে পারবেন যে আপনি ঠকেছেন। তখন আর আপনি চাইলেও কিছু করতে পারবেন না।


৫। আমরা যারা গ্রামে থাকি, তাদের গ্রামের বাজারে কিছু বিশ্বস্ত দোকান থাকে, যারা সব সময় মানুষের কাছ থেকে দাম কম রাখে। 

এর ফলে তাদের দোকানে বিক্রয় বেশি হয় এবং কাস্টমারও অনেক বেশি হয়। আপনার তেমন বিশ্বস্ত বা পরিচিত দোকান থাকলে সেখান থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করুন। 

আশা করি তারা আপনাকে ঠকাবে না। আমি এরকম আমার পরিচিত দোকান থেকে কেনার পরে অন্য সব দোকানে যাচাই করে দেখেছি, সেখানে বরং এর থেকে দাম আরো আমার কাছে বেশি চাচ্ছে।


৬। ইলেকট্রনিক্স কোন পণ্য কেনার আগে আপনি অবশ্যই ইন্টারনেট রিচার্জ করে পন্যের রিভিউ বা পণ্যের বিস্তারিত জেনে নিবেন, তারপরে ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনবেন। 


আশা করি আপনি যদি এই কয়েকটি আইডিয়া কাজে লাগাতে পারেন তাহলে আপনি ভবিষ্যতে আর ঠকবেন না।


আমাদের পোস্টটি কেমন লেগেছে আমাদেরকে জানাতে ভুলবেন না, নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাবেন। এই পোস্টটি আপনার কতটুকু হেল্পফুল মনে হয়েছে?

আপনি যদি মনে করেন আমাদের এই পোস্ট থেকে আপনি নতুন কিছু জানতে বা শিখতে পেরেছেন তাহলে, এখনি পোস্টটি শেয়ার করে অন্যকে জানিয়ে দিন।

সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি, সবাই ভাল এবং সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ!
অতিরিক্ত রাগ বা বিরক্তি উঠলে করণীয় কি? ibrahimhossain.com

অতিরিক্ত রাগ বা বিরক্তি উঠলে করণীয় কি?


আসলে সত্যি কথা বলতে মানুষের যে রাগ, এটাকে স্থির করা এতোটাও সম্ভব নয়। কারন প্রতিটি মানুষের রাগ বা ক্রোধ এক এক রকমের হয়ে থাকে। কারো রাগ বা বিরক্তি হলে সে নিজে নিজেই কন্ট্রোল করতে পারে। 

আবার অনেকে রাগ বা বিরক্তি হলে সে কিছুতেই নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না আর আজকের এই আর্টিকেলটি শুধু তাদের জন্য যারা নিজেকে স্থির রাখতে পারেন না।

নিচে ১১টি টিপস দেওয়া হল, এই ১১ টি টিপস আপনি ফলো করলে ইনশা-আল্লাহ আপনি আপনার রাগ বা বিরক্তি অনেকাংশে কমাতে পারবেন।

স্টেপ গুলো ফলো করুন:

১। আপনি যখন অতিরিক্ত রাগ বা বিরক্তি অনুভব করবেন তখন আপনি চুপ থাকতে শিখুন। নিজেকে কন্ট্রোল করে চুপ থাকুন। কেননা চুপ থাকলে আপনার ব্রেইন আস্তে আস্তে স্থির  হবে।


২। অতিরিক্ত রাগ বা ক্রোদের সময় আপনি অন্য কোনো ভালো স্মৃতি মনে করার চেষ্টা করুন যাতে আপনার রাগ বা বিরক্তি জিনিসটা আপনার ব্রেইন থেকে চলে যায়।


৩। আপনি যে বিষয়ে রাগ বা বিরক্তি অনুভব করতেছেন ওই বিষয়টিকে যতসম্ভব এড়ানোর চেষ্টা করুন।


৪। যখন আপনি অতিরিক্ত রাগ বা বিরক্তি অনুভব করবেন তখন এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে আপনি এক গ্লাস পানি পান করুন।


৫। অতিরিক্ত রাগ বা বিরক্তি অনুভব করলে একটু হাঁটাহাঁটি করুন।

৬। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পর, এক জায়গায় স্থির হয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকুন।


৭। কারো সাথে রাগ বা বিরক্তি অনুভব করলে সাথে সাথে তার কথার উত্তর দিবেন না, কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে তারপর তার সাথে কথা বলুন। রাগ উঠলে তা সাথে সাথে দেখাবেন না। একটু ধৈর্য ধরে আপনার রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করুন।


৮। কারো সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হলে, প্রতিবাদ করার চেয়ে প্রতিরোধ করাই হলো উত্তম কাজ।


৯। অতিরিক্ত রাগ বা ক্রোধ বা বিরক্তি হলে আপনি আপনার পছন্দের খাবার গুলো খেতে পারেন।


১০। আপনি যদি দেখেন যে, আপনার অতিরিক্ত রাগ বা ক্রোধ, আপনি কিছুতেই কন্ট্রোল করতে পারতেছেন না তাহলে, একলা ঘরে দরজা বন্ধ করে ৪০ থেকে ৬০ মিনিট বসে থাকুন।


১১। আপনি যদি মুসলিম হন তাহলে এই শেষের স্টেপটি ফলো করতে পারেন। এটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী হবে। আপনার যখন অতিরিক্ত রাগ বা ক্রোধ বা বিরক্তি অনুভব হবে তখন আপনি কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন এবং নফল নামাজ আদায় করতে পারেন। ( ফরজ নামাজ বাকি থাকলে প্রথমে ফরজ নামাজ পড়ে নেবেন )।


আশা করি, আপনি এই ১১ টি স্টেপ ফলো করলে ইনশাআল্লাহ অতিরিক্ত রাগ বা ক্রোধ বা বিরক্তি কমে যাবে।

Older Posts Home

আজ আমরা আমাদের সমাজে প্রচলিত ১২৮ টি কুসংস্কার জানবো। কুসংস্কার মানা, অপরকে মানতে বলা, মুরুব্বীরা করেছেন তাই মানা, শিরকের অন্তর্ভুক্ত। কেউ যদি কোন আমল করে যার আদেশ নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেননি তা হল বাতিল।



সমাজে প্রচলিত ১২৮ টি কুসংস্কার | Somaje Procholito 128 Ti Kusongskor

সমাজে প্রচলিত ১২৮ টি কুসংস্কার | Somaje Procholito 128 Ti Kusongskor




১। ঘর থেকে বের হয়ে বিধবা নারী চোখে পড়লে, যাত্রা অশুভ হবে মনে করা।



২। ঘরের চৌকাঠে বসা যাবে না মনে করা।



৩। প্রেম ভালবাসায় কোন পাপ নেই মনে করা।



৪। বিধবা নারীকে সাদা কাপড় পরিধান করতে হয় মনে করা।



৫। ভাঙ্গা আয়নায় চেহারা দেখা যাবে না মনে করা।



৬। ডান হাতের তালু চুলকালে টাকা আসবে আর বাম হাতের তালু চুলকালে বিপদ আসবে মনে করা।



৭। মানুষ মারা গেলে আকাশের তারা হয়ে যায় মনে করা।



৮। পীরেরা কবরে জীবিত তারা মুরিদদের বিপদে সাহায্য করে মনে করা।



৯। চোখে গোটা হলে ছোট বাচ্চাদের নুনু ছোঁয়ালে সুস্থ হয়ে যায় মনে করা।



১০। আশ্বিন মাসের নারী বিধবা হলে আর কোনদিন বিবাহ্ হবে না মনে করা।



১১। পাগলা কুকুর মানুষকে কামড়ালে মানুষের পেটে কুকুরের বাচ্চা হয় বলে মনে করাও একটি প্রচলিত কুসংস্কার।



