কি কি নতুন ফিচার থাকছে এই ফোনে, দেশের বাজারে চলে আসলো আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স

কি কি নতুন ফিচার থাকছে এই ফোনে, দেশের বাজারে চলে আসলো আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স

দেশের বাজারে চলে আসলো আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স, কি কি নতুন ফিচার থাকছে এই ফোনে


ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে আইফোন 13 সিরিজের সেল শুরু হওয়ার সাথে সাথে দেশের বাজারে চলে আসলো। আজকেই আমাদের দেশের বাজারে আসে আইফোন 13 প্রো ম্যাক্স। 

প্রতিবছরের মতো এবছরও বড় রকমের একটি হাইট তৈরী করে এসেছে, আগের জেনারেশন এর থেকে কতটুকু পরিবর্তন নিয়ে আসলো এবং কেমন লুক নিয়ে আসলো সে বিষয় নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।

আইফোন 13 সিরিজের মোবাইলটি নতুন হলেও এর বক্সটি সেই আগের মতই করা হয়েছে এর সাথে কোন চার্জার বক্স দেওয়া হয়নি। 

তবে এর সাথে দেওয়া হয়েছে চার্জার কেবল যেটি দিয়ে আপনি আপনার স্মার্টফোনটি চার্জ করতে পারবেন। তবে আপনাকে চার্জার বক্সটি এক্সট্রা কিনে নিতে হবে। 


ডিসপ্লে পার্টে আসার আগে এর ডিজাইন নিয়ে কিছু কথা না বললেই নয়, লাস্ট ইয়ারে আইফোন 12 প্রো ম্যাক্স বা 12 সিরিজের ডিজাইন টা আমরা যেমন দেখেছি, অলমোস্ট এই আইফোন 13 সিরিজের ফোনটি একই ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে। 

কিন্তু আপনি একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে রেয়ার প্যানেল থেকে বুঝতে পারবেন যে এটি আইফোন 13 প্রো ম্যাক্স। কারণ হলো এবারের ক্যামেরা মডিউল টা লাস্ট ইয়ারের মোবাইলের ক্যামেরার থেকে একটু বড়োসড়ো। 

যারা লাস্ট ইয়ার এ আইফোন টুয়েলভ প্রো ম্যাক্স টি ব্যবহার করেছে তারা এই নতুন ফোনটির পার্থক্যটা বুঝতে পারবে। ক্যামেরা ছাড়া আর এই ফোনটির ডিজাইনের দিক থেকে তেমন কোন নতুন ডিজাইন দেওয়া হয়নি। 

এটি লাস্ট ইয়ারের আইফোন টুয়েলাভ ফোনের ডিজাইনের মত একই ডিজাইন করা হয়েছে। যারা আগে লাস্ট ইয়ারে আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স টি ব্যবহার করেনি, তারা নতুন অবস্থায় যদি এই ফোনটি ব্যবহার করে তাহলে তারা এর ডিজাইনের দিক থেকে পার্থক্যটা তেমন বুঝতে পারবে না। 

আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স এবং আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এই দুটি ফোন একসাথে পাশাপাশি রাখলে এর পার্থক্যটা সহজে ধরা যাবে।আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স ফোনটি তিনটি কালারে দেশের বাজারে এসেছে। 

এই ফোনটির সাইড বর্ডারটি আগের ফোনের মতোই ইস্টিলের ব্যবহার করা হয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে আগের ডিজাইনের তুলনায় আপনি এই ফোনটিতে বিশেষ কোনো পরিবর্তন পাবেন না।


ডিসপ্লের কথা বলতে গেলে আমরা ডিসপ্লের সেকশনে ঠিক আগের মতোই পেয়ে যাব 6.7 ইঞ্চি ফুল এইচডি প্লাস রেজুলেশনের সুপার রেটিনা বুলেট প্যানেল ডিসপ্লে। 

তবে এখানে নতুনত্ব হল ওয়ান টুয়েন্টি হরস হাই রিফ্রেশেস, ফাইনালি আইফোনে আমরা ১০২ হরস হাই রিফ্রেশেস পাচ্ছি, যেটাকে অ্যাপল আদর করে ডাকছে প্রো মোশন। 

যে নামেই ডাকুক না কেন জিনিসটা কিন্তু একই। আপনি এবারের ডিসপ্লেটি ব্যবহার করে অবশ্যই আলাদা মজা পাবেন আগের মোবাইল গুলো ডিসপ্লের চেয়ে। 

ফোনটির ডিসপ্লের পিপিআই হচ্ছে 458 এবং এর পিক ব্রাইটনেস হচ্ছে ১২০০ নিডস্, তাই নির্দ্বিধায় বলা যায় এর ব্রাইটনেস অবশ্যই ভালো।


