প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তিনটি করে খেজুর খেলে আপনার শরীরে যে পরিবর্তন দেখবেন।
প্রতিদিন সকালে তিনটি করে খালি পেটে খেজুর খেলে কি ঘটবে আপনার শরীরে, আপনি কি জানেন?
গত প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে নানা উপকারে এ লাগলেও আজও স্বাস্থ্যসচেতন দের পছন্দের লিস্টে জায়গার উপরে উঠতে পারেনি এই ছোট ফল খেজুর।
সু-সাধু এই মরু ফলটি শরীরের রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার খনিজ এবং ভিটামিন। প্রতিদিন সকালে তিনটি করে খেজুর খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে যারা কনস্টিপেশন বা যেকোনো ধরনের পেটের রোগে ভুগছেন তাদের জন্যতো এ ফল টি মহা ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এখানেই শেষ নয় খেজুরের আরো রয়েছে অনেক উপকারিতা।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তিনটি করে খেজুর খেলে আরও যে উপকার গুলো মিলবে আপনার!
একাধিক পেটের রোগের প্রকোপ কমাতে পারে, প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে নিয়মিত এ ফলটি খেলে বাওয়ের মুভমেন্টে মারাত্তক উন্নতি ঘটে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই কোন ধরনের পেটের রোগই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনা। একাধিক গবেষনায় দেখা যায় যে, প্রতিদিন তিনটি করে খেজুর খেলে শরীরের অন্ধরে উপকারী ভ্যেকিয়ারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
ফলে বদহজম কোলাইটিস ও হেমোরয়েড এর মত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। হড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় এই খেজুর। খেজুরে উপস্থিত খনিজ ও ভিটামিন হাড়কে এতটাই শক্ত পোক্ত করে যে বয়স কালে অস্টিওপোরোসিসের মত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তিনটি করে খেজুর খেলে অ্যানিমিয়া রোগ দূরে যায় আপনার শরীর থেকে।
আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে মূলত এ ধরনের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাইতো শরীরে যাতে খনিজের ঘাটতি কোনো সময় না দেখা দেয়, সে দিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে খেজুর দারুন ভাবে সাহায্য করবে আপনার। অ্যালার্জির প্রকোপ কমাতে পারে ২০০২ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল, খেজুর উপস্থিত সারফার, কমপাউন্ড এলার্জির মতো রোগ থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় এই খেজুর। ড্যাটের ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরে এল.ডি.এল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে হঠাৎ করে হার্টঅ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে না। সে সঙ্গে এতে উপস্থিত পটাশিয়াম আরো সব হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। ওজন বৃদ্ধি করতে পারে খেজুর, প্রতিদিন তিনটি করে খেজুর খেলে নানা কারণে যাদের ওজন মাত্রাতিরিক্ত হারে কমে যায় তারা আজ থেকে খেজুর খাওয়া শুরু করতে পারেন, দেখবেন উপকার পাবেন দ্রুত।
কারণ এই ছোট ফলটিতে উপস্থিত ক্যালরি শরীরের ভাঙ্গন রোধ করে এবং ওজন বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করে। সংক্রমনের আশংকা হ্রাস করে। যেহেতু খেজুরে প্রচুর মাত্রায় প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা একাধিক রোগ থেকে দূরে রাখার পাশাপাশি শরীর গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখানেই শেষ নয় এই ফলটিতে বেশকিছু এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রোপার্টিজও রয়েছে। ফলে নিয়মিত খেলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই হ্রাস পাবে। তাই যাদের এই সমস্যাগুলি রয়েছে তারা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন প্রতিদিন সকালে তিনটি করে।