১২। রাতের বেলা কাউকে সুঁই সুঁতা দিতে নেই মনে করা।



১৩। ব্যবহার করা গেঞ্জি বা গামছা ছিড়ে গেলে সেলাই করতে নেই বলে মনে করাও একটি কুসংস্কার।



১৪। খালি ঘরে সন্ধ্যাবাতি দিতে হয়, না হলে ঘরে বিপদ আসে মনে করা।



১৫। কদম বুচি বা পায়ে ধরে চুমা বা সালাম করাকে ইসলামী বিধান মনে করা।



১৬। মহিলার পেটে বাচ্চা থাকলে কিছু কাটাকাটি বা জবেহ্ করা যাবে না মনে করা।



১৭। পাতিলের মধ্যে খাবার থাকা অবস্থায় তা খেলে পেট বড় হয়ে যাবে মনে করা।



১৮। বিড়াল মারলে ২ কেজি ৫০০ গ্রাম / আড়াই কেজি লবণ দিতে হয় বলে মনে করা।



১৯। বাচ্চাদের শরীরে লোহা বা তাবিজ থাকতে হবে মনে করা।



২০। ছোটরাই শুধু বড়দের সালাম দিবে, বড়রা সালাম দিবে না মনে করা।



২১। বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেললে সুন্দর দাঁত উঠে মনে করা।



২২। দিনের প্রথম উপার্জন হাতে পাওয়ার পর তাতে চুমু দিতে হয় মনে করা।



২৩। কাউকে দেখে বলা আপনার কথা হচ্ছিল আপনার হায়াত আছে, এমন কথা বলা কুসংস্কার। 



২৪। কোন বিশেষ পাখি দেখলে বা ডাকলে  আত্মীয় আসবে মনে করা।



২৫। বাড়ি থেকে বাহির হওয়ার সময় খালি কলস, কালো বিড়াল ও ঝাড়ু দেখলে যাত্রা অশুভ হবে মনে করা।



২৬। খাওয়ার পরে যদি কেউ মোচড় দেয় তবে খানা কুকুরের পেটে চলে যায় মনে করা।



২৭। ঘর থেকে বের হয়ে পেছনদিকে ফিরে তাকানো বা ডাকা অশুভ মনে করা।



২৮। খাবার খাওয়ার সময় কারো হেচকি উঠলে কেউ স্মরণ করেছে মনে করা।



২৯। বৃষ্টির সময় রোদ দেখা দিলে শিয়ালের বিয়ে হয় বা ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হবে মনে করা।



৩০। মায়ের পেটের দুই আপন ভাই ও বোন একসাথে মিলে মুরগী জবেহ্ করা যাবে না বলে মনে করা।



৩১। ঘরের ময়লা পানি রাতে বাহিরে ফেলা যাবে না মনে করা।



৩২। বাসর ঘরে স্ত্রীর নিকট হতে দেনমোহরের টাকা মাপ চেয়ে নিলে, তা আর দিতে হয় না মনে করা।



৩৩। খালি মুখে মেহমান ফেরত গেলে অমঙ্গল হয় বা কাউকে শুধু পানি দেওয়া উচিত না মনে করা।



৩৪। কোরআন মাজীদ হাত থেকে পড়ে গেলে আড়াই কেজি চাল বা লবণ দিতে হয় মনে করা।



৩৫। পরীক্ষার পূর্বে ডিম খাওয়া যাবে না খেলে পরীক্ষায় ডিম পাবে এমন মনে করা।



৩৬। মুরগির মাথা খেলে মা বাবার মৃত্যু দেখবে না মনে করা।



৩৭। জোড়া কলা খেলে যমজ সন্তান হবে বলে মনে করা।



৩৮। রোধে অর্ধেক শরীর রেখে বসলেই জ্বর হবে মনে করা।



৩৮। রাতে বাঁশ বা গাছ কাটা যাবে না মনে করা।



৩৯। রাতে গাছের পাতা ছিঁড়া যাবে না মনে করা।



৪০। হাত থেকে কিছু পড়ে গেলে বাড়িতে মেহমান আসবে বলে মনে করাও একটি কুসংস্কার।



৪১।  নতুন বউ কোন ভাল কাজ করলে শুভ লক্ষণ মনে করা।



৪২। নতুন স্ত্রীকে নরম স্থানে বসতে দিলে মেজাজ নরম থাকবে মনে করা।



৪৩। ফরজ গোসল ছাড়া ঘরের কোনো কাজ করা যাবে না বলে মনে করা।



৪৪। তিন রাস্তার মোড়ে বসতে নেই মনে করা।



৪৫। রাতে নখ, চুল ইত্যাদি কাটতে নেই মনে করা।



৪৬। মানুষ মরে গেলে ভুত হয় মনে করা।



৪৭। শকুন ডাকলে, বিড়াল কাঁদলে মানুষ মারা যাবে মনে করা।



৪৮। পেঁচা ডাকলে বিপদ আসবে মনে করা।



৪৯। কাউকে ধর্মের ভাই-বোন, মা-বাবা ডাকলেই আপন হয়ে যায় পর্দা লাগে না মনে করা।



৫০। হাশরের দিন পীরগন মুরিদদের জন্য সাফায়াত করবে মনে করা



৫১। নতুন স্ত্রীকে দুলাভাই কোলে করে ঘরে আনতে হবে মনে করা।



৫২। একবার মাথায় টাক খেলে দ্বিতীয়বার টাক দিতে হবে নতুবা শিং উঠবে মনে করা।



৫৩। খানা একবার নেওয়া যাবে না, দুই তিনবার নিতে হবে মনে করা।



৫৪। নতুন জামাই বাজার না করা পর্যন্ত একই খানা খাওয়াতে হবে মনে করা।



৫৫। নতুন স্ত্রীকে স্বামীর বাড়িতে প্রথম পর্যায়ে আড়াই দিন অবস্থান করতে হবে মনে করা।



৫৬। পাতিল এর মধ্যে খানা খেলে মেয়ে সন্তান হয় বা পেট বড় হয় মনে করা।



৫৭। পিতা-মাতা-সন্তান নেতা-নেত্রী বা পীরের ছবি ঘরে রাখলে বরকত হয় মনে করা।



৫৮। দোকান বা যেকোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বরকতের জন্য প্রতিদিন সকাল বেলায় গোলাপজল ও সন্ধ্যা বেলায় আগরবাতি জ্বালাতে হয় বলে মনে করা।



৫৯। দাঁত উঠতে বিলম্ব হলে সাত ঘরের চাল উঠিয়ে রান্না করে কাককে খাওয়াতে হবে এবং নিজেও খেতে হবে মনে করা।



৬০। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ঘর ঝাড়ু দেওয়ার পূর্বে কাউকে কোন কিছু দেওয়া যাবে না মনে করা।



৬১। রাতের বেলা কোন কিছু লেনদেন করা যাবে না মনে করা।



৬২। সকালবেলা প্রথম দোকান খুলে নগদ টাকার পন্য বিক্রয় না করে কাউকে বাকি দেওয়া যাবে না বলে মনে করা।



৬৩। দাঁড়িপাল্লা পায়ে লাগলে বা হাত থেকে নিচে পড়ে গেলে সালাম করতে হয় মনে করা।



৬৪। দোকানের টাকার বাক্স প্রতিদিন সকালে চুমা করতে হয় বলে মনে করা।



৬৫। গাড়ি বা রিকশা সকালে চালানো শুরু করার পূর্বে সালাম করে চালাতে হয় মনে করা।



৬৬। শুকুরের নাম মুখে নিলে চল্লিশ দিন মুখ নাপাক থাকে মনে করা।



৬৭। রাতের বেলা কাউকে চুন ধার দিলে চুন না বলে দই বলতে হয় মনে করা।



৬৮। বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তায় যদি হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় তাহলে যাত্রা অশুভ হবে মনে করা।