আইফোন 13 প্রো ম্যাক্স সিরিজের ফোনটার ক্যামেরার কথা বলতে গেলে, আগের মত এই ফোনটাতেও 3 টি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে এবং তিনটিতেই 12 মেগাপিক্সেল করে দেওয়া হয়েছে। 

এর মধ্যে একটি হচ্ছে মেন শুটার ক্যামেরা, পাশাপাশি রয়েছে 12 মেগাপিক্সেল এর একটি টেলিফোটো জুম লেন্স, যেখানে আপনি থ্রি এক্স অপটিক্যাল জুম পেয়ে যাবেন। 

এরপরের সেন্সরটি হচ্ছে 12 মেগাপিক্সেল এর একটি আর্টওয়ার্ট সেন্সর, যেটা আর্ট ওয়ার্টের পাশাপাশি মেক্রো শুটার হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। আর এই স্মার্টফোনের ফ্রন্টে ব্যবহার করা হয়েছে 12 মেগাপিক্সেল এর একটি ক্যামেরা, মোটকথা সবই হচ্ছে 12 মেগাপিক্সেল এর ক্যামেরা। 

অর্থাৎ আমরা প্রিভিয়াস ফোনের চাইতে এই নতুন ফোনটিতে কোন ক্যামেরা পরিবর্তন পাচ্ছিনা। ক্যামেরা মেগাপিক্সেল সেই আগের মতই রয়েছে। কিন্তু ক্যামেরা কোয়ালিটি তে একটু ইম্প্রুভমেন্ট এসেছে, আগের চাইতে অনেক কিছুই নতুনত্ব রয়েছে।



আইফোন ১৩ সিরিজ আসার আগে বিভিন্ন লিকস্ থেকে আমরা জেনে আসছিলাম এবারের আইফোন 13 সিরিজের সাথে টাচ আইডি যোগ হতে পারে। 

অর্থাৎ ইন ডিসপ্লে ফিংঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর দেওয়া হতে পারে। কিন্তু এবারের ফোনটিতে ইন ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর দেওয়া হয়নি।

আইফোন সিরিজের আগের ফোনগুলোর মতো এবারও আপনি ফেস আইডি পেয়ে যাচ্ছেন। অর্থাৎ ফেস আনলক সিস্টেম পেয়ে যাচ্ছেন।


আইফোন 13 প্রো ম্যাক্স এর ব্যাটারি ক্যাপাসিটি হচ্ছে 4,373 mAh Li-ion এবং এখানে 20 ওয়ার্ট এর ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করবে এবং কপারে ক্লেইম করছে 30 মিনিটে ৫০% রেখে ফুল চার্জ করা যাবে।

এবারের আইফোন 13 প্রো এবং 13 প্রো ম্যাক্স এই স্মার্টফোনগুলোর চারটি ভেরিয়েন্টে পাওয়া যাবে। যেমনঃ 6GB/128GB, 6GB/256GB, 6GB/512GB, 6GB/1TB ভেরিয়েন্টে আপনি পাচ্ছেন।


প্রিভিয়াস জেনারেশনের চেয়ে সবচাইতে বড় যে আপডেট টি এসেছে এই ফোনটিতে সেটি হল এর প্রসেসর্স সেকশন, বায়োনিক  A15 দেওয়া হয়েছে, 

লাস্ট ইয়ার এ আমরা বায়োনিক A14 পেয়েছিলাম এবং এখন পেলাম A15. তাই বায়োনিক a14 এর থেকে বায়োনিক a15 অনেক বেটার কিছু অফার করছে এবং আগের চাইতে অনেক বেশি পাওয়ারফুল। 

বায়োনিক a14 তে আমরা জেনেছিলাম  11.8 বিলিয়ন ট্রানজিস্টর রয়েছে কিন্তু এবারের বায়োনিক a15 এ ১৫ বিলিয়ন ট্রানজিস্টর রয়েছে। তাই বলা যায় আগের চেয়ে অনেক ভালো কিছু অফার করছে এই আইফোন ১৩ সিরিজ।

আইফোন 13 প্রো ম্যাক্স 6BG/128GB এর বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা এবং 6GB/256GB এর বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ১ লাক্ষ ৮৫ হাজার টাকা থেকে ১ লাক্ষ ৯০ হাজার টাকার মধ্যে। যদিও আর বাকি ভেরিয়েন্টের প্রাইজের কথা প্রকাশ করেনি।

যেহেতু এই ফোনটি মার্কেটে নতুন এসেছে সে জন্য এই মুহূর্তে ফোনটির দাম অনেক বেশি, আপনারা চাইলে কিছুদিন অপেক্ষা করে এ ফোনটি ক্রয় করতে পারেন। 
Previous Post
Next Post