৬৯। অষ্টধাতুর আংটি বা বালা ব্যবহার করলে বাতজ্বর, রক্তচাপ ইত্যাদি অসুখ ভালো হয় মনে করা।



৭০। বিনা অজুতে বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহির নাম নিলে আড়াই টা পশম পড়ে যায় মনে করা।



৭১। নখ, চুল কেটে মাটিতে দাফন করতে হয় মনে করা।



৭২। মাথায় বা গালে হাত দিয়ে বসে থাকলে অসুখ হয় মনে করা।



৭৩। মহিলারা হাতে চুড়ি বা বালা না পরলে স্বামীর অমঙ্গল হয় মনে করা।



৭৪। স্ত্রী নাকে নাকফুল না রাখলে স্বামী বাচেনা মনে করা।



৭৫। দা, কাঁচি বা ছুরি ডেঙিয়ে গেলে হাত পা কেটে যাবে মনে করা।



৭৬। ছোট বাচ্চা ডেঙিয়ে গেলে লম্বা হবে না মনে করা।



৭৭। গলায় কাটা বিঁধলে বিড়ালের পা ধরে মাফ চাইতে হয় বলে মনে করা।



৭৮। লেনদেনে জোড় সংখ্যা রাখা যাবেনা এক লক্ষ হলে এক লক্ষ এক টাকা ধার্য করতে হয় বলে মনে করা।



৭৯। দোকানে প্রথম কাস্টমার ফেরত দিতে নেই বা ফেরত দিলে অমঙ্গল হয় বলে মনে করা।



৮০। পুরুষদের রাগ দমন করার জন্য কান ছিদ্র করতে হয় মনে করা।



৮১। পায়ে মেহেদী ব্যবহার করা উচিত না  মনে করা।



৮২। মৃত ব্যক্তির রুহ্ ৪০ দিন বাড়িতে আসা যাওয়া করে মনে করা।



৮৩। মা-বাবা ছেলে-মেয়ের আকিকার গোশত খেতে পারবে না মনে করা।



৮৪। সমাজের বেশিরভাগ মানুষ যা করে তাই সঠিক মনে করা।



৮৫। পীর না ধরলে মুক্তি পাওয়া যাবে না, যার পীর নাই তার পীর শয়তান মনে করা। 



৮৬। নতুন ঘর, ব্যবসা শুরু করতে মিলাদ দিতে হয় মনে করা।



৮৭। রান্না করার জন্য হলুদ ধার দেওয়া যাবে না মনে করা।



৮৮। বদ নজর থেকে হেফাজতের জন্য শিশুর কপালের টিপ দিতে হয় মনে করা।



৮৯। গাছের ফল চুরি হলে গাছে আর ফল ধরবে না মনে করা।



৯০। মৃত ব্যক্তির জন্য চল্লিশা মৃত্যুবার্ষিকী না করলে মৃত আত্মা কষ্ট পায় মনে করা।



৯১। মৃত ব্যক্তির কবর জিয়ারতের সময় মোমবাতি আগরবাতি ফুল দিতে হয় মনে করা।



৯২। জামা গায়ে থাকা অবস্থায় সেলাই করলে অসুখ হয় মনে করা।



৯৩। বিয়ের পর মুরব্বিদের দাঁড়িয়ে সালাম করতে হয়, পায়ে হাত দিয়ে সালাম করতে হয় মনে করা।



৯৪। ঈদের রাতে শবে বরাতের রাতে মৃত আপন জনের আত্মা ঘরে আসি মনে করা।



৯৫। স্বামীর নাম শ্বশুরের নাম উচ্চারণ করা যাবে না মনে করা।



৯৬। মন ভাঙ্গা আর মসজিদ ভাঙ্গা সমান এটা মনে করা।



৯৭। বিড়াল মারলে লবণ ও গামছা সদগা দিতে হয় মনে করা।



৯৮। দোয়া করতে হুজুর ডাকতে হয়, নিজে না করাই ভাল মনে করা।



৯৯। মেয়ে সন্তান হয় স্ত্রীর দোষে এটা মনে করা।



১০০। জন্মের পর বার বার সন্তান মারা গেলে অরুচিকর নাম রাখলে সন্তান বেঁচে যায় মনে করা।



১০১। বুড়া বয়সে হজ্জ্ব করা উচিত, যুবক বয়সে হজ্জ্ব করা যায় না মনে করা।



১০২। রাস্তার পাশে কবর মাজার দেখলে ভক্তিসহকারে দূর থেকে চুমা করতে হয় মনে করা।



১০৩। মাজারে শিন্নি দিতে হয়, মুরগি খাঁসি দান করতে হয় মনে করা।



১০৪। চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলা কিছু কাটলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হয় মনে করা।



১০৫। ১৩ সংখ্যাকে অশুভ আর ৭ সংখ্যাকে শুভ মনে করাও হল একটি কুসংস্কার।



১০৬। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর এই কুসংস্কার বিশ্বাস করা।



১০৭। শবে বরাতে হালুয়া রুটি বানালে আরশের নিচে ছায়া হবে মনে করা।



১০৮। দোকানে ঝাড়ু দেওয়ার পূর্বে ভিক্ষা দেওয়া বা বেচাকেনা করা যাবেনা মনে করা।



১০৯। প্রজাপতিকে পানি পান করালে মৃত ব্যক্তিকে পানি পান করানো হয় মনে করা।



১১০। জবাইকৃত মুরগির পেটে ডিম বাড়িতে তৈরি প্রথম পিঠা অবিবাহিত মেয়েরা খাওয়া ঠিক নয় মনে করা।



১১১। স্ত্রী স্বামীর থেকে তালাক নিলে দেনমোহর দিতে হয় না মনে করা।



১১২। গর্ভবতী মহিলা সর্বদা লোহা, ম্যাচের কাঠি, রসুন সাথে রাখতে হয় নতুবা অমঙ্গল হয় মনে করা।



১১৩। শালি দুলাভাই আপন ভাই বোনের মতো, পর্দা লাগেনা মনে করা।



১১৪। বাচ্চা বিছানায় পেশাব করলে তাবিজ দিতে হয় মনে করা।



১১৫। কেউ হঠাৎ ভয় পেলে বুকে থুথু দিতে হয় মনে করা।



১১৬। কবরস্থান এর সামনে গিয়ে কবরের দিকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করা নিষেধ বলে মনে করা।



১১৭। যে ঘরে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় সেইঘর চল্লিশ দিন নাপাক থাকে মনে করা।



১১৮। পীরের নাম মনে করে গাড়ি চালালে বিপদ-আপদ হয়না মনে করা।



১১৯। সকালে গাড়ি চালানোর শুরুর পূর্বে ড্রাইভারকে গাড়ি স্টিয়ারিং হুইলে চুমা করতে হয় মনে করা।



১২০। আল্লাহকে পেতে মাধ্যম লাগে আর সেই মাধ্যম হলো পীর মনে করা।



১২১। বড় বিপদ থেকে ফিরে আসলে সোনা-রুপা ভেজানো পানি দিয়ে গোসল করতে হয় বলে মনে করা।



১২২। মৃত ব্যাক্তির নখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানের চুল পরিষ্কার করে দিতে হয় মনে করা।



১২৩। 'ধর্ম যার যার উৎসব সবার' এই কুসংস্কার মানা।



১২৪। কোন বস্তু বা ব্যক্তি কে লক্ষ্মী বা শুভ বলে মনে করা।



১২৫। মৃত স্বামীকে তার স্ত্রী বা স্ত্রীকে তার স্বামী দেখতে, ধরতে বা গোসল দিতে পারবে না বলে মনে করা।



১২৬। মাগরিবের আযান দিলে দোকানপাট বা গাড়িতে সন্ধ্যার বাতি জ্বালাতে হয় মনে করা।



১২৭। আপন বাপ জীবিত থাকলেও বিয়েতে অন্য মুরব্বিকে উকিল বাপ বানাতে হয় মনে করা।



১২৮। রত্ন পাথর ব্যবহারে ভাগ্য পরিবর্তন হয়, ভাগ্যের শনির প্রভাব পড়ে, ভাগ্য হাতে লেখা থাকে মনে করা।




মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের সবাইকে সকল প্রকার কুসংস্কার কথা বলা এবং শোনা থেকে হেফাজত করুন। আমীন!



আপনি যদি এরকম আরো সুন্দর সুন্দর শিক্ষণীয় পোস্ট পেতে চান তাহলে এই পোস্ট এর নিচে একটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। ধন্যবাদ!

প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে সাতটি আমল যা আপনার জীবনকে বদলে দেবে। ibrahim blog

প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে সাতটি আমল যা আপনার জীবনকে বদলে দেবে।


১। আপনি ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই প্রতিদিন অজু করে বিছানায় যাবেন।

২। বিছানায় শুয়ে অবশ্যই প্রতিদিন ঘুমের দোয়া এবং ডান কাত হয়ে শোবেন।

৩। বিছানায় শুয়ে আয়াতুল কুরসি ও সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবেন।

৪। সূরা ফাতিহা ও সূরা কাফিরুন পড়বেন।

৫। তিন কুল অর্থাৎ সূরা ইখলাস, নাস ও সূরা ফালাক, তিনবার করে পাঠ করবেন।

৬। সুবহান আল্লাহ্ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ্ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবার ৩৪ বার করে প্রতিদিন পাঠ করবেন।

৭। সূরা মূলক ও ইস্তেগফার পড়বেন।

সমাজে প্রচলিত ১২৮ টি কুসংস্কার


শেষ কথা

আপনি যদি প্রতিদিন এই আমলগুলো নিয়মিত করেন। তাহলে আপনি কয়েক দিনের মধ্যে আপনার পরিবর্তন আপনি নিজেই দেখতে পারবেন।
যখন আপনার সাথে কেউ নিজের ভুল স্বীকার না করে তর্ক করে, তখন আপনার কি করা উচিত? Kew Ojotha Torke Jorale Ki Korben ?


যখন আপনার সাথে কেউ নিজের ভুল স্বীকার না করে তর্ক করে, তখন আপনার কি করা উচিত?


আপনার সাথে কেউ অযথা তর্কে লিপ্ত হলে তখন আপনি কি করবেন?


এটা বলার আগে আপনাকে ছোট্ট একটা গল্প বলি। একদিন একটি গাধা জঙ্গলের মধ্যে একা একা ঘাস খাচ্ছিলো। তখন সেই পথ দিয়ে একটি বাঘ যাচ্ছিল এবং বাঘটি দেখতে পেল গাধাটি একা একা ঘাস খাচ্ছে, তখন বাঘটি গাধাটাকে জিজ্ঞেস করলো এই গাধা তুমি কি খাচ্ছ? 


গাধাটা তার প্রশ্নের উত্তর দিলো আমি ঘাস খাচ্ছি, তখন বাঘটি বলল তোমার ঘাস খাওয়া হলে আমি তোমাকে খাবো। তখন গাধাটি ভীত হয়ে বাঘটিকে বলল আপনি আমাকে খাবেন না, আপনি আমাকে দয়া করে ছেড়ে দিন। 


বাঘটি বলল আচ্ছা তোমাকে আমি এক শর্তে ছাড়তে পারি, তুমি বলতো তুমি যে ঘাস খাচ্ছো সেই ঘাসের রং কি? গাধাটি তার প্রশ্নের উত্তরে বললো ঘাসের রঙ হচ্ছে নীল এবার বাঘ খেপে গিয়ে বললো আমি তোমাকে খেয়ে ফেলবো। 


গাধাটি বলল আমি তো আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি, তাহলে আপনি আমাকে কেন খাবেন? তখন বাঘটি বলল তুমি যে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছো এটি ভুল ঘাসের রং হচ্ছে সবুজ। গাধাটি এবার জোর গলায় বললো, না ঘাসের রং হচ্ছে নীল। বাঘ বলে, না ঘাসের রং সবুজ। 


এভাবে তাদের মধ্যে অনেক বড় ঝগড়া শুরু হয়ে গেল, এবার বাঘ বললো আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে জঙ্গলের রাজা সিংহ মশায়ের কাছে চলো সে আমাদের বিচার করে দেবে, গাধাটি বললো আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে চলো রাজা মশাইয়ের কাছে। 


গধাটি আগে আগে গিয়ে রাজামশাই কে বললো, রাজামশাই! রাজামশাই! আপনি বলেন তো ঘাসের রং নীল কিনা? রাজামশাই বলল-হ্যাঁ ঘাসের রং নীল এরপর গাধাকে বললো, আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে তুমি চলে যাও। 


এবার বাঘকে সিংহ বললো তোমাকে শাস্তি দেওয়া হল। এটা শুনে বাঘটি রাজামশাই কে জিজ্ঞেস করল রাজামশাই আমি যে উত্তর দিয়েছি আমারটা তো সঠিক ছিল ঘাসের রংতো সবুজ, তাহলে আপনি আমাকে কেন শাস্তি দিলেন? 


Learn more... একটি ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্প


তখন রাজা মশাই বলল হ্যাঁ তোমার উত্তর সঠিক কিন্তু তোমাকে কেন শাস্তি দিয়েছি সেটা কি তুমি জানো? তোমার উত্তর সঠিক নাকি ভুল, আমি এই জন্য তোমাকে শাস্তি দেই নি, আমি তোমাকে শাস্তি দিয়েছি তুমি মূর্খের সাথে কেন তর্ক করতে গেলে।


আপনি এই গল্পটি থেকে কি শিক্ষা পেয়েছেন? আপনি অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে তর্কে লিপ্ত হওয়ার আগে, আপনি কার সাথে তর্কে লিপ্ত হচ্ছেন সেটি বিবেচনা করা উচিত। কারণ মূর্খের সাথে তর্কে লিপ্ত হওয়া মানে আপনি তার থেকেও অতি মূর্খ।

একটি ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্প | Ekti Islamic Shikkhonio Golpo


একটি ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্প | Ekti Islamic Shikkhonio Golpo


একদিন একজন কৃষক মাঠে কাজ করতেছিল, ওই সময়ে এক অপূর্ব সুন্দরী নারী কৃষককে ডেকে বলল আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই। কৃষক সেই নারীর চেহারা দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়, সে কিছু না ভেবেই রাজি হয়ে যায়। 


কৃষক অপূর্ব সুন্দরী নারীকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে কাজী অফিসে নিয়ে যায়। কাজী অফিসে গিয়ে কাজীকে ডেকে বললো আমাদের দুজনকে বিয়ে  দিয়ে দাও। 


কাজী এই নারীর চেহারা দেখে কাজী নিজেও মুগ্ধ হয়ে যায়, কাজী কৃষককে বলে উঠল এই ব্যাটা তুই তো এই নারীর যোগ্যই না, আমি এই অপূর্ব সুন্দরী নারীকে বিয়ে করব। 


এই বলে কৃষক এবং কাজীর মধ্যে ঝগড়া লেগে গেল। কাজী এবং কৃষক দুজনে মিলে বিচার নিয়ে গেল বাদশাহের কাছে। এবার বাদশা সেই নারীর চেহারা দেখে সে নিজেও মুগ্ধ হয়ে যায়। 


সমাজে প্রচলিত ১২৮ টি কুসংস্কার


এবার বাদশা দুজনকে বলে উঠলো তোরা দুজনেই এই নারীর যোগ্য না, শুধু আমি এই অপূর্ব সুন্দরী নারীকে বিয়ে করব। এরপর সেই সুন্দরী নারীকে জিজ্ঞেস করা হল, তুমি নিজেই সিদ্ধান্ত দাও তুমি কাকে বিয়ে করবে? 


সুন্দরী নারী বললো, তোমাদের তিনজনের মধ্যে যে আমাকে দৌড়ে ধরতে পারবে আমি শুধু তাকেই বিয়ে করবো। সুন্দরী নারীর কথা শুনে সবাই রাজি হয়ে গেল এবং তার পিছে পিছে কৃষক কাজী বাদশা তিনজনেই দৌড়াতে শুরু করলো। 


অনেকক্ষণ পিছন পিছন দৌড়াতে দৌড়াতে কাজী এবং কৃষক দুজনে মারা গেল। বাকি ছিল শুধু বাদশা, বাদশা নারীটিকে বলল এখন তো শুধু আমি একাই আছি চলো তুমি আর আমি বিয়ে করে ফেলি! তখন সুন্দরী নারী বললো না আগে আমাকে দৌড়ে ধরো তারপরে বিবাহ করিবে। 


তখন সুন্দরী নারীর কথা শুনে বাদশাহ্ চমকে গিয়ে সেই নারীকে বললো হে সুন্দরি নারী তুমি কে, কি তোমার পরিচয়? তখন সেই নারী বললো, আমি হলাম দুনিয়া। 


প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে সাতটি আমল যা আপনার জীবনকে বদলে দেবে।


আমার মধ্যে আছে শুধু চাকচিক্য, মোহ্ এবং লোভ-লালসায় ভরা। আমার পিছে যারাই দৌড়াবে তারাই শুধু এভাবে মরবে, বিনিময়ে তারা কিছুই পাবে না। এই থেকে বোঝা যায় লোভ মানুষকে ধ্বংস করে, লোভে পাপ পাপে মৃত্যু। 


তাই সময় থাকতে তুমি আল্লাহর দিকে ফিরে যাও। সৌভাগ্য ফিরবে তোমার দিকে, পৃথিবীর সব সম্পর্কের শেষ আছে কিন্তু বান্দার সাথে আল্লাহর সম্পর্ক কোন শেষ নেই। 


পৃথিবীতে তুমি যদি কাউকে বারবার ডাকো সে বিরক্ত হয়, রাগ হয় কিন্তু আল্লাহকে তুমি যত খুশি ডাকবে, আল্লাহ ততো বেশি খুশি হবেন। 


তাই সময় থাকতে আল্লাহর দিকে ফিরে আসো, নামাজ পড়ো আল্লাহ তোমায় সঠিক পথ দেখাবে, ইনশা-আল্লাহ।

ছোটলোক চেনার সহজ উপায় ibrahimhossain.com

ছোটলোক চেনার সহজ উপায় কি?

ছোটলোক চেনার আগে ছোট্ট একটা গল্প বলি, একদিন এক ধনী লোক তার ঘরের খাটের নিচে অনেক গুলো হীরার টুকরা রাখে, সেখান থেকে একটি ইঁদুর একটা হীরার টুকরা ভুল করে গিলে ফেলে।

ইঁদুরটি তার হীরের টুকরোটা গিলে ফেলার কারণে তার রাতে ঘুম হয়না। সে সারারাত ধরে চিন্তা করতে লাগলো, সে ইঁদুরটাকে মেরে তার পেট থেকে হীরের টুকরো বের করবে।

এরপর ধনী লোকটি সকাল হতেই ইঁদুর শিকারীর খোঁজে বেরিয়ে পড়লেন। সে এক লোককে পেল যে ইঁদুর শিকার করে, ধনী লোকটি তাকে বললো আপনি যদি ইঁদুরটিকে মেরে তার পেট থেকে আমার হিরের টুকরাটা উদ্ধার করে দিতে পারেন, তাহলে আপনাকে আমি আপনার পরিশ্রমের ন্যায্য মূল্য দেব, এই বলে ধনী লোকটি ইঁদুর শিকারিকে তার বাড়িতে নিয়ে গেলো।

শিকারি যখন ইদুর মারার জন্য ইদুরের বাসস্থানে গিয়ে পৌঁছায়, সে তখন দেখে সেখানে শত শত ইঁদুর একে অন্যের সঙ্গে গায়ে গা লাগিয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে কেউ বা আবার বসে আছে। শিকারি আর একটা ইঁদুরকে দেখল, সেই ইঁদুরটা একা এক জায়গায় চিৎ হয়ে শুয়ে আছে।

শিকারি ওই একা থাকা ইঁদুরটিকে তাক করে ধরে তার পেট চিরে হিরা বের করে হীরের মালিকের কাছে বুঝিয়ে দেয়। শিকারি তার নিজের পারিশ্রমিক বুঝে নেওয়ার পরে যখন সে সেখান থেকে চলে যাবে তখন সেই ধনী লোকটি তাকে জিজ্ঞাসা করল, ভাই এতগুলো ইঁদুরের মধ্যে তুমি কিভাবে বুঝতে পারলে যে ওই ইঁদুরটাই হেরে গিলেছে এবং ওর পেটেই হিরা আছে?

শিকারি তখন ধনী লোকটিকে বলল এটাতো অনেক সহজ! মূর্খ যখন হঠাৎ করে বিত্তবান হয়ে যায়, তখন সে তার নিজের লোকদের ভুলে যায় এবং সে তার নিজের লোকদের থেকে মেলামেশা বন্ধ করে আলাদা থাকে। সে তখন নিজেকে  সাধারণ লোকদের থেকে আলাদা ভাবতে শুরু করে। এই জন্যই আমি খুব সহজেই ইঁদুরটিকে খুঁজে বের করতে পেরেছে। শিকারির কথায় ধনী ব্যক্তিটি অনেক অবাক হয়ে যায়।

বর্তমান সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে, যাদের আচরণ পরিলক্ষিত হয় যা তার যোগ্যতার চেয়ে যখন সে অনেক বেশি পেয়ে যায়, এরাই হলো প্রকৃত ছোটলোক।

আরো পড়ুনঃ আমি বাজারে কিছু কিনতে গেলে প্রায়ই ঠকে আসি, একটু চালাক হব কিভাবে?

আপনার সঠিক সময়ের সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে নেওয়া উচিত। ibrahimhossain.com

আপনার সঠিক সময়ের সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে নেওয়া উচিত।


আপনাকে কিছু কথা বলার পূর্বে ছোট্ট একটা গল্প বলি

একটি পাত্রের মধ্যে পানি রেখে তার ভিতরে একটি ব্যাঙ রাখা হল। এবার পাত্রটি চুলার উপরে রেখে পানি গরম করা শুরু করা হলো।

পানির তাপমাত্রা যখন আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকলো, তখন ব্যাঙ টি ও তার শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে সহনীয় পর্যায়ে নিতে শুরু করলো। যদিও সে ইচ্ছা করলে পাত্রটি থেকে লাফ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারত কিন্তু সে সেটা না করে , সে সহ্য করতে থাকে।

তাপমাত্রা যখন ক্রমাগত বাড়তে থাকে, তখন ব্যাঙ টা সিদ্ধান্ত নেয় সে পাত্রটি থেকে লাভ দিবে কিন্তু সে যখন লাফ দিতে চায়, তখন সে আর লাফ দিতে পারছিল না। কারন তার শরীরে আর আগের মত যতেষ্টো শক্তি ছিলনা। পানির তাপমাত্রা যখন আরো বেড়ে যায় তখন সে একটা সময় পাত্রের মধ্যেই মারা যায়।

এখন আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় ব্যাঙ টি কিভাবে মারা গেল? এর উত্তরে আপনি কি জবাব দিবেন!

আপনি বা অধিকাংশ মানুষই বলবে ব্যাঙ টি গরম পানির কারণে মারা গিয়েছে। কিন্তু আমি যদি বলি ব্যাঙ টি গরম পানির কারণে মারা যায়নি। সে মারা গিয়েছে শুধু তার একটি সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে।

এটাকে ভালোভাবে বোঝাতে গেলে, ব্যাঙ টি লাফ দেওয়ার জন্য যেই সময়টা বেছে নিয়েছিল ওই সময়টা তার জন্য সঠিক সময় ছিল না। সে লাফ দেওয়ার জন্য যদি পূর্বে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে লাফ দিত তাহলে আর তাকে এই পাত্রের মধ্যে মরতে হতো না।

আপনার সঠিক সময়ের সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে নেওয়া উচিত। ibrahimhossain.com

এই গল্পটি বলার কারণ হচ্ছে, আপনার জীবনে যত বড় সমস্যা আসুক না কেন আপনাকে আপনার সমস্যা দেখে বুঝে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাহলেই আপনি আপনার জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

রাতে ঘুমানোর আগে এই অভ্যাস গুলো করুন, আপনার জীবন পাল্টে যাবে। ibrahimhossain.com

রাতে ঘুমানোর আগে এই অভ্যাস গুলো করুন, আপনার জীবন পাল্টে যাবে।


আপনার জীবনকে সুন্দর করে গোছানোর জন্য নিম্নোক্ত অভ্যাসগুলো অনুসরণ করা উচিতঃ

১। রাতে ঘুমানোর জন্য বিছানায় যাওয়ার পূর্বে সর্বদা আপনার হাত পা ভালো করে ধুয়ে নিবেন। মুসলিম হলে ওযু করে নিবেন। তবে গোসল করে ঘুমালে বেশি ভালো হয়।


২। আপনি রাতে খাবার খাওয়ার ২০ মিনিট পূর্বে এবং পরে কখনোই পানি পান করবেন না। আপনি এই পদ্ধতিটা মাত্র ১০ দিন অনুসরণ করে দেখেন। মাত্র ১০ দিন পরে আপনি নিজের পরিবর্তন দেখতে পারবেন।


৩। ঘুমানোর আগে আপনি কখনোই যৌন জাতীয় বিষয়বস্তু দেখবেন না বা চিন্তাও করবেন না। যদি ভুল বসত আপনার মাথায় চলে আসে তাহলে, আপনি এটাকে ভেবে নিবেন এটি মোটেও ভালো জিনিস নয়, এগুলো ভাবা উচিত নয়।


৪। আপনি যেখানে ঘুমান ওই বিছানা থেকে আপনার মোবাইল ফোনটি কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ফিট দূরে রাখুন এবং আপনার মোবাইলের ওয়াইফাই অথবা ডাটা কানেকশন বন্ধ রাখুন। অনেক গবেষণায় ফোন কাছে রেখে ঘুমালে, শরীরের নানা ধরনের খারাপ প্রভাব দেখা দেখা দিয়েছে।


৫। আপনি যদি উঁচু বালিশে ঘুমাতে পছন্দ করেন তাহলে আজ থেকে উচ্চ বালিকা ঘুমানো বন্ধ করুন। উঁচু বালিশে ঘুমানো আপনার শরীরের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর। যতো সম্ভব নিচু বালিশে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।


৬। আপনার ঘরে আবছা আলো জাতীয় কিছু জ্বালিয়ে রাখুন, কখনোই অন্ধকার রুমে ঘুমাবেন না। এক্ষেত্রে আপনি ডিম-লাইট ব্যবহার করতে পারেন।


৭। আপনি কিভাবে ঘুমান? আপনার ঘুমানোর অবস্থান সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সব সময় সোজা পিঠে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।


৮। রাতে ঘুমানোর আগে আপনার ভবিষ্যতের পরিকল্পনা এবং লক্ষ্য সম্পর্কে প্রতিদিন ভাবুন এবং রাতে ঘুমানোর পরে আগামীকাল আপনাকে কি করতে হবে এটাও ভবুন।

আশা করি এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলো আপনার জীবন বদলে দিতে সাহায্য করবে।


আরো পড়ুনঃ মোবাইল মাথার কাছে নিয়ে ঘুমালে কি ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা হতে পারে? 

আমি বাজারে কিছু কিনতে গেলে প্রায়ই ঠকে আসি, একটু চালাক হব কিভাবে? ibrahimhossain.com

আমি বাজারে কিছু কিনতে গেলে প্রায়ই ঠকে আসি, একটু চালাক হব কিভাবে?


যারা বাজারে গিয়ে কিছু কিনে ঠকে আসে, তাদেরকে আপনি বোকা বলতে পারবেন না, কেননা আমাদের মধ্যে অনেক চালাক মানুষও আছে যারা বাজারে গিয়ে ঠকে আসে।

এটা কিন্তু আপনার দোষ নয়, যে ঠকায় এটা তার দোষ। কেননা সে জানেনা সে আপনাকে পণ্যের ভেতরে ভেজাল দেয়, এর কারণে তাঁর মৃত্যুর পরে পরকালে কত ভয়ংকর আজাব বা শাস্তি তার জন্য রাখা হয়েছে, সে জানে না।

সেটা যদি সে জানতো তাহলে, সে পণ্যের মধ্যে ভেজাল দেওয়ার আগে অন্তত ১০০ বার ভেবে নিতো। যারা এসব খারাপ অপকর্ম করে তারা এগুলো কিছুই ভাবে না।

অনেক অসাধু ব্যবসায়ী আছে, যারা পন্য ভালো দিলেও ওজনে কম দেয়। আবার অনেকে পন্যও ভালো দেয় এবং ওজনেও ঠিক মতো দেয়, কিন্তু পন্যের দাম অতিরিক্ত নিয়ে যায়। এর থেকে আপনি বুঝতে পারলেন যে, আপনি অসাধু ব্যবসায়ীদের থেকে বিভিন্ন ভাবে ঠকতে পারেন।


আপনি এই ভিডিওটি দেখলে বুঝতে পারবেন, আপনি কিভাবে অসাধু ব্যবসায়ীদের থেকে প্রতারিত হতে পারেন।


এখন মূল কথা হচ্ছে আপনি এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের থেকে প্রতারিত হওয়ার হাত থেকে কিভাবে বাঁচবেন?


আজকে আপনাকে কয়েকটি ট্রিক্সস্ বলবো, এগুলো যদি আপনি ফলো করেন তাহলে আশাকরি ভবিষ্যতে আর আপনি ঠকবেন না।


১। এক দোকান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় সকল বাজার করবেন না। কেননা আপনি প্রথম যে পন্যটি কিনবেন সেটার দাম হয়তো বা আপনার দরদাম করার পরে ৫ টাকা কামাবে, কিন্তু পরবর্তীতে আপনি যে পণ্যগুলো কিনবেন তার দাম কিন্তু আপনার কাছ থেকে বাড়িয়ে নিবে।


২। মাছ কেনার সময় আপনি প্রয়োজনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে অন্যরা কত করে কিনছে বা কত টাকা দিয়ে ক্রয় করছে এটা আপনি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখেন, তারপরে আপনি ব্যবসায়ীর সাথে দরদাম করে কিনবেন। তাহলে আশা করি আপনি ঠকবেন না।


৩। আপনি এক দোকানে না কিনে প্রয়োজনে কয়েকটি দোকানে সেই পণ্যটির দাম জিজ্ঞেস করুন, তারপরে যেখানে আপনি পণ্যের মান ভাল পাবেন এবং দাম কম পাবেন, সেখান থেকে কিনবেন। আবার দেখেন সস্তা পেয়ে বস্তা ভরবেন না কিন্তু।


৪। বিভিন্ন রাস্তার পাশে লঞ্চঘাটে এবং বাস স্ট্যান্ডে যে কোন ফল কেনার সময় বিক্রেতার হাতের দিকে আপনি নজর রাখবেন। কেননা সে কখন আপনাকে খারাপ ফল দিয়ে দেবে আপনি নিজেও টের পাবেন না কিন্তু পরবর্তীতে আপনি বাড়িতে এসে বুঝতে পারবেন যে আপনি ঠকেছেন। তখন আর আপনি চাইলেও কিছু করতে পারবেন না।


৫। আমরা যারা গ্রামে থাকি, তাদের গ্রামের বাজারে কিছু বিশ্বস্ত দোকান থাকে, যারা সব সময় মানুষের কাছ থেকে দাম কম রাখে। 

এর ফলে তাদের দোকানে বিক্রয় বেশি হয় এবং কাস্টমারও অনেক বেশি হয়। আপনার তেমন বিশ্বস্ত বা পরিচিত দোকান থাকলে সেখান থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করুন। 

আশা করি তারা আপনাকে ঠকাবে না। আমি এরকম আমার পরিচিত দোকান থেকে কেনার পরে অন্য সব দোকানে যাচাই করে দেখেছি, সেখানে বরং এর থেকে দাম আরো আমার কাছে বেশি চাচ্ছে।


৬। ইলেকট্রনিক্স কোন পণ্য কেনার আগে আপনি অবশ্যই ইন্টারনেট রিচার্জ করে পন্যের রিভিউ বা পণ্যের বিস্তারিত জেনে নিবেন, তারপরে ইলেকট্রনিক্স পণ্য কিনবেন। 


আশা করি আপনি যদি এই কয়েকটি আইডিয়া কাজে লাগাতে পারেন তাহলে আপনি ভবিষ্যতে আর ঠকবেন না।


আমাদের পোস্টটি কেমন লেগেছে আমাদেরকে জানাতে ভুলবেন না, নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাদেরকে জানাবেন। এই পোস্টটি আপনার কতটুকু হেল্পফুল মনে হয়েছে?

আপনি যদি মনে করেন আমাদের এই পোস্ট থেকে আপনি নতুন কিছু জানতে বা শিখতে পেরেছেন তাহলে, এখনি পোস্টটি শেয়ার করে অন্যকে জানিয়ে দিন।

সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি, সবাই ভাল এবং সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ!
অতিরিক্ত রাগ বা বিরক্তি উঠলে করণীয় কি? ibrahimhossain.com

অতিরিক্ত রাগ বা বিরক্তি উঠলে করণীয় কি?


আসলে সত্যি কথা বলতে মানুষের যে রাগ, এটাকে স্থির করা এতোটাও সম্ভব নয়। কারন প্রতিটি মানুষের রাগ বা ক্রোধ এক এক রকমের হয়ে থাকে। কারো রাগ বা বিরক্তি হলে সে নিজে নিজেই কন্ট্রোল করতে পারে। 

আবার অনেকে রাগ বা বিরক্তি হলে সে কিছুতেই নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না আর আজকের এই আর্টিকেলটি শুধু তাদের জন্য যারা নিজেকে স্থির রাখতে পারেন না।

নিচে ১১টি টিপস দেওয়া হল, এই ১১ টি টিপস আপনি ফলো করলে ইনশা-আল্লাহ আপনি আপনার রাগ বা বিরক্তি অনেকাংশে কমাতে পারবেন।

স্টেপ গুলো ফলো করুন:

১। আপনি যখন অতিরিক্ত রাগ বা বিরক্তি অনুভব করবেন তখন আপনি চুপ থাকতে শিখুন। নিজেকে কন্ট্রোল করে চুপ থাকুন। কেননা চুপ থাকলে আপনার ব্রেইন আস্তে আস্তে স্থির  হবে।


২। অতিরিক্ত রাগ বা ক্রোদের সময় আপনি অন্য কোনো ভালো স্মৃতি মনে করার চেষ্টা করুন যাতে আপনার রাগ বা বিরক্তি জিনিসটা আপনার ব্রেইন থেকে চলে যায়।


৩। আপনি যে বিষয়ে রাগ বা বিরক্তি অনুভব করতেছেন ওই বিষয়টিকে যতসম্ভব এড়ানোর চেষ্টা করুন।


৪। যখন আপনি অতিরিক্ত রাগ বা বিরক্তি অনুভব করবেন তখন এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে আপনি এক গ্লাস পানি পান করুন।


৫। অতিরিক্ত রাগ বা বিরক্তি অনুভব করলে একটু হাঁটাহাঁটি করুন।

৬। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পর, এক জায়গায় স্থির হয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকুন।


৭। কারো সাথে রাগ বা বিরক্তি অনুভব করলে সাথে সাথে তার কথার উত্তর দিবেন না, কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে তারপর তার সাথে কথা বলুন। রাগ উঠলে তা সাথে সাথে দেখাবেন না। একটু ধৈর্য ধরে আপনার রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করুন।


৮। কারো সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হলে, প্রতিবাদ করার চেয়ে প্রতিরোধ করাই হলো উত্তম কাজ।


৯। অতিরিক্ত রাগ বা ক্রোধ বা বিরক্তি হলে আপনি আপনার পছন্দের খাবার গুলো খেতে পারেন।


১০। আপনি যদি দেখেন যে, আপনার অতিরিক্ত রাগ বা ক্রোধ, আপনি কিছুতেই কন্ট্রোল করতে পারতেছেন না তাহলে, একলা ঘরে দরজা বন্ধ করে ৪০ থেকে ৬০ মিনিট বসে থাকুন।


১১। আপনি যদি মুসলিম হন তাহলে এই শেষের স্টেপটি ফলো করতে পারেন। এটি আপনার জন্য খুবই কার্যকরী হবে। আপনার যখন অতিরিক্ত রাগ বা ক্রোধ বা বিরক্তি অনুভব হবে তখন আপনি কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন এবং নফল নামাজ আদায় করতে পারেন। ( ফরজ নামাজ বাকি থাকলে প্রথমে ফরজ নামাজ পড়ে নেবেন )।


আশা করি, আপনি এই ১১ টি স্টেপ ফলো করলে ইনশাআল্লাহ অতিরিক্ত রাগ বা ক্রোধ বা বিরক্তি কমে যাবে।

Older Posts Home
Showing posts with label LifeStyle. Show all posts
Showing posts with label LifeStyle. Show all posts
Older Posts Home

Search This Blog

Showing posts with label LifeStyle. Show all posts
Showing posts with label LifeStyle. Show all posts
Older Posts Home

Search This Blog

Labels

  • Adsense (1)
  • AndroidApps (10)
  • Background Music (26)
  • Bangladesh-Army (1)
  • BDNavy (1)
  • BloggerTips (4)
  • Business-idea-Share (1)
  • Digital-Marketing (1)
  • Earning-Tips (5)
  • Email-Marketing (1)
  • Facebook-Earning-Tips (1)
  • FireService (1)
  • Freelancing (2)
  • General-Knowledge (2)
  • GovJob (5)
  • HealthTips (13)
  • Islamik (4)
  • Islamik-Q-A (27)
  • JobNews (5)
  • LifeStyle (10)
  • Motivational (2)
  • Ojana-Tottho (1)
  • OnlineEarning (10)
  • PDB (1)
  • ProVPN (2)
  • Q-A (15)
  • Sadharon-Geann (2)
  • Technology (8)
  • VideoEditingApps (4)
  • Virar-News (1)
  • Youtube (5)

Main Tags

  • Technology

Action Movies

View All
  • About
  • Disclaimer
  • Contact
  • RTL Version
DEMO

About Us

There are many variations of passages of Lorem Ipsum available, but the majority...

Comedy Movies

View All

Recent Comments

Pages

  • About
  • Write for Us

Facebook Page


Templateclue

Animation Movies

View All

Popular Posts

  • আপনার লেখা আর্টিকেলটি কপিরাইটমুক্ত কিনা সেটি কিভাবে চেক করবেন? A to Z গাইড
    আপনার লেখা আর্টিকেলটি কপিরাইটমুক্ত কিনা সেটি কিভাবে চেক করবেন? A to Z গাইড বন্ধুরা আপনারা যারা ব্লগিং করে বা অনলাইনে লেখালেখি করে ইনকাম কর...
  • Feeling The Old Days || HD Background Music || No ©Copyright || ©Copyright Free Music
    Click Here To Download Original Music License : Creative Commons Attribution license ( reuse allowed   )
  • Youtube And Facebook Video Downloader Apk Snaptube Premium Apps Free Download For Mobile
    Youtube And Facebook Video Downloader Apk Snaptube Premium Apps Free Download For Mobile How To Download Youtube Video? Download any video...
  • যারা রেগুলার ব্লগে লেখালেখি করে তাদের দৈনিক আয় কত?
    যারা রেগুলার ব্লগে লেখালেখি করে তাদের দৈনিক আয় কত? বন্ধুরা আপনারা যারা নতুন ব্লগিং করে ইনকাম করবেন ভাবতেছেন। তারা চিন্তিত থাকেন যে ব্লগিং ক...
  • একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে উভয়ই পরীক্ষায় A+ পেয়েছে, এখন বলতে হবে এদের মধ্যে কে বেশি বুদ্ধিমান? ধাঁধাঃ
    ধাঁধাঃ  একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে উভয়ই পরীক্ষায় A+ পেয়েছে, এখন বলতে হবে এদের মধ্যে কে বেশি বুদ্ধিমান? উত্তরঃ ছেলে। ব্যাখ্যাঃ  কেননা ছেল...
  • মোবাইলের ডার্ক মোড অন করে রাখার সুবিধা কি?
    মোবাইলের ডার্ক মোড অন করে রাখার সুবিধা কি? বর্তমান সময়ে বলতে গেলে, ডার্ক মোড বেশ ট্রেন্ডে আছে। সময়ের সাথে সাথে ডার্ক মোড এর জনপ্রিয়তা ক্রম...
  • Abyssal || HD Background Music || No ©Copyright || ©Copyright Free Music
    Click Here To Download Original Music   License : Creative Commons Attribution license ( reuse allowed   )
  • Achievement Is Everywhere || HD Background Music || No ©Copyright || ©Copyright Free Music
    Click Here To Download Original Music   License : Creative Commons Attribution license ( reuse allowed   )
  • একটি ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্প | Ekti Islamic Shikkhonio Golpo
    একটি ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্প | Ekti Islamic Shikkhonio Golpo একদিন একজন কৃষক মাঠে কাজ করতেছিল, ওই সময়ে এক অপূর্ব সুন্দরী নারী কৃষককে ডেকে...
  • বদহজম পেট ফাঁপা ও বমি হলে করণীয় কি?
    বদহজম পেট ফাঁপা ও বমি হলে করণীয় কি? আপনার যদি বদহজম বা পেট ফাঁপা বা বমি হয় সেক্ষেত্রে আপনি কি করবেন? এজন্য আপনার করণীয় হচ্ছে আপনার নিকটস্...

Most Popular

  • আপনার লেখা আর্টিকেলটি কপিরাইটমুক্ত কিনা সেটি কিভাবে চেক করবেন? A to Z গাইড
    আপনার লেখা আর্টিকেলটি কপিরাইটমুক্ত কিনা সেটি কিভাবে চেক করবেন? A to Z গাইড বন্ধুরা আপনারা যারা ব্লগিং করে বা অনলাইনে লেখালেখি করে ইনকাম কর...
  • Feeling The Old Days || HD Background Music || No ©Copyright || ©Copyright Free Music
    Click Here To Download Original Music License : Creative Commons Attribution license ( reuse allowed   )
  • Youtube And Facebook Video Downloader Apk Snaptube Premium Apps Free Download For Mobile
    Youtube And Facebook Video Downloader Apk Snaptube Premium Apps Free Download For Mobile How To Download Youtube Video? Download any video...
  • যারা রেগুলার ব্লগে লেখালেখি করে তাদের দৈনিক আয় কত?
    যারা রেগুলার ব্লগে লেখালেখি করে তাদের দৈনিক আয় কত? বন্ধুরা আপনারা যারা নতুন ব্লগিং করে ইনকাম করবেন ভাবতেছেন। তারা চিন্তিত থাকেন যে ব্লগিং ক...
  • একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে উভয়ই পরীক্ষায় A+ পেয়েছে, এখন বলতে হবে এদের মধ্যে কে বেশি বুদ্ধিমান? ধাঁধাঃ
    ধাঁধাঃ  একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে উভয়ই পরীক্ষায় A+ পেয়েছে, এখন বলতে হবে এদের মধ্যে কে বেশি বুদ্ধিমান? উত্তরঃ ছেলে। ব্যাখ্যাঃ  কেননা ছেল...
  • মোবাইলের ডার্ক মোড অন করে রাখার সুবিধা কি?
    মোবাইলের ডার্ক মোড অন করে রাখার সুবিধা কি? বর্তমান সময়ে বলতে গেলে, ডার্ক মোড বেশ ট্রেন্ডে আছে। সময়ের সাথে সাথে ডার্ক মোড এর জনপ্রিয়তা ক্রম...
  • Abyssal || HD Background Music || No ©Copyright || ©Copyright Free Music
    Click Here To Download Original Music   License : Creative Commons Attribution license ( reuse allowed   )
  • Achievement Is Everywhere || HD Background Music || No ©Copyright || ©Copyright Free Music
    Click Here To Download Original Music   License : Creative Commons Attribution license ( reuse allowed   )
  • একটি ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্প | Ekti Islamic Shikkhonio Golpo
    একটি ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্প | Ekti Islamic Shikkhonio Golpo একদিন একজন কৃষক মাঠে কাজ করতেছিল, ওই সময়ে এক অপূর্ব সুন্দরী নারী কৃষককে ডেকে...
  • বদহজম পেট ফাঁপা ও বমি হলে করণীয় কি?
    বদহজম পেট ফাঁপা ও বমি হলে করণীয় কি? আপনার যদি বদহজম বা পেট ফাঁপা বা বমি হয় সেক্ষেত্রে আপনি কি করবেন? এজন্য আপনার করণীয় হচ্ছে আপনার নিকটস্...
About | Sitemap | Advertise | Privacy Policy | Contact
Copyright © DEMO All Right Reserved |
. Distributed by Protemplateslab